somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বন্ধু তানিয়ার গল্প !!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-সামনে থেকে দুর হ ! নাইলে কিন্তু থাপ্পর খাবি !
তানিয়া তবুও দাড়িয়ে রইলো ! তানিয়ার দাড়িয়ে থাকা দেখে আমার মেজাজটা যেন আরো একটু বেশি খারাপ হল ! অবশ্য আমার রাগ ও খুব বেশি কেয়ার করে না ! এই হল ফ্রেন্ড আর গার্ল ফ্রেন্ডের ভিতর পার্থক্য !
গার্ল ফ্রেন্ড কে যদি বলি সামনে থেকে দুর হ !
সে তো কেঁদে কেটে অস্থির হবে ! অথবা আমার সাথে ব্রেক আপ করে বসবে !
আর ফ্রেন্ডকে যদি বলি সামনে থেকে দুর হ , দুর তো হবেই না বরং উল্টো আমাকেই মারতে আসবে !
যদিও তানিয়া আমাকে মারতে এল না তবে ওর মন একটু খারাপ হল বুঝলাম !
আমাকে বলল
-তুই একটু বোঝার চেষ্টা কর !
-বোঝানোর চেষ্টা কর !
তানিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো ! বলল
-এই ভাবে দৌড়াদৌড়ি করলে কিভাবে বুঝবো ! এখানে বোস !
আমি বসলাম ওর পাশে !
-চা খাবি ?
-তুই থাপ্পর খাবি ?
তানিয়া হাসতে হাসতে বলল
-তুই কেবল বলিসই আমাকে থাপ্পর মারবি ! কোন দিন তো মারিস না !!
কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর তানিয়া বলল
-আমার পরিস্থিতিটা একটু বোঝার চেষ্টা কর তুই ! আমার কিছুই করার নাই ! আমি .....।
ওর কথা আমি শেষ করতে না দিয়ে বললাম
-তোর ফ্যামিলি যদি বলে আগুনে ঝাপ দে ! তু কি করবি ?
-মানে ?
-আগে আমার কথার উত্তর দে ! আগুনে ঝাপ দিবি নাকি নিজে চিন্তা করবি নিজের ভাল নিজে বুঝবি ?
তানিয়া কোন কথা না বলে চুপ করে রইলো ! আমি বললাম
-দেখ এখন কিন্তু ১৯৬০ সাল না ! আর তুই কিন্তু গ্রামে থাকিস না যে তোর বাবা মা যা বলবে তুই চোখ বুঝে তাই শুনবি !
তানিয়া কিছু বলতে গেল, আমি ওকে থামিয়ে দিলাম ।
-দেখ আমি বলছি না বাবা মার অবাধ্য হতে ! একটা জিনিস তুই নিজেই ভেবে দেখ ! তুই কোন স্কুলে পড়বি বা চুলে কয়টা বেনি করবি সেটা তোর মা ঠিক করে দিটেই পারে কিন্তু তুই কাকে বিয়ে করবি সেটা তোর থেকে ভাল আর কেউ জানে না ?
তানিয়া চুপ করে রইলো ! আমি তানিয়াকে বললাম
-দেখ এমন না যে হাসান ভাই পাত্র হিসেবে ভাল না ! যদি এমন হত তুই যাকে পছন্দ করেছিস সে ভাল না ! কিংবা তোর যোগ্য না তাহলে একটা কথা ছিল । কিন্তু ব্যাপারটা তো সেই রকম না !! তাহলে তুই কেন ইচ্ছা করে কষ্ট পাবি বল ?
তানিয়া বলল
-কিন্তু হাসান তো এখন কিছু করে না !
-এখন করে না ! ঠিক আছে ! করবে ! হাসান ভাইয়ের রেজাল্ট ভাল ! কিছু করতে তার খুব বেশি সময় লাগবে না তুই জানিস !
-কিন্তু আমি বাবা মাকে কি বলে বোঝাবো ?
-গাধার মত কথা বলবি না ! ঠিক আছে ?? গ্রামের একটা অবলা নারীর মুখে এই কথা মানায় কিন্তু তোর মত অনার্স পাশ করা কোন মেয়ের মুখে এই কথা মানায় না !
তানিয়া বলল
-আমি কি পারবো বোঝাতে ?
-আচ্ছা তার আগে আমাকে একটা কথা বল ! তুই কি চাস ? তাকে ভাল বাসিস ?
-হুম !
-সে বাসে ?
-আই গেস সো !
-তাহলে কেবল তার কাছে গিয়ে কেবল বল মনের কথাটা ! দেখ আর কিছু করা লাগবে না ! তুই একা নিজেকে দুর্বল মনে করছিস ! সেও নিজেকে এভাবে একা দুর্বল মনে করছে ! দুজন এক সাথে হ ! দেখবি কত বল পাবি !
জানিস আমি সারা জীবন কেবল একটু .......
আমি কেন জানি কথাটা শেষ করতে পারি না !
সত্যি আমি কেবল একবার চেয়ে ছিলাম টিয়া একটা বার কেবল আমার দিকে একটু হাত বারাক ! ও যদি কেবল একটা বার বলতো আমি কেবল তোমাকে বিয়ে করতে চাই, আমি তোমার সাথে থাকতে চাই, তাহলে .......
আমি তানিয়াকে বললাম
-তুই আমার বন্ধু বলে বলছি ! এখন যদি আমার কথা তুই না শুনিস সারা জীবন আফসোস করবি এই কথা মনে রাখিস ! জীবনে সামনে হয়তো সুখি হবি কিন্তু তবুও সারাটা জীবন কেবল একটা কথাই মনে হবে যে আমি হয়তো আরও একটু বেশি সুখি হতাম যদি নিজের সিদ্ধান্ত টা নিজে নিতাম !!
তানিয়া আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো চুপচাপ কিছুক্ষন !! তারপর বলল
-চল চা খাই !!
-চা ই খা কেবল !! আর কিছু করিস না !
-চলতো ! আসলে বুকে শক্তি পাচ্ছিলাম না ! তোর কথায় বল ফিরে পেলাম !

আমার মনটা একটু খারাপ হল !
কেবল মনে মন বলি টিয়াকে যদি কেউ এভাবে বলতো !! ও যদি সেটা শুনে আসতো তাহলে জীবনটা হয়তো আরো বেশি সুন্দর হত !!
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×