somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ অপরিচিত প্রেমিকা

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



-সজল ?

একটা গাছে ঘেরা বাগান বাড়িতে বসে ছিলাম ! যেদিকে চোখ যায় কেবল গাছ আর গাছ । তবে গাছ গুলো কেমন যেন অপরিচিত মনে হল ! সব গুলোর রং এ সবুজের সাথে কেমন একটা গোলাপী গোলাপী ভাব আছে । আমি একটা কাঠের বেদীতে বসে আছি ।
কেউ যেন আমার সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে ।
একটা মেয়ে । আমি যতবারই মেয়েটার চেহারা দেখার চেষ্টা করি ততবারই মেয়েটার মুখ দেখতে পারি না !
কিছুক্ষন পরপরই মেয়েটা আমার সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে । একবার ভাবলাম মেয়েটাকে ডাক দেই ।
মেয়েটার সাথে কথা বলা জরুরী । যখনই ডাকতে যাবো ঠিক তখনই মেয়েটা আমাকে ডেকে বসলো !

-সজল ! সজল !
আরে এই মেয়ে আমার নাম জানলো কিভাবে ? কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মেয়েটার কন্ঠ এমন ফ্যাকাসে শোনাচ্ছে কেন ?
-সজল ?
ঠিক তখনই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল ! তাকিয়ে দেখি আমি ফোন কানে নিয়ে কথা বলছি ! কার ফোন কে জানে ?
চোখ কান খুলে কোন রকম নাম্বারটা দেখার চেষ্টা করলাম !

রাতে ঘুমাতে দেরি হয়েছে, এতো সকালে কি ঘুম ভাঙ্গে ?
ঘুমের কারনে মোবাইল স্ক্রিনে ঠিক মত নামটাও পড়তে পারলাম না ! তখনও ওপাশ থেকে আমার নাম ধরে ডেকে চলেছে কেউ ! তাও আবার কোন একটা মেয়ে !
আমি কোন রকমে বললাম
-হুম ! কে ?
-কে মানে ? তুমি এখনও ঘুমাচ্ছো ?

প্রেমিকা যেমন প্রেমিকের উপর খবরদারি করে ওপাশের মেয়েটার কন্ঠস্বর শুনে আমার ঠিক এমন মনে হল । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মেয়েটা আমার উপর এমন করে খবরদারি করছে কেন ? আমার তো কোন প্রেমিকা কিংবা গার্লফ্রেন্ড নাই । তাহলে ?
আমি ঘুমের ঘরেই বললাম
-এখন ঘুমানোর সময় নাকি ? ঘুমাবো না তো কি করবো ?
-সজল ! এখন দশটা বাজে ! তোমার না আমার সাথে ১০ টার সময় দেখা করার কথা !
-দেখা ! আপনার সাথে ? কে আপনি ?
-আমি কে ? আমি কে ?

ওপাশ থেকে যেন বোমা ফুটলো ! ঠিক তখনই আমার ঘুমের ঘোর টা চট করে কেটে গেল ! আর আস্তে আস্তে মনে পড়ে গেল সব !
মিরা ?
খাইছে ।
আমি বিছানা থেকে উঠতে উঠতে মিরা ফোনের ওপাশ থেকে চিৎকার করে বলল
-তুমি যদি আর আধাঘন্টার ভিতর এখানে না আসো তাহলে তোমার কিন্তু খবর আছে ?
-আরে আধা ঘন্টা ? মাত্র আধা ঘন্টায় কি হবে ? বাধরুমেই তো ৩০ মিনিট চলে যাবে !
-বাধরুমে যাওয়া লাগবে না ! তুমি এখনই এখানে আসবা ! কোন কথা শুনতে চাই না !
-মানে কি ? এটা আবার কি ধরনের কথা ?
-একদম চুপ । যদি ৩০ মিনিটের ভিতর না আসতে পারো তাহলে আজকেই তোমার সাথে আমার রিলেশন ব্রেক আপ ! মনে থাকে যেন !

আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মিরা ফোন রেখে দিল ! আমি খানিটা সময় বোকার মত বসে রইলাম ! মেয়েটার মাথায় আসলেই সমস্যা আছে মনে হচ্ছে । তাহলে আমার সাথে এমন আচরন করছে যেন কত দিনের না পরিচয় আমার সাথে !
তবে বুকের ভেতর কেন জানি একটা সুখের আনন্দ বইতে লাগলো ! কেন লাগলো ঠিক জানি না !


মিরার সাথে পরিচয় গত কালকে বিকেল বেলা ! টিউশনীতে যাওয়ার আগে মাঝে মাঝেই ঐ পার্কটাতে হাওয়া খাই । মানুষজন দেখি । তাদের কাজ কারবার দেখি ! তেমন ভাবেই অনেকক্ষন ধরেই মেয়েটাকে দেখছিলাম । পার্কের এই দিকটাকে একা একা কার জন্য যেন অপেক্ষা করছে । মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে যে কিছু একটা নিয়ে চিন্তিত ! অথবা কোন কারনে মেয়েটার মন খারাপ !


আসলে আজকে পার্কে ঢুকেছিলাম একটা কাপলের পিছন পিছন । ঠিক ইয়াং কাপল না । আঙ্কেল ভাতিজি কাপল । লোকটার বয়স কম করে হলেও চল্লিশ ! অন্য দিকে মেয়েটার পরনে কেবল মাত্র পরিচিত একটা কলেজ ড্রেস ! বাস থেকে নেমেই দেখি তারা হেটে চলেছে । কি মনে হল তাদের পিছন পিছন এসে ঢুকলাম ! দেখতে দেখতে আঙ্কেল আর ভাতিজি পার্কের একেবারে কোনার দিকে একটা বেঞ্চে বসল । তারপর কি কাজ শুরু করলো তা আর নাই বলি ।
তবে আমাকে দেখে মেয়েটা বিশেষ করে একটু অস্বস্থি বোধ করছিল । শেষে আর না পেরে উঠেই চলে গেল তারা ! আমিও উঠে যেতাম তখনই মেয়েটাকে দেখলাম ! কলাপাতা রংয়ের এক সালোয়ার কামিজ পরে আছে ! সবুজের মাঝে হালকা গোলাপী । একা একা কি যেন ভাবছে ।


হঠাৎ মেয়েটার ফোন বেজে উঠলো । মেয়েটা ফোন রিসিভ করলো । কিছু কথা বলল । দেখলাম কথা বলতে বলতেই মেয়েটার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো !
কিছু একটা হয়েছে নিশ্চই অপর প্রান্ত থেকে ! মেয়েদের এভাবে কাঁদতে দেখলে আসলেই খানিকটা খারাপ লাগে ! আমার নিজেরও খানিকটা খারাপ লাগলো ! মন খারাপ নিয়েই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি টিউশনীর সময় হয়ে গেছে । পার্কের গেটের কাছে গিয়ে আবারও ফিরে চাইলাম মেয়েটার দিকে । মেয়েটা ততক্ষনে নিজের চোখ মুছে নিজেকে খানিকটা সামলে নিয়েছে । কিন্তু মেয়েটির বিষন্ন মুখে দিকে তাকিয়ে কেমন বুকের ভিতর একটা মোচড় লাগলো ! তখনই একটা বোকার মত কাজ করতে মন চাইলো !


গেটের পাশেই একটা আইসক্রিম ওয়ালা দাড়িয়ে ছিল । দুটো কোণ আইসক্রিম কিনে মেয়েটির দিকে দৌড় দিলাম ! একেবারে থামলাম মেয়েটির সামনে । এমন একটা ভাব করলাম যেন আমি অনেক দুরে থেকে দৌড়ে এসেছি ! আমাকে এভাবে দৌড়ে আসতে দেখে মেয়েটি একটু চমকে উঠলো ! আমি হাঁপানোর ভাব করে বলল
-সরি ! অনেক দেরি হয়ে গেল ! দেখো এতো জ্যাম ছিল ! পুরো রাস্তা দৌড়ে এসেছে । আমি জানি তুমি অনেকক্ষন ধরে অপেক্ষা করছো ! প্লিজ রাগ কর না ! এই নাও ! তোমার পছন্দের পোলারের কোণ আইসক্রিম খাও !

এই বলতে বলতে মেয়েটার পাশে বসে পড়লাম !
যেন খুব হাঁপিয়ে গেছি এমন একটা ভাব ! মেয়েটা আইসক্রিম হাতে নিয়ে আমার দিকে এখনও খানিকটা অবাক হয়েই তাকিয়ে আছে ।
-আপ....।
কিছু বলার আগেই আবার বললাম
-আরে বাবা বলললাম তো সরি ! দেখো প্লিজ রাগ কর না ! এমন ভাবে মন খারাপ থাকলে আমি কোথায় যাবো বল ? মানুষের কি দেরি হতে পারে না ? পারে না বল ? প্লিজ রাগ করে থেকো না !


-হুম ! রাগ করে থাকতে নেই !

কথা টা আমি বলি নি ! বলল সামনে দাড়িয়ে থাকা এক বৃদ্ধ । তবে ঠিক বৃদ্ধ না, ৫০ থেকে ৬০ এর ভিতরে বয়স । কোন সরকারী অফিসার মনে হল ! পরনে বিকেলের জগিং ট্রাক শু ! হাটছিল মনে হয় ! আমার কথা শুনে আর মেয়েটির বিষন্ন মুখ দেখে মনে হয় থামেছে আমাদের সামনে ।
আমি বৃদ্ধের কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বললাম
-দেখুন তো, আঙ্কেল ! কি কান্ড ! রাস্তায় কি জ্যাম আপনি তো জানেনই ! এই মাত্র ৩০ মিনিট লেট হয়েছে আর এরই ভিতর কেঁদে কেটে অস্থির ! এমন অবুঝ মেয়েকে নিয়ে আমি কোথায় যাবো বলেন ?
আঙ্কেল বলল
-তা তো ঠিকই ! রাস্তার অবস্থা তো একটু বোঝা উচিৎ !
-হুম ! আপনি তো নিশ্চই কোন না কোন সময়ে আন্টিকে সময় দিয়ে ঠিক মত আসতে পারেন নি ! এমন টা সবার জীবনেই তো হয় তাই না !

কয়েক মুহুর্ত আঙ্কেল তো কোথায় যেন হারিয়ে গেল ! মনে হল যেন পুরানো দিনের কিছু মনে করছে । বলল
-তা বলছো ! একবার তো তোমাদের আন্টি আমাকে ঘরেই ঢুকতে দেন নি দেরি করে আসার জন্য ! হা হা হা ! সারা রাত সেই করিডরে থাকতে হয়েছে ।
বলতে বলতেই আঙ্কেলের চোখ মুখ কেমন করুন হয়ে গেল !
আমি বললাম
-দেখেন আঙ্কেল আমাকেও সারা টাত এখানে এভাবে বসে থাকতে হয় ? মিরা যদি আমার উপর রাগ করে এখন চলে যায় আমি কি করবো বলেন ! আমার তো ......
আমি কথা শেষ করলাম না !

দেখলাম বৃদ্ধ আঙ্কেল আমাদের মাঝখানে বসে গেল । মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বলল
-তোমার নাম মিরা ?
মেয়েটি বলার আগেই আমি বললাম
-জি ! মিরা !
-আর তুমি !
-আমি সজল !
-আচ্ছা শুনো মিরা......
লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি একটু দুরে যাও তো !
-দুরে যাবো ?
-হুম ! যাও ! দুরে যাও !

অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমি দুরে গিয়ে দাড়ালাম ! মনে মনে হঠাৎই ভয় হল মিরা মানে মেয়েটি আবার সব কিছু বলে না দেয় । যদি মেয়েটি বলে দেয় যে আমি ওকে চিনি না তাহলে ?
অবশ্য এতে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই । আঙ্কেল মনে করবে আমার উপর রাগ করেই মেয়েটি এমন বলছে !

কয়েক মিনিট পরেই দেখলাম আঙ্কেল আমাকে হাতের ইশারায় করে ডাকলেন ! আমি গিয়ে দাড়াতেই বললেন
-আমি ওকে সব বুঝিয়ে দিয়েছি ! তুমি এবার থেকে বাসায় থেকে বের হওয়ার সময় একটু আগে আগে বের হবে ! মনে থাকবে ?
-জি আঙ্কেল । মনে থাকবে !

আঙ্কেল আমাদের রেখে আমার আবার জগিং শুরু করলো ! মেয়েটা ততক্ষনে কোণ আইসক্রিম খুলে খাওয়া শুরু করেছে । আমার এবার কেন জানি একটু অস্বস্থি লাগা শুরু করলো । যেই জোশ নিয়ে কোন কিছু না ভেবেই কাজটা শুরু করেছিল এখন সেই জোশ কোথায় হারিয়ে গেল মুহুর্তেই ! মনে মনে এখান থেকে পালিয়ে বাঁচি !

আমাকে খানিকটা অবাক করে দিয়ে মেয়েটি বলল
-কি হল দাড়িয়ে কেন আছো ? বস !
-বসবো ?
-বসবা না তো কি করবা ? রাগ ভাঙ্গাতে কাকে কাকে টেনে নিয়ে এলে এখন রাগ পড়ে গেছে আর বসতে ইচ্ছে করছে না ?
-না মানে ..... আসলে .....
-কি ? মানে মানে করছো কেন ?
-আসলে টিউশনীর সময় হয়ে যাচ্ছে ।
-তার মানে এখন চলে যাবে ?
আমি খানিকটা কাচুমুচু করে বললাম
-আসলে যাওয়া দরকার ! টিউশনীতে দেরি হলে আবার.....

মেয়েটা কি যেন ভাল কিছুক্ষন ! তারপর বলল
-আচ্ছা, এখন যাও তাহলে ! কিন্তু কালকে ঠিক সাড়ে দশটায় এখানে হাজির হবা ! মনে থাকবে ?
-থাকবে !
-থাকবে না ! আমি জানি ! কই তোমার মোবাইল দেখি !
-মোবাইল ? মোবাইল দিয়ে কি করবে ?
-দিতে বলছি দাও !

আমি কোন কথা না বলে পকেট থেকে মোবাইল বের করে দিলাম ! মেয়েটা কি যেন টেপাটেপি করলো ! তারপর আমার কাছে মোবাইল টা ফেরৎ দিয়ে বলল
-কালকে সময় মত হাজির হয়ে যাবে । দেরি যেন না হয় !


মিরা বলেছিল দেরি না হয় কিন্তু যখন পার্কে পৌছালাম তখন অলরেডি সাড়ে দশটা পার হয়ে গেছে । ঠিক সেই খানে এসে দেখি মিরা সেখানে বসে আছে । তবে তাকে দেখে একটু যেন চমকালাম । আজকে তাকে দেখতে কালকের থেকে একটু অন্য রকম লাগছে । বলতে গেলে কালকের থেকে আজকে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে । চুল গুলো পরিপাটি করে সাজানো, পোষাক আষাকেও কালকের থেকে বেশ খানিকটা সাজানো গোছানো !

আমি খানিকটা ঢোক গিলতে গিলতে মিরার সামনে গিয়ে দাড়ালাম !
মিরা ঘড়ি দিকে ইংগিত দিয়ে বলল
-আজকেও লেট !
-ঘুমিয়ে ছিলাম !
-ঘুমিয়ে !! যাও তাহলে ঘুমিয়ে কাটাও ! এখানে কেন এসেছো ?
-না মানে ?
মেয়েটি এবার চোখে চোখ বলল
-সত্যি করে বল কেন এসেছো ? তোমার সাথে আমার এমন কোন সম্পর্ক এখন তৈরি হয় নি ! কালকের ঘটনা তুমি যেমন সিরিয়াসলি ভেবে চিন্তে কর নাই আমিও তেমনিই প্রশ্রয় দিয়েছি ! তাহলে ?
কিছুক্ষন চুপ করে রইলাম । তারপর বললাম
-তুমি কেন আসলে ? তুমিও নাও আসতে পারতে !
-হুম ! না আসলেই পারতাম । কিন্তু কেন যেন আসলাম ! কেন জানো ?
-কেন ?
-কালকে অনেক দিন পর রাতে আমি খুব আনন্দ নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম ! অনেক দিন পরে কঊকে ভেবেছি আনন্দ নিয়ে !
-আমাকে নিয়ে ?
-না তোমাকে নিয়ে কেন ভাববো ? কালকের ঐ আঙ্কেল কে নিয়ে ভেবেছি ! গাধা কোথাকার !
-ও তাই নাকি ! আচ্ছা বল তো ঐ আঙ্কেল তোমাকে ঠিক কি কি বলেছিল !
-কেন বলবো ?
-আরে কেন বলবা না ? শুনি না একটু !
-উহু ! বলা যাবে না !
আমি মিরার পাশে বসতে বসতে বললাম
-আচ্ছা তোমার নাম টাই তো জানা হয় নাই !
-কেন? মিরা !
-সত্যি মিরা ?
-তোমার কাছে মিরাই থাকুক ! ঠিক আছে !
এই মিরা মিষ্টি করে হাসলো ! মন জুড়ানো হাসি !

-আরে আজকেও তোমরা !
তাকিয়ে দেখি গতকালকের সেই বৃদ্ধ আঙ্কেল !
-আরে আঙ্কেল আপনি আবার !
-আমি আর কি করি বল ! সারা দিন এখানে সময় কাটাই ! বুড়া হয়ে গেছি তো !

বলতে বলতে আঙ্কেল আমার পাশে বসে পড়লো ! গতকালকে বসে ছিল মাঝ খানে আজকে বসলো আমি মিরার দিকে একটু সরে বসে আঙ্কেল কে বসে জায়গা করে দিলাম !

-বুঝলে ! কাল থেকে তোমাদের দেখে বড় ভাল লাগেছে । আমার যুবক বয়সটাও ঠিক এমন গেছে । বড় আনন্দের ! তোমাদের আন্টি এতো ন্যাকামো করতো ! পান থেকে চুন ঘষলেই আর রক্ষা নাই ! তবুও মেয়েটাকে কতই না পছন্দ করতাম ! কত ভাল বাসতাম !
-তারপর !
মিরাকে দেখলাম একটু আগ্রহী হয়ে উঠেছে !
-কালকে তো বলেছি একবার রাগ করে আমাকে বাসায় ঢুকতেই দেয় নাই ! একবার কি হয়েছে জানো .......

আঙ্কেল নিজের গল্প করতে লাগলো আমি মিরার দিকে তাকিয়ে দেখি ও মনযোগ দিয়ে সেই গল্প শুনছে । চোখে মুখে কালকের সেই বিষন্নতার সিটে ফোটাও নেই । বরং সেখানে একটা চাপা আনন্দ রয়েছে !
আমার জন্য ?
আমার কথা কি মেয়েটা রাতে ভেবেছে ?
আমার কথা ভেবে কি আনন্দ নিয়ে ঘুমিয়েছে ?

আমি জানি কাল রাতে মেয়েটি আমাকে নিয়েই ভেবেছে । যেমন টা ঘুমানোর আগে আমি তাকে নিয়ে ভেবেছি !



গতকাল ঘুম থেকে উঠেই দেখি হামা ভাইয়ের মেসেজ । আমাকে একটা গল্পের থিম দিয়ে বলল গল্পটা লিখতে । আমি এতোই এক্সসাইটেড হয়ে গেলাম যে একটা থিম নিয়ে দুইটা গল্প লিখে ফেললাম । হামা ভাইকে দেখালাম । উনার পরের টা বেশি পছন্দ হল । যাই হোক প্রথমটা এখন প্রকাশ করলাম । ২য় টা রাতের বেলা প্রকাশ করবো !
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×