somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লিয়ানা অথবা একটি অসমাপ্ত গল্প !

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-আপনি বাংলাদেশী ?
কথাটা বললাম আমি বাংলাতেই ? মেয়েটি কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে রইল । এমন একটা ভাব যেন আমার কথা বুঝতে পারে নাই । অবশ্য না বুঝতে পারারই কথা । এটা তো আর বাংলাদেশ না যে যে কাউকে বাংলাতে বলবো আর সে আমার কথার চট করে উত্তর দিবে !
অবশ্য বাংলাদেশে হলে যে কাউকে আমি যদি এমন কথা বলি বিশেষ করে কোন মেয়েকে যদি বলি আপনি কি বাংলাদেশী তাহলে সেই মেয়ের মনের অবস্থা কেমন হবে তা আমি ভালই বুঝতে পারছি !
বোধ করি এই মেয়েটির মনের অবস্থাও তেমনই হচ্ছে ।
মেয়েটি পরিস্কার আমেরিকান ইংরেজিতে বলল
-আমাকে কিছু বলছ ?
-না ! এমনি ! সরি ! আমার মনে হয়েছিল আপনি বাংলাদেশী !
কথাটা বলেই আমার কেন জানি মনে হল মেয়েটা মনে হয় রাগ করতে পারে । আমেরিকানদের এশিয়ানদের সাথে তুলনা করলে ওরা রাগ করে শুনেছি !
মেয়েটা অবশ্য তেমন কিছু বলল না ! আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে আবার নিজের কাজে মন দিল । নিজের কাজ বলতে একটা পেপার জাতীয় কিছু পড়ছিল । মনে হয় কোন কিছু খুজতেছে !
আমি আর মেয়েটিকে ঘাটালাম না । একটু মন খারাপ হল । মেয়েটিকে দেখে মনে হয়েছিল মেয়েটি হয়তো বাংলাদেশী অথবা দক্ষিন এশীয় হবে । বিশেষ করে মেয়েটি চোখ বলছে মেয়েটি বাংলাদেশী । এমন গভীর কালো চোখ কেবল বাঙালী নারীর হতে পারে । আর মেয়েটির চুলও বাঙালী মেয়েদের মত !

টেক্সাসে এসেছি খুব বেশিদিন হয় নাই ! মাস তিনেক । এর ভিতরেই বাংলা না বলতে পেরে কেমন মন টা যেন হাপিয়ে উঠেছি । শুনেছি কোথায় যেন একটা বাংলা ক্লাব আছে কিন্তু কাজের এতো চাপ যে একটুও সময় করে উঠতে পারি নাই । আর নতুন চাকরী তাই কাজে ফাঁকি দিতেও কেন জানি মন বলছে না । ভিতটা একটু শক্ত হোক তারপর না হয় একটু আধটু ফাঁকি দেওয়া যাবে ।
অফিস থেকে বের হয়ে এই ছোট্ট স্টেট গার্ডেনের এসে বসেছিলাম তখনই মেয়েটাকে দেখতে পাই । রাস্তা দিয়ে হেটে আসছে হাতে একটা নিউজ পেপার জতীয় কিছু । সব মনযোগ এই পেপারটার দিকে । বসলো ঠিক আমার থেকে একটু দুরের একটা বেঞ্চে ! ব্যস্ত হয়ে গেল নিজের কাজে ।
আমি মেয়েটিকে দেখতে লাগলাম ।
আমাদের দেশে হলে এমন একভাবে কোন মেয়ে দিকে তাকিয়ে থাকাটা কেমন অশোভন দেখায় কিন্তু এখানে এটা কোন ব্যপার না ! মনে হয়েছিল মেয়েটা হয়তো বাংলাদেশী ! কিন্তু মেয়েটার উত্তর শুনে খানিকটা হতাশ হলাম ।
কিছুক্ষন বসে থাকার পরে মেয়েটি নিজেই এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-এডলন স্ট্রীট টা কোন দিকে বলতে পারো ?
-সরি ! আমি নতুন এসেছি ! কোন আইডিয়া নাই !
-ও ! কি নাম তোমার ?
-রাফাত ! রাহাত হোসেইন !
-রাফাত হোসেইন ?
-হুম !
এবার আমি একটু অবাক হলাম । আমেরিকানরা ঠিক মত রাফাত উচ্চারন করতে পারে না ! আমার বস জন স্টিভ আমাকে বলে ড়াফাট !
হাস্যকর শোনায় ! কিছু করার নাই ! হাস্যকর শোনালেও শুনতে হবে !
কিন্তু এই মেয়েটা আমার নাম ঠিক ভাব উচ্চারন করেছে !
রাফাত !
নাহ ! এই মেয়ে বাংলাদেশী না হয়ে যায় না ! অথবা দক্ষিন এশীয় !
আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি সত্যি বাংলাদেশী না ?
মেয়েটি আমার কথা শুনে হাসলো !
আহা ! দেশীও হাসি !
আমি এখন ড্যাম সিওর ! এই মেয়ে বাংলাদেশী !
-কেন তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না ?
-না মানে ঠিক মেলাতে পারতেছি না !
মেয়েটি এবার আমাকে অবাক করে দিয়ে বাংলায় বলল
-আমি ঠিক বাংলাদেশী না ! আমার মা বাংলাদেশী !
যাক ! এতো দিন পরে একটা বাংলায় কথা বলার মত কাউকে পেলাম । না হলে কেবল পেক পেক মত ইংরেজিই শুনতে হত ! অবশ্য বাংলাদেশি কিছু চ্যানেল আছে কিন্তু টিভিতে বাংলা শোন আর সরাসরি বাংলা শোনা কি এক হল !
আমি বললাম
-যাক এক জন কে পেলাম তো কথা বলার মত !
-কেন ? কোন কথা বলার মানুষ নাই ?
-আছে । কিন্তু সব আরেরিকান! পেক পেক করে কেবল ! আর কত সহ্য করা যায় ! নতুন এসেছি বাংলা শোনার অভ্যাস টা এখনও এখনও ছাড়তে পারি নাই !
-আচ্ছা রাফাত আমি যাই ! আমাকে একটা জব ইন্টারভিউ এর জন্য যেতে হবে !
-তুমি কোথায় থাকো ?
-কেন ?
-না মানে যখন তোমার ফ্রী সময় হবে দুএকটা কথা বলতাম !
মেয়েটি হেসে বলল
-আমার এখনও থাকার মত জায়গা হয় নাই এখানে । তোমার মত আমিও নতুন এসেছি টেক্সাসে । এক জন পরিচিতের ঠিকানা আছে । আগে ঐটা খুজে পাই !! তারপর না হয় তোমাকে দিব !
-তোমার সেল নাম্বার ?
-সরি ! আমার সেল ফোন নাই !
-ও ! আচ্ছা তুমি আমার নাম্বারটা রাখো ! যদি ফ্রী হও ! আমাকে একটা ফোন দিও । এক সাথে অন্তত কফি খাওয়া যাবে ।
আমি একটা কাগজে লিখে দিলাম আমার নাম্বারটা !
মেয়েটি নাম্বারটা আগ্রহ সহকারে নিল । তারপর হাটতে হাটতে চলে গেল ! আমি মেয়েটির চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে রইলাম । মনের ভিতর একটা শান্তি লাগছিল যে অনেক দিন পরে আজ কোন বাঙালীর সাথে কথা বলতে পারলাম !
আরে ....
মেয়েটার নামই তো জানা হল না !! মেয়েটা ততক্ষনে চলে গেছে চোখের আড়ালে !


রাতে খেয়ে সবে মাত্র শুয়েছি এমন সময় আমার ফোন বেজে উঠল । এখান কার কার স্থানীয় নাম্বার । এবং নাম্বারটা আমার অপরিচিত । আমি যত দুর জানি স্টিভ ছাড়া আর কেউ আমার কাছে ফোন দেয় না ।
তাহলে ?
-হ্যালো !
-রাফাত ?
-ইয়েস !
-আমি লিয়ানা !
-কে ?
-আজকে বিকালে তোমার সাথে কথা হল ! পার্কে !
-ও ! তুমি ? ও মাই গড ! আমি আসলে ভাবতেই পারি নাই তুমি ফোন দিবা ! তাও আবার এতো জলদি !
-আসলে আমি একটু বিপদে পড়েই তোমাকে ফোন দিয়েছি !
-বল ! সমস্যা নাই ।
-আসলে আমার এক পরিচিত একজনের কাছে আমার উঠার কথা ছিল । এখন তার বাসাটা আমি খুজে পাচ্ছি না !
-ও !
একটু নিরবতা !
আমি কিছু শুনতে চাচ্ছিলাম মেয়েটার কাছ থেকে ! চাচ্ছিলাম মেয়েটা আমার কাছে সাহায্য চাক !
লিয়ানা বলল
-আসলে আমি আজকের রাতের মত থাকার জন্য একটা জায়গা খুজছিলাম ! কম মূল্যে থাকা যায় এমন কোন জায়হার নাম বলতে পারেন ? আমি এখানে একদমই নতুন !
আমি একটু হতাশ হলাম ! আমি বললাম
-কম মূল্যের হোটেলে থাকাটা একটু রিস্কি হয়ে যায় না ? তুমি একা এক জন !!
লিয়ানা হাসলো ! বলল
-কোন সমস্যা নাই ! তুমি বলতে পারো ! আমার অভ্যাস আছে ?
আমি ঠিক মানে বুঝতে পারলাম না যে লিয়ানা অভ্যাস আছে বলতে কি বোঝাতে চাইলো !
আমি আর কথা বাড়ালাম না । মোটামুটি সস্তা কয়েকটা হোটেলের নাম আর ঠিকানা বলে দিলাম । মনের ভিতর একটা খচখচ করতেচিল । এভাবে একা একটা মেয়েকে হোটেলে থাকতে দেওয়াটা কেমন মনে সায় দিল না । লিয়ানা ফোন রাখার জন্য বাই বলল । তখন আমি ওকে বললাম
-যদি তোমার আপত্তি না থাকে তাহলে আমার বাসায় আসতে পারো ! দুজনের থাকার জন্য বেশ বড়ই আমার ফ্ল্যাট টা !
কিছুক্ষন কোন কথা শোনা গেল না ! আমার মনে হল মেয়েটি মনে হয় ফোন রেখে দিয়েছে ।
এমনটা একটা কথা দেশীও কোন মেয়েকে বলাটা খনিকটা অস্বস্থিকর । কিন্তু এটা তো আর বাংলাদেশ না । তবুও মেয়েটা কিছু মনে করে তাই ভেবে চুপ করে রইলাম ।
লিয়ানা একটু পরে বলল
-তোমার সমস্যা হবে না তো ?
-না সমস্যা কেন হবে ? আসলে আমাদের দেশে একা একটা মেয়ে কোন সস্তা হোটেলে গিয়ে রাতে থাকছে এইটা কল্পনাও করাও যায় না । যতই বিদেশ হোক এটা ঠিক মেনে নিতে কষ্ট হয় !
-আচ্ছা ঠিক আছে !
আমি ঠিকানা বলে দিলাম !


-সত্যি তোমার কোন অসুবিধা হচ্ছে না তো ?
আমি কোন কথা না বলে কেবল হাসলাম ! আসলে এতো দিন পরে অচেনা একজন একজন মানুষ কেন জানি পরিচিত মনে হল ! রাতে আর খুব বেশি কথা হল না । আমি ইচ্ছা ছিল কিন্তু লিয়ানা কেন জানি খুব একটা আগ্রহ দেখালো না ! আসলে ক্লান্ত ছিল মনে হয় ! আমিও আর খুব বেশি কথা বললাম না !

সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গলো দেরী করে । রবিবার ছিল সুতরাং খুব বেশি টেনশন নাই ! সকাল বেলা ঘুম ভেঙ্গেই মন ভাল হয়ে গেল ।
আমার খাটের পাশেই ধুমায়িত কফির কাপ দেখে !
নিশ্চই লিয়ানার কাজ ।
কাফি হাতে নিয়ে ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখি নিলানা টিভি দেখছে ।
-কখন উঠছ ?
-এই তো !
-কফির জন্য ধন্যবাদ !
-আমি ধন্যবাদ দিয়েছি তোমাকে ? আমাকে তোমার বাড়িতে থাকতে দিলে আম তো দিলাম না ! নিজে বানাচ্ছিলাম ভাবলাম তোমার জন্যও বানাই !
-না । ঠিক আছে ! কফি ভাল হয়েছে !
-চুমিক না দিয়েই বলছো ভাল হয়েছে ?
লিয়ানা অদ্ভুদ ভাবে হাসলো ! আমিও হাসলাম অপ্রস্তুতের হাসি !

লিয়ানা দুপুরেই বেরিয়ে গেল । বলল যে আজকে যেতেই হবে ! তা না হলে জবটা নাকি ছুটে যাবে । পথ ঘাট চিনবে কি জানতে চাইলে বলল যে সমস্যা নাই । হারিয়ে গেলে আমাকে ফোন দিবে ।

ব্যাগ পত্তর আমার কাছেই রয়ে গেল ! অবশ্য ব্যাগ বলতে খুব একটা কিছু বলে আমা রমনে হল না ! মাত্র একটা ছোট হ্যান্ড ! কোন মেয়ে কেবল একটা ব্যাগ নিয়ে কোথা সিফট হতে পারে এটা আমার ধারনার বাইরে ছিল । ঠিক মত বুঝলাম না !
জানা হল না ও আসলে কিসের ইন্টারভিউ দিতে গেলে !

সন্ধার কিছু পরেই লিয়ানা আবার ফিরে এল । মুখটা বেশ হাসি খুশি ! এবং একটু তাড়াহুড়া ভাব ! জব হয়ে গেছে মনে হয় ।
-গুড নিউজ আছে ?
-জব হয়ে গেছে ?
-হুম ।
-ভাল তো ।
-আর একটা ভাল খবর !
-কি ?
-আমি যার কাছে এসেছিলাম তাকেও খুজে পেয়েছি ! সে কাল বাড়িতে ছিল না । ক্যামপিংয়ে গিয়েছিল !
-ও আচ্ছা ! এখন চলে যাবে ?
-কেন তাড়িয়ে দিতে চাও ?
-আরে কি বল ? ছি ছি ! তাড়িয়ে দিবো কেন ? তোমার সাথে তো ঠিক মত কথাই হল না ।
-আরেক দিন হবে ! আর আমি তো এখন এখানেই আছি । দেখা তো হবেই ! তাই না ?
-হুম !
লিয়ানা কে আটকে রাখবো এমন কিছু বলতে পারলাম না । কি বলে আটকে রাখবো তাও বুঝতে পারছিলাম না ।
ও চলে গেল ! বলতে গেলে বেশ তাড়াহুড়া করেই চলে গেল !

লিয়ানা চলে গেল ঠিক রাত নটার দিকে । তার ঠিক ঘন্টা খানেক পরেই আমার বাড়িতে আকস্মিক ভাব টেক্সাস পুলিস এসে হাজির ।
-মিষ্টার ড়াফাট হোছেইন ?
-ইয়েস !
-তোমার সাথে কথা বলা দরকার ।
আমি দরজা ছেড়ে দাড়ালাম । চার জন পুলিশ অফিসার আমার ঘরে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লো ! এদের ভিতর একজন মনে হয় বস । একটু মোটা মত । আমার দিকে একটু এগিয়ে এসে বলল
-বিকেল বেলা ইয়লো স্ট্রীটের এক পাকিস্তনী খুন হয়েছে ।
আমি কিছু বুঝতে পারছিলাম না ! এই পুলিশ অফিসার কি বলছে । খুন হয়েছে ভাল কথা ! কিন্তু এতে আমার কি ? আমার কাছে কি চায় এরা ?
আমি কোন মতে বললাম
-আমার কাছে কি চাও ?
-আমাদের সন্দেহ হত্যার সাথে তুমি জড়িত !
-আমি??
আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম । কি বলছে এই সব ?
আমার কোন কথাই শুনলো না ওরা । আমার পুরা ঘর তন্ন তন্ন করে খুজতে লাগলো ! তেমন কিছুই পেল না ! শেষে আমাকে পুলিশ হেড কোয়ার্টেরে নিয়ে গেল !

রাতের বেলা স্টিভ এসে আমার বেল করিয়ে নিয়ে গেল ! ওরা কেবল সন্দেহ করেছিল যে আমি জড়িত ছিলাম ! আমি আরো পরে জানতে পারলাম যে একটা মেয়ে এই হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে । এবং এই মেয়েটিকে নাকি আমার সাথে দেখা গেছে ।
আমার ঠিক বিশ্বাসই হচ্ছিল না এরা কি বলছে ?
লিয়ানা হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে ??

অবশ্য মাস খানের মধ্যেই আমি পুরোপুরি মুক্ত হলাম । আমার উপর সকল চার্য সরিয়ে নেওয়া হল । আসলে ঐ দিন সারা দিন আমি বাসা থেকে বের হই নাই । আমার কঠিন এলিবাই ছিল ! বিকেল বেলা পাশের ফ্ল্যাটের মিষ্টার কেসনের সাথে আমার বেশ সময় ধরে আলাপ হয় ! সেটা বেশ কাজে লেগেছিল ! তার উপর যে পাকিস্তানী নিহত হয়েছে সে ইলিগ্যাল ভিসা নিয়ে ছিল ! খুব বেশি দুর এগোলো না !

লিয়ানার কথা আমি চেপে যাই ! কেবল বলি যে রাস্তায় দেখা হয়েছিল । আর কিছু না ! কয়েকটা কথা হয় !!


এই ঘটনার অনেক দিন পরে আমার কাছে একটা চিঠি আসে । পরিস্কার বাংলায় লেখা ! শেষে নাম দেখে একটু অবাক হয়ে যাই !
লিয়ানার চিঠি ! লিয়ানা লিখেছে

রাফাত,
জানি একটু অবাক হয়েছ ? আসলে আমি তোমাকে ঠিক জড়াতে চাই নি । সব কিছু ঠিক করা ছিল ! কিন্তু আসল ঠিকানাটা খুজে না পেয়ে তোমার কাছে গেলাম !
আমি জানতাম তুমি একটা মেয়েকে এভাবে একা হোটেলে থাকতে দিবে না । তাই তোমাকে ফোন করেছিলাম । মা এমনই বলত যে তার দেশের মানুষ গুলো নাকি এমনই হয় ! যাই হোক, আমার জন্য এমন হয়রানী পোহানোর জন্য সরি ! আমার আর কোন উপায় ছিল না ! তবে আমি আসলেই সেই পাকিস্তানীকে খুন করেছি । নিজের হাতে খুন করেছি ! কেন করেছি এটা না হয় পরে অন্য কোন দিন বলবো ! আজকে এই পর্যন্তই ।
ভাল থেক ।
লিয়ানা !

আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না ! কেবল চিঠি হাতে বসে রইলাম কিছু্ক্ষন !




Click This Link
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রোএক্টিভিটি এবং কম্পাউন্ড ইফেক্ট: আমার গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শিক্ষা

লিখেছেন মাহদী হাসান শিহাব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১



আমার গুরুত্বপূর্ন দুইটা লার্নিং শেয়ার করি। এই দুইটা টুল মাথায় রাখলে দৈনন্দিন কাজ করা অনেক সহজ হয়। টুল দুইটা কাজ করতে ও কাজ শেষ করতে ম্যাজিক হিসাবে কাজ করে।

এক.

স্টিফেন কোভের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

লিখেছেন সায়েমার ব্লগ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৩

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ
ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

১।
যৌন প্রাকৃতিক, জেন্ডার নয়।জেন্ডার মানুষের সৃষ্টি (social, cultural construction)। যৌনকে বিভিন্ন সমাজ বিভিন্ন সময়ে যেভাবে ডিল করে, তাঁকে ঘিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্মৃতির ঝলক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুভূতি এবং মনের শান্তির খোঁজে

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০১



সরল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে একটি ঘূর্ণায়মান পথ জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর অবস্থানে আমি খুব শান্তি অনুভব করি। নদীর জল ছুঁয়ে পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে এক আন্তরিক সংযোগ অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×