somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ সংশোধিত বর্তমান

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান সময়

মেঝের দিকে তাকিয়েই আমার কেবল মনে হল আজকে আমার খবর আছে । শুধু খবর না রাত আটটার বাংলার সংবাদ এবং সেটা প্রচারিত হবে ইংরেজিতে । মেঝের উপরে তৃষার পছন্দের লাল রংয়ের মগটা পড়ে আছে । মাঝখান দিয়ে ভেঙ্গে টুকরো হয়ে গেছে ।

তৃষাকে দেখলাম দরজা দিয়ে ঢুকতে । শব্দ বেশ ভালই হয়েছে । সেটা শুনেই এসে হাজির হয়েছে । আমার চোখ অনুসরন করেই ওর মেঝেতে পড়ে থাকা ভাঙ্গা মগটার দিকে তাকালো । আমি বললাম
-দেখো আমি একদম খেয়াল করি নি । পানি নিতে গিয়ে পড়ে গেছে !

আমি জানি এসব কাজ হবে না । আমি মানুষিক ভাবে ঝাড়ি শোনার জন্য প্রস্তুতি নিলাম । আমাকে এখন শুনতে হবে আমি কি কি কাজ পারি না, আমি কোন কাজ কোন দিন করি নি, আমি কেন এই সংসারে আছি আর কেনই বা তৃষা আমাকে বিয়ে করেছে । কিন্তু কয়েক মুহুর্ত কেটে গেলেও লক্ষ্য করলাম তৃষা নিজের স্থান থেকে নড়ে নি । কেবল একভাবে তাকিয়ে আছে মগটার দিকে । আমাদের বাসাতে আরও নানান ধরনের মগ থাকলেও তৃষা কেবল এই মগটাতেও কফি খায় । আর আমি আজকে সেই মগটাই ভেঙ্গে ফেলেছি ।

তারপর আমাকে অবাক করে দিয়ে ধীর পায়ে এগিয়ে এল পড়ে থাকা মগটার দিকে । হাত দিয়ে ভাঙ্গা টুকরো গুলো তুলতে লাগলো । আমি সত্যিই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম তৃষার দিকে । এই আচরণ তৃষার সাথে যায়ই না । হঠাৎ ও এমন আচরণ করলো ?

আমার সামনে আর থাকলো না । ভাঙ্গা টুকোরো নিয়ে ভেতরের দিকে চলে গেল । আমি আসলেই ঠিক বুঝতে পারছিলাম না । এরকম অকাজ আমি মাঝে মাঝেই করি । কোন কোন সময় ইচ্ছে করে আবার কোন কোন সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে যায় । দুই বেলাতেই আমার উপর ঝড় বয়ে যায় । অবশ্য সেটা সমস্যা না । আমি সেই ঝড় ঠেকাতে পারি খুব ভাল ভাবেই । কিন্তু আজকে কি হয়ে গেল ?
তৃষা তো এমন আচরণ করে না কখনও । তাহলে এমন আচরণ কেন করলো ?

আমি বাসার ঘরে বেশ খানিকটা সময় পায়চারি করতে লাগলাম । ভাবতে লাগলাম এরপর আমার কি করনীয় । সম্ভবত তৃষা বড় ধরনের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে । এই জন্য ঘরের ভেতরে চলে গেছে । আমি টিভি চালু করে ভাবতে লাগলাম ওর কোন কথার কি জবাব দিব । যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে লাগলাম ।

কিন্তু ঘন্টা পার হয়ে যাওয়ার পরেও যখন তৃষা রুম থেকে বের হল না তখন আমি খানিকটা চিন্তিতই হয়ে গেলাম । খানিকটা দ্বিধা নিয়ে শোবার ঘরে ঢুকলাম । লাইট অফ করা । বুঝতে পারছি না কি করবো । একটু ভয় ভয়েই লাইট টা অন করলাম । দেখলাম তৃষা জানলার দিকে মুখে শুয়ে আছে । বিছানার পাশের বক্স টেবিলে সেই ভাঙ্গা মগটা রাখা ।

আমি পাশ ফিরে তৃষার দিকে যেতেই অবাক হয়ে গেলাম । ওর চোখে পানি !
ও কাঁদছে ।
আমি জলদি করে ওর কাছে গিয়ে বললাম
-কি হয়েছে ? এমন কি হল ?
-কিছু না ।
-আরে বাবা বলবা তো ! এমন কেন কর ?
তৃষা কোন কথা বলল না । আমি আবার বললাম
-আচ্ছা আমি আগামীকাল ঠিক এই রকম একটা মগ কিনে এনে দিব । একদম একই রকম দেখতে । একটুও হেরফের হবে না ।
তৃষা তবুও কোন কথা বলল না । আমি বললাম
-আশ্চর্য সামান্য একটা মগের জন্য কেউ এভাবে কাঁদে !
-সামান্য !

আমি একটু বিশ্মিত হলাম । তৃষা বলল
-এটা মোটেই সামান্য না ।
-কি এমন বিশেষ্যত্ব আছে এই মগে ?
তৃষা বলতে গিয়ে থেমে গেল । দেখলাম ওর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে । আমি এবার ওকে জড়িয়েই ধরলাম । তারপর বললাম
-আমাকে বল ? কি এমন বিশেষ্যত্ব আছে এই মগে ? আমি কালকেই কিনে এনে দিবো তো বাবা ! এমন করে কাঁদে না !
তৃষার ফোঁফানির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম । কাঁদতে কাঁদতেই তৃষা বলল
-এটা তুমি আমার প্রথম উপহার ছিল আমার জন্য । মনে নেই সেই প্রথম দিকে ? আমি কফি খাই বলে তুমি এটা আমাকে কিনে দিয়েছিলে ?

আমার বুকের মাঝে কেমন করে হুহু করে উঠলো । তৃষা বলল
-এরকম হাজারটা মগ কেনা যাবে কিন্তু সেটা তোমার প্রথম উপহার তো হবে না ! আর ফিরে পাবো আমি ?

আমি কি করবো ঠিক খুজে পেলাম না । বারবার মনে হতে লাগলো আরেকটু সাবধান হলে কি এমন ক্ষতি হত ! আরেকটু সাবধান হলে তৃষার চোখে এভাবে পানি দেখতে হত না । আমি জীবনে সব কিছু দেখতে পারি কিন্তু তৃষার চোখে পানি কিছুতেই দেখতে পারি না । আর যখন সেই চোখের পানি কারন আমি নিজে তখন আমি নিজেকে কিভাবে বুঝ দিব ! কিভাবে ?
এমন কোন উপায় যদি থাকতো এই ঘটনাটা ফেরৎ আনার ! এমন একটা ঘটনা !


অতীত

প্রেমিকাকে উপহার দেওয়াটা একটা বিরক্তির কাজ । কথাটা ভুল হল । উপহার দেওয়াটা বিরক্তিকর কাজ না, কি উপহার দেব সেটা নির্বাচন করাটা বিরক্তিকর । আর আমার জন্য সেটা হচ্ছে মহা বিরক্তিকর কাজ ! আমার জিনিস পত্র পছন্দ করার ব্যাপার বদনাম আছে । আমি যখন শপিং করতে যাই তখন এক দোকানে ঢুকি, সামনে যা পাই তা নিয়েই বেরিয়ে আসি । পছন্দ করাটা আমাকে দিয়ে ঠিক হয় না । এই জন্য আমার জিনিস আগে আমার বন্ধুরা পছন্দ করে কিনে দিত এখন তৃষা কিনে দেয় । আমি কেবল তাদের পেছন পেছন ঘুরি আর বিল দেই।

এখন তৃষাকে কি গিফট দিব সেটা নিয়ে দুদিন খুব বিরক্তিতে কাটলো । কিছুতেই খুজে পাচ্ছি না । শেষে বন্ধু লিজাকে বললাম কি দেওয়া যায় । লিজাই বলল যে যেহেতু তৃষা কফি খায় নিয়মিত তাই শুরুটা হোক কফির মগ দিয়ে । কিন্তু এখানে এসে পরলাম আরেক বিপদে ! কি রংয়ের মগ দেব সেটা বুঝতে পারছিলাম না । মনে হচ্ছিলো সব নিয়ে যাই । আরেকবার লিজাকে ফোন দিবো কি না ভাবছি তখনই লাল রংয়ের মগটার দিকে চোখ গেল । চিন্তা ভাবনা না করে লাল রংয়ের মগটা হাত দিলাম ।

তখনই একটা অবাক হওয়ার মত ঘটনা ঘটলো । আমার কাছে মনে হল চারিদিকে যেন সব কিছু থেমে গেছে । কেউ নড়ছে না । আমি যখন দোকানটাতে আসি তখন বেশ কয়েকজন ছিল । আমার পাশেই একজন মগ দেখছিলো । আমি তাকিয়ে দেখি সে স্থির হয়ে গেছে । কেবল সেই নয়, দোকানের সবাই স্থির হয়ে গেছে । কাচের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি সব কিছু থেমে গেছে । কেবল আমি সচল আছি !

তীব্র একটা ভয় পেয়ে বসলো আমাকে । আমার মনে হল এখন থেকে আমাকে বের হতে হবে ! এখনই বের হতে হবে !

দৌড় দিতে যাবো ঠিক তখনই লোকটার দিকে আমার চোখ গেল । সাদা স্যুট পরা লোকটা দোকানের ভেতরে ঘোরাফেরা করছে। আমার দিকে চোখ পড়তেই লোকটা হাসলো । রহস্যময় হাসি !
আমার কেবল মনে হল আমার আশে পাশে যা হচ্ছে তার জন্য এই লোকটাই দায়ী । একটু আগেও লোকটা দোকানে ছিল না । আমাকে এখন এখান থেকে বের হতে হবে । পালাতে হবে !

আমার মনের কথা যেন লোকটা বুঝতে পারলো সাথে সাথেই । তারপর আমার দিকে হাসি মুখে বলল
-পালিয়ে কোথায় যাবে বল ?
লোকটা আমার মনের কথাও বুঝতে পারছে ? কে এই লোক ? আমি কোন মতে বললাম
-কে আপনি ? কি চান আমার কাছে ?
-আমি ?
হাসলো সে । তারপর বলল
-আমি কে সেটা জরুরী না । কিন্তু তুমি যেটা করতে যাচ্ছো সেটা ঠিক করছো না ?
-মানে ? আমি কি করতে যাচ্ছি ?
-এই যে লাল মগটা কিনছো । এটা ঠিক হচ্ছে না।
আমি খানিকটা সময় বিভ্রান্ত হয়ে তাকিয়ে রইলাম লোকটার দিকে । লোকটা তখন আমার কাছে চলে এসেছে । আমার মনে হল লোকটার শরীর থেকে একটা আলাদা দুত্যি বের হচ্ছে । একটু আগে যে লোকটাকে ভয় লাগছিলো সেটা এখন আর লাগছে না । মনে হচ্ছে যেন লোকটা আমার কোন ক্ষতি করবে না ।
আমি বললাম
-আপনি কি বলছেন ঠিক বুঝতে পারছি না ।
লোকটা বলল
-এই যে লাল রংয়ের মগটা কিনছো এটা ঠিক হচ্ছে না । কারন কয়েক দিন পরে এই লাল মগটাই তোমার খুব কাছের কারো মন খারাপের কারন হবে !
-আমি আসলেই কিছুতেই বুঝতে পারছি না ।
-কিছু বুঝতে হবে না। তার চেয়ে বরং এই নীল রংয়ে মগটা কিনো ! এটা মাটিতে পড়লেও ভাঙ্গবে না !
-কেন ? লালটাতে কি সমস্যা ?
-বোকা ছেলে ! তোমার কষ্ট দেখে আমি আসলাম আর তুমিই কি না তর্ক করছো ? এই জন্য মানব জাতির ভাল করতে নেই ।
-আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে ! আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে । তবে আপনার কথা বিশ্বাস করছি ! আমি নীলটাই কিনছি ! কিন্তু বলবেন যে আপনি কে ?
-সেটা তোমার না জানলেও চলবে ! বুঝেছো । আর এই দোকান থেকে বের হলেই তুমি আমার কথা ভূলে যাবে একদম ! আমাদের দেখা হয়ে ছিলো সেটা কোন দিন মনেও থাকবেও না !
-মানে ?

আমি হঠাৎ করেই আবিস্কার করলাম সব কিছু আবার কেমন সচল হয়ে গেছে । আরেকটু হলেই পাশের ছেলেটার সাথে আমার ধাক্কা লেগে যেত । ছেলেটা একটু বিরক্ত হয়ে তাকালো আমার দিকে । তবে আর কিছু বললাম । আমি তখনও সেই অদ্ভুদ লোকটাকে খুজছি । লোকটা কোথাও নেই । পুরো দোকান ঘুরে দেখলাম ।

মাথার ভেতরে কিছুই আসছিলো না । যখন আর কিছুই করার নেই দেখলাম তখন সেই লোকটার কথা মতই নীল রংয়ের মগটা কিনে বেরিয়ে এলাম । আর ভাবতে লাগলাম কি হল এতো সময় আমার সাথে !



সংশোধিত বর্তমান

মগটা পড়ার আওয়াজে আমি চমকে উঠেছিলাম । ঠিক মত লক্ষ্যই করি নি ! তবে আশার কথা যে মগটা ভাঙ্গে নি । কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয় নি । কারন তৃষা টেবিলের কাছে এসে হাজির । তাকিয়ে আছে নীল রংয়ের কফির মগটার দিকে ।

তারপর ছো মেরে তুলে নিল । আমার দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে বলল
-যদি এটা ভাঙ্গতো না আজকে তোমার খবর ছিল ! তুমি কি কোন দিন সাবধান হবে না ? কোন দিন একটু বুদ্ধি হবে না তোমার ! আশ্চর্য মানুষ এতো কান্ডজ্ঞান কেন হবে ? একটু দেখে শুনে চলবে না তুমি ? তোমাকে যে কেন আমি বিয়ে করেছি আমি নিজেই জানি না .....

বুঝলাম আজকে আমার খবর আছে । এই সংবাদ আজকে আর থামবে না !
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১১
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×