somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ আজ স্বপ্ন দেখার দিন !

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি যখন তালা খুলছিলাম তখনও আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে মিতু আমার সাথেই রয়েছে । ঠিক আমার পেছনে দাড়িয়ে রয়েছে । আমার সাথে আমার ঘরে ঢুকার জন্য অপেক্ষা করছে । আমার দিকেই তাকিয়ে আছে নিশ্চয়ই । আমি বুঝতে পারছিলাম যে আমার বুকের ভেতরে যে সেই কখন থেকে ধুকধুক শুরু হয়েছে সেটা আস্তে আস্তে বাড়ছেই ।

আমি দরজা খুলে এক পাশে সরে দাড়ালাম । ওকে ভেতরে ঢুকতে ইশারা করলাম । মিতু একটু যেন হাসলো । তারপর দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকলো । আমি ওর পেছন পেছন ঢুকলাম !

মোহাম্মাদ পুরে ছোট একটা বাসা ভাড়া নিয়ে আমি থাকি । দুই রুম আর ড্রয়িং ডাইনিং এক সাথে । বেশি দিন হয় নি এই বাসাটা ভাড়া নিয়েছি । এখনও মিতুকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে নেওয়া হয় নি । আমি এতো দিন একটা মেসেই থাকতাম । ইচ্ছে ছিলো আর একটু গুছিয়ে নিলে মিতুকে তুলে আনবো । তখন একটা আলাদা বাসা নেওয়া যাবে । কিন্তু মিতুর পাশাপাশি কাছাকাছি থাকার একটা তীব্র একটা ইচ্ছে আমাকে এই বাসাটা ভাড়া নিতে বাধ্য করেছে । বুকের একটা আকাঙ্কা ছিলো যে মাঝে মাঝে মিতু হয়তো আমার ঘরে আসবে । দুজন বসে গল্প করবো । তবে সে হওয়ার সম্ভবনা ছিল অনেক কম । আমি শুরু থেকেই বুঝতে পারতাম যে মিতু যেমনটা স্বামীর স্বপ্ন দেখেছিলো আমি হয়তো তেমন কেউ ছিলাম না । তাই আমার কাছ থেকে ও দুরে দুরেই থাকতো । তবে আমার কেন জানি একটা ভরশা ছিলো ও একদিন আমার ভালবাসাটা বুঝতে পারবে ! জানি না এখনও পেরেছে কি না । তবে এটা হয়তো প্রথম ধাপ !

ঘরের আলো জ্বালানোর পরে মিতু ঘুরে ঘুরে ঘর দেখতে লাগলো । বিয়ের পর বলতে গেলে মিতু এই প্রথম আমার ঘরে এল । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-বাহ ! ঘর তো ভালই সাজিয়েছেন দেখছি !

আমি হাসলাম আবারও । মিতু বলল
-না সত্যি বলছি ! আমার পছন্দ হয়েছে আপনার ঘর !

আমি বললাম
-আমাদের ঘর !

কথা শুনে মিতু হাসলো । কথাটা যেন ওর পছন্দ হয়েছে । তবে কিছু বলল না । আমি কিছু বলতে যাবো ঠিক তখনই আমার ফোনে চলে এল । স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখি মিতুর বাবা ফোন দিয়েছে । এই নিয়ে উনি বেশ কয়েকবারই ফোন দিয়েছে । যখন মিতুর জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছিলো তখনও ফোন দিয়েছে । ওর ফোন নাকি বন্ধ পাচ্ছে । আমি ওর সাথে আছি দেখে আর কিছু জানতে চায় নি । আমি বলেছিলাম খাওয়া দাওয়া শেষে আমি ওকে বাসায় পৌছে দিব । এখন রাত হয়ে গেছে দেখে আবার ফোন দিয়েছে । আমি ফোনের মিতুর দিকে তুলে ধরলাম । মিতু হাত দিয়ে ইশারা করলো যে ও ধরবে না !

বাধ্য হয়ে আমাকে রিসিভ করতে হল । সালাম দেওয়ার পর বললাম
-হ্যালো আব্বা
-তোমরা কোথায় ?
-এই তো আব্বা ! আসলে ......

আমি কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না । একটা অস্বস্থি কাজ করছিলো । মিতুর দিকে তাকিয়ে দেখি ওমুখ টিপে হাসছে । আমাকে বিব্রত হতে দেখে যেন মজা পাচ্ছে । আমি বললাম
-আসলে বাবা মিতু হঠাৎ আমার বাসায় আসতে চাইলো ।
ওপাশ থেকে কিছু সময় মিতুর বাবা কোন কথা বলল না ।যেন বুঝতে পারছে না কি বলবে । বুঝতে পারছি উনিও খানিকটা অস্বস্থিতে পড়ে গেছে । তারপর দ্রুত বলল
-আচ্ছা । সমস্যা নেই । রাতে খেয়ে নিও ।
-জি আব্বা !

আমি ফোন রাখার সাথে সাথে দেখি মিতু হাসতে হাসতে গড়িয়ে পরছে । আমি ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম অবাক হয়ে । কোন মতে হাসি থামিয়ে বলল
-তা শ্বশুর জামাইয়ে কি কথা হল !
-আমাকে এ অবস্থায় ফেলে তোমার মজা লাগছে! তাই না ?
-খুব !
মিতু হাসতেই লাগলো ।

আমি বলল
আচ্ছা আমি গোসলে ঢুকি ! তুমি ফ্রেস হয়ে নাও । রাতে কি কিছু খাবে আর ! বুয়া রান্না করে রেখে গেছে ।
-আমি কিছু খাবো না । আপনি গোসল করে আসুন !


শোবার ঘরের বাথরুমটা ওর জন্য ছেড়ে দিয়ে আমি কমন বাথে ঢুকলাম গোছলের জন্য । একটু যেন সময় নিয়েই গোসল করলাম । গায়ে ঝরনার পানি পড়ছিলো আর আমার পুরানো কথা গুলো মনে যেন চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো । কিভাবে মিতুকে প্রথম দেখলাম । আর আজকে ও আমার বৌ হয়ে আমার ঘরে !

বন্ধু সজিবের বিয়ে অনুষ্ঠান ছিল সেদিন । ধানমন্ডির একটা কমিউনিটি সেন্টারে হচ্ছিলো সেটা । আমি বিরক্ত মুখে বসে ছিলো । বিয়ে আগেই হয়ে গেছে । এখন কেবল অনুষ্ঠান । খাওয়া দাওয়া চলছে । আমি এক একটা টেবিলে বসে চুপ চাপ খাচ্ছিলাম । ঠিক সেই সময়েই আমি মিতুকে দেখতে পাই ।

অন্যান্য মেয়েরা যেখানে বিয়ের সাজ দিয়ে পাল্লা দিয়ে সেখানে মেয়েটা তেমন কিছুই সাজে নি । কিন্তু তবুও আমার কাছে কেবল মনে হল আমি পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর আমার মায়াময় মুখটা দেখছি । শ্যামলা চেহারার মেয়েটাকে দেখে আমার খাওয়া আটকে গেল । আমি আর কিছু খেতেই পারলাম না ।

নিজের মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে কয়েকটা ছবি তুলতে পারলাম । কিন্তু আমি জানি আমি কি ঝামেলার ভেতরে পড়ে গেছি । আমার নিজের ভেতরের পরিবর্তনের ব্যাপারটা আমি ঠিক ঠিক বুঝতে পারছিলাম । যতটা সময় মিতু সেখানে ছিল ওদের পেছন পেছনেই থাকতাম । লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে লাগলাম মেয়েটাকে ।

মিতুর নাম পরিচয় বের করতে খুব বেশি সময় লাগলো না । সজিবের কোন এক আত্মীয় হয় ওরা । আমার জন্য ব্যাপারটা সহজ হয়ে গেল । কোন ভনিতা না করে সজিবকে বললাম সব কিছু । ও বলল যে ও দেখবে ব্যাপারটা ! তবে আমি সেখানেই থেমে ছিলাম না । মাঝে মাঝে ওর ক্যাম্পাসে চলে যেতাম । ও যেহেতু আমাকে চিনতো না তাই আমার জন্য ব্যাপারটা একটু স হজ হল । ওকে দেখতাম দুর থেকেই । বন্ধুদের সাথে ক্লাসের শেষে গল্প করছে হাসছে । রিক্সা করে বাসায় আসছে । মার্কেটে যাচ্ছে । অনেক কিছু । ডায়রী লেখার অভ্যাস ছিল বসে কথা গুলো লিখে রাখতাম । আর ওর সাথে কল্পনাতেও কত কথ বলেছি কে জানে । ঘরে ফিরে পুরো লেখা গুলো পড়তাম । মিতুকেই চোখের সামনে দেখতে পেতাম যেন ।

তারপর সজিবের মাধ্যমেই বিয়ের কথাটা গেল ওদের বাসাতে । আমার চাকরিটা খুব একটা আহমরি ছিল না, আমার একটা ভয় ছিলো যে ওরা হয়তো মানা করে দিবে । তবে সজিব কি করলো জানি না দেখলাম ওরা রাজি হয়ে গেল । আমি যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম । তবে সেটা তখনও আকাশেই ছিল আমার দরা ছোয়ার বাইরে । মিতু আমাকে ঠিক পছন্দ করলো না । হয়তো ও যেমন আশা করেছিলো তেমনটা আমি ছিলাম না । ওর বড় দুই বোনের স্বামীরা বেশ ভাল চাকরি করতো । এটাও একটা কারন হতে পারে । এটা থেকেই আমি চেষ্টা করতে লাগলাম যে আমাকে আরও ভাল কিছু করতে হবে । চাকরির বয়স তখনও বেশ ভালই ছিল । উঠে পড়ে লেগে গেলাম ।

মিতু আমার সাথে ঠিক কথা বলতো না । খানিকটা এড়িয়ে এড়িয়ে চলতো হয়তো । তুলে নেই নি বলে আমাদের দেখা সাক্ষাত হত না । মাঝে মাঝে যেতাম ওদের বাসাতে । মিতু অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও আমার সামনে আসতো । আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকতাম । খাবার টেবিলে মিতুর বাবা অনেক কথা বলতো । মিতু এই অবহেলা আমি মেনেই নিয়েছিলাম । অপেক্ষা করছিলাম যে আমার ভাল কিছু একটা হলে ও নিশ্চয়ই সব কিছু কাটিয়ে উঠবে । তখন আমাদের চমৎকার একটা সংসার হবে ! মিতুর সাথে কথা না হলেও আমার ডায়রিতে প্রতিদিন ওর সাথে কথা হত । ওকে কি ভাবে ভালবাসি সেটা আমি ওকে বলতাম আমার লেখাতে !



গোসল সেরে যখন বাইরে বের হলাম আমাকে একটু অবাক হতে হল । খাবার টেবিলে খাবার সাজানো । দেখেই বুঝা যাচ্ছে সেগুলো গরম করা হয়েছে । মিতুর দিকে তাকিয়ে সব থেকে বেশি অবাক হলাম । ওর পরনে আমার একটা টিশার্ট আর আমারই একটা থ্রিকোয়াটার প্যান্ট ! নিজের পার্টি পোষাক বদলে ও আমার কাপড় পরেছে । আমাকে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে মিত হেসে বলল
-আপনার অনুমুতি না নিয়ে আপনার টিশার্ট পরলাম । আসলে রাতে অতো ভারি পোষাক পরে ঘুমানো যাবে না তো !
-না না ঠিক আছে !
-আসুন খেতে আসুন !

সত্যি বলতে কি আমার কাছে সব কিছু স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে । আমি আমার ডায়রিতে যে কল্পনার কথা গুলো লিখতাম তার ভেতরে এই দৃশ্যটা অনেকবার এসেছে । আমি গোসল শেষ করে এসেছি । মিতু আমার জন্য টেবিলে খাবার সাজিয়ে রাখছে !

রাতের বেলা মিতু অনেক কথা বলল । এতো কথা বলবে আমি ঠিক ভাবি নি । ভেবেছিলাম আমিই বেশি কথা বলবো । বেশ রাত করেই ঘুমাতে গেলাম । সেখানে বাঁধলো আরেক সমস্যা । হিসাব মত মিতু আমার স্ত্রী কিন্তু সেটা কেবলই কাগজে কলমে । তাই ও হয়তো রাতে একই সাথে ঘুমাতে অস্বস্তি বোধ করছিলো । আবার আমাকে সেটা বলতেও পারছিলো না । ওকে শোবার ঘরে ঘুমাতে বসে আমি সোফার উপর চলে এলাম । এক সাথে থাকা হয়তো সামনে আরও অনেক হবে । আজকের জন্য এই ভাল লাগা টুকুই থাকুক !


সকাল বেলা আমি যখন অফিসের জন্য বের হচ্ছি মিতু তখনও ঘুমিয়ে । যাওয়ার সময় ওকে ডেকে তুললাম না । ঘুমাক । কাল অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ছিল । বিছানার পাশের টেবিলে একটা ছোট নোট রেখে গেলাম । আর একটা এক্সট্রা চাবি । নোটে লিখে আসলাম যে যাওয়ার যেন দরজা লাগিয়ে যায় । আর যে কোন দরকারে ফোন যেন করে !


আমি সত্যিকার অর্থেই অনেক বেশি আনন্দময় মেজাজে ছিলাম । কিন্তু দুপুরে মিতুর ফোন পেয়ে খানিকটা অবাক হয়ে গেলাম । মিতু কান্নার জড়িতো কন্ঠে আমাকে বলল
-তুমি এখনই বাসায় আসো !
মিতু কাঁদছে !
আমি কোন মতে বললাম
-কি হয়েছে ?
মিতু আরও একটু ফোঁফাতে ফোঁফাতে বলল
-তুমি এখনই বাসায় আসো ! এখনই ।

দুপুরে আমার ঠিক বাসায় হয় নি । কিন্তু আজকের ঘটনা ভিন্ন । বস কোন রকম বলেই আমি অফিস থেকে বের হয়ে গেলাম । বাসায় পৌছাতে আরও ঘন্টা খানেক পার হয়ে গেল । প্রতিটা সময় আমি কেবল চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছি । এই টুকু সময়ের মাঝে আবার কি হয়ে গেল । কয়েকবার ফোন দিলাম কিন্তু ও ফোন ধরলো না ।

আমি যখন দরজা খুলে ভেতরে ঢুকছি তখনও আমার বুকের ভেতরটা ধুপধুপ করছে । ওর যদি কিছু হয়ে যায় আমি কিভাবে ঠিক থাকবো আমি জানি না । আমি আসলেই জানি না ! আমি আর কিছু ভাবতে চাইলাম না !

দরজা খুলে বসার ঘরে দাড়াতেই মিতুকে দেখলাম । শোফার উপর পা তুলে বসে আছে । সামনে আমার লেখা ডায়রি খোলা । ওর চোখ ভেজা তখনও ! আমাকে ঘরে ঢুকতে দেখেই মিতু ডায়রী ফেলে উঠে দাড়ালো । তারপর এল দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো । আমার বুকে মাথা রেখেন যেন ওর কান্নার বেগ আরও বাড়লো । আমি কোন রকমে বললাম
-কি হয়েছে ? কাঁদছো কেন ?
মিতু সে প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আরও কিছুটা সময় ফোঁফাতে লাগলো ! তারপর বলল
-আমাকে কেন এতো ভালবাসো তুমি ? কেন ? আমি তো দেখতে ভাল না । কালো একটা মেয়ে ! তবুও কেন এত....।

ওকে নিয়ে লেখা কথা গুলো এতো সময় পড়ছিলো ও । হঠাৎ আমার বুকের ভেতরে একটা তীব্র আন্দোলন হল । আমার সব কিছু মিতু জেনে গেছে । একই সাথে একটু অস্বস্থি আর তীব্র একটা আনন্দবোধ করলাম আমি । আমি ওকে থামিয়ে দিয়ে বললাম
-চুপ ! আমার বউকে কেউ কালো বলবে সেটা আমার পছন্দ না । আমার বউ হচ্ছে হচ্ছে পৃথিবীর সব সুন্দর বউ !

মিতুর কান্নার বেগ যেন আরও একটু বাড়লো । কতটা সময় ওকে জড়িয়ে ধরে ছিলাম আমি জানি না । তবে আমার নিজের কাছেই ভাল লাগছিলো অনেক বেশি । একটা মিতু আমার বুকে মাথা রেখেই বলল
-আমাকে তুমি মাফ করে দাও । তোমাকে যে অবহেলা করেছি সেটা আমার একদম উচিৎ হয় নি । আর তুমি যেমন আছো যেভাবে আছো এখন থেকে আমার সব কিছু তুমি ! তোমার আর ভাল চারকরি পেতে হবে না । কিছু করতে হবে না আমার জন্য !


আমার নিজেও কেন জানি চোখ সিক্ত হয়ে উঠছিলো । মিতুর কন্ঠই বলে দিচ্ছে আমি যে ঠিক যে যে সপ্ন দেখেছিলাম ওকে সেগুলো সব সত্যি হতে চলেছে । অথবা এরই ভেতরে অনেকটাই সত্যি হয়ে গেছে ।

আমি ওকে বললাম
-একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছো ?
-কি !
-তুমি আমাকে আপনি বাদ দিয়ে তুমি বলা শুরু করেছো !

মিতু হেসে ফেলল । তারপর আরও একটু শক্ত করেই যেন আমাকে জড়িয়ে ধরলো । জীবনের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার দিন গুলো যেন শুরু হয়ে গেছে আমার !
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭
১৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×