somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভুমিকম্প কেন হয় ?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ সারা দেশে ভুমিকম্প অনুভূত হয়েছে । খুব ভালভাবেই টের পাওয়া গেছে । আর একটু জোর থাকলে হয়ত খারাপ কিছু ঘটতে পারত । ঘটেনি আলহামদুল্লিলাহ ।


আসুন দেখি ভূমিকম্পের কারন গুলো -----

ভুমিকম্প কেন হয়ে থাকে?

বিশেষজ্ঞদের মতে গোটা ভূপৃষ্ঠই কয়েকটি স্তরে বিভক্ত৷ আবার প্রতিটি স্তর একাধিক প্লেটে বিভক্ত৷ এসব বিশাল আকারের টেকটোনিক প্লেটগুলো যখন একের সঙ্গে অপরে ধাক্কা খায় তখন কেঁপে ওঠে মাটির নীচের তলদেশ৷ আর আমরা ভূপৃষ্ঠের ওপর ভূকম্পন অনুভুত করি৷ ভূমিকম্পের কারণ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠের উপরের স্তরে অনেকগুলো প্লেট আছে এগুলো আবার অনেকগুলো সাবপ্লেটে বিভক্ত৷ এগুলো সবসময় নড়াচড়া করছে৷ একটার সঙ্গে আরেকটার ঘর্ষণে এই ভুকম্পনের সৃষ্টি হয়৷ আবার আগ্নেয়গিরির কারণে ভূ অভ্যন্তরের ভেতর
থেকেও ভুকম্পনের সৃষ্টি হয়ে থাকে৷ আবার কোন কোন এলাকায় ভূপৃষ্ঠের গভীর থেকে অতিরিক্ত পানি কিংবা তেল ওঠানোর ফলে ভূপৃষ্ঠের অবস্থানের তারতম্য ঘটে৷'
আগে থেকে বোঝার উপায় নেই অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের বেলায় আগে থেকে বোঝা গেলেও ভূমিকম্প এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম৷ খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঘটে যায় এই বিশাল
দুর্যোগ, যার ফলে পুর্ব সতর্কতা নেয়া সম্ভব হয়
না৷ এর ফলে ক্ষয়ক্ষতিও হয়ে থাকে অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে বেশি৷

কেনএমনটি হয়ে থাকে?

ভু তাত্ত্বিক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে প্লেটগুলো সবসময়ই ছয় থেকে নয় সেন্টিমিটার করে নড়াচড়া করছে এবং এর ফলে ভূত্বকের ভেতরে প্রবল
শক্তি জমা হচ্ছে৷ এই শক্তি যখন ভূত্বকের ভেতরের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি হয়ে যায় তখন হঠাৎ করে এর বিস্ফোরণ ঘটে যার ফলে আগে থেকে পুর্বাভাষ দেওয়া সম্ভব হয় না৷

পূর্ব সতর্কতা কি সম্ভব?

বিজ্ঞানীদের মতে ভূমিকম্প যখন সৃষ্ট হয় তখন ভূত্বকের ভেতর তিন ধরণের ওয়েভ বা ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়৷ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে যে কম্পনের ঢেউ সৃষ্টি হয় তাকে বলে প্রাইমারি ওয়েভ বা পি ওয়েভ৷ এটি সবচেয়ে দ্রুত গতিতে yছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে৷ এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে আরেকটি ওয়েভ বা ঢেউ সৃষ্টি হয়, সর্বশেষ সারফেস ওয়েভটি গিয়ে আঘাত হানে ভূপৃষ্ঠে৷ এবং এটিই আমরা বুঝতে পারি যাকে আমরা ভুমিকম্প বলে থাকি৷ উৎপত্তিস্থল থেকে ভূপৃষ্ঠে আসতে ভূমিকম্পের সময় লাগে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ডের মত৷ বিশেষজ্ঞরা এই মাঝখানের সময়টাকেই চিহ্নিত করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন যাতে করে আগে থেকেই ভুমিকম্পের পুর্বাভাষ দেওয়া সম্ভব হয়, জানালেন ড. হুমায়ুন আখতার৷ রিখটার স্কেল বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিদিনই ভূপৃষ্ঠের ভেতরে কোথাও না কোথাও ভূমিকম্পের সৃষ্টি হচ্ছে৷ তবে সবগুলো অত জোরালো নয়৷ ভূমিকম্পের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে জমে থাকা শক্তি নির্গত হয়৷ এই শক্তিকে মাপা হয় রিখটার স্কেলের মাধ্যমে৷ সাধারণত ভূমিকম্পকে ১ থেকে ১২ মাত্রা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়৷ ৩ থেকে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প বোঝা গেলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয় না৷ তবে ৫ কিংবা ৬ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেই সেগুলোকে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে ধরা হয়৷ রিখটার স্কেলের এক মাত্রা পার্থক্যের অর্থ হচ্ছে আগেরটির চেয়ে পরেরটি ভূত্বকের ভেতর ৩২ গুন বেশি শক্তিশালী৷ তবে ভূপৃষ্ঠে এই তীব্রতার পরিমাণ হয় ১০গুন বেশি৷

ঝুঁকির মধ্যে বাংলাদেশ

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে৷ বাংলাদেশের একাংশের নীচে দিয়ে টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল গিয়েছে৷ এই প্লেটের নড়াচড়ার কারণে প্রতি এক হাজার বছরে বাংলাদেশ তিন থেকে ১৫ মিটার করে সংকুচিত হচ্ছে৷ এই সংকোচনের ফলে ভূঅভ্যন্তরে প্রবল শক্তি জমা হচ্ছে৷ জমে থাকা এই শক্তি যে কোন সময় শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে বের হয়ে আসতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন৷ ঘনবসতি দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশে ভুমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক বেশি হবে বলে তাদের আশংকা৷

আমাদের অপরিকল্পিত নগরায়ন অনেকাংশেই দায়ী । যে যেভাবে পারছে বাড়ি বানাচ্ছে , শপিংমল তৈরি করছে । কোন নির্দিষ্ট দিক নেই । আর এসব দেখার ও কেউ নেই । যারা আছে তারা কি করছে তা আমার বোধগম্য হয় না ।

আসলে এদেশে আইন আর নীতি মালা শুধু কাগজে কলমে হয় । বাস্তবে এর প্রয়োগ আর অশ্বডিম্ব সমান কথা ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×