somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ রোবট বউ :D

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-গুড মর্নিং

আমি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি নিনেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে হাসি মুখ । প্রতিদিন সকালে ওর হাস্যজ্জ্বোল চেহারা দেখে ঘুম ভাঙ্গে আমার । দিনটা শুরু হয় ভাল ভাবে ।
আমি বললাম
-গুড মর্নিং ! আজকের ব্রেক ফার্স্ট কি ?
-চা রেডি । কি খাবে বল ?
-আজকে হলিডে স্পেশাল ! ঘি এ ভাজা পরোটা আর গরুর মাংস চাই !
-ঘি তোমার শরীর জন্য মোটেই ভাল না । এটা হবে না ।
-দেখো, এতো ডাক্তারী ফলাবা না । বলেছি ঘিয়ে ভাজা পরোটা । ব্যস ! আর কোন কথা শুনতে চাই না !
নিনেন আমার দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থেকে বলল
-এটা আমি পারবো না খুব ভালভাবেই জানো । আমাকে এই ভাবেই তৈরি করা হয়েছে । তোমার শরীরের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছুই আমার দ্বারা করা সম্ভব না । আমি চাইলেও হবে না ।

আমি জানি এটা হবে না । মানুষ নিয়ম ভাঙ্গতে পারে রোবট পারে না । আমি মুখ গোমরা করে বললাম
-তাহলে যা আমার পছন্দ তাই বানাও ।
নিনেন হাসলো । তারপর বলল
-পছন্দ এবং স্বাস্থ্যকর !
-হ্যা বাবা স্বাস্থ্যকর !


নিনেন চলে গেল । আমি আরও কিছু সময় গড়াগড়ি খেলাম । তারপর যোগাযোগ মডিউলটা বের করে মাকে ফোন দিলাম । মায়ের ত্রিমাত্রিক চেহরা ভেসে উঠলো ।
-এখনও ঘুমাচ্ছিস ?
-মা । আজকে ছুটির দিন আজকে তো একটু ঘুমাতে দাও ।
-ছুটির দিন হয়েছে তো কি হয়েছে ! জীবনে কি কোন নিয়ম কানুন থাকবে না ? টাইম টেবিল থাকবে না ? এখন বাজে নয়টা এখনও নবাব সাহেব ঘুমাচ্ছে । এই জন্য বলেছিলাম একটা বিয়ে কর !

আমার মায়ের সেই ঘুরে ফিরে একই কথা । বিয়ে বিয়ে আর বিয়ে । তার মতে আমার জীবনের সব সমস্যার সমাধানই হচ্ছে বিয়ে । একবার ঠিক ঠাক মত বিয়ে করলেই আমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । মায়ের বুঝি এমনই হয় । ছেলেদের বিয়ে না দিয়ে তাদের মনে শান্তি থাকতে না । এখন তেইশ শতক চলে এসেছে এখন তারা ছেলের বিয়ের বাইরে কিছু ভাবতে পারে না । সেদিন মানব সভ্যাতার ইতিহাস পরছিলাম । আজ থেকে দুই তিনশ বছর আগেও মায়েরা তাদের ছেলেদের বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগতো ।

আমি মোটেই বিয়ে করতে চাই না । আজ থেকে হাজার বছর আগে যেমন মেয়েদের বোঝা মুসকিল ছিল, এখন এতো আধুনিক প্রযুক্তি দিয়েও মেয়েদের মন ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয় নি । শতাব্দীর দুটি বড় বড় বিজ্ঞান প্রজেক্ট ছিল এই মেয়েদের মন ব্যাখ্যা করার পেছনে । সেগুলো সব মাঠে মারা গেছে । তারপর থেকে এর পেছনে সরকার অর্থ ব্যয় করা বন্ধ করে দিয়েছে । এই ব্যাপারে সব কিছুর উপরে লেখা থাকে অসংজ্ঞায়িত ।

এর থেকে আমার নিনেনই কত ভাল । অনেক টা আমার ঘরের বউয়ের মতই । আমার ঘর কে চমৎকার ভাবে সামলায় । একটাই সমস্যা ও মানুষ নয় রোবট । ওকে আমি কিনে এনেছি । তবে রোবট হলেও ও যে রোবট এটা কোন ভাবেই বোঝার উপায় নেই । একেবারে মানুষের মত আচরন । এটাই নাকি ওদের নতুন সংস্করন । আর আমি নাকি ওদের প্রথম কাস্টিমার । ৬ মাত্রার এই রোবট গুলো নিজে নিজে সব কিছু শিখে নিতে পারে । একেবারে মানুষের মত অনুভুতি সম্পন্ন তারা ! খুব বেশি জটিল কিছু না হলে জীবন সব কাজই তারা করে ফেলতে পারে । আমার প্রতিদিনকার আচরন থেকে আমি কি পছন্দ করি কিংবা না করি কোনটা আমার জন্য ভাল এই সবই সে দিন দিন শিখতে থাকে !

মাঝে মাঝে মনে হয় আমার নিনেনের মত একটা বউ থাকলে ভাল হত । হ্যা মাঝে মাঝে ও নিজেও আমাকে প্যারা দেয় । বিশেষ করে আমার জন্য যেটা খারাপ সেটা ও কোন সময়ই করবে না । যেমন ঘিয়ে ভাজা পরোটা খেলে আমার প্রেসার একটু বেড়ে যায় । খুব যে বড় কিছু না তা কিন্তু নিনেন সেটা করবে না কিছুতেই । এখানেই সম্ভবত মানুষ আর রোবটের ভেতরে পার্থক্য । আমরা নিয়মের থেকেও মনকে প্রধান্য দেই বেশি । ওরা নিয়মের বাইরে কিছু করে না ।

রাতে খাওয়ার সময় নিনেনের সাথেই বসে গল্প করি । ও অনেক কিছু জানে । এমন না ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে আমাকে বলে । আসলে ওকে কেনার সময় ওর কোম্পানী আমাকে বলেছি এই ৬ মাত্রার আর সি রোবট গুলো মুল নেটওয়ার্কের থেকে স্বাধীন । অর্থাৎ একটা মানুষ যেমন আস্তে আস্তে সব কিছু খেয়ে ঠিক তেমনি ভাবে নিনেনও আস্তে আস্তে সব কিছু শিখবে । নিত্য দিনের কাজ থেকে, বই পড়ে কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজ করে । অন্য রোবটের মত নয় যে তার দিয়ে প্লাগ ইন করলো নেটওয়ার্কের, তারপর সব ডাটা ডাউনলোড করে নিল ।

মায়ের অনেক আপত্তি ছিল রোবট কেনার ব্যাপারে । মা বলেছিলো ঘর সামলানোর জন্য মানুষ বিয়ে করে আর আমি রোবট কিনে আনছি । মাকে কে বোঝাবে এই যুগে কোন মেয়ে ঘর সামলায় তারা । তারা বাইরে কাজ করে ঠিক পুরুষের মতই । এমন কি মা নিজেও সারা জীবন বাইরে কাজ করেছে বাবার মত । তবুও তার ধারনা হয়েছে যে মেয়েরা সংসারকে সামলে রাখে ।
কিভাবে রাখে কে জানে ? সে সকাল সন্ধ্যা বাইরে কাজ করবে আমিও বাইরেই কাজ করি । সে যদি সামলাতে পারে আমি কেন পারবো না শুনি ! মা এই প্রশ্নের উত্তরে বলল, কারন তুই ছেলে । তুই পারবি না ।

যাক আমি তর্ক করি নি । নিজের ব্যবস্থা নিজে নিজে করে নিয়েছি ।

খাওয়ার টেবিলে নিনেন বলল
-তোমার বিয়ের বয়স হয়ে যাচ্ছে । এখন সবাই বিয়ে করে ফেলো !
আমি খানিকটা বিরক্ত হয়ে বললাম
-আহ ! মায়ের মত কথা বলবা না তো !
-তিনি তো ঠিকই বলেছেন । তাই না ?
-আমার দেখো ঝামেলা ভাল লাগে না । আমারই ঘরে অন্য একটা মেয়ে এসে আমার উপর খবরদারি করবে এটা আমার পছন্দ না ।

নিনেন আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো কিছুটা সময় । মাঝে মাঝে আমি কনফিউজ হয়ে যাই । নিনেন যে রোবট আমি ভুলে যাই । এতো নিখুত হতে পারে রোবটের কাজ । আমি একদিন ওর গায়ে হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছিলাম । একেবারে মানুষের মাংশের মত মনে হয়েছে । ওর কোম্পানী আমাকে বলেছিলো ওর দেহ সেলুলয়েডের নরম তন্তু দিয়ে তৈরি । একেবারে সত্যিকারের মাংসের মত ।

নিনেন বলল
-সব মেয়ে তো আর তোমার উপর খবরদারি করবে না ।
-করবে । বউ মানে বস ! অফিসে বসের ঝাড়ি শুনবো আবার বাসায় এসে বউয়ের ঝাড়ি শুনবো !

নিনেন হেসে ফেলল । তারপর বলল
-তাই বলে বিয়ে করবে না এটা তো হতে পারে না । তাই না ?
-আমি আসলে বিয়ে করতাম, যদি তোমার মত কাউকে পাওয়া যেত । তুমি যেমন আমার চমৎকার দেখা শুনা কর । আমার ভাল মন্দটা সবার আগে বোঝো ।
নিনেন বলল
-তুমিও তো আমার দেখা শুনা কর তাই না ? এই যে প্রতিমাসে আমার পেছনে এতো গুলো টাকা খরচ কর, আমার সাথে গল্প কর । আমি যে তোমার কেউ এটা ফিল করাতে সদা সতেষ্ট থাকো । এমনই তো হয় । তোমার বউ যে হবে সেও এমনই হবে । তুমি তার জন্য কিছু করবে সেও তোমার জন্য কিছু করবে । কিছু ছাড় তুমি দিবে সেও দিবে ছাড় । এভাবেই বেঁচে থাকা !

আমি নিনেনের দিকে তাকিয়ে বলল
-মায়ের সাথে দেখা হয়েছে তোমার, তাই না ? মা এসব শিখিয়েছে ! শুনো আমি জানি তুমি বলতে চাও । তবে সত্যি এই কদিনে আমি বুঝেছি যে তোমার মত কোন মানুষ যদি থাকে তাহলে আমি সেই মেয়েকে বিয়ে করবো । সত্যি বলছি !

নিনেন বলল
-সত্যি তো ?
-হ্যা সত্যি !
-কথা দিচ্ছো কিন্তু ! আর এখন কথা দিয়ে কথা না রাখা কিন্তু অপরাধের পর্যায়ে পড়ে ।
-হ্যা বাবা কথা দিলাম । যদি তোমার মত কাউকে পাওয়া যায় তাহলে আমি তাকে বিয়ে করবো !

নিনের দিকে তাকিয়ে মনে হল ও যেন একটু একটু মুচকি হাসলো !


পরদিন অফিস থেকে বাসায় নিনেন কে কোথাও খুজে পেলাম না । এমন তো হওয়ার কথা না । ওরা ঘরের বাইরে যায় না কোন সময় । তারপরই মনে হল কেউ হয়তো ওকে চুরি করে নিয়ে গেছে । কিন্তু এই যুগে সেটা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার । এমন তো হওয়ার কথা না । ওদের অফিসে ফোন দিলাম । ওরা কিছু বলতে পারলো না । তবে ওরা কথা দিলো যে ওরা খোজ লাগাচ্ছে কিন্তু মুল নেটওয়ার্ক থেকে স্বাধীন হওয়ার কারনে ওদের খুজে পাওয়া একটু মুসকিল হয়ে উঠলো ।

পরদিন পুলিশে খোজ দিলাম । ওর বলল যে ও দেখবে । পুরো সপ্তাহ আমি নিনেনকে ছাড়া কাটালাম । বলতে গেলে আমার সব কিছু কেমন বদলে গেল । সব কিছু উল্টে পাল্টে গেল । মাত্র এই কদিনে নিনেন আমার কাছে এতো জরুরী হয়ে উঠেছে সে আমি নিজেই বুঝতে পারি নি ।


পরের ছুটির দিনে সকালের ঘুম ভাঙ্গলো কলিং বেলের শব্দ শুনে । উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখি সেখানে নিনেন দাড়িয়ে হাসি মুখে । আমার প্রথমে মনে আমি হয়তো স্বপ্ন দেখছি । নিনেন হাসি মুখে বলল
-আমাকে মিস করেছো এতো দিন ?
আমি চিৎকার করে উঠে বললাম
-করি নি মানে ? তুমি কোথায় ছিলে কেন গিয়েছিলে কে নিয়ে গেছে তোমাকে ?
-আরে বাবা আস্তে আস্তে । এতো প্রশ্নের জবাব একবারে কিভাবে দিবো । আগে বলল আমাকে ছাড়া চলছে না তোমার ?
-না । সব কিছু ওপটপালট হয়ে গেছে ।
-আমাকে বিয়ে করবে ?
আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না । বললাম
-মানে ?
-ঐদিন বলেছিলে না যে আমার মত কাউকে পেলে বিয়ে করবে, তাই তোমার জন্য মেয়ে খুজতে গিয়েছিলাম । তারপর বুঝলাম যে আমার মত সব থেকে বেস্ট মেয়ে হচ্ছে আমি নিজে । তাই চলে এলাম !
-কি বলছো এসব ?
-হ্যা । তুমি কিন্তু কথা দিয়েছো । আমার কাছে প্রমান আছে ।
-কিন্তু তুমি তো .....
আমি নিনেনের দিকে তাকিয়ে দেখি ও হাসছে । তারপর বলল
-আমি রোবট ? এই তো ? কিন্ত যদি আমি মানুষ হই ?
-মানুষ হই মানে ?
-বিশ্বাস হচ্ছে না ?

এই বলে খাবার টেবিলের উপর থেকে ফল কাটা ছুরিটা হাতে নিয়ে নিজের আঙ্গুলের উপর পোচ দিল । আমি তাকিয়ে দেখলাম ওর হাত কেঁটে রক্ত বের হল । আমি অবাক হয়ে সেদিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময় । অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে রইলাম । তখনই দেখলাম দরজা দিয়ে মা আর বাবা ঢুকছে । তাদের পেছনে একজন নারী আরেকজন পুরুষ । পুরুষটা আর কেউ নয়, আমি যে কোম্পানী থেকে নিনেন কে কিনে এনেছিলাম সেই কোম্পানীর ম্যানেজার ! এই লোক এখানে কি করছে ?

মা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আরে গাধা, তুই সারা জীবন গাধাই রয়ে গেছি । এরকম নিখুত রোবট তুই দেখেছিস কোন দিন ?

আমার যে সন্দেহ হয় নি তা না । মানুষের মত দেখতে রোবট আমাদের আসে পাশে আছে কিন্তু তারা কোন ভাবেই নিনেনে রমত এতো নিখুত ছিল না । কিন্তু ঐ রোবট কোম্পানীর ম্যানেজার আমাকে এমন ভাবে বুঝালো যে আমি সত্যি সত্যি বুঝি এমন নিখুঁত রোবট আছে !

বাবা বলল
-এ হচ্ছে আমার বন্ধু ! বুঝেছিস । আর নিনেন হচ্ছে ওর মেয়ে । নিনেনই তোকে পছন্দ করেছে । তিন মাস আগে যে তুই একটা বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়েছিলি সেখানে তোমাকে দেখেছে । ওরাও মেয়ের জন্য ছেলে খুজছিলো । তুই যখন একটা বোরট কিনতে চাইলি তখনই আমাদের মাথায় এই বুদ্ধি এল । বুঝলি ?

আমি বললাম
-তাই বলে তোমরা সবাই মিলে আমার সাথে এমন করবে ? এমন ভাবে ধোকা দিবে ?
নিনেন আমার দিকে এগিয়ে এসে বলল
-শুনো বেশি বাড়াবাড়ি করবা না । তুমি যে আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছো সেটার প্রমান আমার কাছে আছে । আর আমি যে রোবট এটার কোন প্রমান দেখাতে পারবে না । সো চুপচাপ রাজি হয়ে যাও । নয়তো ....

কথাটা আসলেই সত্যি । নিনেনের বাবা যেহেতু ঐ কোম্পানীর ম্যানেজার সেহেতু উনি রোবট ক্রয়ের সব তথ্য গায়েব করে দিতে পারবেন কিংবা ইতি মধ্যে দিয়েছেনও আমার প্রমান করার কিছু থাকবেও না যে নিনেন আসলেই একটা রোবট । আর এই দিকে আমি নিজ মুখ স্বীকার করেছি । সেটা নিশ্বচয় ও রেকর্ড করে রেখেছে ।

আমি অন্য ঘরে চলে গেলাম । নিজেকে এতো বোকা বোকা লাগছে যে বুঝাতে পারবো না । একটু পরে দেখি নিনেন আমার পাশে এসে বসলো । তারপর আমার হাতটা ধরে বলল, ভালবাসা আর যুদ্ধ জয়ের জন্য সব কিছু করা যায় !
আমি কোন কথা বললাম না ।
নিনেন আবার বলল
-আর আমি কিন্তু সেই আগের মতই আছি । আমি কেবল আমার নিজের ভেতরেরটাই তোমাকে দেখাতে চেয়েছি । বলতে চেয়েছি সবাই এক নয় । তুমি কিন্তু সেটাই পছন্দ করেছো ! তাহলে ?

আমি তবুও চুপ করেই রইলাম । নিনেন বলল
-তারপরেও যদি তুমি আমাকে বিয়ে করতে না চাও তাহলে আমি জোর করবো না । এই দেখো সেই ভিডিও আমি মুছে দিচ্ছি !

আমার চোখের সামনেই ভিডিওটা ডিলিট করে দিল । আমি খানিকটা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম । নিনেন বলল
-আমি ভালবাসি বলেই কাজটা করেছি । অন্যায় হয়তো করেছি, তবুও ভাল বেসেই করেছি !

আমি কিছু বলছি না দেখে নিনেন বলল
-আচ্ছা ঠিক আছে । আমি চলে যাচ্ছি !

এই বলে ও উঠতে যাবে তখনই আমি ওর হাত ধরলাম । বললাম
-এই একটা সপ্তাহ আমি বুঝে গেছি তুমি আসলে আমার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ন ! রোবট হও আর মানুষই হও তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না কিছুতেই !

বিয়ে শেষ পর্যন্ত করতেই হল !!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪
২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×