আমার আর তার বৃষ্টিতে ভেজার গল্প !
আমি কিছু বলতে পারবো না ! নিজের খাটে নিজেই কাচু মুচু হবে শুয়ে থাকবো !
আমি ....
আচ্ছা !
এই কথা ভাবতেছি কেন আমি ?
আর এমন করেই বা ভাবতেছি কেন ?
একটা মেয়ে তার সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে আমার কাছে চলে আসবে, আর আমি তাকে এই টুকু অধিকার দিতে পারবো না ?
শোন হে মেয়ে,
তুমি যখন আসবে আমার কাছে,
আমার সব টুকু দিয়ে দিবো তোমায় !
খাটের এই জায়গা টুকু সহ
পূর্ন অধিকার !
আমার যা আছে এখন সবই তো তোমার !
জানি সে আমার এই কথা শুনতে পাবে না ! তাকে নিয়ে কবিতা লিখে ফেললাম সেইটাও সে শুনতে পাবে না !
আচ্ছা এই কবিতা শুনলে সে কি বলতো ? খুশি হত ?
নাকি একটু হেসে বলতো
-তাই সব কিছুতে আমার অধিকার ?
-আলবৎ !
-আচ্ছা যখন অধিকার দিয়েই দিয়েছ তখন আজ থেকে এই বাড়িতে .....
হয়তো সে এমন কোন আবদার করে বসতো যা আমি মানতে পারতাম না ! তবুও তাকেই দিলাম অধিকার !
মাঝে মাঝে মনে হয় আসলেই কি সে আমাকে পছন্দ করেছে ?
জানি না ঠিক ! মাঝে মাঝে মনে হয় হয় তো করে নি ! পারিবারিক ভাবে আগেই কথা চলতেছিল ! আমি আহেই তার ছবি দেখেছিলাম ! বলতে কি ওর ছবি দেখেই ভাল লেগেছিল ! চোখগুলো একটু বড় সাথে পাতলা ঠোট ! মুখটা একেবারে গোল নয় আবার লম্বাটেও নয় ! চেহারা ভিতর কেমন যেন একটা মায়া ভাব আছে ! দেখলেই যেন ভাল লাগে !
যেদিন ওদের বাসায় দেখতে গেলাম ওকে একটু অস্বস্থি লাগতেছিল কেমন ! একটু পরেই যখন ও ঢুকলো আমি উঠে দাড়ালাম বোকার মত !
পুরা ঘর ভর্তি মানুষ সবাই বসে আছে আমি উঠে দাড়ালাম !
মেন হচ্ছিল আগে যেমন ক্লাসে ম্যাডাম ঢুকলে আমরা সবাই উঠে দাড়াতাম সেই রকম !
আমি আবার বসে পড়লাম চট করেই ! মাথাটা খানিকটা নিচ করেই বসে রইলাম ! মেয়েটা না জানি আমাকে কি ভাবছে !
খ্যাত !
ভাবতেও পারে !
কে জানে !!
আমাদের পরিবারের সবাই তার সাথে কথা বলছিল ! সেও বলছিল স্বাভাবিক ভাবেই !
আমার একটু রাগ হচ্ছিল সবার উপর !
আরে আমি বিয়ে করবো ! আমার বউ হবে সে তোমরা এতো কথা বলার কে ?
এতো কথা জানার দরকার কি তোমাদের ?
জানার থাকলে আমি জানবো !
কিন্তু আমি কিছু বলতে পারতেছিলাম না ! কেবল মাথা নিচ করে বসেই রইলাম !
এই সময় ওদের পক্ষ্যেরই কেউ যেন আমার মনের কথাটা বলে উঠলো !
-আরে আমরা এতো কথা কেন বলছি ! ওদের কথা বলতে দাও !
আমি তখনই তার দিকে তাকালাম ! একদম তার চোখ বরাবর !
ইস ! কি গভীর চোখেই না আমার দিকে তাকিয়ে আছে ?
আমার দিকে ?
আমার ভিতর কার অস্বস্থি যেন আর একটু বেড়ে গেল !
কোন মতে বললাম
-আপনি ভাল আছেন ?
সে একটু যেন ঘাবড়ে গেল আমার কথা শুনে ! আসলেই কি ? নাকি আমি বেশি বুঝতেছি !
সে বলল
-হ্যাঁ !
এই পর্যন্তই। আর কোন কথা হয় নি !
আমি আরো কত কথা বলার ছিল ! কত কথা জানার ছিল ! কিন্তু বলতে পারলাম না ! এতো মানুষের সামনে কি মনে কথা বলা যায় ! কেউ একজন বললও না যে ওদের একটু একা কথা বলতে দাও !
একা হলে হলে জানতে চাইতে পারতাম সে কি পছন্দ করে ! কোন রং তার ভাল লাগে ?
অথবা বৃষ্টিদিনে বাড়ির উঠানে সে কখনও ভিজেছে কিনা ?
আরো কত কথা !! কিন্তু কিছুই জানা হল না ! কিছুই জানা হল না !
তারপর একটু যেন কেমন হয়ে গেলাম ! সারা দিনই তার কথা মনে পড়ে ! যদিও জানি সব কিছু পাকাপাকি হয়ে গেছে তবুও মনের ভিতর একটা ভয় কাজ করে যদি শেষ পর্যন্ত না হয় বিয়েটা !
প্রতিদিনই ভাবি তাকে একটু ফোন দিবো ! কয়টা কথা জানতে চাইবো !
কিন্তু হয় না !
বলতে গেলে আমি ফোন দিতে পারি না !
একদিন দিয়েই ফেললাম! কিন্তু সে যেন আমাকে চিনতেই পারল না ! নাকি চিনেও না চেনার ভান করল !
-কে বলছেন ?
-আমাকে চিনতে পারেন নাই ?
কিছুক্ষন নিরবতা ! চুপ দেখে আমি বললাম
-আমার তো মনে হচ্ছে আপনি আমাকে চিনতে পেরেছেন ! আম কি তবুও আমার পরিচয় দিবো ?
-না বলুন ! কেন ফোন দিয়েছেন ?
কেন জানি একটু খারাপ লাগলো কথাটা শুনে !
কেন কারন ছাড়া কি আমি ফোন দিতে পরবো না ! সেই অধিকার কি আমার নাই !
এই কথা গুলো বলতে চাইলাম ! কিন্তু বলা হল না ! আসলেই তো সেই অধিকার কি আমার হয়েছে এখনও ?
আমি বললাম
-একটা কথা জানার ছিল !
-বলুন !
-আমাকে কি আপনার পছন্দ হয় নাই ?
-কেন ? এই কথা কেন বলছেন ?
-নাহ ! মনে হল তাই !
-না ! এমন কোন কানর নাই !
আমি আর কোন কথা বলতে পারলাম না ! ফোন রেখে দিলাম !
গায়ে হলুদের দিন সন্ধ্যা বেলা তুমুল বৃষ্টি শুরু হল ! আমাকে বাড়ির বাইরে যেতে দেখে মা বলল
-কোথায় যাচ্ছিস ?
-তোমার বেটার বউয়ের সাথে ভিজতে যাচ্ছি !
মা ভেবেছে আমি ইয়ার্কী মারছি কিন্তু আসলেই আমি তাই করতে যাচ্ছি ! আজকে ওর সাথে গায়ে হলুদ হয়েছে ! এখন নিশ্চই আমার একটু অধিকার চলে এসেছে ! এখন নিশ্চই ওকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভেজা যাবে !
আমি ঠিক ওদের বাড়ির সামনে গিয়ে ওকে ফোন দিলাম !
-হ্যালো ! কে বলছেন ?
-আজকেও পরিচয় দিতে হবে !!
-না বলুন ! কেন ফোন দিয়েছেন ?
-কারন ছাড়া কি ফোন দেওয়া যাবে না ?
-নাহ ! যাবে না কেন ? বলুন !
-বাইরে বৃষ্টি দেখছো !
-হুম !
-বৃষ্টি ভাল লাগে ?
-হুম !
-একটু বারান্দায় আসবে ?
-কেন ?
-আসো না ! তারপর বলছি !
কিছুক্ষন চুপ ! তারপর সে বলল
-এই তো এসেছি ! বলুন !
-তোমার চোখের চোখের দৃষ্টি শক্তি কেমন ?
-মানে ?
-না মানে যদি ভাল হয় তাহলে একটু নিচে তাকাও ! ঠিক ল্যামপোষ্টার দিকে ! দেখো একজন দাড়িয়ে আছে ছাতা মাথায় দিয়ে ! দেখতে পাচ্ছ?
-এটা কি......
আর কোন কথা নাই ! আমি বললাম
-তুমি কি একটু বারান্দা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি স্পর্শ করবে ? খুব ইচ্ছে করছিল তোমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজি !
ওপাশ থেকে কোন কথা নাই ! আমি আবার বললাম
যে বৃষ্টি জল আমাকে স্পর্শ করবে আজকে সে বৃষ্টি তোমাকেও নাহয় একটু ভিজিয়ে যাক !
তা কোন কথা নাই ! দেখলাম সে বারান্দা থেকে সরে গেল চট করে ! একটু পরে লাইনও কেটে গেল !
আমি ঠিক কি করবো বুঝতে বুঝতে পারছিলাম না ! চলে যাব ?
কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে দেখলাম সে বাড়ির গেট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এল ! আমার কাছে এসে বলল
-এমন পাগলামো কেউ করে ? এই বৃষ্টির ভিতর ! মানুষ দেখলে কি ভাববে ?
-তুমি কি ভাবছো ?
সে কোন উত্তর দেয় না !
আমি আবার বললাম
-একটু ভিজবা আমার সাথে ! অল্প একটু !
-জি না !
মুখে জি না বললেও কেন জানি মনে হচ্ছিল তার ভিজতে ইচ্ছা করছে !
আমি ছাতিটা ফেলে দিলাম ! তারপর ওর ছাতিটাও নিয়ে নিলাম ! কয়েক মুহুর্তের ভিতরেও আমরা ভিজে একাকার !
আর কোন কিছু না ! কেবল দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি ! মনে হচ্ছিল যেন এই তাকিয়ে থাকা আর শেষ হবে না !
আমি চাচ্ছিলামও না এই ভাল লাগার মুহুর্তটা এতো জলদি শেষ হোক !
(Shila Shipa এই গল্পটা লিখেছিল ! কিন্তু সে লিখেছি একজন মেয়ের দিক দিয়ে ! আর আমি লিখলাম একটা ছেলের দিক দিয়ে)
আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?
ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দুলে উঠে
দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ
মন খুশিতে দুলে দুলে উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
তরে নিয়ে এ ভাবনা
তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না
সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন
তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য
আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই
দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।
সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন