somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শর্ট ফিল্ম : জীবনের একটা অদেখা চিত্রায়ন

০৯ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের সিনেমাশিল্প আজ এক ক্রান্তিলগ্নে আছে এতে কোন সন্দেহ নেই। প্রতিদিন বাড়ছে এমন মানুষের সংখ্যা যারা কোন না কোন ভাবে এই শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট। তবে সবাই কাজ করতে পারছে না, অনেক কারণ আছে। বর্তমানে প্রতি ১০০ জন তরুনের মধ্যে ৯০ জন মুভি দেখে এতে সন্দেহ নেই। কেউ দেখছে সময় কাটানোর জন্য, কেউ দেখছে বিনোদনের জন্য, কেউ নতুন কিছু শেখার জন্য। আমার এক বন্ধুকে মানুষের মন সম্পর্কে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করলেই সে একটা করে চলচিত্রের নাম বলে। প্রতিদিন যেহেতু আকর্ষণবোধকারী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তাই ভবিষ্যতে যারা এখানে কাজ করতে চান তাদের পূর্বতনদের চেয়ে অনেক বেশি কিছু জেনে বুঝে আসতে হবে, কারণ গলায় জোর না থাকলে এখন কেউ কথা শুনবে না। বাংলাদেশের চলচিত্রের জন্য এখন যা প্রয়োজন তা হল দর্শক তৈরি। দর্শক তৈরি করার সবচেয়ে বড় সমস্যা আপনার প্রতিযোগিতা কিন্তু আপনার সাথে পড়া রোহান সোহানের সাথে নয় বরং সবার সাথে, যারা বিশ্বে শর্ট ফিল্ম বানায়। সাম্প্রতিক কালে আমাদের দেশে তৈরি কিছু শর্ট ফিল্ম দেখলাম। আমি তেমন কিছু জানি না, এগুলো দেখে আমার মনে হল আমাদের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে আরও একটু সৃষ্টিশীল হওয়া প্রয়োজন।এ কথাটি তাদের জন্য যারা প্রথম কাজ করেছে বা মোটামুটি প্লান শেষ কাজে হাত দিবে তাদের জন্য। আমি নিজে কিছু বিষয় ভেবেছি যা বর্তমান নবীনদের মাথায় রাখলে মনে হয় কাজ ভালো হবে।

ক)গল্প নির্বাচনঃ
১) জীবনের গল্প বলুন
সিনেমা বিষয়টি কিন্তু আমাদের চারপাশের জীবনকে নিয়ে।আপনি আমি খাচ্ছি ঘুরে বেড়াচ্ছি সবই কিন্তু সিনেমা, তবে পার্থক্য আছে, পার্থক্য হল শৈল্পিক মানের দিক থেকে। আপনি আমি প্রতিদিন বেঁচে থাকছি তা কিন্তু শিল্পের প্রয়োজনে নয়, জীবনের প্রয়োজনে। আপনি প্রথম বার কাজ করছেন, হাজার জীবনের মাঝে একটি জীবন নির্ধারণ করুন,না হলে হারিয়ে যাবেন জীবনের স্রোতে।আপনি গাড়ির মধ্যে এসিতে বসে হাত বাড়িয়ে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলছেন আর আমি জীবনের তাগিদে একটি ভালো ছবি তুলে ফটোগ্রাফার হিসাবে নাম কামিয়ে টাকা আয় করতে চাই;আমাদের জীবন ভিন্ন।শর্ট ফিল্মে সময় কম, তাই আশা থাকে একটু বিস্তারিত আসুক, একটু তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ আসুক যাতে বোঝা যায় যে জিনিস আপনি পর্দায় দেখালেন তার তুলনায় যা আমি জীবনে দেখছি তাতে অনেক ফাঁক ছিল, নইত আমার ৫ মিনিট সময় আপনি চাইবেন কোন অধিকারে? আপনি বলতে পারেন আপনি যে পৃথিবী দেখেন নি আমি তা দেখাবো। হম, দেখাতেই পারেন, যদি আপনি নিজে তা দেখে থাকেন, তবে মনে রাখবেন আমি যেহেতু তা দেখি নি তাই তা স্বাভাবিক ভাবেই পর্দার কাল্পনিকতায় দেখার সময় আমি আমার সব অবিশ্বাস ঢেলে দিব, আপনার আমাকে বিশ্বাস করাতে হবে না এটিই সত্য,এটিই বাস্তব।

২) বিস্তারিত লিখুন, বারবার ভাবুন
অনেকে স্ক্রিপ্ট লেখার উপর গুরুত্ব দেয়,আমিও দিয়ে থাকি। তবে আমি তার থেকে বেশি গুরুত্ব দেয় গল্পের উপর তার থেকে বেশি ভাবনার উপর। আপনি প্রথমে ভাবুন বারবার ভাবুন কাহিনী নিয়ে, ভাবতে ভাবতে যখন মনে হবে না আর নেই আর বের হচ্ছে না তখন একবার লিখুন, কাগজে লিখতে পারেন,পিসিতেও লিখতে পারেন। রেখে দিন দু দিন, আপনি আবার ভাবুন যা লিখেছেন।কিছুদিন পর আবার লেখাটি পড়ুন, কি মনে হচ্ছে কিছু করার মত জিনিস কি হয়েছে?যদি না মনে হয় আবার লিখুন।

বঙ্কিম নবীন লেখকদের পরামর্শ দিয়েছেন
“একটি লেখা লিখে কিছুদিন তা ফেলে রাখতে, তাপর কিছুদিন পর তা বের করে ছাপানোর মতো মনে হলে ছাপাতে”


আর যদি ঠিক থাক মনে হয় তবে এতে সিনেমাটিক বিস্তারিত যোগ করুন যেমন আবহাওয়া কেমন হবে, আলো কত টুকু থাকবে, কেমন থাকবে ইত্যাদি।মাথায় রাখবেন বাজেট কম।আপনি বলতে পারেন এগুলো কাজ করার সময় স্পটে ডিরেক্টর ভাববে।আপনি ভাববেন কারণ আপনি তাকে ডিরেক্ট করছেন, তাকে একটু গাইড লাইন দেওয়া হবে, স্পটে সময় ও খরচ কমবে। এই সিনেমাটিক বিস্তারিত যোগকরন শেষ হলে দু দিন পর আবার পড়বেন, দেখবেন কিছু খটকা লাগে কিনা।

৩) Every second has its duty
একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচিত্রে ভালো শট কিছু থাকলেই চলে দর্শক দেখবে, কারণ সে সময় নিয়ে বসেছে। পূর্ণদৈঘ্যে একটি ভালো সিনেমাটিক শট দর্শক ধরে রাখতে পারে প্রায় ২০ মিনিট।কিন্তু একটি শর্টে একটি ভালো শট একটি ভালো সিন দর্শক ধরে রাখতে পারে সর্বোচ্চ ৪০ সেকেন্ড। তাই প্রথম মিনিটে দর্শক আপনার কাছে যা পাবে তার নির্ভর করবে সে পুরোটা দেখবে কিনা আর বাকি প্রতি মিনিটের উপর নির্ভর করে সে কেটে কেটে দেখবে কিনা। এইটা শুধু মাথায় রাখুন।

খ) কাজ করুন বুঝে শুনেঃ

১) অহংকার ছাড়ুন, বিনয়ী হোন
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় কোন একটি স্বল্প বাজেটের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র যারা বানায় তাদের মধ্যে একজন থাকে যিনি সবাইকে একত্র করেন। তিনি মোটামুটি পরিচালনা, চিত্রগ্রহন সবই টুকটাক জানেন, যে কোন একটি ভালো জানেন। তিনি অধিকাংশ সময় যা করার চেষ্টা করেন তার লেখা স্ক্রিপ্ট, তার আলোক সজ্জা, তিনিই ডিরেক্টর। এ ধরনের চিন্তাধারা বাদ দিন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সবাই নতুন হয়, সবার পরামর্শ শুনুন।সে যদি মোটামুটি confident হয় তবে তাকে ছোট্ট সুযোগ দিন প্রস্তুতি নিয়ে আসার। ৫ বা ১০ সেকেন্ড তাকে তার কাজ করতে দিন, রেজাল্ট ভালো হলে আপনার লাভ। মানুষ বলে টাকা দিয়ে সব কিছু কেনা যাই না, আমি বলি যায় শুধু দরকার বিনয়। বিনয়ী হোন। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো মানুষ এই ফিল্ডে কম না, সুযোগ চাই তারা। খুঁজুন তাদের। বিনয়, সম্মান দিয়ে কথা বলুন অনেক বড় কাজ অনেক সহজে স্বার্থ ছাড়া করে দেবার মানুষ পাবেন, কারণ আপনি যা নিয়ে কাজ করছেন তা হল সৃষ্টি, সৃষ্টি সুখের উল্লাস অন্যরকম।এমন মানুষদের সাথে কথা বলার সময় মনে রাখবেন এরা আপনার প্রডিউসার, এদের সাথে সেভাবে কথা বলুন।কাজ না করে দিলে না দিবে, পাবলিসিটি তো হবে।

২)টাইমলাইন মেনে চলুন
টাইম ফ্রেম হবে শক্ত, কিন্তু আপনি কঠোর আচরণ করবেন না। কাজের তাগিদা দিন নিয়মিত।সময়ের কাজ সময়ে না আসলে অনেকের সামনে বিব্রত হতে হবে। তা ছাড়া এক জন যখন দেখবে ওয়ার্ক ফ্লোতে তার আগের জন ঢিল দিয়েছে সে আপনাআপানি দিবে। তখন সব হয়ে যাবে লেজে গোবরে।

৩)যোগ্য লোকের জন্য অপেক্ষা করুন
কোন কাজ এমন করবেন না যে চালিয়ে নেয়। ভরাট কণ্ঠের লোক দরকার, আপাতত যা পেয়েছেন তা আপনার যথেষ্ট মনে হচ্ছে না, অপেক্ষা করুন, হারিকেন জ্বালিয়ে এমন কাউকে খুঁজুন।

৪)ভাষা ব্যবহার, স্বর প্রক্ষেপণ মাথায় রাখুন
একজন নেতা, একজন দিন মুজুর, একজন বুদ্ধিজীবী, একজন পাগল, একজন মাতাল এরা কেউই কারো মত করে কথা বলে না। কে কিভাবে কথা বলে ভালো করে শুনুন সে ভাবে ছবিতে বলুন। চলিত, আঞ্চলিক মাথায় রাখবেন। যত্রতত্র যে সে ভাষা ব্যবহার করে শ্রুতিকটু করবেন না। আমার শিক্ষক বলেছেন, “ 'বিষয় অনুযায়ী ভাষা-ব্যবহার’ কথাটি বিশেষ চিন্তার দাবিদার। তুমি যে শ্রেণিরই হউ না কেন, তুমি যখন মঞ্চে কথা বলবে, তুমি যখন নেতৃত্ব দেবে, তুমি যখন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করবে, তুমি যখন শিক্ষক, তুমি যখন প্রেমিক, তুমি যখন পিতা, তুমি যখন খেলার মাঠে, তুমি যখন বাজারে, তুমি যখন পতিতাপল্লীতে, তুমি যখন সংগ্রামে, তোমার বুক ভরা যখন ক্রোধ, তোমার শরীর যখন কামের স্রোত, যখন তুমি মুক্ত, যখন তুমি কারো আদর্শ, যখন তুমি প্রকৃতিপিয়াসী, যখন তুমি সর্বনাশী, যখন রয়েছ মায়ের কোলে, যখন কারণে বা অকারণে তোমার হৃদয় কেবল দোলে তুমি ভিন্ন ভিন্ন ভাষা ব্যবহার করবে। কখনো আঞ্চলিক বা কখনো প্রমিত তোমার দুটো চোখের মত।” আপনি বলবেন আমি কি ভাষা বিশেষজ্ঞ নাকি? কলেজে যার কাছে বাংলা পড়েছেন তার কাছে যান। পরিচিত বন্ধুর বিশ্ববিদ্দ্যালয়ে বাংলার শিক্ষকের কাছে গিয়ে বলুন আপনি ভাষা নিয়ে চিন্তিত।ভাষার প্রতি তাদের যে মায়া তাতে তারা অবশ্যই একবার স্ক্রিপ্টটা দেখে দেবে।

৫)স্পট সিলেকশন, চোখে নয় ক্যামেরায় দেখুন
আপনার চোখ ও ক্যামেরার চোখে অনেক পার্থক্য। দর্শকের সাথে আপনি নয় ক্যামেরা কথা বলবে। তাই যা কিছু দেখবেন, চিত্রগ্রাহককে সাথে নিয়ে যাবেন, অল্প রেকর্ড করবেন, তার পর গ্রেডিং করবেন স্পট।

৬) খরচে কাজ বাদ দিন
এমন কোন সিনেরই দরকার নেই যাতে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়। চেষ্টা করুন অন্যভাবে মিলিয়ে দিতে না পারলে স্ক্রিপ্ট রাইটারের সাথে কথা বলে পরিবর্তন করুন।

গ) বিবিধ

১) অতিরিক্ত আড়ম্বর বাদ দিন
সাম্প্রতিক কালের কিছু বাংলাদেশি শর্ট ফিল্মে আমি দেখলাম তারা ব্যানার ও লোগো নিয়ে অনেক চিন্তায় রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তারা হেভি গ্রাফিক্স ব্যবহার করে ব্যানার ও পরিচিতি পর্ব করছে, আমি বলি কি দরকার? এর চেয়ে আপনি একটু বেশি খেটে একটু ভেবে প্রথম সিনটা ভালো করুন, এতে দর্শক ৪০ সেকেন্ড আপনার কাজ দেখতে আগ্রহী হবে, প্রথমেই বিরক্ত হলে কি করে হয়।

২)স্বল্প বাজেট কিন্তু মন বড় রাখুন
আপনার বাজেট কম তাতে কি মনে রাখুন আকাশের মত বড়, আর আত্মবিশ্বাস রাখুন। অধিকাংশ সময় আমরা যা নিয়ে আমরা বেশি inferiority complex এ ভুগি তা হল গেজেট, বিশেষ করে ক্যামেরা। দেখুন প্রথমেই মাথায় রাখতে বলেছি আপনি সহজ সরল কাজ করবেন। ডিএলএসআর canon 5D আর 500D খুব বেশি সমস্যা নয়। হালকা নয়েজ হলে তেমন ব্যাপার না। ডায়লগ শটে একাধিক ক্যামেরা দরকার, বন্ধু কাউকে ডাকুন যার দামি মোবাইল আছে, আজ কাল 8MP 1080P auto focus record তো অনেক সেটেই দেয়, এক সাইডে থেকে শট নিন।তবে এ ব্যাপারে একটি জিনিস মাথায় রাখবেন তা হল ব্রডকাস্ট স্ট্যান্ডার্ড। দামি বুম নেই? সবার পকেটে মোবাইল দিন হেড ফোন গুজে দিন জামার ভিতর দিয়ে যার যার মোবাইলে, আলাদা আলাদা রেকর্ড করুন পরে ছোট সফটওয়্যারে সব এক সাথে আউটপুট নিতে পারবেন একেবারে কষ্ট ছাড়া। নিজের বুদ্ধি নিজে বের করুন,।

৪)প্রচুর পড়ুন- সব কিছু পড়ুন
আপনি হয়ত একজন পরিচালক হতে চান, তাই বলে আপনি স্ক্রিপ্ট লেখা জানবেন না, শিখবেন না?ছবি কোন আলো তে কেমন আসবে একটু দেখবেন না। আপনি তো নবীন আপনার ভিডিও এডিট করে দেবে কে, এডিট করার পর যে রুপটা আপনি চাচ্ছেন তা সেই শট থেকে দিতে পারবেন কিনা জানতে আপনি একটু পড়ুন। খুব তো কষ্ট না, যে টার্মে আটকে যাবেন গুগোল দিয়ে খুঁজুন।

৫) যোগাযোগ বাড়ান
এর কোন বিকল্প নেই। শর্ট ফিল্ম বানানোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন বন্ধুদের সাথে আলোচনা করুন। কি করলেন বলুন। বিভিন্ন ভিডিওগ্রাফি বা সিনেমা গ্রুপে যান সবার সাথে কথা বলুন। সব কাজ শেষ হয়ে গেলে ফাইনাল কপি সব বন্ধুর মোবাইলে নীলদাঁত দিয়ে পাঠিয়ে দিন।কলেজে যে সব বন্ধুর সাথে পড়েছেন তাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। তারা সবাই মানে কিন্তু খুঁজে দেখুন সারা বাংলাদেশ। কাছাকাছি যাদের দিলেন তারা যদি কাজ দেখে অনেক প্রশংসা করে তবে কষ্ট করে আর কিছু টাকা দিয়ে অফসেট পেজ সাইজের পোস্টার বানান, ২০ কপি করে পোস্টার আর একটা সিডি বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দিন, তাতে দিন হাই ডেফিনেশন, মোবাইল অনেক রকম প্রিন্ত।অনেকে এমবি খরচ করে ডাউনলোড করতে চাই না এটি তাদের জন্য।

৬) নিয়ম মানার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন
নায়ক মানেই ভাবিস্ট না নায়িকা মানেই মহা সুন্দরী এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসুন। স্কুলে, কলেজে কিছু গল্প পড়েছেন আর একবার পড়ে ভাবুন তো এই গল্পের নায়ক নায়িকারা কি তথা কথিত নায়ক নায়িকার মত কিনা। যেমন হৈমন্তী,পদ্মা নদীর মাঝি।
কবর নাটক পড়ে আর একবার ভাবুন এর শেষটি নিয়ে।

সব শেষ সব নিয়মের বেড়াজালে আটকে যাবেন না, আপনি যা করতে চাচ্ছেন তা শিল্প। নিজের মত করে করুন। সুতরাং এই বিশাল বড় অনর্থক লেখা লেখার জন্য আমাকে উদ্দেশ্য করে বলুন "এই জিনিস বলতে এত প্যাচাইতে হয়?" এবার নিজের মত করে নিজের ভাবনা শুরু করুন।মন খুলে ভাবুন, নিজস্ব মতামত তৈরি করুন, তা হতে পারে ভিন্ন মত বা সহমত।

আমার দেখা একটি পছন্দের শর্ট ফিল্মে র লিঙ্ক দিয়ে শেষ করি। বলা আছে এটি অস্কার প্রাপ্ত, আমি ঠিক জানি না আসলেই পেয়েছে কিনা তবে আমার ভালো লেগেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৮
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×