somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জি না, মিস জিনা আমার ভাবতে হবে ! তোমার কথা আমার ভাবতে হবে !!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-আর কত ঘুমাবি ? ওঠ !
আমি কোন মতে চোখ মেলে ঘড়ির সময়টা দেখার চেষ্টা করলাম ! মাত্ড় সাতটা !
এই মেয়েটার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে ? এই রাত দুপুরে আমার কাছে ফোন দিছে কেন ?
আমি বিরক্ত হয়ে বললাম
-কি ব্যাপার ফোন দিছস ক্যান ? তুই জানোস না এতো সকালে আমি ঘুমাই !
-তুই এখনই ওঠ !
মামা বাড়ির আবদার ! এখনই ওঠ !
-দেখ ফাজলামো করিস না ! এখন ঘুমাইতে দে ! চারটার সময় ঘুমাই !
-জি জানি আপনি চারটার সময় ঘুমিয়েছেন !
আমি একটু হেসে উঠলাম ! জিনা তো জানবেই যে আমি চারটার সময় ঘুমাইছি ! আসলে রাতে চারটা পর্যন্ত জিনার সাথেই চ্যাটিং করছিলাম !
-দেখ আমি এখন ঘুমাবো ! পরে কথা বলি !
-না ! এখন কথা বলতে হবে !
-আমি কিন্তু ফোন রেখে দিবো !
-ফোন রেখে দেখ একবার !
আমি জানি ফোন রেখে লাভ হবে না ! আমি যতবার ফোন রেখে দিবো জিনা ততবার ফোন করবে ! যতক্ষন না সে তার মনের কথা গুলো না বলবে সে শান্তি পাবে না ! আর আমাকেও শান্তি দেবে না !
আমি বললাম
-কি চাস বল ?
-শোন ! এখন টিএসসি তে আয় !
-এখননননননন?
-এই ভাবে টান দিলি কেন ? এমন একটা ভাব যেন আমি তোকে যুদ্ধের ময়দানে আসতে বলেছি !
-এখন কিভাবে আসবো ! এতো ভোর বেলা ?
-ভোর ? এখন ভোর ! শোন ফাজলামীর একটা সীমা আছে ! আমি টিএসসিতে আসতেছি তুই আয় ! এখন সাতটা বাজে ! ঠিক সাড়ে সাতটার ভিতর হাজির হবি !
-দেখ....।
-কোন কথা শুনতে চাই না ! ঠিক সাড়ে সাতটার সময় যদি তোকে না পাই মনে রাখবি জীবনে সকালে আর তুই ঘুমাতে পারবি না !
জিনা আর কিছু না বলে ফোন রেখে দিল !
আমি বিরক্ত হয়ে উঠে পড়লাম ! এই মেয়ের জ্বালাতন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দিন দিন !
দেখি টাইট দিতে হবে ! চিন্তা ভাবনা করতে হবে !
কিন্তু এখন তো আর কিছু করার নাই ! যেতেই হবে !

যখন ঘড়িতে সাতটা ছাব্বিশ বাজে তখন টিএসসিতে পৌছালাম ! গিয়ে দেখি জিনা আগেই এসে হাজির ! ওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে ! পরনে কালো রংয়ের একটা টাইট জিনস আর টপস ! আর ছাদা রংয়ের এটা চাদর এক পাশে জড়ানো !
আমি কিছু বলতে যাবো জিনা বলল
-কি রে জ্যাকেট পর নাই ক্যান ?
জিনার এই ব্যাপারটা আমার আসলেই খুব ভাল লাগে ! ফোনে আমার সাথে যতই বাদরামী করুক না কেন সামনাসামনি ও কখনই আমার সাথে কিছু বলে না ! এমন কি আমাকে তুই করেও বলে না !
-তাড়া হুড়া করে আসতে গিয়ে মনে নাই !
জিনা কিছু বলতে গিয়েও বলল না ! নিজের গায়ের চাদরটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল
-এটা গায়ে দাও !
-তোমার ঠান্ডা লাগবে তো !
-আমার ঠান্ডা নিয়ে এতো ভাবতে হবে না !
-জি না মিস জিনা ভাবতে হবে ! আমার ওতো ঠান্ডা লাগছে না !
জিনা আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়েই রইলো ! আমাকে বলল
-এখানে বস !
আমি বসলাম ! জিনার পাশে একটা হটপট দেখছিলাম । ও হটপট খুলে আমাকে বলল
-তুমি বলেছিলে না অনেক দিন তুমি সকালে ঘরে বানানো নাস্তা খাও না !
আমি অবাক হয়ে দেখলাম জিনা আস্তে আস্তে হটপট থেকে আমার জন্য নাস্তা বের করলো ! হাতে বানানো রুটি আর আলু ভাজি !
এই মেয়েটা এতো ভাল কেন ?
আমি ওর পাশে বসে হাত দিতে গেলাম ও তখন আমাকে আটকালো !
-আমি খাইয়ে দেই ?
হায় !! এই মেয়েটা !! যদিও জোড়ে বলা উচিৎ তবুও আমি মনে মনে বলল
-আই লাভ ইউ আমার জানটা !
জিনা আমাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিল ! আর বলল
-একটু জোরে বললে কি হয় ?
-কি ?
-এই যে একটু আগে বললা ?
-মানে ?
-বারে ... একটু জোরে আই লাভ ইউ বললে কি হয় ?
আমি কেবল অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি এই মেয়েটার দিকে ! এই মেয়েটা এতো কিছু বুঝে কিভাবে ?
আমার জানটা একটা !!

(কমন গল্প লাগতে পারে কিন্তু এটা আমার স্বপ্নের গল্প যা আমি দেখি)
৩২টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×