somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ রকিবুদ্দিন সাহেবের মেয়ে !

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাবা আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আবার জানতে চাইল
-কি করেছিস ?
আমি ক্ষীণ গলায় বললাম
-বাবা বিয়ে করেছি !
-কি করেছিস ?

আরে আপনি আব্বা হয়েছেন তাই বলে এই কথা বারবার হুংকার দিয়ে কেন বলবেন ? আর যতবারই জানতে চান উত্তর টা তো আর বদলে যাবে না ! ঘন্টা খানেক আগে যাকে বিয়ে করেছি সে আর বউ থেকে আবার আমার গার্লফ্রেন্ড হয়ে যাবে না ! আমার বউ বউই থাকবে !
একলাখ দেন মোহর দিয়া বিয়ে করেছি !

আমি বাবার দিকে তাকিয়ে আছি চুপ করে । বাবা নিজের মুখটা রক্ত বর্ণ করার চেষ্টা করছেন কিন্তু একটু সময় লাগছে । এই ফাঁকে নিশির দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখ টা শুকিয়ে এতুটুকু হয়ে গেছে ! আসলে বাবার চিৎকার চেঁচামিচির অভ্যাসের সাথে ও খুব একটা পরিচিত নয় তো তাই একটু ভয় পেয়েছে মনে হয় !

বাবা মুখ লাল করে বললেন
-তুই এক্ষুনি বাসা থেকে বের হয়ে যা !
আমি খুব বেশি চিন্তিত হলাম না ! বাবা দিনে দুতিন বার আমাকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলে !
তুই এটা কেন করলি ? এক্ষুনি বাসা থেকে বের হও !
ওটা কেন করলি ? বের বলছি বাসা থেকে !

এসএসসি পরীক্ষায় সবাই এ প্লাস পেয়েছে আমি পাই নি বলে আমাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বললেন । সন্ধার দিকে নিজেই মিষ্টি কিনে মানুষের বাসাতে পাঠানো শুরু করলেন ! তখন অবশ্য এপ্লাস পাওয়া এতো সহজ ছিল না ! আবার আমি কেন এ প্লাস পায় নি এই জন্য আমার মন খারাপ এই কথাও আলোচনা করতে লাগলো ! ছোট খাটো সব বিষয়তেই উনার প্রথম কথা হচ্ছে আমার বাসা তুই বেরিয়ে যা !

আমি বললাম
-নিশিকে কি নিয়ে যাবো নাকি রেখে যাবো ?
বাবা আবারও হুংকার দিয়ে বলল
-তোর বউ তুই রেখে যাবি মানে ? নিজে নিজে বিয়ে করেছি এখন বউকে নিয়ে নিজে নিজে থাক ! আমার বাসায় জায়গা হবে না !

নিশির দিকে তাকিয়ে দেখি ও প্রায় কেঁদে ফেলেছে । এখনও চোখ দিয়ে পানি বের হয় নি তবে যে কোন সময় বের হয়ে যাবে । আসলে আমার বাবার চিৎকার চেঁচামিটি আমরা ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি আমাদের কিছু একটা মনে হয় না কিন্তু নিশি তো প্রতিদিন দেখে না !

-রাহেলা ! রাহেলা !
বাবা মায়ের নাম ধরে ডাক দিল ! ততক্ষনে মা পিছনে এসে আমার সাথে চোখে চোখে কথা শুরু করে দিয়েছে ! মা নিশির দিকে চোখ ইশারা করে জানতে চাইলেন কে ?
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই বাবা বলল
-তোমার ছেলে !! তোমার ছেলে একা একা বিয়ে করে নিয়ে এসেছে ! বুঝেছো ?
মা সামনে এল ! আমার আর নিশির দিকে চোখ বুলিয়ে বলল
-সত্যি নাকি ?
আমি ক্ষীণ গলায় বললাম
-হুম !
আমার হুম শুনে বাবা আবার হুংকার দিয়ে বলল
-হুম কি রে আহম্মক ! এক পয়সা ইনকাম করার মুরদ নেই বিয়ে করে আবার বলে হুম ! তোর এই বউ আমি আমার ঘরে রাখবো না ! তুই এখনই বের হয়ে যাবি আমার বাসা থেকে ! এখনই বের হ !

আমাকে বের হয়ে যেতে বলে বাবা নিজের বের হয়ে গেলেন বাসা থেকে ! এরকম অনেক বারই হয় ! বাবা হঠাৎ করে রেগে গেলে বাসা থেকে বের হয়ে যান ! অবশ্য বাবার রাগ খুব বেশিক্ষন থাকবে না !
বাবার চলে যাওয়ার পরে আম্মার আমাদের দুজনের সামনে এসে দাড়াল !
খানিকটা বিশ্ময় নিয়ে বলল
-তুই সত্যি বিয়ে করেছিস ?
-হুম !
-কোন কিছু না ভেবে একেবারে বিয়ে করে ফেললি ? আমাদের কথা একবার ভাবলি না ?
-তোমার কথা ভাবি বলেই তো বিয়ে করলাম ! তুমি সারা দিন বাসায় একা একা থাকো !
-তাই !
-তা নয় তো কি ? তোমার কথা চিন্তা করেই তো কাজ টা করে ফেললাম !

আমার কথা শুনে মা এবার নিশির দিকে এগিয়ে গেল ! বেচারী আসলেই একটু ভয়ে ভয়ে আছে । বিশেষ করে বাবা চিৎকারে একেবারে চুপসে গেছে !
মা নিশির কাছে গিয়ে বলল
-এই তোমার নাম কি ?
-জি ! আরিসা বিনতে চৌধুরী !
-আমি তো স্কুল টিচার না ! ভাল নাম বলতে হবে না ! ডাক নাম কি ?
-নিশি !
-বাবার নাম !
-পিন্টু !
-পিন্টু ?
-আপনি না বললেন ভাল নাম না বলতে ! ডাক নাম বললাম !
মা কিছু বলতে গিয়ে হেসে ফেলল !
-আচ্ছা ! ভাল নাম বলল তার
-রকিবুদ্দিন চৌধুরী !
দেখলাম মার হাসি আস্তে আস্তে মিলিয়ে গেল ! হাসি মুছে মা বলল
-তুমি ঐ পাড়ার রকিবুদ্দিনের মেয়ে ?
নিশি বাচ্চা মেয়েদের মত করে মাথা নেড়ে বলল
-জি !
মা এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তুই আর মানুষ পেলি না বিয়ে করার জন্য ?
আমি কিছু না বলে কেবল হাসলাম !


আসলেই আমি আর মানুষ খুজে পাইনি বিয়ে করার ! সত্য কথা বলতে কি বাবা এখনও জানে না আমি রকিব আঙ্কেলের মেয়েকে বিয়ে করেছি । জানলে কি করবে কে জানে ?
বাবা দুনিয়ার সব মানুষ কে পছন্দ করে কেবল রকিব উদ্দিন চৌধুরী মানে আমার সদ্য হওয়া স্বশুর মশাইকে একদম দেখতে পারে না দুই চোক্ষে ! তার সাথে একটা নিরব যুদ্ধ সব সময় লেগেই আছে আমার বাবার ! তিনিও কম যান না ! বরং আমার বাবা থেকে এক কাঠি উপরে !



-এই তোমার বাবা যদি আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয় তখন ?
-তখন আর কি । তখন তোমাদের বাসায় গিয়ে উঠবো !
-বাবাও যদি তাড়িয়ে দেয় ?
-তাহলে গাছ তলায় গিয়ে থাকবো ?
-গাছ তলায় ?
-হুম ! কে পারবে না ?

নিশির মুখ দেখে মনে হল না সে গাছ তলায় থাকতে পারবে ! তবে যাক আপাতত নিজের ঘরে বসে আছে আমি আর নিশি ! মা আর বেশি কিছু জানতে চায় নি ! আমাদের কে ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে ! কেবল বলেছে বাবার সামনে যেন এই কথাটা মুখে না আনি !
এখন আমি আর নিশি কথা বলছি ! বাবা কখন আসবে এবং নিশি যে রকিব উদ্দিন চৌধুরীর মেয়ে এটা জানতে পেরে কি করবে কে জানে ?

এই সব ভাবছি এমন সময় আবারও বাবার হুংকার শুনতে পেলাম ! আমার নাম ধরে ডাকছে ! নিশিকে রেখেই হাজির হলাম বসার ঘরে ! গিয়ে দেখি টবিলের উপর বেশ সাইজের এক প্যাকেট মিষ্টি ! নিশ্চই বাবা এনেছে ! আগেই বলেছি বাবার মন এমনই ! খালি খালিই চিৎকার করেন ! কিন্তু আমি যাই করি না কেন একটু পরেও সেটা মেনে নেন ! অনেক টা এই ভরশায় নিশিকে বিয়ে করে ফেলেছি !

অবশ্য বিয়ে না করে উপায়ও ছিল না ! আজকে বিকেলে নিশিকে দেখতে আসার কথা ছিল ! আর আমারও এখনও বছর খানেক লাগবে পড়ালেখা শেষ হতে ! তার উপর বাবার কাছে তো কোন দিন বলার উপায় নেই যে আমি রকিবুদ্দিন সাহেবের মেয়ে কে বিয়ে করতে চাই !

কিন্তু এখন তার মুখ গম্ভীর ! আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-শুনলাম ওপাড়ার রকিব্বার মেয়ে কার সাথে যেন পালিয়ে গেছে ! আজ নাকি মেয়েকে দেখতে আসার কথা ছিল ! মিষ্টি কিনতে গিয়ে কানে এল কথা টা ! তোর বউ কি রকিবের মেয়ে ?

খাইছে রে ! এখন কি বলি ? সত্য কথা বলে দিবো ?
যা আছে কপালে ! বললাম
-হুম !
-তোর বউকে ডাক !
আমি ডাক দিতে গিয়ে দেখি নিশি দরজার কাছে চলে এসেছে ! আবারও তার মুখ টা শুকিয়ে গেছে ! আমি একটু হেসে অভয় দেওয়ার চেষ্টা করলাম ! তারপর নিশিকে নিয়ে নিয়ে গেলাম বাবার সামনে !

-তোমার বাবার নাম রকিবুদ্দিন ?
বাবার জেরা শুরু ! তবে একটা ব্যাপার দেখলাম যে বাবার মুখে সেই রাগ কিংবা কাঠিন্যের সুর নেই !
-ব্যাপার টা কি ?

নিশির আগের মত মাথা ঝাকিয়ে বলল
-জি !
-তুমি এটা জানতে যে তোমার বাবার সাথে আমার দ-কুমড়া সম্পর্ক ?
-জি !
-তার পরেও তুমি আমার ছেলেকে ভালবাসো ?
-জি !
-এখন যদি তোমার বাবা তোমাকে নিতে আসে ? যাবে ?
-জি না !
-ঠিক তো ?
-জি !
-তোমার বয়স কত ?
-জি ?

আমিও একটু অবাক হলাম ! নতুন বউয়ের বয়স কেউ আবার জানতে চায় ? তারপর হঠাৎ আমার কাছে জিনিস টা একটা পরিস্কার হয়ে উঠলো যে বাবা কেন বয়স জানতে চাচ্ছে ! আমি তাড়াতাড়ি বললাম
-বাবা ওর বয়স এখন একুশ চলছে !
-গাধা তোর কাছে জানতে চেয়েছি ! আর আসল বয়স না, সার্টিফিকেইটের কথা বলছি ? সার্টিফিকেইটে কত ?
-ঐ টাতে উনিশ বছর !
-ঠিক তো ?
-হুম !

দেখতে পেলাম বাবার মুখে একটু হাসি ফুটলো ! কিছু একটা চিন্তা করছে যেন সে খুশি হয়ে উঠেছে ! মা তখনই আমাকে ইশারা করলো ! প্রথম বুঝতে না পারলেও পরে বুঝতে পারলাম আসলে মা নিশিকে সালাম করতে বলছে ! আমি বুঝতে না বুঝতেই দেখি নিশি ঠিকই বুঝে নিয়েছে ! মাথায় কাপড় দিয়ে আব্বাকে সালাম করে ফেলল !

-আরে ! ঠিক আছে ! ঠিক আছে ।
এই বলে বাবা পকেট থেকে একটা এক হাজার টাকার নোট নিশির হাতে তুলে দিল !
অর্থাৎ মোটামুটি ঝামেলা শেষ কেবল নিশির আব্বার দিক টা ছাড়া !


আব্বা মনে মনে কি বুদ্ধি করতে লাগলো কে জানে ! আমি নিশি কে নিয়ে আবার ঘরে চলে এলাম ! ওর মন টা একটু খারাপ কারন আমার বাসায় সমস্যা সমাধান হয়ে গেলেও ওর বাসায় এখনও সমস্যা সমাধান হয় নি ।

আসলে বাবা এতো স হজে কেন রাজি হয়ে গেল আমি খানিকটা বুঝতে পারছি ! আমার শ্বশুর মশাইয়ের সাথে তার যে একটা দা-কুমড়ার সম্পর্ক রয়েছে সেটাতে এখন বাবা মনে হয় এক ধাপ এগিয়ে থাকবে ! তার বাসার মেয়ে এখন আব্বার ছেলের বউ, অর্থাৎ রকিবুদ্দিনের মেয়ে হয়ে গেল ফরিদ আহমেদের বেটার বউ ! খুশি তো হওয়ারই কথা !


নিশি একটু চিন্তিতই ওর ফ্যামিলির জন্য ! মোবাইল ফোন টা আপাতত বন্ধ রেখেছে ! তবুও বাসার জন্য তো চিন্তা হতেই পারে ! সেই সকাল বেলা বের হয়েছে এখনও বাসায় ফেরে নি ! আর তার উপর বাবার কাছ থেকেই শুনলাম যে আমাদের বিয়েটা নাকি জানাজানি হয়ে গেছে ! এতো জলদি কেমনে জানলো কে জানে ? অবশ্য আমরা খুব দুরে গিয়ে বিয়ে করি নি ! কাছেই একটা কাজী অফিসে বিয়ে করেছি !


সন্ধ্যার সময় আরেকবার চিৎকার চেঁচামিচি দেখা দিল আমাদের বাসায় ! এবার নিশির বাবা মানে রকিব আঙ্কেল এসে হাজির ! আমি আর নিশি নিজের ঘরে বসে আছে চুপ করে । এদিকে নিশির বাবার চিৎকার শুনতে পারছি পরিস্কার !
-শুনো ফরিদ আমার মেয়েকে দিয়ে দাও বলছি !
নিশির বাবার উত্তেজিত গলা শুনতে পাচ্ছি ! কিন্তু সেই তুলনায় আব্বার গলার স্বর অনেক মধুর ! বাবা মধুর গলায় বললেন
-তোমার মেয়ে ? আমার বাড়িতে ?
-হ্যা ! আমি খুব ভাল করেই জানি নিশি তোমার বাড়িতে আছে !
কিছুক্ষন নিরবতা !
তারপর আব্বার গলা শোনা গেল
-নিশি নামের একটা মেয়ে আমার বাসায় আছে তবে সে তো তোমার মেয়ে নয় ! আমার ছেলের বউ !
-দেখো ভাল হবে না বলতেছি !
-না ভাল হলে আমার কিছু করার নেই ! তবে আমার ছেলের বউ আমার খুব পছন্দ হয়েছে ! খুব মিষ্টি চেহারা ! তবে আমি বুঝতেই পারছি না, একটা আহম্মকের ঘরে এতো সুন্দর একটা মেয়ে হয় কিভাবে ?

পাশ দিয়ে নিশি বলল
-এই তোমার বাবা আমার বাবাকে আহম্মক কেন বলল ?
-আরে আমি কিভাবে বলবো ? আমার কথা মত উনি চলে নাকি ? চুপ করে শুনো !

ঘরের ওপাশ থেকে আবার চিৎকার শোনা গেল !
-ফরিদ ! আমি কিন্তু পুলিশ নিয়ে আসবো ! এই বলে দিলাম ! তোমাদের বাপ বেটা কে আমি জেলের ভাত খাওয়াবো !
-হা ! হা ! হা ! যাও যাও ! পুলিশ নিয়ে এসো ! আমার ছেলের বউ এখন সাবালিকা ! আমার কাছে প্রমান আছে ! পুলিশ আমার কিচ্ছু করতে পারবে না ! আর যদি পুলিশ নিয়েই আসো উল্টো তুমি কেস খেয়ে যেতে পারো ! আমি যতদুর জানি তুমি তোমার মেয়েকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলে ! আজকে ছেলে পক্ষের আসার কথা ছিল !

আবারও কিছুক্ষন কোন কথা হল না ! আমি আর নিশি কান পেতে রয়েছি কি হয় শোনার জন্য ! এর মাঝেই এক মহিলার গলার স্বর শুনতে পেলাম !
-সরো তো ! এতো কথা আমি শুনতে চাই না ! আমি আমার মেয়েকে দেখবো !

নিশি স্বর শুনে বলল
-আম্মু ! আম্মু চলে এসেছে !
-খাইছে ! এখন ? এখন যদি তোমার বাবা মা আর আমার বাবা মা মারামারি শুরু করে ?

আমরা দুজন একটা মারামারির আশংকা নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম ! তখনই আমার মায়ের আওয়াজ পেলাম ! আমার মা বলল
-আপনাদের ঝগড়া শেষ হয়েছে ? দেখুন আপনাদের দুজনের অযথা রেশারেশির জন্য আমি আমার ছেলের পছন্দকে গলা টিপে মেরে ফেলতে দেবো না ! দেখুন ভাই সাহবে নিশিকে আমাদের অনেক পছন্দ হয়েছে আর আমার অপুকেও কিন্তু আপনার অপছন্দ হবে না !

নিশির বাবা বলল !
-কিন্তু ছেলে তো কিছু করে না ! আমি এমন ছেলের কাছে আমার মেয়ে দিবো না !
আবার বাবার কন্ঠস্বর শোনা গেল !
-বিয়ে দিবো না কি রে ! বিয়ে তো অলরেডি হয়ে গেছে ! তোমার দেওয়া না দেওয়ার কেয়ার কে করছে ?
মা বলল
-আপনি চুপ করেন ! দেখুন ভাই, এখন কিছু করে না সত্য কিন্তু সামনে করবে ! আপা আপনি কি চান বলেন ? মেয়ের সুখ চান নাকি অন্য কিছু ! শান্তি পূর্ণ ভাবে আমরা এটার সমাধান করতে পারি আবার ঝামেলার ভিতর দিয়ে যেতে পারি !
-কিন্তু ?
-এখন কিন্তু করে কি লাভ আছে ? যা হবার হয়ে গেছে ! এটাকে মেনে নেওয়া টা কি ভাল নয় ? তারপর উপর এই উছিলা দিয়ে উনাদের দুজনের ঝগড়া টা অবসান হবে ! এটা কি আপনি চান না ?


আরও কথা বার্তা হতে লাগলো ! আমি নিশির দিকে তাকিয়ে দেখি ও কি যেন ভাবছে !
-এই কি ভাবছো ?
-দেখো না একটু এডভেঞ্চার হবে ভেবে তোমার সাথে পালিয়ে বিয়ে করলাম এখন দেখি সবাই মেনে নিচ্ছে !
নিশির মুখে হাসি ফুটছে ! ও মোটামুটি ভেবে নিয়েছে যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাচ্ছে ! কিন্তু একটু আগেও ওর মুখ ছিল শুকনো !
বললাম
-তাহলে চল এখন এখান থেকে পালিয়ে যাই !
-কোথায় যাবা ?
-আমার কাছে হাজার পাঁচেক টাকা আছে জমানো ! চল যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাই ! টাকা শেষ হলে আবার ফিরে আসবো !
তাকিয়ে দেখি নিশির চোখ চকচক করছে উত্তেজনায় !
-চল !
-সত্যি ?
-হুম সত্যি ?

তখনই শুনতে পেলাম আব্বা আমাদের দুজন কে নাম ধরে ডাকছে বসার ঘরে যাওয়ার জন্য !
-যাবে না ?
-চল !

আমরা দুজন উঠে দাড়ালাম ! তবে বসার ঘরে যাওয়ার জন্য না !
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×