somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রি-পোষ্টঃদুর্লভ প্রাপ্তি

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ খুব খুব ভাল্লগছে।GOOGLE এর মত বলা যায় I’M Feeling Lucky…

ঘটনা হইল গিয়া আজ থাইকা বরাবর ৩ বছর আগে এক ফ্রেন্ড কে হাজার পাচেক টাকা দিই।কিন্ত শালা মাদার ুদ আমার টাকা খাঈয়া এক্কেবারে লাল বাদশা হইয়া গেল। টাকা ফেরত দেয়ার নাম গন্দ্ব নাই।

গত তিন বছরে আমার ৫০০০ টাকার জন্য ১০০০ টাকার মত মুবাইলের বিল দিয়া তৈল মর্দন করতে হইচিল ।সামনাসামনি দেখা হইলে খুব ভদ্র ভাষা ব্যবহার করতাম।ব্যপার হইল ৫০০০ টাকার পুরুটাঈ আমার বাপের সিন্দুক থেঈকা দিচিলাম।

সবাই বলাবলি করচিল ধারের টাকা কি ফেরত আসে?এই রকম রেকর্ড দেকচ কোথাও??ভাবলাম হ তাও তো এক্কান কথা।কি করা যায় ? কি করা যায়?? টাকা পয়্সার খুব একটা অভাবে আছি তাও না। ঘর থাঈকা চাইলে পাওয়া যায়।

এদিকে ুদনারে ফুনাঈলে কয় –দিব দিচ্চি;হচ্চে-হবে...।শালার আমারে জ্যাক্কাস বানাইলো রে...।।

কিন্ত আমার ুদনা বন্দ্বু আমার (না তাও আমার বাপের) টাকা হজম কঈরা ফেলব !!!কেম্নে আমি সহ্য করি ?

চিন্তা করলাম আল্লাহ তায়ালার রহমতে পুলিশ প্রশাসনের উচচপদে এই শহরেই আমারই কাজিন আছেন।আবার ভাব্লাম ৫০০০ টাকার জন্য তার নিকট কিছু বলা কি ঠিক হবে?? তাছাড়া আমি ত ৫০০০ টাকার ধারের দেওয়ার কোন দলিল-দস্তাবেজ ও রাখি নাঈ।


দিন কয়েক আগের কথা।মুঠফোনটা তুলে তার নাম্বারে ডায়াল দিলাম।

জিগাইল-- কিরে কি খবর...বল্লাম খুব ভালো।
আমি কইলাম কিরে টাকাটা কবে দিবি??
সে আবারো আগের কাহিনী শুনাঈতে লাগ্ল...।


আমি ভদ্র ছেলে।রবীন্দ্র-জীবনানন্দ পড়ি...।তাই মুখ দিয়ে ইংলিশ-হিব্রু সহজে বাইর হয় না ।কিন্ত সেদিন হঠাৎ আমার মুখে ডিপজলের দৈত্য সওয়ার হইল।

আমি খেউরাইতে লাগ্লাম......ঙ্কির পোলা...মাদার..ুদ ।তোমারে আমি পুলিশ দিয়া ুদামো।আগেই তুমারে পুলিশ দিয়া পুন্দাইলে ভাল হইত।কালকের মধ্য আমার টাকা চাই...এক টাকাও কম দিবি না...ইত্যাদি।

তার যুধিষ্ঠির টাইপ দুস্তের নিকট থেইকা এহেন বাক্য নির্গমনে বন্দ্বু আমার যারপরানেই হতচকিত হয়ে গেছিল।তার খনিক নিস্তবতাই সেটা বুঝা গেছিল।যদিও সে নিজেকে সাম্লে নিয়ে বল্ল ‘আস তুমার টাকা তুমার ুন্দে ঢুকামো।কাল ৪ টায় এলাকায় আসিস’

এ কথায় আমার একটু খটকা লাগ্ল।আমি কি জিডি
করে তারপর যামু? সে কি পুলাপান রাখবে?? ইত্যাদি ...কিন্তু সাহস হারালাম না।ভাব্লাম একশান পরে।আগে দেখি ঘি সোজা আঙ্গুলে ঊঠে কি না? তারপর যা করার করব।

গেলাম বিকাল ৪ টায় ।কল করলাম।রিসিভ করলনা। আমি ওয়েট করতে লাগ্লাম।আর এদিক ওদিক তাকালাম।স্নায়ু গুলা যথা সম্ভব টান টান রাক্লাম।মনে মনে কিছু একটার প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম।

এক টু পর দেখি আমার ফোন বাজচে ।দেক্লাম সে কল করছে।সে যা বলল তা হল ---'অমুক দোকানে তমুক কে ৫০০০ টাকা দিয়ে আসচি।তুই গিয়ে নিয়ে আয়...'

আমি গেলাম ।ওটা একটা ফোন ফ্যক্সের দোকান। দোকানে গিয়ে তার নাম বললাম। দোকানি আমার নাম জানতে চেয়ে আমার নাম্বারে কল দিল।দেকল সব ঠিকঈ আছে।তারপর সে তিনটা এক হাজার টাকার নোট আর চারটা পাচঁশ টাকার নোট গুনে আমাকে দিল।

এক মুহূতের জন্য কি যেন ভাবলাম—টাকা গুলা কি আসল?! হাতে নিয়ে চেক করলাম আসলই!!!


এরপর আসতে- আসতে চিন্তা করলাম—এত সহজেই বাকী টাকা কিভাবে ফেরত পাওয়া যায়।এতদিন ভদ্র ভাষা বা ব্যবহার দিয়ে যে টা সম্ভব হয়নাই সেটা এত তাড়াতড়ি কিভাবে আদায় হল.....?

পুলিশের ভয়?? নাকি ভাষার যথার্থ প্রয়োগ??

........ .......... ........... .............

ডিসক্লেইমারঃ সামহয়ারের মডুগন প্লিজ ভাষার
ব্যবহাররের জন্য আমাকে ব্লক কিংবা কোন রূপ নিষেধাজ্ঞায় ফেইলেন না ব্লগাররা প্লিজ আমাকে বখাটে বা মাস্তান টাইপ মনে কঈরেন না। আমি গণনা যন্ত্র প্রকৌশলে স্নাতক।ভালবাসি সঞ্চয়িতা পড়তে ।মাছ আমার ফেভারিট খাদ্য।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪১
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×