![]()
গত ১৯শে সেপ্টেম্বর ড. ইউনুস ইস্যু নিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছিল ‘টাইমস অব ইন্ডিয়ার’র এক রিপোর্ট। The never-ending trial of Muhammad Yunus
শিরোনামে ঐ রিপোর্টে শেখ হাসিনাকে হিংসুটে প্রমাণ করে ছাড়ে এক রিপোর্টার। যে রিপোর্টি বেশ ফলাও করে ছাপে সরকার বিরোধী পত্রিকাগুলো । ফলে শেখ হাসিনা সরকার প্রকাশ্য হোচট খেয়ে এখন পর্যন্ত তার প্রতুত্তর দিতে পারেনি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া’র উক্ত লেখকের নাম ‘রাশিদুল বারি’। রাশিদুল বারির সব পরিচয় বাদ দিয়ে তাল মূল পরিচয় হচ্ছে সে ড. ইউনুসের খাস ভৃত্য।
![]()
ড. ইউনুসের আত্মজীবনী থেকে শুরু করে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ইউনুসের সাফাই গাওয়া তার একমাত্র কাজ। এর আগেও গত বছরের অক্টোবর মাসের ১২ তারিখে সে ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসে ‘ইউনুসকে কি সক্রেটিস’র ভাগ্যবরন করতে হবে’ এ শিরোনামে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি প্রবন্ধ লেখে এ লেখক।
তবে সমস্যা এখানে নয়, অন্যটা। আওয়ামী সরকারের অতিঘনিষ্ট এবং এফডিসির দুইবারের এবং বিটিভি’র ডিজি পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের সাথে ঐ রাশিদুল বারীর ঘনিষ্টতা নিয়ে।
তাও এমন একটা ইস্যু নিয়ে যা সরকারকে ফাঁদে ফেলার স্পষ্ট ষড়যন্ত্র। বলাবাহুল্য শাহবাগ ইস্যুটা নিয়ে সরকার ও মুসলমানদের মধ্যে সংঘাত তৈরী করতে যারা বাইরে থেকে ইন্ধন দিয়েছিল তার মধ্যে এ রাশিদুল বারিও একজন। শাহবাগ আন্দোলনে প্রচারের জন্য রাশিদুল বারি একটা কবিতা লেখে ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামে। যার উদ্দেশ্য ছিল ‘শাহবাগ আন্দোলনে’ এ কবিতা প্রচার করে সরকার ও ইসলামপন্থীদের মধ্যে একটা বড় ধরনের সংঘাত তৈরী করা। এবং এটা পাঠের জন্য সে হাতও করে জনপরিচিত আওয়ামীপন্থী এবং হিন্দু ধর্মালম্বী পিযূষ বন্দোপাধ্যায়কে।
![]()
(কবিতা রেকড্্এর সময় রাশিদুল বারি, পীযূষের স্ত্রী জয়শ্রীএবং পীযূষ)
বলাবাহুল্য, কবিতাটির মধ্যে এমন সব স্পর্ষকাতর শব্দ উচ্চারণ করা হয় যা শুনে যে কোন সুস্থ ব্যক্তির মানসিকতায় আঘাত লাগার জন্য যথেষ্ট।
আলেমসমাজকে ছি: ছি; পশ্চাদপদ, ধরিবাজ, মদে অন্ধ এমন কোন বিকৃত গালি নেই যা এ কবিতায় দেয়া হয়নি। সর্বশেষ বিষয়টটিকে আরো ঘোলা করতে আলেম সমাজকে বন্দে মাতরম পড়ার জন্য আহবান করা হয় এতে।
এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য, সরকাররের ভেতর সরকারকে ফাদে ফেলার জন্য কতজন জড়িত, তা মনে হয় খোদ প্রধানমন্ত্রীও জানে না। সাবেক ডিজিএফআই প্রধান মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদের ব্লগার থাবা সম্পর্কে ভুল তথ্যের কারণে শেখ হাসিনার কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। সরকারের বহু শখের শাহবাগ আন্দোলনে গুড়ে বালি হয় মামুন খালেদের একটি মাত্র ভুল রিপোর্টে। একই সাথে থাবার বাসায় গিয়ে ইসলাম বিদ্বেষের লেভেল সেটে যায় প্রধানমন্ত্রীর গায়ে। পরবর্তীতে শেখ মামুন খালেদকে বরখাস্ত করেও লাভ হয়নি। যা ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের বেকায়দায় ফেলতে ড. ইউনুসের ভৃত্যের ঐ চক্রান্তে সাথে একাত্বতা প্রকাশ করলো কেন পীযূষ বন্দোপাধ্যায়?
কেন সে নিজ গলায় পাঠ কররো ‘বাংলাদেশ’ নামক চরম উস্কানিমূলক কবিতাটি।
সেও কি গোপনে সরকার বিরোধী চক্রান্তে সাথে জড়িত?
গাদ্দারদের এখনই দমন না করলে আরো বিপর্যয় অপেক্ষা করছে সরকারের জন্য...............
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





