somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুচীর মেয়ে ছান্ধিয়া (গল্প)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শামচুল হক
মুগীলালের সাথে রেল গেটে অপ্রাত্যাশিত ঘটনা ঘটার কয়েক দিন পরে গোরোস্থানের রাস্তা দিয়ে হেঁটে পূর্ব দিকে যাচ্ছি। ফাঁকা রাস্তা। বেলা তখন এগারোটা হবে। কিছুদূর যাওয়ার পরেই দেখি দুধ লাল ধুতি পরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে আসছে। পিছনে একজন বয়স্কা মহিলা এবং সাথে অল্প বয়সী একটি মেয়ে। আমাকে দেখেই মুগীলাল হাসি দিয়ে বলল, কিরে রতন কই যাস?
আমি বললাম, কালিবাড়ি যাবো।
-- কেন?
-- কাজ আছে।
আমাদের দু’জনকে কথা বলতে দেখে পিছন থেকে মহিলা এগিয়ে এসে বলল, মুগী লাল-- এ বাবু কে রে?
মুগীলাল বলল, এ আমার কলেজের বন্ধু।
মুগীলালের মুখে কলেজের বন্ধু কথা শুনে মহিলা আরেকটু কাছে এগিয়ে এসে বলল, বাবুজি, আমি মুগীলালের মা। আর এটা আমার মেয়ে, নাম ছান্ধিয়া। ওরা দুই ভাইবোন। মুগীলাল তোমার ছাথে পড়ে আর ছান্ধিয়া স্কুলে ক্লাছ নাইনে পড়ে।
মুগীলালের মায়ের কথা শুনে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা কোথায় গিয়েছিলেন?
মুগীলালের মা বলল, তোমার কাকা অছুস্থ্য, তার জন্য মানত ছিল বাবা। তাই গঙ্গা ছিনানে গিয়েছিলাম।
গঙ্গা স্নান কথা শুনে বুঝতে পারলাম, ঘাগট নদীতে গিয়েছিল। এখানে তো আর গঙ্গা নেই, ঘাগটের ছোট্ট নদীকেই পূণ্যবান হিন্দুরা গঙ্গা কল্পনা করে স্নান করে নিজেদের পাপ মোচন করে থাকে। আরো কিছু কথা হলো। মুগীলালের মা কথা বললেও ছান্ধিয়া কোন কথা বলল না। যাওয়ার সময় ওর মায়ের মতই দন্ত ‘স’ কে ‘ছ’ উচ্চারণ করে দু'হাত জোড়া করে কপালে ঠেকিয়ে বলল, আছি দাদা, নমছকার।

মুচি, মেথররা যদিও দন্ত ‘স’ উচ্চারণ করতে পারে না তারপরেও তাদের ‘ছ’ দিয়ে কথা বলাটা শুনতে ভালই লাগে। হয়তো মুগীলালের বোনের নাম সান্ধিয়া ‘স’ উচ্চারণ না করার কারণে ছান্ধিয়া হয়েছে। আর মুগীলাল দন্ত ‘স’ স্পষ্ট উচ্চারণ করায়, কলেজ লাইফের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়া সত্বেও দেড় বছরেও ওকে বুঝতে পারিনি ও মুচি।

হিন্দু ধর্মের এই নিচু জাতিটির গায়ের রং সাধারণত কালো হয়। কিন্তু মুগীলালের মায়ের গায়ের রং ফর্সাই বলা চলে। ওর মায়ের চেয়ে মুগীলাল আরো ফর্সা। ছান্দিয়া ওর মায়ের মতই চেহারা তবে ওর মায়ের চেয়েও সুন্দরী। মুচির ছেলে-মেয়েদের চেহারা যে এত সুন্দর হয় এটা আগে কখনও দেখিনি। মনে হয় আজই প্রথম দেখলাম।

কয়েকদিন পরে হাতে প্লাস্টিকের কভারওয়ালা খাতা নিয়ে কলেজে যাচ্ছি। গার্লস স্কুলের গেট পার হয়ে কিছুদুর যেতেই পিছন থেকে হঠাৎ মেয়েলী কণ্ঠে ডাক শুনলাম, রতন দা।
চমকে উঠে তাকালাম। ছান্ধিয়া রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আমি তার হাসি দেখে বললাম, কিরে ছান্ধিয়া তুই?
ছান্ধিয়া হাসি হাসি মুখেই জবাব দিল, জি দাদা, ইছকুলে যাচ্ছি। আপনি কলেজে যাচ্ছেন?
বললাম, হ্যাঁ।
ছান্ধিয়া হাত তুলে টাটা দিয়ে বলল, ঠিক আছে দাদা যান।
আমিও হাত তুলে টাটা দিয়ে নিঃশব্দে রওনা হলাম।
ছান্ধিয়া দেখতে সুন্দরী। ওর হাসি মাখা মুখ আর মিস্টি সুরে কথা বলার স্টাইল আমার কাছে খুব ভালোলাগে। তবে ভালো লাগলেও ভালবাসা যাবে না। কারণ ও মুচির মেয়ে। হিন্দু ধর্মের নিচু জাত এরা। ওকে ভালোবাসলে ভালোবাসার সম্পর্ক আমার সমাজ মেনে নিবে না। সমাজের কথা ভেবেই নিজের মনকে শক্ত করতে হচ্ছে। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম ওকে যত ভালোই লাগুক না কেন হাই হ্যালো পর্যন্তই ওকে রাখতে হবে এর চেয়ে বেশি আগানো যাবে না।

আরো কয়েকদিন পরের ঘটনা। বিকালে কলেজ শেষে বাসায় ফিরছি। গোরস্থানের কাছে আসতেই দেখি ছান্ধিয়া রাস্তার পাশে কি যেন দাম করছে। আমাকে দেখে দোকানির কাছ থেকে উঠে এলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কি রে ছান্ধিয়া-- কি কিনছিস?
ছান্ধিয়া মুখটা কাচুমাচু করে বলল, কিছু না দাদা, কদবেল দেখতে ছিলাম।
-- কিনলি না?
-- দাম বেছি চায় দাদা।
-- কত চায়?
-- পাঁচ টাকা করে চায়।
-- তোর কাছে পাঁচ টাকা নাই?
-- আছে দাদা নেব না।
-- কেন, নিবি না কেন?
-- এমনি নেব না।
আমি ওকে কদবেল ওয়ালার কাছে ডেকে নিয়ে এলাম। কদবেল ওয়ালাকে বললাম, ওকে দু’টা কদবেল দিয়ে দেন।
কদবেল ওয়ালা কদবেল দিলেও ও নিতে রাজি হচ্ছিল না। আমি ধমক দিয়ে বললাম, কদবেল দু’টা নে--নাহলে কিন্তু মাইর দেব।
আমার মাইর দেয়ার কথা শুনে মিস্টি হাসি দিয়ে বলল, ঠিক আছে দাদা তাহলে একটা নেব।
আমি ছোট্ট একটা ধমক দিয়ে বললাম, একটা কেন, দুইটাই নে।
ও দু’টা কদবেল নিয়ে চিরাচরিত স্বভাব অনুযায়ী হাসি হাসি মুখে চলে গেল। আমি কদবেল ওয়ালাকে দাম দিয়ে বাসায় চলে গেলাম।
এর পরে আরো কয়েক বার ছান্ধিয়ার সাথে দেখা হয়েছে। দেখা হলেই ও ওর স্বভাব অনুযায়ী হাসি দিয়ে বলতো, দাদা কেমন আছেন?
আমি তার উত্তরে হাসি হাসি মুখেই বলতাম, ভাল আছি, তুই কেমন আছিস?
মাথা নিচু করে বলত, ভাল আছি দাদা।
তার ভাল আছি কথা শুনে বলতাম, কিছু খাবি?
মাথা নিচু করেই বলতো, না দাদা, কিছু খাবো না।
আরেক দিন দেখা হলে ওর হাসি মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম, ছান্দিয়া তুই কিছু খাবি রে?
ছান্দিয়া আমার এ কথায় মুখটি নিচু করে বলল, দাদা, আপনি আমাকে দেখলেই খেতে বলেন কেন? আমি কি এখনও ছোট্ট ছিছুটি আছি?
আমি ওর কথা শুনে হেসে বললাম, তুই যে বড় হয়ে গেছিস এটা তো আমার জানা ছিল না রে? আমি তো মনে করেছি তুই এখনও ছোট্টটিই আছিস। তোকে দেখলেই মনে হয় এখনও তুই চকলেট খাস।
আমার কথা শুনে ছান্দিয়া লজ্জায় মাথা নিচু করে বলল, দাদার যে কথা, আমার এখনও চকলেট খাওয়ার বয়ছ আছে। বলেই মাথা নিচু করে কিছুটা খোটা দৌড় দিয়ে আমার সামনে থেকে লজ্জায় পালিয়ে যাওয়ার মত করেই চলে গেল। আমি ওর লজ্জাবণত দ্রুত হাঁটার দৃশ্য দেখে হাসতে হাসতে চলে এলাম।
ঐদিনের পর থেকেই ছান্ধিয়ার সাথে আর দেখা নেই। মুগীলালের সাথেও দেখা হয় না। হঠাৎ করে ওরা যে কোথায় চলে গেল বুঝতেও পেলাম না। মুগীলাল, ছান্ধিয়া হঠাৎ করে হারিয়ে গেলও তাদের সম্পর্কে কারো কাছে কোন খোঁজও নেইনি।

প্রায় দশ বছর পরের ঘটনা। কোন এক কাজে বগুড়া গিয়েছি। কাজ শেষে বিকালে বাড়ি ফেরার জন্য স্টেশনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছি। আমার সামনে দিয়ে একজন লাল শাড়ি পরা সিঁদুর মাথায় মহিলা চলে গেল। যাওয়ার সময় মহিলা আমার দিকে দু’তিন বার তাকালে আমি মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। মহিলা যে মুচী মেথরের বউ এটা তার শাড়ি পরার ধরন দেখেই বুঝলাম। মুচী মেথরের মেয়েদের শাড়ি পরার ধরণ, হিন্দু বা মুসলিম মহিলাদের চেয়ে একটু আলাদা। তারা কমর থেকে একটি আঁচল সরাসরি মাথার উপর দিয়ে আধা গোমটার মত করে ঘুরিয়ে আনে।
মহিলা চলে গেলে প্লাট ফরমের শেষ প্রান্তে এসে একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে পশ্চিম দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ কে যেন আমার চোখ চেপে ধরল। চোখ থেকে হাত ছাড়াতে গিয়ে মনে হলো মহিলার হাত। ভয়ে চুপসে গেলাম। ভীত কন্ঠে বললাম, কে?
মহিলা পিছন থেকে বলল, বলেন তো আমি কে?
বগুড়ায় আমার কোন আত্মীয় স্বজন বা বন্ধু বান্ধব নেই, পরিচিত মহিলা থাকার প্রশ্নই আসে না। মহুর্তেই সবদিক চিন্তাভাবনা করে আমি অসহায়ের মত বললাম, আমি তো হাত ধরে চিনতে পারছি না।
-- কণ্ঠ ছুনেও বুঝতে পারছেন না?
-- না।
মহিলা চোখ ছেড়ে দিয়ে হি হি করে হেসে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। চেয়ে দেখি একটু আগে যে মহিলা আমার সামনে দিয়ে হেঁটে গিয়েছে, সেই মহিলা। তবে পরনের শাড়ি আগের মত নেই হিন্দু মহিলাদের মত করে পরা। সিথির সিঁদুর তেমনই আছে। আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি। সে হেসে হেসে বলল, এখনও আমাকে চিনতে পারেন নাই?
বললাম, না।
মহিলা হি হি করে হেসে দিয়ে বলল, দাদার কি ছরণ ছক্তি কমে গেছে? আমি ছান্ধিয়া।

ছান্ধিয়া নামটি বলতে দেরি হলো চিনতে দেরি হলো না। মুহুর্তেই ওর সেই স্কুল জীবনের হাসি হাসি মুখের চেহারা চোখের সামনে ভেসে উঠল। এতদিন পরে ছান্ধিয়ার দেখা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলাম। ইচ্ছা হলো স্কুল কলেজের বন্ধু বান্ধবের মত জড়িয়ে ধরে বুকে টেনে নেই। মনের অজান্তেই হাতও বাড়িয়ে ছিলাম, আবার মুহুর্তেই হাত গুটিয়ে ফেললাম। হাত বাড়াতে গিয়েই হুশ হলো, ও বিবাহিতা মহিলা, ওকে ধরা যাবে না।
হাত গুটিয়ে নিয়ে ছান্ধিয়ার মুখের দিকে তাকালাম। ছান্ধিয়া আমার মুখের দিকে তাকিয়ে তখনও হাসছে। ছান্ধিয়া বেশ স্বাস্থ্যবতী মহিলা। কিছুটা মোটাসোটা হওয়ায় আগের চেয়ে আরও সুন্দরী মনে হলো। অপালক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে ছান্ধিয়া বলল, কি দেখছেন দাদা?
-- তোকে দেখছি, তুই আগের চেয়ে আরো সুন্দরী হয়েছিস।
সুন্দরী বলায় ও যেন লজ্জা পেল, মুখ নিচু করে বলল, যাহ দাদা, কি যে বলেন!
কথার প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বললাম, কেমন আছিস ছান্ধিয়া?
ছান্ধিয়া হেসে হেসেই উত্তর দিল, ভাল আছি দাদা, আপনি কেমন আছেন?
-- ভাল, তুই বগুড়ায় এসেছিস কেন?
-- আমি বগুড়ায় আছি নাই তো দাদা, আমরা এখন বগুড়ায় থাকি।
-- মুগীলাল কই?
-- দাদা জুতার দোকান দিয়েছে। ও তো এখন লাখপতি।
[ংন]এক সাথে কলেজে পড়ে মুগীলাল মুচীগীরি করে লাখপতি হয়েগেলো অথচ আমি এখনও বেকার। মুগীলালের আর্থিক সচ্ছলতা ভালো লাগলেও আমার বেকার জীবনের দিকে তাকিয়ে নিজেকে ভালো লাগল না। নিজের বেকারত্বের দুর্বলতা বুকের ভিতর চাপা রেখে কথার প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বললাম--[/ংন]
-- তোর বিয়ে হয়েছে কবে?
-- তিন বছর হলো।
-- স্বামী কি করে?
-- দাদার জুতার কারখানায় কাজ করে।
-- তুই এইদিকে কই গিয়েছিলি?
-- ওই পাড়ায় বেড়াতে গিয়েছিলাম দাদা।
-- আমাকে চিনলি কি করে?
-- অনেক দূর থেকে দেখেই আপনাকে আমি চিনেছি। আপনি আমাকে চিনতে পারেন কিনা বোঝার জন্য আপনার ছামনে দিয়ে হেঁটে গিয়েছি। আপনার দিকে দু’তিনবার তাকিয়েছি, আমার তাকানো দেখে আপনি মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। আপনি আমাকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন কেন দাদা?
তার এ প্রশ্নের কি উত্তর দিব খুঁজে পাচ্ছি না। তবে তার মুখের দিকে যে ভাল করে তাকাইনি এটা সত্য, তারপরেও তাকে খুশি করার জন্য বললাম, তোর বিয়ে হয়েছে, গৃহিনী হয়েছিস, স্বাস্থ্য মোটা হয়েছে, আগের মত ছোট্টটি নেই, অনেক দিন পর দেখা-- এত কিছুর কারণে তোকে আমি চিনতে পারিনি রে?
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে চোখের উপর চোখ রেখে কিছুটা আশ্চার্য হয়েই বলল, ছত্যিই আমাকে চিনতে পারেননি!


০০ চলবে -- ০০
(ছবি ঃ ইন্টারনেট)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২৩
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×