যারা উপরের অংশটুকু পড়েছেন তারা হয়ত ভাবছেন আমি জামায়াতের পক্ষে সাফাই গাচ্ছি। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ আলাদা। কেন এটিকে রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা বলছি তা একটু ব্যাখ্যা করা যাক।
সিনেমার প্রথমদিকে দেখা যায়, বিলকিস (জয়া আহসান) এর ব্যাংকে একজন বোরখা পরিহিতা নারী আসেন চেক বই নেবার জন্য। অত:পর বোরখা পরা মহিলাটি চলে গেলে আর একজন ভদ্র মহিলা সঙ্গে বাচ্চা নিয়ে আসেন বিলকিস এর সাথে দেখা করতে। ভদ্র মহিলাটি বেরকা পরা মহিলা সম্পর্কে বিলকিস কে জিজ্ঞাসা করে। জবাবে বিলকিস হেসে এবং তাচ্ছিল্যের সঙ্গে জবাব দেয় “জামায়াতের রুকন”।
এখানে জামায়াতের রুকন শব্দটি দ্বরা যে জামায়াত কে অপমানিত করা হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। পাশাপাশি একজন বোরখা পরা নারীকে সম্মানের বদলে দর্শকের সামনে হেয় করা হয়েছে। যা শুধু একজন নারীকেই নয় বরং বোরখা পরা সকল নারীর জন্যই অপমানকর। জামায়াত নারীদের বোরকা পরতে আগ্রহ সৃষ্টি করে। এটা নি:সন্দেহে ভাল দিক। একটা ভাল জিনিসকে অসম্মান করা, পরিচালকের সংকীর্ন মানসিকতাকেই তুলে ধরে।
সিনেমাতে বিভিন্ন সময়ে গোলাম আযম, নিজামী এবং মুজাহিদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সিনেমাতে বিভিন্ন সময়ে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” “রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিন” এসব শ্লোগান ব্যবহার করা হয়েছে। এ কথা সত্য যে, ৭১ এ জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয় তা এখনও প্রমানিত না। সুতরাং একটি অপ্রমাণিত বিষয় নিয়ে এই ধরনের প্রপাগান্ডা চালানোর অধিকার পরিচালকের নেই।
তাছাড়া সিনেমাতে রাজাকার এবং পাকিস্তনি আর্মিদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তি সংগ্রামই ঢাকা পড়ে গেছে।
এছাড়া রাজাকারদের উগ্রভাবে উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে জামায়াতের চরিত্র হননই যে মূল উদ্দেশ্য তা সহজেই অনুমেয়।
বস্তুত সরকার এই সিনেমাটি নির্মাণে যে আর্থিক অনুদান দিয়েছে তা আবার সুদে আসলে তুলেও নিয়েছে। সিনেমার অভ্যন্তরে অযাচিত এবং অযেৌক্তিক জামায়াত বিরোধী প্রচারনা চলচ্চিত্রকে তার মুল ভাব থেকে দূরে আসতে বাধ্য করেছে।
তাই এটিকে সিনেমা না বলে, একটি গোষ্ঠীর রাজনৈতিক প্রচারনা বলাই কি যৌক্তিক নয়?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




