somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার দ্বিবর্ষ পূর্তি পোষ্টে আমার ভালবাসার গল্প !

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


-এই কি করিস ?
-চুপ থাক !
-আচ্ছা ! গার্লফ্রেন্ড পেয়ে ফ্রেন্ড কে ভুলে গেছিস ?
-ফুট ! এখন বিজি !
-এখন ফুট ! থাক তোর গার্ল ফ্রেন্ড কে নিয়ে ! আমি গেলাম !
লিয়া অফ লাইনে চলে যায় ! অপু মেসেঞ্জারের উইনডো থেকে চোখ ফেসবুকের ম্যাসেজ উইন্ডোর দিকে নিয়ে এল । ওখানে ততক্ষনে গোটা কয়েক মেসেজ চলে এসেছে !
-এই তুমি কোথায় ?
-এই কোথায় ?
-কোথায় গেলে ?
-ভুলে গেছো আমাকে ? কার সাথে কথা বলছো ?
অপু হাসে কেবল ! তাড়াতাড়ি রিপ্লে দেয়
-এই তো আমি পাখি ! এই তো ! কোথায় যাই নি তো !
-তাহলে রিপ্লে দাও না কেন ? হুম ?
-দিতেছি পাখি !
-হুম !!!
-আই লাভ ইউ !
-হবে না । আবার বল !
-আই লাভ ইউ !
-হুম । হয়েছে ! আই লাভ ইউ !

অপুর মন টা আজ অনেক বেশি ভাল । অনেক বেশি । আজ কত দিন পরে এই কাঙ্খিত লাইনটা ও বলতে পারছে । এমন কি সেই মেসেজটার রিপ্লেও আসতেছে । বারবর বলতে ইচ্ছে করছে । অপুর কেবল মনে হচ্ছে সারা দিনই যেন কথা বলুক ওকে !


-এই শুন !
-হুম শুনছি ।
-এখন ঘুমাবো ?
-আমিও ঘুমাবো ! আমার সাথে ঘুমাবা ?
-দুষ্টামী করবা না !
-করবো ! তোমার সাথে দুষ্টামি করবো না তো কার সাথে করবো ?
-হুম ! হয়েছে ! এখন রাখো !
-না ! তুমি যাবা না ! তুমি যাবা বলে দিলাম !


লিয়া অপুর পাগলামো দেখে হাসে । ছেলেটা কি পাগলামো শুরু করেছে । এমন একটা ভাব যেন ও সত্যি সত্যি ওর টিয়া পাখি ! এমন পাগলামো কেন করছে । সেই ১২ টার দিক থেকে ওদের চ্যাটিং শুরু হয়েছে এর ভিতর ছেলেটা অন্তত হাজার বার আই লাভ ইউ লাইনটা বলেছে ! এমন কেন করছে ছেলেটা ?


অপুকে বাস্তবে খুব একটা চিনে না লিয়া । কেবল অনলাইনেই পরিচয় । প্রথমে ব্লগ পড়তো ! তারপর ম্যাসেঞ্জারে । এখন ফেসবুকে ।
লিয়া খুব বেশি অন লাইনে থাকতো না । একদিন এক বন্ধুর ফেসবুক শেয়ার একটা ব্লগ পোষ্ট দেখে প্রথম ছেলেটার ব্লগে ঢুকে লিয়া ।
লিয়ার এখনও মনে আছে গল্পটার নাম ।
সাইনবোর্ড । একটা মেয়ে ছেলের বাড়ির সামনে একটা সাইনবোর্ড নিয়ে হাজির । তাকে বিয়ে করতে হবে । তারপর ঘটতে থাকে মজার কত গুলো ঘটনা ।
গল্পটা পড়ে লিয়ার মন চট করেই ভাল হয়ে গেল । ওর মন টা কদিন থেকেই বেশ খারাপ ছিল । গল্পটা পড়ে আসলেই ভাল লাগলো ওর । তারপর থেকেই ছেলেটার ব্লগে নিয়মিত হয়ে গেল ! একটা অবাক হওয়া বিষয় ও লক্ষ্য করলো যে ছেলোর পুরো ব্লগ জুরে সব আজগুবি ভালবাসার গল্পে ভরা । কিন্তু আজগুবি হলেও গল্প গুলো পড়লে মন ভাল হয়ে যায় !
আর সব থেকে বড় কথা ছেলেটা সব সময় হ্যাপি এন্ডিংয়ের গল্প লেখে । নিশ্চই ছেলেটার জীবনে কোন কষ্ট নাই ! এই জন্য মনে হয় সব সময় এমন আনন্দের গল্প লিখতে পারে !


এই শুনো !
-হুম !
-আকলে অনেক দেরি হয়ে গেছে ! এখনই ঘুমাতে হবে নয়তো আম্মু বকবে !
-তোমার আম্মু জেগে আছে ?
-না ।
-তাহলে ? সে কিভাবে জানবে ?
-যদি চলে আসে ?
-আসবে না ! আমি বললাম !
-কিভাবে জানো যে আসবে না !
-আমি সব জানি !

--------০---------


বৃক্ষের সাথে আমার পরিচয় খুব সাধারন ভাবেই । অল্প কিছু মানুষ আমার লেখা পড়তো তার ভিতর সে ছিল ! আসলে আমি প্রথমে জানতামই না যে ও আসলে একজন মেয়ে ! যেদিন থেকে জানলাম সেদিন একটু অবাক হয়েছিলাম !
আস্তে আস্তে ওর সাথে পরিচয় হয় ! প্রথমে আমাদের মেসেঞ্জারে কথা হত । আমি আমার কথা গুলো বলতাম । ও বলতো ওর কথা গুলো ! আমরা দুজনেই কষ্টে ছিলাম ! কেবল দুজনের কষ্টের কথা গুলো শেয়ার করে নিতাম একে অপরের সাথে ।


মনের ভিতর একটা শান্তি লাগতো ! ওর সাথে কথা বলেই একটা গল্প লিখেছিলাম অপরিচিতার সাথে কথপোকথন !
এভাবেই দিন যাচ্ছিল কেটে ! তারপর একদিন অদ্ভুদ একটা কাজ করলাম আমি । কেন করলাম ঠিক বলতে পারবো না ! কিন্তু করলাম !

টিয়াপাখি নামের আমার একটা ফেইক আইডি খোলা ছিল । ঐ আইডিটা আমি নিজের সান্তনার জন্য খুলে ছিলাম । যখনই মন খারাপ হত আমি টিয়াপাখি আইডিটাতে মেসেজ পাঠাতাম । ওর ওয়ালে কত কিছু লিখতাম ! কোন কারন নাই । এমনিই লিখতাম ! কোন দিন সেগুলোর জবাব আসতো না ! একদিন সেই আইডির পাসওয়ার্ডটা আমি বৃক্ষ্যকে দিয়েদিলাম !
ও আমার কাছে জানতে চেয়েছিল আমি আমি কেন ওকে আইডিটা দিলাম আমি কোন উত্তর দিতে পারি নি !
তারপর ......
বৃক্ষ্য সেই আইডি দিয়ে আমার সাথে প্রথম চ্যটিং করলো !
বুকের ভিতর কেমন লাগছিল আমি বলে বোঝাতে পারবো না । আমি আই লাভ ইউ বলছি আর সেইটার উত্তর আসতেছে ! আমার আর কিছু জানার দরকার ছিল না । আমি সেদিন কত বার যে কথাটা বলেছিলাম আমি জানি না ! সেদিন আসলেই এমন কিছু হয়েছিল । মেসেঞ্জারে বৃক্ষ্য রয়েছে আর ফেসবুকে টিয়াপাখি ! যদিও দুজনই একই মানুষ !

তারপর এমন হয়ে গেল যে সারা দিন ফেসবুকে মেসেজ পাঠাই ! মেসেজের রিপ্লে না আসলে ভাল লাগে না ! মনের ভিতর শান্তি পাই না । কোন উপাই না দেখে ওর কাছে মোবাইল নাম্বার চাইলাম । প্রথমে দিতে চাইলো না । তবুও কল না করার সাপেক্ষে ফোন নাম্বার দিল । কিন্তু তাই কি হয় ?
একদিন সকালে ও নিজেই আমার কাছে ফোন দিল ! প্রথমে আমি ঠিক মত চিন্তে পারি নি । মনে হচ্ছিল ১২/১৩ বছরের কোন বাচ্চা মেয়ের সাথে কথা বলছি ! কন্ঠে একটা আদুরে আদুরে ভাব ! অবশ্য এখনও আমার তাই মনে হয় ! বৃক্ষের মোবাইল ভয়েস আসলেই বাচ্চাদের মত ।
সেদিন কি বলেছিলাম আমার নিজের মনে নাই । আসলে ঘুমের ঘোরে কি বলেছি আমার ঠিক মত মনে নেই । তবে বলে আমি নাকি খুব ভাব নিয়ে কথা বলছিলাম । কে জানে !
এভাবেই ওর সাথে কথা হতে থাকে । কথা বলতে বলতে ওর কত খানি কাছে চলে গেছি আমি কোন দিন বুঝিও নি ! এমনও হয়েছে আমরা ফোনে কথা বলছি আর সাথে চ্যটিং করছি ! যে কথাটা মুখে বলতে পারছি না সেটা ইনবক্সে বলছি ! কয়েকদিনের ভিতরই ইনবক্সের আই লাভ ইউ মুখে চলে এল !
আমরা সারা দিন কথা বলতাম । আমি নিজেই মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যেতাম এতো কথা আমি কিভাবে বলি ! সে ততদিনে টিয়াপাখি আইডি থেকে অপুর হৈম আইডি তে চলে এসেছে ।
তখন অবশ্য অনেকেই মনে করতো যে অপুর হৈম আইডিটাও আসলে আমারই তৈরি ! আমি বেশি কিছু বলি নি !
ও হ্যা ! আর একটা কথা । ওর ব্লগার বটবৃক্ষ আইডিটাও আমি খুলে দিয়েছি ! ঠিক খুলে দিয়েছি বললে ভুল হবে । আগে যে টিয়াপাখি আইডিটা ছিল সেইটা নাম বদলে ব্লগার বটবৃক্ষ করেছি !
এভাবেই দিন যাচ্ছিল ! ও একবার অপুর হৈম দিয়ে আমার পোষ্টে কমান্ট দিতো আবার ব্লগার বটবৃক্ষ আইডি তে । আমার মজাই লাগতো !


তারপর একদিন ও বলল যে এই ভাবে কথা বলাটা ঠিক হচ্ছে না । আমাদের কথা বন্ধ হওয়া উচিৎ ! তারপর ও কথা বলা বন্ধ করে দিল ! আমিও অভিমান করে কথা বললাম না ! সাতদিন পরে ও নিজেই আবার আমার কাছে ফোন দিল ! ফোন দিয়ে একটু অভিমান কন্ঠে কত কিছু বলল ! আমি কেবল মনে মনে হাসি !

এই সিম্পল কাহিনী আমাদের ! এতোদিন ব্লগে আমি কেবল বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখেছি । মানুষের গল্প লিখেছি ! আজকে আমার প্রেম কাহিনী বলে দিলাম !
আসলে আমি গত প্রায় দুই সপ্তাহ দিয়ে এই গল্পটা লেখার চেষ্টা করছিলাম ! কত ভাবে ভাবলাম ! কত ভাবে ট্রাই করলাম । কিন্তু মন মত হল না ! কেন হল না জানি না ! একবার ভাবলাম লিখবোই না কিন্তু সামনের কথা বলা যায় না । তাই লিখে দিলাম ।

লেখার একটা কারন হল সামুতে ২ বছর হয়ে গেল ! কোন পোষ্ট দেওয়া হল না । প্রথম বর্ষপূর্তিতে লিখেছিলাম প্রিয়া ব্লগার শায়মা আপুকে নিয়ে । আর এই বর্ষপূর্তিতে লিখলাম মনের কাছের মানুষটিকে নিয়ে ! কাছের মানুষ বলছি কারন সবাই কেবল আমার বাইরের চেহারাটাই দেখেছে । সবার কাছে অবশ্য আমি আমি এই বাইরের চেহারাটাই নিয়ে থাকি । নিজের কষ্ট দুঃখ মানুষের সামনে বলতে ইচ্ছা হয় না ! কিন্তু বৃক্ষের বেলায় সেটা হয় নি ! সে আমার সব কিছু জানে ! আমার ভেতরের আমিকে সে খুব ভাল করেই জানে ! আমার মন খারাপ হলে যেন আমার জানার আগেই ও জেনে যায় !

এই টা লেখার পেছনে আরো একটা কারন হল আর হয় তো সামুতে পোষ্ট নাও দেওয়া হতে পারে । সামনের ১৪ তারিখে বান্দরবন যাচ্ছি । নীলগিীরি নীলাচল না । একেবারে গভীরে । ছয় দিনের ট্যুর ! হয়তো বেঁচে নাও ফিরতে পারি এমন জায়গায় যাচ্ছি ! কেন যাচ্ছি জানি না ! এই জন্য এই পোষ্ট টা দিয়ে যাচ্ছি । যদি ফিরে না আসি তবে এটাই হবে হয়তো সামুতে আমার শেষ পোষ্ট ! তবে ১২/১৩ হরতাল আছে । ১৪ তারিখেও হরতাল দিতে পারে সে ক্ষেত্রে হয়তো আর যাওয়া হবে না ! তবুও যদি যাওয়া হয় তাই এই শেষ পোষ্ট ! কালকে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি ।

সবাই ভাল থাকবেন ! আর আমার জন্য না হলেও বটবৃক্ষের জন্য দোয়া করবেন ।



ওয়ার্ডপ্রেস লিংক
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
৩০টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×