somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

+১৮, অতিজ্ঞানী ও অতিমুর্খদের প্রবেশ নিষেধ। নিজ দায়িত্বে, তাৎক্ষনিক হাসতে হবে। পরবর্তীতে কোন ওজর-আপত্তি চলবেনা।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এতটা নিশ্চিত হওয়ার আগে নিশ্চিত হউন আপনার ধারণার বাইরেও ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও আমরা প্রতিনিয়ত ভুল করছি, তর্ক করছি। তর্কে যেহেতু কেউ হারেনা, তাই সেখানে কেউ জিতেও না। মাঝখান থেকে আমাদের সম্পর্ক গুলো নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। অতি নিশ্চয়তা আমাদের কেমন বিব্রত করতে পারে দেখুনঃ

রাজধানীতে দুপুরে বাসায় কেউ নেই। এক ভদ্র মহিলা কাপড় চোপড় খুলে গোসল করছেন। এমন সময় বাসার কলিং বেল বাজল। মহিলা ভাবলো, এমন দুপুর বেলায় কারও আসার কথা নয়। নিশ্চয় ফকির এসেছে। শরীর ভিজিয়েছি আবার কাপড় পড়বো? আচ্ছা কাপড় ছাড়াই লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখি কে? যদি ফকির হয় তাহলে ভিতর থেকেই না করে দিবো ভিক্ষা দেওয়া যাবেনা। মহিলা দরজার ফুটা দিয়ে দেখেন, ফকির নয়, এসেছে পাশের বাসার অন্ধ ছেলে রাজু। মহিলা ভাবলেন, কাপড় গায়ে নেই, অন্ধ রাজুর সাথে দরজা খুলে কথা বললেও সমস্যা কি? ও তো আর দেখবেনা আমি ল্যাংটা। দরজা খুলে-
মহিলাঃ কি ব্যাপার রাজু তুমি এই দুপুর বেলায়, আবার তোমার হাতে মিষ্টিও দেখছি?
অন্ধ রাজুঃ জী খালাম্মা, এই মিষ্টিগুলো রাখেন, আম্মা পাঠিয়েছে।
মহিলাঃ কি কারনে মিষ্টি রাজু?
অন্ধ রাজুঃ খালাম্মা আমি আজ সকাল থেকে দেখতে পাচ্ছি।
:):):)

সব সম্পর্ক সব সময় প্রীতিকর নাও হতে পারে। যেকোন সম্পর্কের ক্ষেত্রেই একটু ভাবনা থাকা উচিত। নৈতিক বা অনৈতিক যেকোন সম্পর্ক পাত্র-পাত্রীর কারণে বিব্রতকর হতে পারে। দেখুনঃ
আরশাদ আর বিদিশা একত্রে সংসার ধর্মো চালাইতেছেন। তাদের সংসার খুবই আনন্দের মধ্যেই চলছে। এমনি একদিনের ঘটনা।
বিদিশা বাইরে যাইবেন, কিন্তু তার শখের লাল প্যান্টিখান পাইতেছেন না। স্বাভাবিকভাবেই দোষ পড়লো বুয়ার উপর। তাকে চার্জ করা হইলো। আরশাদের বুয়া বলিয়া কথা। সে ক্ষিপ্ত হইয়া আরশাদের কাছে ফরমাইলো “সাহেব ! বিবিসাব কয় আমি নাকি হের প্যান্টি চুরি করছি ! সাহেব আপনি তো জানেন, আমি নিচে কিছু পড়িনা ।
:):):)

পৃথিবীতে কত রকম সাংঘাতিক ঘটনাই ঘটে। কিন্তু কোনটিই আমাদের নিজ জীবনের চাইতে কি সাংঘাতিক হতে পারে? না, হতে পারেনা। তাহলে বলা যায় আরও সাংঘাতিক হতে পারতো যদি আমার/আপনার জীবনের উপর দিয়ে যেতো। এমনি এক লোক রাকিব সাহেব, তাকে বলা হলো টুইন টাওয়ারের ঘটনা ও এতগুলো মৃত্যু। সে বলে, এর চাইতেও সাংঘাতিক হতে পারতো। সব সময়ই যেকোন দুঘটনার কথা বললেই সে শুধু বলে, এর চেয়েও সাংঘাতিক হতে পারতো। তো দেখুনঃ

চায়ের দোকানে আড্ডা হচ্ছে। এক লোক বললেন, ঘটনা শুনেছেন। গত রাতে আমাদের এলাকার মজনু সাহেব বাড়িতে ফিরে দেখেন, তার স্ত্রী তার এক বন্ধুর সঙ্গে শুয়ে আছেন। তিনি রাগ দমাতে না পেরে সঙ্গে সঙ্গে রিভলবার বের করে গুলি করে দু’জনকেই মেরে নিজেও আত্মহত্যা করলেন।
পাশে বসে থাকা রাকিব সাহেব বললেন, এটা তো তেমন কিছুই নয়, ঘটনা আরো সাংঘাতিক হতে পারত।
লোকটি বললেন, কি বলেন? এক সাথে ট্রিপল ট্রাজেডি, আর আপনি বলছেন কিছুই না, আরো সাংঘাতিক হতে পারত? তো এর চেয়ে আর কি সাংঘাতিক হতে পারত?
রাকিব সাহেবঃ গতকাল যদি সোমবার না হয়ে বৃহস্পতিবার হতো তাহলে ঐ গুলিটা আমাকে খেয়েই মরতে হতো।
:):):)

সংসারে অনেক ঘটনাই ঘটে যেখানে ছোটদের না টেনে আনাই ভালো। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। নিজেদের মান সম্মানও ভেসে যেতে পারে। দেখুনঃ
শপিং সেরে বাড়ি ফিরতেই ছোট্ট বাবু তার মাকে বললো, “মা মা, আজ কী হয়েছে শোনো, আমি আজ স্কুলে না গিয়ে পালিয়ে তোমার আলমারিতে লুকিয়ে খেলছিলাম, এমন সময় বাবা আর পাশের ফ্ল্যাটের টিনা আন্টি এসে রুমে ঢুকলো। তারা দু’জন সব জামাকাপড় খুলে ফেললো, তারপর বাবা টিনা আন্টির ওপর চড়ে বসলো...............।”
এটুকু শুনেই বাবুর মা তাকে থামিয়ে দিলেন। মুখখানা গম্ভীর করে বললেন, “ব্যস, আর একটা শব্দ না। এবার বাবা ফিরলে তুমি যা যা দেখেছো, তা আবার ঠিক ঠিক বলবে, কেমন?”
বাবুর বাবা বাড়ি ফিরতেই বাবুর মা মুখ ঝামটা দিলেন। “তোমার মতো একটা লম্পটের সাথে আমি আর সংসার করবো না।”
বাবুর বাবা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললেন, “কেন, কি হয়েছে?”
তখন বাবুর মা বললেন, “বল্ বাবু, কী দেখেছিস গুছিয়ে বল।”
বাবু বললো, “আমি তোমার আলমারিতে লুকিয়ে খেলছিলাম, এমন সময় বাবা আর পাশের ফ্ল্যাটের টিনা আন্টি এসে ঢকলো। তারা দু’জন সব জামাকাপড় খুলে ফেললো, তারপর বাবা টিনা আন্টির ওপর চড়ে বসলো, তারপর তুমি আর আক্কাস আঙ্কেল গত পরশু দিন দুপুরে যা করেছিলে, বাবা আর টিনা আন্টি তা-ই করতে লাগলো ................।”
:):):)

ঘটনার সবটুকু না জেনেই আমরা অনেকেই সিদ্ধান্ত নিই, সমাধান দিয়ে ফেলি। এতে অনেকেই আহত হয়, ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একই সাথে আমাদের নিজেদেরকেও আমরা বোকা প্রমান করি। এতে করে আমাদের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয়। তাই সবটা আগে জেনে নেয়াটাই উচিত। দেখনুঃ

মিস্টার অ্যান্ড মিসেস চৌধুরী পার্টিতে গেলেন, বাসা সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে গেলেন কাজের ছেলে জুম্মনকে। পার্টিতে ঘন্টাখানেক কাটিয়ে বিরক্ত হয়ে মিসেস চৌধুরী ফিরে এলেন, মিস্টার চৌধুরী রয়ে গেলেন সামাজিকতার খাতিরে।
বাসায় ফিরে এসে মিসেস চৌধুরী জুম্মনকে খুঁজে পেলেন ডাইনিং রুমে। তিনি খানিকক্ষণ উসখুস করে জুম্মনকে ডেকে নিয়ে গেলেন নিজের বেডরুমে।
‘জুম্মন, আমার শাড়িটা খোল।’ হুকুম করলেন তিনি।
জুম্মন কোন কথা না বলে হুকুম তামিল করলো।
‘এবার আমার ব্লাউজ আর ব্রা খোল।’ বললেন মিসেস চৌধুরী।
জুম্মন সেটাও পালন করলো।
এবার মিসেস চৌধুরী নিচু গলায় বললেন, ‘আমার পেটিকোটটা খোল জুম্মন।’
জুম্মন খুললো।
মিসেস চৌধুরী জুম্মনের চোখে চোখ রেখে বললেন, ‘আর কোনদিন যদি দেখি আমার জামাকাপড় গায়ে দিয়ে বসে আছিস, কানে ধরে বাসা থেকে বের করে দেবো।’
:):):)

অতি উৎসাহের কারনে আমাদের জীবনে অনেক সময়ই অশান্তি নেমে আসে। মাত্রাজ্ঞান না থাকার কারনে ব্লগেও অনেকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। যেমন দেখুনঃ
অফিস থেকে ফেরার সময় রেললাইনের পাশে অনেক লোকের জটলা দেখে উকি দেন, সাব্বির ভাই। দেখেন ট্রেনের নীচে পড়ে একটি লোক মারা গেছে এবং তার চেহারা ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। চেনাই যাচ্ছেনা। কেবল ১১ ইঞ্চি লম্বা পুরুষাংটি একদম অক্ষত আছে। সবাই বলছে এটা দিয়েতো আর লোক চেনা যাবেনা।
সাব্বির ভাই মন খারাপ করে বাসায় ফিরে বউকে বলেছেন, জানো একটা এক্সিডেন্ট দেখলাম ঐ নাখালপাড়া রেললাইনের ওখানে।
ভাবী বললো কি হয়েছে, কিভাবে হয়েছে? সাব্বির ভাই বললো, দুঘটনার শিকার লোকটিকে কেউ চিনতেই পারছেনা, সব ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লোকটির ১১ ইঞ্চি লিংগটা অক্ষত আছে। এই কথা শুনা মাত্র, ভাবী চিৎকার করে বললো, হায় আল্লাহ ! পরশ মারা গেছে?
:):):)

আমাদের ভাবনা গুলো আমাদের সাথে তামাশা করে। আমাদের ভাবনার শুরুটাই হয় অসততা দিয়ে-তাই নিজেকেই প্রতারিত করি, কিন্তু যখন সদ ভাবনা থাকে-তখন অন্যরা আমাদের সাথে প্রতারণা করে। দেখুনঃ

এক অনুষ্ঠানে এক জোকার এসেছে লোক হাসানোর জন্য। সে তার প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে সবাইকে জিজ্ঞেস করল, বলেন তো আমি কি ধরেছি?
সবার মাঝে ছি ছি পড়ে গেল।
জোকার তখন পকেট থেকে একটা কলম বের করে দেখালো, আপনাদের ধারণা ঠিক না। আমি এই কলম ধরে ছিলাম।
তারপর সে আবার পকেটে হাত ঢুকালো। বলল, বলেন তো এইবারে আমি কি ধরেছি?
একেক জন একেক কথা বলা শুরু করল। কেউ বলল মানিব্যাগ, কেউ চাবি, কেউ মোবাইল।
জোকার তার খালি হাত পকেট থেকে বের করল। বলল, হয় নি। এবারে আপনারা প্রথমে যা ধরার কথা ভেবেছিলেন সেটাই ধরেছি।
:):):):):)


সুত্রঃ ইন্টারনেট।
প্রত্যাশাঃ কমন পড়লে পরীক্ষা যেন ভাল হয়!!


আগের +২৪ পোস্টটি দেখতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২
৬১টি মন্তব্য ৫৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×