somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লং মার্চ - মেইড ইন চায়না ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লং মার্চ। বাংলাদেশের এই মুহুর্তের সবচেয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত বিষয়। আসুন দেখি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস কি বলে ।



১৯২৭ সাল। গৃহযুদ্ধ শুরু হয় সমগ্র চীন জুড়ে। চার বছর পর, ১৯৩১ সাল । নয়া প্রতিষ্টিত সোভিয়েট রিপাবলিক অব চায়নার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় কমিউনিস্ট নেতা মাও সেতং । সোভিয়েট রিপাবলিক অব চায়নার কেন্দ্র ছিল দক্ষিণপূর্ব চীনের জিয়াংজি প্রদেশ। অপরদিকে, ১৯৩০ থেকে ১৯৩৪ সালে চায়না জাতীয়তাবাদীরা সংগঠিত হয় Chiang Kai-shek এর নেতৃত্তে। জাতীয়তাবাদীরা ধারাবাহিকভাবে, পর পর পাঁচবার অবরোধ করে রিপাবলিকানদেরকে । গেরিলা কৌশল প্রয়োগ করে প্রথম চারটি অবরোধ ব্যার্থ করে দেয় মাও সেতং। বিপদে পড়ে শেষবার। অর্থাৎ ৫ম বার। এবার, Chiang একটি বিশাল বাহিনী গড়ে তুলে এবং কমিউনিস্ট অবস্থানের আশেপাশে শক্ত ঘাটি গেড়ে অবস্থান নেয়। মাও সেতং কে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। নতুন কমিউনিস্ট নেতৃত্ত প্রচলিত যুদ্ধ কৌশলের সিদ্ধান্ত নেয়।



পরবর্তিতে, অনিবার্য পরাজয়ের মুখে কমিউনিস্টরা সিদ্ধান্ত নেয় যে, অবরোধ বলয়ের দুর্বল অংশ দিয়ে বেরিয়ে চলে যাবে। ব্যাপক গোপনীয়তা এবং অন্যান্য কৌশল অবল্মবন করা হয় এ ব্যাপারে। লং মার্চ শুরু হয়। দিনটি ছিল অক্টোবর ১৬, ১৯৩৪ সাল। জাতীয়তাবাদীরা যখন বুঝতে পারে যে রেড আর্মির প্রধান অংশ চলে গেছে, ততদিনে কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। কমিউনিস্টদের অপসৃত বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল ৮৫ হাজারের মত। এছাড়াও ছিল হাজার হাজার অন্যান্য সদস্য। যুদ্ধাস্ত্র এবং সকল মালামাল সামগ্রী বহন করা হয় মানুষের পিঠে ,ঘোড়া টানা গাড়ীতে এবং যে যেভাবে নিতে পারে। লং মার্চের লাইনটি বিস্তৃত ছিল মাইলের পর মাইল। কমিউনিস্টরা সাধারনত মার্চ করত রাতের বেলায়। মশালের আলোর এই লাইনটি অনেক দুর থেকে দেখা যেত। দেখা যেত পাহাড় ও উপত্যকের মাঝে একটি আঁকাবাকা আলোর মিছিল এগিয়ে চলছে।


ইতিমধ্যে, মাও ধীরে ধীরে পার্টিতে তার প্রভাব ফিরেয়ে আনতে সক্ষম হয়। ১৯৩৫ সালের জানুয়ারী মাসে, কমিউনিস্ট পার্টির এক সভা অনুষ্ঠিত হয় দখলকৃত Zunyi শহরে। সভায় সে আবারও নির্বাচিত হয় কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ সামরিক ও রাজনীতিক নেতা হিসাবে। নতুন কৌশল অবল্মবন করে মাও। লং মার্চকে ভেঙে কয়েকটি ভাগ করা হয়। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, প্রতিটি ভাগ ভিন্ন ভিন্ন পথে অগ্রসর হবে যাতে শত্রুরা বিভ্রান্ত হয়। নতুন গন্তব্য সানজি প্রদেশ। সেখানে রয়েছে জাপানী দখলদার বাহিনী। কমিউনিস্টরা আশা করে যে জাপানীদের কে সেখানে পরাজিত করবে। এতে করে আরও বিপুল সংখ্যক চীনা জনতার সর্মথন লাভ করতে সর্মথ হবে।


অবশেষে চরম ক্ষুধা, বিমান আক্রমন এবং প্রায় প্রতিদিন জাতীয়তাবাদী বাহিনীর সাথে স্থলযুদ্ধ পেরিয়ে, ১৯৩৫ সালের অক্টোবরের ২০ তারিখ তারা উত্তর সানজি প্রদেশে এসে থামে। সেখানে তারা রেড আর্মির অন্যান্য দলগুলোর সাথে মিলিত হয়। লংমার্চ শেষ হয়।


এক হিসাব অনুযায়ী আট হাজার বা তার চেয়ে কম সংখ্যক পুরো লং মার্চ সমাপ্ত করতে সর্মথ হয়। এসময় তারা অতিক্রম করে চার হাজার মাইল, চব্বিশ নদী এবং আঠারটি মাউনট্নে রেন্জ।



Source: history.com
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×