somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুভীর গল্প !!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুভীর মন খানিকটা খারাপ । একটু আগে সুভীর মা ওকে আচ্ছা মত বকাবকী করেছে । সন্ধ্যা বেলা বাসায় আসতে একটু দেরী হয়েছে তাই !
সুভীর মাঝে মাঝে ভাবতে অবাক লাগে যে এমবিএ তে পড়া কোন মেয়ে কেউ এভাবে বকতে পারে ! তাও আবার বাসায় একটু দেরী করে ফেরা নিয়ে !
সুভীর যত মেয়ে ফ্রেন্ড আছে সবার কত স্বাধীনতা । কেউ কেউ আবার হোস্টেলে থাকে । তাদের তো কোন কথাই নাই । কাউকে কোন জবাব দিহি করতে হয় না ।
কিন্তু সুভীকে পদে পদে জবাব দিহি করতে হয় ওর মায়ের কাছে ।
কোথায় যাবে?
কেন যাবে?
কখন আসবে?
কার সাথে যাবে ?
সুভীর আর ভাল লাগে না । সুভী ওর ভাবনাটা অন্য দিকে ফেরাতে চাইল । এসব ভেবে লাভ নাই । সুভীর মোবাইলটা বেজে উঠল এই সময়ে । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে প্রায় রাত একটা বাজে ।
নম্বরটাও অপরিচিত ।
এতো রাতে ওর পরিচিত কেউ ফোন করবে না । সবাইকে মানা করা আছে । সুভীর মা ঠিক পছন্দ করে না !
তাহলে কে ফোন দিল এই সময়ে ! একবার মনে হল ফোনটা না ধরতে কিন্তু তারপরেই মনে হল ধরেই দেখা যাক কে ?
সুভী ফোনটা রিসিভ করলো ।
-হ্যালো ?
ওপাশ থেকে কোন সাড়া শব্দ নেই । সুভী মোবাইল স্ক্রীনটা আবার দেখলো লাইন কেটে গেছে কিনা ?
নাহ লাইনে তো আছে । সুভী আবার বলল
-হ্যালো ?
আরো খানিকক্ষন নিরবতা । তারপর কেউ মৃদুকন্ঠে বলল
-সুভী বলছ ?
সুভী বলল
-জি ।
-তানিয়া খানম সুভী ।
তানিয়া খানম সুভীর ভাল নাম । কন্ঠস্বর শুনে সুভীর মনে হল খুব বেশি বয়স হবে না ছেলেটার । যেহেতু সুভীকে তুমি করে বলছে ওর সমবয়সী কিংবা ওর থেকে একটু বড় হবে । সুভী বলল
-আপনি কে বলছেন ?
ওপাশ থেকে আরো খানিক নিরবতা । তারপর উত্তর এল
-নাম বললে কি চিনতে পারবে ?
-চেনার কথা থাকলে অবশ্যই চিনবো ।
-বাহ ! কথার পিঠে ভালই তো কথা বলা শিখেছ ! যাক নাম এখনই বলছি না । যদি আমার কথা মনে থাকে তাহলে নামটা তুমি নিজেই বলবে !
সুভী খানিকটা দ্বিধানিত হল । ছেলেটা যেভাবে কথা বলছে মনে হচ্ছে যেন ছেলেটা ওকে ভাল করেই চিনে ! কিন্তু তো কিছুই মনে করতে পারছে না । ছেলেটা আবার বলল
-১৪ বছর আগের কথা । তোমরা যেখানে ভাড়া থাকতে ঠিক তার পাশে আর একটা পরিবার থাকতো । সেখানে তোমার সমবয়সী একটা ছেলে ছিল । খুব হিংসুক প্রকৃতির । তোমার আর তোমার ছোটভাই বাবুর সাথে খুব হিংসা করতো । মনে পড়ে কিছু ?
সুভী তবুও কিছুক্ষন চুপ করে থাকলো । ছেলেটা ওর ছোট ভাইয়ের নামও জানে । তার মানে নিশ্চই ছেলেটা ওর পরিচিত ।
কিন্তু কে ? ছেলেটা আবার বলল
-আমার মনে হয় আমি যথেষ্ট হিন্ডস দিয়ে ফেলেছি । এরই মধ্যে আমাকে চিনে ফেলার কথা । যা হোক অনেক রাত হয়েছে । এখন ঘুমিয়ে পড় । আর যদি আমার নামটা মনে পড়ে তাহলে আমাকে ফোন দিও । গুড নাইট ।
ছেলেটা লাইন কেটে দিল । এবার সুভী পড়ল চিন্তায় ।
ছেলেটা যা বলছে তা মোটামুটি সবই ঠিক আছে !
কিন্তু ছেলেটা কে ?
১৪ বছর আগের কথা ?
সুভীর ঠিক মত মনেও নেই ! সুভী একটু চিন্তা করলো ! ১৪ বছর আগে ও ক্লাস ফাইভে পড়তো মনে হয় ! তখন ওরা কোথায় ছিল ?
সুভীর বাবা বিজিডিতে চাকরি করে । বদলীর চাকরী ! ৪/৫ বছর পরপরই ওদের ব্যাটালিয়ান এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায় ! অবশ্য এসএসসির পর থেকে ওরা ঢাকাতেই আছে । সুভীর বাবা অবশ্য এখন যশোরে আছে !
ইয়েস মনে পড়েছে ! সুভী যখন ক্লাস ফাইভে পড়ে তখন ওরা যশোরে ছিল । তার মানে ছেলেটাও তখন যশোরে থাকতো ।
সুভী আরো একটু চিন্তা করলো । ওরা যখন যশোরে যায় শাহজান মেমবারের বাড়িতে ভাড়া থাকতো ! এদের সাথে আরো দুই পরিবার থাকতো ! একজন ওর বাবার মত বিজিডি তে ছিল ! অবশ্য তখন নাম ছিল বিডিআর ! সেই আঙ্কেলের এক ছেলে ছিল ! নাইম নাম মনে হয় ! কিন্তু সে তো সুভীর ছোট ভাই বাবুর সমবয়সী ছিল ।
ছেলেটা বলল যে ছেলেটা নাকি ওর সমবয়সী ছিল । অন্য পরিবার !!
সুভীর আরো কিছু মনে পড়ে ! ওদের পাশের পরিবার !
সুভীর আসতে আসতে সব মনে পড়ে যায় ! আসলের ঐ আঙ্কেলের দুই ছেলে ছিল ! ছোট ছেলেটা ওর সাথেই পড়তো ! আর খুব হিংসা করতো !
কিন্তু নামটা যেন কি ছিল ?
মনের উপর একটু জোর খাটাতেই সুভীর নামটা মনে পড়ে যায় !
ছেলেটা নাম ছিল রনি ! ভাল নাম বোধহয় তানভীর !
সুভী ওকে হিংসুটে রনি নামে ডাকতো ! অবশ্য সরসরি ডাকতো না !
রনি ফোন দিয়েছে ?
সুভীর ঠিক মত বিশ্বাস হতে চায় না ।
কিন্তু রনি ওর নাম্বার পাবে কোথা থেকে ?
না হতে পারে না !!
রনি কিছিতেই ওর নাম্বার পেতে পারে না !
কিন্তু ছেলেটা যা বলল তার সব কিছুই তো ঠিক আছে ?
একবার কি ফোন দিবে ?
সুভী ঠিক মত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না ।
একবার মনে হয় ফোন দেই আর একবার মনে না থাক ! কি দরকার !! এতোদিন যেহেতু দরকার হয় নি সামনেও হবে না !
সুভী লাইট বন্ধ করে শুয়ে পরে । কিন্তু মনে ভিতর শান্তি পায় না !
আরো ঘন্টা খানেক এপাশ ওপাশ করার পর মোবাইলটা হাতে নেয় ! ফোন দেয় ছেলেটাকে !!
একবার রিং হয় !
দ্বিতীয় বার রিং হতেই ছেলেটা ফোন রিসির করল ! বলল
-হ্যালো ! নাম মনে পড়েছে ?
-তুমি তানভীর তাই না ?
ছেলেটা কিছুক্ষন চুপ করে থাকলো ! তারপর বলল
-যাক নামটা মনে রেখেছে ! তবে আমাকে আরও একটা নামে ডাকতে তুমি ! মনে আছে ?
-রনি ?
-উমম!! সাথে আরো কিছু ছিল !
সুভী মনে মনে হাসে ! ওর আর কোন সন্দেহ নাই যে এটা রনিই !!
সুভী বলল
-হিংসুটে রনি !!
-এই তো মনে করতে পেরেছ !
সুভী জানতে চাইল
-আমার নাম্বার তুমি কিভাবে পেলে ?
-পেয়েছি একভাবে পেয়েছি ! তুমি এখন এমবিএ করছ, তাই না ?
-হুম ! তুমি ?
-আর আমি আমার এখন অনার্সই শেষ হয় নি ! পাবলিকে পরি তো তাই !
আরো অনেক কথা হতে থাকে ওদের ভিতরে ! এতোদিন পরে পুরানো একজনের সাথে কথা বলে পারে সুভীর ভালই লাগে ! সুভীর আম্মর জ্বালায় তো ঠিক মত কারো সাথে কথা বলারও উপায় নাই !!

পরদিন ক্লাস শেষে সুভী যখন বের হল তখনই তানভীরের ফোন !
-হাই !
-তুমি তো আগেই অনেক সুন্দর ছিলে ! এখন দেখি আরো সুন্দর হয়ে গেছ । আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেলাম ।
-মানে ?
সুভী এদিক ওদিক দেখতে থাকে ! তানভীর ওকে কোথায় দেখলো !
সুভী বলল
-তুমি কোথায় ?
-এইতো !
সুভী অনুভব করলো কেউ একজন ওর পিছনে এসে দাড়িয়েছে !
সুভী ঘুড়ে দেখল রোগা পাতলা একটা ছেলে ওর পিছনে হাসি মুখে দাড়িয়ে । এইটাই তানভীর !
আগে অবশ্য দেখতে আরো সুন্দর ছিল । এখন একটু কালো হয়ে গেছে ! চুল গুলো বড় রেখেছে ! চোখে চশমা ! আগেতো চশমা পড়তো না ! তবে চশমা তে ভাল লাগছে !
সুভীর খনিকটা লজ্জা লজ্জা লাগল । যখন ছোট ছিল সুভীর শিশু সুলভ মন টা তানভীরের সাথে খেলা করতে চাইতো ! কিন্তু ছেলেটা ওকে ধরে কাছেই আসতে দিত না ।
কেন কে জানে ?
আর আজকে ছেলেটা ওর সামনে !!
তানভীর বলল
-কোথাও বসি ?
-আচ্ছা !!

১৫ নাম্বারের আলবেইকে বসল ওরা ! তানভীর নিজেই অর্ডার দিল । সুভী বলল
-আমি ভাবি নি তুমি একেবারে আজকেই চলে আসবে !
-আমিও ভাবি নি ! আসলে .....
-আসলে ?
তানভীর কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলল
-খুব বেশি দিন বাঁচবো না হয়তো ! তাই কৃত অন্যায় গুলোর প্রশ্চিত্ত করতে চাচ্ছি !!
সুভী ঠিক মত বুঝলো না ! বলল
-কি বললে ঠিক বুঝলাম না !
-অতো কিছু বুঝতে হবে না ! আমি তোমার কাছে অপরাধী !
-কিভাবে ?
-আরে যখন আমরা একসাথে থাকতাম তোমার আর বাবুর সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেছি আমি !
-আরে ! ওটা তো ছোট বেলায় ! ওটা কোন ব্যাপার না !!
-না ! সুভী অনেক ব্যাপার ! আমি যখন ঠিক মত নিজেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে মনে হত আমি কাজটা মতেও ঠিক করি নি ! আই এম রিয়ালি সরি ফর দ্যাট !
সুভীর কেন জানি খুব ভাল লাগলো ! সুভী কোনদিন ভাবিও নি তানভীর এমন একটা কথা বলবে !
তারপর তানভীর ওর ব্যাগ থেকে একটা ছোট্ট টেডি বেরার বের করে আনলো ! বলল
-এটা তোমার জন্য !
তারপর এক বাক্স চকলেট সুভীর হাতে দিয়ে বলল
-এটা বাবুকে দিও ! কেমন !!
-বলবো ! আর তোমার সাথে কথা বলে খুব ভাল লাগলো !!
তানভীর কেবলই হাসলো !
সুভীর আসলেই ভাল লাগলো ! ছেলেটার এতো পরিবর্তন দেখে !!

রিক্সা করে আসার সময়েও কেবলই ছেলেটার কথা ভাবতে লাগলো !! এই ইটকাঠের শহরে এভাবে পুরানো পরিচিত কারো সাথে দেখা হয়ে গেলে ভালই লাগে !!!



আমার কথাঃ গল্পের প্লট টা হয়তো বানানো কিন্তু ভিতর কার কথা গুলো সত্যি ! যখন ছোট ছিলাম সুভী নামে এক মেয়ে আমার পাশে থাকতো ! আমি কেন জানি ছোট কালে মেয়েদের দুচোক্ষে দেখতে পারতাম না ! আর খুব হিংসুক প্রকৃতির ছিলাম । সুভী আর ওর ছোটা ভাইয়ের সাথে আমি আসলেই অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি । আমার খেলনা দিয়ে খেলতে ডেই নি ! মাঝে মাঝে এই কথাটা মনে হলে মনে ভিতর একটা অপরাধ বোধ জেগে উঠে ! যদি কোন দিন তাদের সাথে দেখা হয় অবশ্যই আমি তাদেরকে সরি বলব !!
আজ এখন বলছি !
সুভী আমি আসলেই অনেক দুঃখিত !! আমাকে কি একবার ক্ষমা করা যায় না !!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫
২৯টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×