somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাজি ছেলে !!

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-তুই কি করছিস একবার ভেবে দেখেছিস ?
মৌসুমির কথা শুনে জিনা কেবল একটু হাসলো ! কিন্তু সে হাসিতে কেন জানি প্রাণ ছিল না ! জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইলো বেশ কিছুক্ষন ! ইদানিং জিনার কি যেন হয়েছে ! সময় পেলেই কেবল আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে !
আকাশের ঐ বিশাল শূন্যতা নিজের ভিতর অনুভব করার চেষ্টা করে !
সহসাই জিনা বলে উঠে
-মানুষের মন বড় অদ্ভুদ জিনিস ! তাই না ?
মৌসুমী জিনার কথা ঠিক মত বুঝতে পারলো না ! বলল
-কি বলছিস ?
-দেখ না আমি আগে কেমন ছিলাম আর এখন কেমন হয়ে গেছি ! একটা ছেলেকে চিনিও না জানি না কিন্তু ছেলেটা আমার মনের উপর কি প্রকার কব্জা করে রেখেছে !
-তুই এই সব কি বলতে চাচ্ছিস ? আচ্ছা শাহেদ ভাই কি জানে ?
জিনার মুখটা আবার যেন কেমন একটু বিষন্ন হয়ে উঠল ! অন্য দিকে তাকিয়ে বলল
-নাহ ! শাহেদ জানে না !
-শাহেদ ভাই জানলে কি হবে তুই বুঝতে পারছিস ?
-হুম ! কিন্তু আমি কি করবো বল ?
-কি করবি মানে ? দুই দিনের পরিচিত একা মানুষ ঠিক মত চিনিসও না তার জন্য শাহেদ ভাইকে কষ্ট দিবি ?
-দুদিনের পরিচিত না রে ! ওর মনটা কেমন যেন আমার খুব পরিচিত মনে হয় !
মৌসুমি কপট রাগ দেখিয়ে বলল
-চুপ থাক ! তোর ফালতু কথা বাদ দে ! এখন কেবল শাহেদ ভাইয়ের দিকে মন দে বুঝলি ! অন্য কারো দিকে মন দেওয়ার মন দেওয়ার কোন দরকার নাই ! অপুকে সরাসরি বলে দে যে তুই আর ওর সাথে কোন যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক না ! ঠিক আছে ?
জিনা কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো কেবল মৌসুমীর দিকে ! তারপর বলল
-আমি জানি কি করবো ! এখন ওসব বাদ দে ! আমি তোকে যে করতে বলেছিলাম করেছিস ?
-হুম ! কিন্তু আমি ঠিক এটা বুঝতে পারছি না যে তোর হঠাৎ এই জিনিস পরার শখ হল কেন ? তুই তো এমন পোষাক কোন দিন পরিস না !
-অপু বলেছে !
-মানে ?
-কোন মানে নাই ! কই দে !!

মৌসুমী কোন কথা বললে না ! গত দিনে কিনে আনা সাদা টাইলস্ টা জিনাকে এনে দিল ! জিনা ঐটা কিছুক্ষন হাতে নিয়ে বসে রইলো চুপচাপ ! আসলেই কি করবে ঠিক বুঝতে পারছে না ! কেন যে কালকে মৌসুমীকে এইটা কিনে আনতে বলল?
অপু বলেছে বলে ?
অপু বলেছে বলেই কি এই টা করতে হবে !
এই সব কাজের কি কোন মানে হয় !
সেদিন দুম করে অপুকে নিজের ছবি পাঠিয়ে দিল ! ছবি পাঠিয়ে দিয়েই মনে হল এটা কি করলো সে । আজ পর্যন্ত কারো সাথে সে নিজের ছবি শেয়ার করে না আর আজকে কি করলো ! কিন্তু না করে জিনার কোন উপায় ছিল না !
সব ঐ পাজি ছেলেটার দোষ !
পাজিটা এমন ভাবে জিনার মনের ভিতর এসে বসেছে যে কিছুতেই সে পাজিটা কে মন থেকে বের করতে পারছে না !
পাজি অপুটা যা বলছে জিনা চুপচাপ তাই করছে ! আজ পর্যন্ত শাহেদ কেও নিজের ছবি পাঠায় নি আর অপুকে ! আজকে সে হাজির হয়েছে ছবি তুলতে !
অপু খুব পছন্দের পোষাক এই সাদা টাইলস এর সাথে সাদা কামিজ !
কদিন ধরেই আবদার করতেছে যে একটা ছবি পাঠতে !
জিনা না না করছে কিন্তু অপু শোনার বান্দা না ! ও যা চায় ঠিকই সেটা উশুল করে নেয় !

জিনা যখন নিজে চেঞ্জ করে এসে আয়নার সামনে দাড়ালো তখন নিজের কাছএই যেন কেমন লাগছিল ! আয়নায় নিজেকে দেখেছিল আর কেমন মনে হচ্ছে !
কিছুতেই যেন চিনতে পরছে না !
মৌসুমীকে বলল
-শোন ! আমার কয়টা ছবি তুলে দে তো !
-ছবি ??
মৌসুমী যেন আকাশ থেকে পড়লো ! বলল
-তুই ছবি তুলবি ?
-বাংলা শুনতে পাচ্ছিস না ! চল ছাদে ছল ! ছাদ ফাকা আছে না ! চল ওখানে !
মৌসুমী আসলেই জিনার কোন কাজ বুঝতে পারছে না ! এই মেয়েটার কোন কাজই বুঝতে পারছে না ! এই মেয়েটা তো এমন ছিল না !
অনেক্ষন ধরে ছবি তুলল দুজনে !

ছবি তুলে মৌসুমী যখন আবার রুমে আসলো তখন মৌসুমী শক্ত করে ধরলো ! বলল
-তুই এটা ঠিক করছিস না জিনা !
জিনা চুপ করে রইলো আবার ! তারপর বলল
-ঠিক বলছিস ! আমি জানি আমি ঠিক করছি না ! ভুল করছি ! কিন্তু ...
-কিন্তু ?
-কিন্তু ঐ পাজি ছেলেটার জন্য খুব মায়া লাগে রে !
মৌসুমী কিছু না বলে চুপ করর রইলো ! জিনা আবার বলা শুরু করলো
-জানিস অপুর প্রতি আমার এতো টান কেন ?
-কেন ?
-আমার যখন অবস্থা খুব খারাপ ছিল আমার আসে পাশে যখন কেউ ছিল না তখন অপু আমার পাশে ছিল ! আমি আমার কষ্ট গুলো ওর সাথে শেয়ার করেছি ! ও হাসি মুখে আমার কষ্ট গুলো শুসে নিয়েছে ! জানিস আমি যখন ওর সাথে কথা বলি আমার আর কিছু মনে থাকে না ! আর আমি জানি অপু টাও ঠিক এমন টাও ভাবে !
মৌসুমী কেবল লক্ষ্য করলো জিনার চেহারায় কেমন একটা আভা দেখা যাচ্ছে ! অপু কথা বলতে যেন ওর খুব ভাল লাগছে !
মৌসুমী বলল
-কিন্তু শাহেদ ভাইয়ের কথাটা একটু চিন্তা কর !
-আমি কি চিন্তা করবো বল ? সে আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল ! তারপর পরেই অপু এসেছে আমার জীবনে ! আমার পাশে দাড়িয়েছে ! আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে ! যখন আমার মন খারাপ হত তখন আমাকে প্রফুল্ল রেখেছে ! তারপর শাহেদ হঠাৎ করে আবার জীবন ফিরে এল ! আমি এই ভয়টাই করছিলাম ! যে শাহেদ যদি আবার ফিরে আসে !
-এখন ?
-এখন কি জানি না ! যেদিন আমি শাহেদের কথা ওকে বললাম ও কেবল বলল আমি কি চাই ! বলল আমি যেন তাই করি আমার মন চায় ! ঐ রাতে যখন আমি অপু সাথে কথা বললাম আবার ওর কন্ঠস্বরটা শুনে আমি .......।
জিনা চুপ করে রইলো কিছুক্ষন ! মৌসুমী বলল
-কি মনে হল ?
-মেন হল যেন আমার পুরা পৃথিবীটা যেন ভেঙ্গে পড়ছে ! ও সব সময় জানতো আমাদের সামনের ভবিষ্যৎ ভাল হবে না তবুও ও সব সময় আমার পাশে ছিল ! আমাকে ছেড়ে যায় নি ! তাহলে আমি কিভাবে ওকে ছেড়ে যাই ? বল তুই কিভাবে ওকে ছেড়ে যাবো ?

জিনা আবারও জানলার কাছে আসলো ! আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন ! যতই দিন যাচ্ছে পাজী ঐ ছেলেটা কিভাবে ওকে আস্তে আস্তে জয় করে নিচ্ছে ! এখন জিনা অপুকে ছাড়া আর কিছু যেন ভাবতেই পারে না ! যখনই কোন কথা মনে হয় বা কোন ভাল কিছু দেখে সবার আগে অপু কথা গুলোই মনে হয় ! অপুর স্বপ্নের কথা গুলো মনে হয় !
জিনা মৌসুমীর দিকে তাকিয়ে বলল
-ও আমাকে কি বলে জানিস ?
-কি ?
-ও সব সময় বলত তুমি যেখানেই যাও না কেন আমার হাত থেকে তোমার কোন মুক্তি নাই ! হা হা হা !
-তাই !
-হুম ! আর কথাটা সত্যি ! অপুর হাত থেকে আসলেই আমার মুক্তি নাই ! ওর মত করে আমাকে কেউ ভালবাসতে পারবে না ! আমি এটা খুব ভাল করে জানি !
-আচ্ছা বাদ দে ! শাহেদ ভাইয়ের কথা বল !
-ওর কথা আর কিবলবো ? জব পেয়েছে !
-তাই নাকি ! তাহলে তো সমস্যা সমধান হয়ে গেল ! ওনাকে বল বাসায় প্রস্তাব পাঠাতে বল !
-হুম ! সামনের সপ্তাহে পাঠাবে !
-সত্যি ?
-হুম !


-এই পাজি ছেলে কি কর ?
-তোমার কথা ভাবি !
-তাই ? কি ভাবো !
-ভাবছি তোমার ঠোটে কিভাবে চুম খাবো ? মানে কোন দিকে দিয়ে শুরু করবো !
-চুপ ! পচা কথা বলবা না ! পাজি !
-পাজি ?? আআআআমি???
-জি আপনি !
জিনা জানতো অপু ঠিক এমটাই করবে ! এমন আহ্লাদ করে বলবে ! জিনার এই কথা গুলো কেন জানি খুব সুন্দর লাহে শুনতে !
-এই পাজি ছেলে !
-হুম ! বলল
-মেইলটা চেক করেছ ?
-না তো ! কেন ?
-তোমার ছবি পাঠিয়েছি ! তুমি যেমনটা চেয়েছিলে তেমন ভাবে !
-সত্যি ??
-হুম দেখ !!
-আই লাভ ইউ !
-মি টু !

জিনা কিছু বলতে গিয়েও কেন জানি বলতে পারলো না ! শাহেদের সামনের সপ্তাহে প্রস্তাব পাঠানোর কথা ছিল কিন্তু শাহেদ আজই চলে এসেছে ! কথা বার্তা মোটামুটি পাকাপাকি করে গেছে !
জিনা একটা সময় শাহেদ কে ছাড়া আর কিছু চিন্তা করত না ! ওর সব কিছু ঘিরে কেবল শাহেদই ছিল ! কিন্তু তারপর একটা সময়ে শাহেদ ওকে রেখে চলে গেল পরিবারের দোয়াই দিয়ে ! অবশ্য শাহেদ কেও দোষ দিতে পারে না ও ! ওপরিবারের একমাত্র ছেলে ! পড়ালেখা শেষ চাকরী পাচ্ছিল না, ওর মানষিক অবস্থা তখন ভাল ছিল না !
জিনাকে যখন শাহেদ সেদিন ব্রেকআপের কথা বলছিল তখন জিনা কেবল চুপ করে ছিল ! কিছু একটা হারিয়ে যাচ্ছিল ওর কাছ থেকে ! তার পরের দিন গুলো জিনার জন্য খুব কষ্টের ছিল !
এই সময়ই অপুর আগমন! ছেলেটা কিভাবে ওর কষ্ট গুলো মুছে দিয়ে ওকে কাছে টেনে নিল !
আর আজকে ও অপুকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে !!
খানিকটা কি স্বার্থপরের মত কাজ করছে না ?

-এই মিষ্টি মেয়ে !
-হুম !
-তোমাকে তো খুব সুন্দর লাগছে ! খুব সুইট ! আর সেক্সি !
-এই ! আমার পচা কথা বল !
-এটা ? এটা পচা কথা হল ?
-চুপ ! পাজি ছেলে !
-আচ্ছা চুপ করলাম ! আই লাভ ইউ !
-আই লাভ ইউ ! পাজি ছেলে !
-হুম !
-পাজি ছেলে ! পাজি ছেলে !
-হুম !
-এই !!

জিনার চোখ কেমন যেন ঝাপসা লাগে ! চোখ দিয়ে পানি পরতে থাকে ! বারবার কেবল এই কথাই মনে হয় এই পাজি সুইট ছেলেটাকে ও কিভাবে কষ্ট দিবে ? কিভাবে ছেড়ে চলে যাবে !!


ফেবু লিংক
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১১
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×