somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আঁতুড় ঘর।

০৯ ই নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আঁতুড় ঘর । #রাজা সরকার।

ভূমিকা-

আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।যদিও জন্মসুত্রে পূর্ববঙ্গের।আপাতত যাকে বলা হয় 'বাংলাদেশ'।১৯৬৪ সালের এক সকালে আমাদের ছাড়তে হয় জন্মের ভিটেমাটি ।তখন আমার বয়স মাত্র ১১ ।


এটা এখন ইতিহাসের বিষয়।দেশভাগ বা পরবর্তীতে বাংলাদেশের জন্ম বা সে দেশে একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু অংশের মানুষের অবস্থা---এসবই এখন গবেষণার বিষয়।কিন্তু আমি আমার বিবর্তন এই দীর্ঘ সময় ধরে লক্ষ্য করেছি যে আজো আমি আমার জন্মসুত্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি। পারিনি অখন্ড হতে যেতে । বর্তমান প্রেক্ষিতে এটা কোনো ব্যথর্তা কিনা জানিনা ।


অথচ একই শ্রেণী-অবস্থানের মানুষদের দেখেছি যে তাদের এবিষয়ে কোনো যাতনা নেই।অনেকের সেসব তেমন মনেও নেই। নাকি মনে রাখার ইচ্ছাটাও নেই! সেটা অবশ্য জানা যায়না।এই প্রসঙ্গে কোনো কথা উঠলেই প্রথমে যেটা শুনতে হয় তার নির্যাস অনেকটা এরকম--"না না ঐদেশের কথা ছাড়োতো,ওখানে থাকতে হলে হয় মুসলমান হও নয়তো জান মান ওদের কাছে জমা দাও।যে কয় খান হিন্দু এখনো ওখানে আছে তারা কি ভালোমত আছে মনে করো? খোঁজ নিয়ে দেখো,বুঝতে পারবে,তখন তোমার এইসব আবেগ কোথায় থাকে দেখবো"।

এভাবেই এসব কথা চলতে থাকে। আমি কোনো উত্তর দিইনা বা বলা ভালো দিতে পারিনা। দিতে গেলে তথ্য দিতে হয়,তথ্য দিয়ে আবার বিশ্বাস করাতে হয়।অনেকসময় তাতে কিছুটা কাজ হয়।অনেকসময় কোনো কাজ হয়না।বুঝতে পারি ঘা শুকোয়নি আজো ।হতে পারে, কিন্তু 'ঘা' যে সবখানি সত্য নয় তা কবে শোনা যাবে ?

একটা আঘাত, আঘাত থেকে ঘা,যা অস্বীকার করা যায়না।ফলে আমাকে শুনতেই হয়।যেহেতু কথাটা আমিই তুলি। কিন্তু আমার মতো দ্বিখন্ড কে আছে আর ! না কেউ নেই, একা এক অদৃশ্যের এই আত্মরক্ষায় ।

আমি আর কোনো কথাই বলতে পারিনা।কিছুতেই ঢুকতে পারিনা এই বেড়াজাল ভেঙ্গে। যদিও বুঝতে পারি এর ভেতরই জমে আছে দ্বিখন্ডিতের যন্ত্রণা। জেগে আছে সেই সব উদ্বাস্তু বালক বালিকারা ।

৩০ ৪০ ৫০ ৬০ দশকের বিবর্ণ বছরগুলো যেন বাতাসে উড়ছে---পাশের বাড়ির ঘটি(পশ্চিম বঙ্গীয়) বউটি বলছে--দূর হ, দূ হ মুখপোড়ারা,বিদেয় হ দিকিনি---।

---তো এরা যাবে কোথায়?????


সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:২৭
১৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×