somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মরীচিকা

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করে সবে বেশ কয়েকটি চাকরীর পরীক্ষা দিয়েছি । কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের চাকরী - এসব বাছবিচার করতাম না । এই দুর্মূল্যের বাজারে একটি চাকরীর দরকার। কাজেই যেকোন একটা চাকরী হলেই চলবে। কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে প্রত্যাহিক সংবাদপত্রের যেকোনো চাকরীর খবর দেখলে, উপযোগী মনে করলে আবেদন করতাম । বরাবরই স্কুল শিক্ষকতার প্রতি একটু ঝোঁক ছিল । তুলনামূলকভাবে পাওয়াও সহজ ছিল । এখানে সরাসরি বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে সাক্ষাৎকার দিয়ে চাকুরী পাওয়ার সুযোগ ছিল । ইতিমধ্যে আমি বেশ কয়েকটি স্কুলে সাক্ষাৎকারও দিয়েছি । মাত্র ক'দিনেই একটি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি যে স্কুলগুলিতে আগে থেকে প্রার্থী ঠিক করা থাকে। বেশ কিছু জায়গায় গিয়ে বুঝেছি, এর সঙ্গে প্রচুর টাকার লেনদেন জড়িত । আমি একজন নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। এত টাকা দেবার সামর্থ্য আমার নেই । কাজেই প্রায় সব স্থানে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতাম । দেখতে দেখতে প্রায় ডজন খানেক স্কুলে ইন্টারভিউ দিয়ে বুঝেছি যে স্কুলের চাকরী আমার পক্ষে অধরাই থেকে যাবে।

উল্লেখ্য যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল তখনও আমি ছাড়িনি । আজ ছাড়ি কাল ছাড়ি করে তখনও ধরে রেখেছি । সকালে বাসিমুখে পেপার বা খবরের কাগজের কোনও একটি বিষয় নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে এঁড়ে তর্ক করা হোস্টেলের একটি অলিখিত কালচারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম । সেদিন ঠিক এরকম ভাবে ব্রাশ করা অবস্থায় পেপার পড়তে পড়তে চতুর্থ পাতার কর্মখালি পেজে মেদিনীপুরের একটি আবাসিক স্কুলে একসঙ্গে ইংরেজি, বাংলা, অঙ্ক, ভৌত বিজ্ঞান ও ভূগোলের শিক্ষক পদের বিজ্ঞাপন দেখে হোস্টেলের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আমিও হৈ হৈ করে উঠলাম । ভাবটা ছিল এমন যে সবাই যেন চাকরীটা পেয়েই গেছি । আমার বিষয় বাংলা। আমার রুমমেট পরিমলের ইংরেজি, সাবিরের ফিজিক্স, সৌম্যজিতের ভূগোল, অর্নবের অঙ্ক হওয়াতে ধরে নিয়েছিলাম বেশ কয়েকজন একসঙ্গে চাকরী করলে দারুণ হবে । বেতন যাই হোক, একসঙ্গে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আনন্দে আমরা তখন রীতিমত দিন গোনা শুরু করলাম । ঐদিন হোস্টলে আমাদের জুনিয়ররা সন্ধ্যেবেলা মাংস - রুটির দাবি করলো । পরে কী হবে না ভেবে আমরা আমাদের ভাইদের দাবিমত সন্ধ্যেবেলা রুটি - মাংসের ব্যবস্থা করেছিলাম । কয়েকজন আবার লালজল সেবনের বায়না করেছিল । ব্যক্তিগত ভাবে আমি ওসবের বিরোধী হলেও পরিমলের কথামত ভাগের টাকাটা তৎক্ষনাক দিয়ে দিই। ফলে চাকরী আদৌ হবে কি না হবে - তা না ভেবে আমরা উৎসবে মেতে উঠি ।

আমাদের পাঁচবন্ধুর এভাবে দলবেঁধে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়া প্রসঙ্গে নিজ নিজ বাড়িতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছিল । অন্যদের যাইহোক আমার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমি হোস্টেলে থাকাকালীন বাবার পেনসনের টাকাতে খরচ চালিয়েছি । কাজেই যত কম বেতন হোক আমার তাগিদ ছিল অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি । উল্লেখ্য বিজ্ঞপ্তীতে বলা ছিল বেতন আলোচনা সাপেক্ষ । বন্ধুদের কয়েকজন জানালো যে ওদের বাবামায়েরা অতদূরে ইন্টারভিউ যেতে দিতে রাজি নন । আমি সাময়িকভাবে হতদ্যোম হলাম। তবে একটা বিষয়ে দৃঢ় ছিলাম যে কেউ রাজি না হলে আমি একাই যাবো । যদিও শেষ পর্যন্ত ঘুরতে যাওয়ার আনন্দে সকলেই রাজি হয়েছিল ।

নির্দিষ্ট দিনে আমরা হাওড়া স্টেশনের বড় ঘড়ির নীচে জমায়েত হলাম । দুপুর সোয়া বারোটা নাগাদ আমাদের ট্রেন থাকলেও আমরা সকলে এগারোটার মধ্যে যথাস্থানে পৌঁছে যাই । একেবারে সঠিক সময়ে ট্রেন যাত্রা শুরু করলো । তিন ঘন্টার অনেক বেশি সময় লাগলো মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছাতে । স্টেশনে নেমে আমরা রিক্সা যোগে বাসস্ট্যান্ডে গেলাম । বাস ধরে আরও দেড় ঘন্টা গিয়ে আমরা শাখাচুঁকিয়া বাজারে যখন পৌঁছালাম তখন সন্ধ্যে হবো হবো । বাজারে নেমে স্কুলের নাম বলতেই গাঁয়ের লোকদের একটি আলাদা উন্মাদনা লক্ষ্য করলাম । কয়েকজন শুধু মুখে বলেই কর্তব্য সারলেন নয় , আমাদের নিয়ে একেবারে স্কুলবাড়ি পর্যন্ত চলে এলেন ।

আমরা স্কুলে পৌঁছে নিজেদের পরিচয় দেওয়াতে , বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি মহাশয়কে খবর দেওয়া হল । কিছুক্ষণের মধ্যে বেশ কালো মোটাসোটা, মাথা ভর্তি টাক ওয়ালা হাসিখুশি মুখের একজন সামনে আসতেই উপস্থিত সকলকে একটু বেশি সমীহ করতে দেখলাম । বুঝলাম উনিই সভাপতি মহাশয় হবেন । হাসিহাসি মুখে তাকিয়ে নমস্কার করে নিজের পরিচয় দিলেন । আমরাও প্রতিনমস্কার করাতে, খুব আন্তরিকতার সঙ্গে উপস্থিত একজনকে উদ্দেশ্য করে আমাদের ব্যাগপত্র ঘরে নিয়ে যেতে বললেন । আমাদের স্নান, খাওয়ার পরে রাতে আবার কথা হবে বলতেই উপস্থিত কয়েকজন আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এল । উল্লেখ্য প্রথম দর্শনেই সভাপতি মহাশয়ের মধুর ব্যবহারে আমরা অত্যন্ত খুশি হলাম । একটা ফাঁকা রুমে আমাদেরকে থাকতে দেওয়া হল । সম্ভবত এটি গেস্ট রুম হবে । এখানে বাড়ির মত বিছানা ও অ্যাটাচড বাথরুম আছে । একে একে আমরা সবাই স্নান সেরে খাওয়ার ঘরের দিকে গেলাম । প্রেসিডেন্ট সাহেব তখনও স্কুলে ছিলেন ।আমাদের দেখে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সন্ধ্যেবেলা টিফিনের ব্যবস্থা করলেন । দেখতে দেখতে স্কুলের পড়ুয়ারা ভিড় করতে লাগলো । সবাই আমাদের দিকে কৌতুহলী দৃষ্টি দিয়ে ফিসফিসিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে লাগলো । এমন একটি পরিবেশে আমি শিক্ষক হবো - এমন স্বপ্নে বেশ উপভোগ করতে লাগলাম। কয়েকটি বাচ্চা এগিয়ে এসে থমকে গেল। তার মধ্যে একটি আরও একটু এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো,
-আঙ্কেল, তোমরা কি আমাদের স্যার হবে?
আমি কাছে টেনে নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
-তোমার নাম কি?
-সমন্বয় সামন্ত ।
-কোন ক্লাসে পড়?
-আজ্ঞে, ক্লাস ফাইবে ।
একেএকে পাশের চার জনেরও নাম জানলাম । এবার আমি ওদের জিজ্ঞাসার উত্তর দিলাম ।
-হ্যাঁ বাবা,আমরা তোমাদের স্কুলে শিক্ষক হতে এসেছি । আগামীকাল ইন্টারভিউ আছে, পাশ করলে তবেই তোমাদের স্যার হতে পারবো ।
- উমা! তোমরা পাশ করবে না কেন ? কেন তোমরা পড়াশোনা করোনি?
-দেখো সমন্বয়, আমরা আগামীকাল যে পরীক্ষাটা দেবো, এটাকে ইন্টারভিউ বলে । সেটা ঠিক পাশ-ফেলের মত পরীক্ষা নয়। তোমাদের স্কুলে ধরো প্রতি বিষয়ে একটি করে পোস্ট আছে। আর ঐ একটি পোস্টে চাকরী করার আবেদন করেছেন আমাদের মত দশ /বারোজন করে ক্যান্ডিডেট । স্কুল তাদের মধ্যে বাঁছাই করে একজনকে চাকরী দেবে । বাকিরা আবার অন্য জায়গায় চেষ্টা করবে । এখানে যারা এসেছেন তাঁরা সবাই অনেক অনেক লেখাপড়া করে এসেছেন । সেখানে সবাই পাশ করে তবেই এখানে আসতে পেরেছেন ।
- ও বুঝেছি! বুঝেছি।
- কী বুঝলে?
- তোমরা সবাই অনেক পাশকরে এখানে এসেছ । তাঁর মধ্যে একজন আমাদের স্যার হতে পারবে ।
আমি সমন্বয়ের পিঠ চাপড়ে,
- একদম ঠিক বলেছ ।
-আসছি আঙ্কেল, বন্ধুরা ডাকছে ।
- আচ্ছা এসো ।
বাচ্ছাদের সঙ্গে আমার কথা বলার ধরন দেখে বা আমার ধৈর্য্য ধরে উত্তর দেওয়াতে আমার বন্ধুদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হল । পরিমল ও অর্নব হবু শিক্ষকের ছাত্র - শিক্ষক কথোপকথন বেশ উপভোগ করলেও সাবির ও সৌম্যজিতের চোখে - মুখে বিরক্তির ছাপ ফুঁটে উঠেছে । যাইহোক সারাদিনের জার্নিতে তখন আমরা বেশ ক্লান্ত হয়ে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম । রাত নটার দিকে দরজায় টোকা দেওয়ার শব্দে খুলে দেখি কিচেনরুমের একজন স্টাফ আমাদের রাতের খাবার খেতে ডাকছেন । আমরা ক্লান্ত শরীরে তন্দ্রালু চোখে অনিচ্ছাতেও টলতে টলতে ওনাকে অনুসরণ করতে লাগলাম ।

পরের দিন ইন্টারভিউ। আগেই বলেছি বেসরকারি আবাসিক স্কুল হওয়ায় সব বিষয়ে চার- পাঁচজনের বেশি ক্যান্ডিডেট আসেনি । কেবলমাত্র বাংলাতে ছিল সর্বাধিক; আমাকে ধরে এগারজন। ক্যান্ডিডেটের আধিক্যে শুরুতে একটু মুঁষড়ে পড়লেও পরে বিষয়টি সহজ ভাবে নিতে পেরেছিলাম। ইন্টারভিউ খুব খারাপ হয়নি । সেদিন বিকালে আমাদের রেজাল্টও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল । বাংলার প্যানেলে দ্বিতীয় স্থানে আমার নাম থাকায় বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলাম । আমার বাকি বন্ধুরা প্রত্যেকে ইতিমধ্যে নিজেদের প্যানেলে শীর্ষে থেকেও চাকরী না করার অপশন দিয়েছে । আর আমি চাকরীটা করতে চেয়েও পেলাম না। নিজের বিষন্নতার সঙ্গে ভগ্নহৃদয়ে যখন ব্যাগ গোছাচ্ছিলাম এমন সময় অফিসের একজন স্টাফ আমাকে দেখা করতে বলে গেলেন । আমি এই জরুরী তলবে এক ঝলক আশার আলো দেখতে পেলাম । ছুটে গেলাম অফিসের উদ্দেশ্যে । প্রথম ব্যক্তি অনিচ্ছুক হওয়াতে আমাকে অপশন দিতে বলা হল । এক অকৃত্রিম আনন্দে চোখে জল চলে এল । সেদিন বিকালে স্কুলের মাঠে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আরও অনেক কথা হল । উনি পরের দিন স্কুলে জয়েন করতে বললেন । কিন্তু সেক্ষেত্রে আগামী এক সপ্তাহ বাড়ি যাওয়া যাবেনা। উপরন্তু আমার কাছে জামাকাপড় একেবারে না থাকায় বাড়ি ফেরাটা অত্যন্ত জরুরী মনে হল । সঙ্গে বন্ধুদের ছেড়ে একাকী থাকাটাও সুখকর বলে মনে হলো না । এমতাবস্থায় সবকিছু বিবেচনা করে পরেরদিন সকালেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম ।



সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৭
৬৯টি মন্তব্য ৭৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×