কাঁচের চুড়ি ভেঙে গেলে রাত্রিদিন
কেমন আছো একা একা আমিহীন...
আমিত্বের ভেতর মিশে গেছে জলের নকশা। সুনসান বাতাস এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরে ফিরে গোত্তা খায় স্মৃতির দেয়ালে। দেয়ালে এঁকে রেখে গেছো পথচলার খতিয়ান। ইতিহাসের ম্যুরাল।
পায়ের তলায় ভেজা বালি সরে সরে গেছে অবিরাম। পতেঙ্গার বাতাসে ঝাউ শাখায় কার কান্না লিখে লিখে ফেরারি হয়ে যাবার আগে সমুদ্রের স্রোত গুণে নিয়েছিল নাবিকের কম্পাস। সে জাহাজ আর ফেরে নি। জাহাজি, তুমি নেই কোথাও। শিরোনামহীন গানে ঝাপসা তুমি। খুব ঝাপসা তুমি।
দেয়াল ধরে আমি বেড়ে উঠি আমি মধ্যরাত হয়ে। দেয়ালে ম্যুরাল। ম্যুরালে তোমার হাসির আড়ালে দীর্ঘ কান্নার সচিত্র প্রতিবেদন। পায়ে পায়ে জানা হয়ে যায় গোপন দীর্ঘশ্বাস। পায়ে পায়ে বেড়ে উঠে বসুন্ধরা আবাসিক, কৃষি, মৈত্রী সম্মেলন। লাভ রোড, জাকির হোসেন, পতেঙ্গা, বন্দরটিলা।
আমি হাঁটি। হেঁটে যাই যাযাবর। আমি হারি। হেরে যাই বরাবর। তুমি কেন জেতো নি? কেউই জেতে না।