somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছান্ধিয়ার মনের কথা (গল্প)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শামচুল হক

অনেক দূর থেকে দেখেই আপনাকে আমি চিনেছি। আপনি আমাকে চিনতে পারেন কিনা বোঝার জন্য আপনার ছামনে দিয়ে হেঁটে গিয়েছি। আপনার দিকে দু’তিনবার তাকিয়েছি, আমার তাকানো দেখে আপনি মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। আপনি আমাকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন কেন দাদা?
তার এ প্রশ্নের কি উত্তর দিব খুঁজে পাচ্ছি না। তবে তার মুখের দিকে যে ভাল করে তাকাইনি এটা সত্য, তারপরেও তাকে খুশি করার জন্য বললাম, তোর বিয়ে হয়েছে, গৃহিনী হয়েছিস, স্বাস্থ্য মোটা হয়েছে, আগের মত ছোট্টটি নেই, অনেক দিন পর দেখা-- এত কিছুর কারণে তোকে আমি চিনতে পারিনি রে?
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে চোখের উপর চোখ রেখে বলল, ছত্যিই আমাকে চিনতে পারেননি?
-- না রে-- আমি তোকে অন্য মহিলা মনে করে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলাম।
-- যদি অন্য মহিলা হতাম তখন কি করতেন দাদা?
-- কথাই বলতাম না।
-- আচ্ছা দাদা, আমি যখন আপনার চোখ চেপে ধরেছিলাম তখন আপনি কী মনে করেছিলেন?
-- ভয় পেয়ে ছিলাম।
-- কেন?
-- মহিলা পকেট মার বা ছিনতাইকারী মনে করে।
ছান্ধিয়া আমার কথা শুনে হা হা করে হেসে উঠল, হাসতে হাসতেই বলল, আপনজন ছাড়া কী পকেটমারে চোখ চেপে ধরে দাদা?
-- পকেট মারার জন্য ধরতেও তো পারে?
-- যদি আমি পকেটমার হোতাম তখন কী করতেন দাদা?
-- চিৎকার দিতাম, নইলে মানসম্মানের ভয়ে চুপচাপ থাকতাম। বলেই বললাম, কিছু খাবি রে ছান্ধিয়া?
আমার এ কথা শুনে ছান্ধিয়া মুখ নিচু করে বলল, দাদা, আপনি দেখি আগের মতই আছেন।
-- আগের মত কেমন রে?
-- স্কুল জীবনেও আপনি আমাকে ছোট্ট খুকি মনে করতেন। কদবেল কিনে দিতেন। দেখা হলেই কিছু খেতে বলতেন। এখনও দেখি সেই ছভাবটা রয়ে গেছে।
-- ভাইদের কাছে ছোট বোনরা সবসময় ছোটই থাকে রে।
-- তাই বলে কি আমি এখনও খুব ছোট আছি?
-- না না এখন তুই ছোট থাকবি কেন, তুই এখন অনেক বড় হয়েছিস, বিয়ে হয়েছে, সংসার করছিস, তোকে কি আর ছোট ভাবা যায়?
-- তাহলে আমাকে কিছু খেতে বললেন কেন?
-- ওই আগের স্বভাব অনুযায়ী, বলেই বললাম, মুগীলাল কেমন আছে রে?
-- ভাল আছে দাদা। ও বিয়ে করেছে। বউ দেখতে যাবেন না দাদা?
-- না রে, এখন যেতে পারবো না, একটু পরেই তো ট্রেন চলে আসবে।
-- ট্রেন আছার অনেক দেরি আছে দাদা, আপনি আমার ছাথে চলেন।
-- না রে ছান্ধিয়া, আজ যাবো না। অন্যদিন যাবো।
-- না দাদা আজকেই যেতে হবে।
আমি না করতে যাবো এমন সময় কিছু বুঝে উঠার আগেই ছান্ধিয়া আমার ডান হাতটা খপ করে থাপা দিয়ে ধরে বলল, না দাদা, অনেক দিন পর আপনাকে পেয়েছি, আমি আপনাকে যেতে দিব না। আজ আমাদের এখানে থাকবেন, কাল ছকালে বিদায় করে দেব। বলেই সে হাত ধরে টানতে লাগল। ওর টানাটানিতে অস্বস্থিবোধ করতে লাগলাম। স্টেশনের দিকে তাকিয়ে দেখি লোকজন আমাদের দিকে উৎসুক দৃস্টিতে তাকিয়ে আছে। তাদের তাকানো দেখে লজ্জায় পড়ে গেলাম। উৎসুক জনতার চোখের আড়ালে যাওয়ার জন্য অনিচ্ছা সত্বেও ছান্ধিয়ার সাথে হাঁটতে লাগলাম। ছান্ধিয়া আমার হাত ধরেই আছে। রিক্সা স্ট্যান্ডে এসে আমাকে কিছুটা টেনেই রিক্সায় উঠালো। আমি বাম পাশে বসলে ও আমার ডান পাশে বসল। আমাকে রিক্সায় পাশে পেয়ে ওর মুখে যেন কথার খই ফুটছে। অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে। একপর্যায়ে আমাকে জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা দাদা, আপনি কি বিয়ে করেছেন?
-- না।
-- কেন?
-- আমি তো এখনও বেকার রে। বেকার অবস্থায় বিয়ে করে বউকে কি খাওয়াবো?
-- দাদার যে কথা। আপনাদের কি অভাব আছে? এতো এতো জমিজমা, হাল-গরু থাকতেও নিজেকে বেকার মনে করেন কেন দাদা? চাকরী না পেলে কি বিয়ে করবেন না? সারা জীবন এভাবেই থাকবেন?
আমার বেকার জীবন নিয়ে কথা বলতে লজ্জাবোধ করতে ছিলাম। তাই কথার প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য বললাম, হারে ছান্ধিয়া, তোর বরটা দেখতে কেমন রে?
ছান্ধিয়া একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, আমার বর তো বরের মত।
-- তোকে কি খুব আদর করে?
ছান্ধিয়া খিল খিল করে হেসে উঠে বলল, একথা তো আপনাকে বলা যাবে না দাদা। আপনি বিয়ে করেন তখন এই প্রছনের উত্তর এমনিতেই পাবেন।
-- তোরা গাইবান্ধা থেকে চলে এলি আমাকে জানালি না কেন রে?
আমার প্রশ্ন করার সাথে সথেই ও একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, বগুড়া আছার আগে আমি তো আপনাকে অনেক খুঁজেছি দাদা। কয়েকদিন স্কুলের রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ করে অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কোথাও আপনার দেখা পাইনি। ওই সময় আপনি কই গিয়েছিলেন দাদা?
মনে পড়ে গেল। দুই মাস কলেজ ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। সম্ভাবত সেই সময় ওরা বগুড়া চলে এসেছে।
ছান্ধিয়া আবার একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, আচ্ছা দাদা, আপনাকে একটা অবান্তর প্রছনো করি? উত্তর দিবেন তো?
-- উত্তর দেয়ার মত হলে দিব।
-- আমার কথা কি আপনার কখনও মনে পড়েনি দাদা?
ছান্ধিয়ার মতই আমার ভিতর থেকেও মনের অজান্তেই একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস বেরিয়ে এলো। মুখটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে বললাম, মনে অনেক পড়েছে কিন্তু তোকে পাবো কোথায়? তোরা তো পুরো পরিবার ধরেই হাওয়া হয়ে গেলি। কাজেই মনে পড়লেও তোকে আর খুঁজে পাইনি। বলেই ছান্ধিয়ার মতই উল্টো প্রশ্ন করলাম, আচ্ছা ছান্ধিয়া, আমার কথা কি কখনও তোর মনে পড়েছে?

ছান্ধিয়ার আরেকটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস অন্তর থেকেই বেরিয়ে এলো। আমার দিকে মুখ না ঘুরিয়েই বলল, দাদা, আপনার কথা কি ভুলতে পারি? মুচির ঘরে জন্ম নেওয়ার কারণে, যখন দাদার বন্ধুরা কেউ আমাদের পাত্তা দিত না, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ভাব দেখাতো, তখন আপনিই তো আমাকে ছোট বোনের মত আদর করেছেন, কদবেল কিনে খাইয়েছেন, চকলেট খাইয়েছেন, দেখা হলেই খেতে বলেছেন। এছব কথা কি আমি ভুলতে পারি দাদা? দাদা, আজ আপনাকে একটা ছইত্য কথা বলি?
আমি কিছুটা আশ্চার্যই হয়ে গেলাম। ও তো অনেক কথাই বলছে এর মধ্যে আবার সত্য কথা কি বলবে? তারপরেও বললাম-- কি সত্যি কথা বলবি রে?
ছান্ধিয়া অন্যদিকেই তাকিয়ে ছিল। অন্যদিকে তাকিয়ে থেকেই মুখটা মাটি মুখ করে আস্তে আস্তে বলল -- আমি কিন্তু আপনাকে হৃদয়ে রেখেছিলাম। বগুড়ায় আসার পর ভুলে যাওয়র অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু ভুলতে পারিনি। আজও আপনি আমার হৃদয়েই আছেন।

ছান্ধিয়ার কথা শুনে আমি যেন হতভম্ব হয়ে গেলাম। ওকে তো আমি সেরকম কোন ইঙ্গিত কখনও দেইনি। তারপরেও সে আমাকে হৃদয়ে স্থান দিয়েছিল। তার খোলামেলা মনের কথাটি প্রকাশ করায় মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে গেলাম। তার প্রতি যে আমি দুর্বল ছিলাম না এটা বলবো না। সুন্দরী চেহারা, হাসি হাসি মুখ, মিস্টি কণ্ঠে কথা বলার ধরন, লাজুক লাজুক স্বভাব ইত্যাদি অনেক কিছু দেখে মানুষ হিসাবে তার প্রতি দুর্বলই ছিলাম। কিন্তু শুধু মুচী হওয়ার কারণে জাত পাতের ভয়ে মুখ ফুটে বা আকার ইঙ্গিতে ভাল লাগার কথাটি বলতে পারিনি। এখনও ভাল লাগার কথাটি বলা সম্ভব হলো না। আমার মনের দুর্বলতা প্রকাশ না করে হাসি হাসি ভাব নিয়ে বললাম, এখন তো তোর স্বামী আছে, তারপরেও তুই আমাকে হৃদয়ে রেখেছিস?

ছান্ধিয়া সামনের দিকে তাকানো ছিল। আমার প্রশ্ন শুনে মুখটা আমার মুখের দিকে ফিরিয়ে এনে একপলক তাকিয়ে থেকে ফিক করে হাসি দিয়ে বলল, দাদা আপনার জায়গায় আপনি আছেন, আর আমার ছামীর জায়গায় ছামী আছে। আপনাকে আমি ইছকুল জীবনে যে জায়গায় স্থান দিয়েছি সেই জায়গায় ছামীকে কোনোদিন জায়গা দিতে পারবো কিনা জানিনা?

ছান্ধিয়ার মুখে তার বুকের মধ্যে জমিয়ে রাখা কথাগুলো শুনে কেমন বিমূঢ় হয়ে গেলাম। আমার কথা বন্ধ হয়ে গেল। আমি অবিবাহিত মানুষ। ছান্দিয়া বিবাহিতা এবং সুন্দরী। তার মনের এতদিনের অব্যক্ত কথা ব্যক্ত করছে। যে কথা অনেক সাধনা করেও কোন মহিলার কাছ থেকে শোনা যায় না, সেই কথা আজ আমি যেন আকস্মিকভাবে স্বপ্নের মত শুনে যাচ্ছি। ছান্ধিয়ার কথা শুনে মনে হচ্ছে আমি এখন অন্য জগতে চলে গেছি। মর্ত্যে না হাওয়ায় ভেসে বেরাচ্ছি আমার পক্ষে বোঝা মুশকিল হচ্ছে। হতভম্বের মত ছান্ধিয়ার দিকে তাকালাম। ছান্ধিয়ার মুখের দিকে তাকাতেই মনের অজান্তেই একটি প্রশ্ন মুখ থেকে বেরিয়ে গেল, তুই কি আমাকে ভালবেসেছিলি?
আমার কথায় ছান্ধিয়া যেন লজ্জা পেল। মুখটি নিচু করে বলল, দাদা কি এখনও আমার কথা ছুনে বুঝতে পারেন নাই?
-- তোর মনের এই কথাগুলো তো আগে কখনও বলিসনি?
-- ছুযোগ পেলাম কই দাদা। কিছু বলার আগেই তো আমরা আপনার কাছ থেকে হারিয়ে গেলাম। বগুড়ায় এছে কতদিন যে আমি রেল এস্তেছনে গিয়ে বছে থেকেছি। গাইবান্ধার গাড়ির দিকে তাকিয়ে থেকেছি। যদি কখনও আপনি আছেন তাহলে আমি আমার মনের কথাগুলো বলবো।
-- এখন কি তুই সেই কথাগুলো বলতে পেরেছিস?
-- না দাদা-- এখন আর আমার সেই মন মানছিকতা নেই। এখন আপনাকে বলা না বলা ছমান কথা। তবে কিছুটা বলে মনটাকে হালকা করে নিলাম। আরো কি যেন বলতে যাচ্ছিল এমন সময় রিক্সা বগুড়া সাতরাস্তার মোড়ে জুতার মার্কেটে এসে থামল। ছান্ধিয়ার না বলা কথাগুলো আর বলা হলো না।

রিক্সার ভাড়া দিতে গেলে ছান্ধিয়া আমাকে থামিয়ে দিল। নিজেই পার্স থেকে টাকা বের করে ভাড়া দিল। আমাকে সাথে নিয়ে জুতার দোকানে গেল। মুগীলাল গদীতে বসা ছিল। দোকানে ঢুকেই বলল, দাদা দেখ কাকে নিয়ে এছেছি। মুগীলাল আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
তার তাকানো দেখে ছান্ধিয়া বলল, কিরে দাদা, এভাবে তাকিয়ে আছিছ কেন, চিনতে পারিছনি?
মুগীলাল মাথা উপর নিচে ঝাঁকিয়ে বলল, চিনতে পারবো না আবার, তুই ওকে কোথায় পেলি?
-- এস্তেছনে।
মুগীলাল আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে একটা দোকানের টুল এগিয়ে দিয়ে বলল, দাঁড়িয়ে থাকবি না আমার কাছে একটু বসবি?
আমি হাসি হাসি মুখ করে বসলাম।

আমার বসার একটু পরেই একজন কালো মত লোক দোকানে এলো। লোকটির গায়ের রং কুচকুচে কালোই বলা চলে, মুখে খোচা খোচা দাড়ি, চোখ দু’টো কোটরগত লাল লাল, গোফগুলো বেশ লম্বা লম্বা, গোফের তুলনায় দেহের গঠন দুর্বল, লম্বায় পাঁচ ফুটের হয়তো একটু বেশি হবে, দেখতে মোটেই সুশ্রী নয়। নেশার কারণেই হোক আর রোগের কারণেই হোক দেখতে কিছুটা রোগাটে রোগাটে মনে হয়। ছান্ধিয়া পরিচয় করিয়ে দিল। দাদা ইনিই আমার বর। বরের দিকে ভাল করে তাকালাম। বর আমাকে নমস্কার দিল। আমি মাথা ঝুঁকে নমস্কার গ্রহণ করলাম। বরকে ছান্ধিয়ার পাশে বসতে বললাম। বর বসল। কিন্তু ছান্ধিয়ার সাথে একদম বেমানান। একই খাঁচায় ময়ুরের সাথে কাক রেখে দিলে যেমন বেমানান দেখায়, তেমনই এদের জুটি। ছান্ধিয়ার চেহারা শুধু ফর্সাই নয় গায় গতরে নাদুস নুদুস সুন্দরীও বটে। কিন্তু বর সেই তুলনায় কুৎসিত।
০০০ চলবে-- ০০০
ছবি ঃ ইন্টারনেট

প্রথম পর্ব পড়ার জন্য নিচে ক্লিক করুণ
মুচীর মেয়ে ছান্ধিয়া (গল্প)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×