somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কি দাঁড়ালো: প্রণব ও বাউচারের সফরের পর - ১

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সফর শেষ হয়েছে। সফরের ফলে কি হলো তা নিয়ে অনেক আলোচনা, পর্যালোচনা দরকার। আমার সময় সামর্থ দিয়ে এখান থেকে শুরু করলাম।

BIPA:
ট্রানজিট আর টাক্সফোর্স নিয়ে আমরা এতই আলোচনা তুলেছি যে অন্যদিকে কী হয়ে যাচ্ছে - আমরা বোধহয় মিস করছি। আমি সেদিকে নজর ফিরিয়ে কথা শুরু করব। দুটা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে; একটাকে ১৯৮০ সালের চুক্তি, bilateral trade agreement নবায়নের কথা বলা হচ্ছে যেটা আসলে মূলত ট্রানজিটের নামে করিডোরের নীতিগত একমতের দলিল। এরপরবর্তীতে, ট্রানজিট বা করিডোর শব্দ বদলে এখন যেটাকে connectivity বলা হচ্ছে তা নিয়ে আগামিতে আর একটা চুক্তি করবে। এপ্রসঙ্গে পরে সময় করে যাব। কিন্তু দ্বিতীয় চুক্তিটা কী? এটাই আমাদের চোখের আড়ালে পরে আছে।

দ্বিতীয় চুক্তিটার আইনি নাম হলো, Bilateral Investment Promotion and Protection Agreement (BIPA)। আইনি টেকনিক্যাল টার্মে উপস্হাপন বলে - কি ঘটে গিয়েছে এতে তা নিয়ে সাধারণ্যে হৈ চৈ আপত্তি কম। কিন্তু এটা অন্য চুক্তির তুলনায় আমার হিসাবে কম নয়, বরং বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ।
BIPA মানে আসলে কী বুঝব? এর খাস মানে হলো, ভারতীয় বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে আসবে - এর শনৈ শনৈ উন্নতি (Promotion) ও এর মুনাফা ও আসল বিনিয়োগের নিরাপত্তা (Protection) বাংলাদেশের রাষ্ট্র দিচ্ছে বা দিবে বলে কবুল করেছে - এই চুক্তিতে। মুনাফা ও আসল বিনিয়োগের নিরাপত্তা - এর আরও খাস মানে হলো - ব্যবসার মুনাফা এবং মূল-ক্যাপিটাল কখনও উঠিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করে চলে যেতে চাইলে রাষ্ট্র বাধা দিতে পারবে না, কোন কারণে বায়োজাপ্ত করতে পারবে না শুধু নয় বরং সাহায্য করবে।
এরপর এর একটা দ্বিতীয় অংশ আছে - এটাই মারাত্মক। ভারতীয় ঐ কথিত বিনিয়োগে অবশ্য ভারতীয় বে-সরকারি প্রাইভেট ব্যবসায়ী বিনিয়োগ। বাংলাদেশের কোন প্রাইভেট ব্যবসায়ী ওর ছোট পার্টনার বা সাব-কন্ট্রাকটর হিসাবে থাকতে পারে বা নাও পারে। কিন্তু ঐ বিনিয়োগের গ্রারান্টার (Guaranter) হবে বাংলাদেশ সরকার। অর্থাৎ ভারতীয় বিনিয়োগের কোন ক্ষতি, বিপর্যয় হলে বাংলাদেশ সরকারকে তার দায় নিবে। একথা স্বীকার করে ঐ চুক্তি হয়েছে।
Investment Promotion and Protection - এই বিষয়ে বিনিয়োগ নিতে চায় - এমন গরীব সবদেশকে বাধ্যতামূলক আইন পাশ করতে হবে - শর্ত আকারে সর্বপ্রথম তা গ্রহণ করতে বাধ্য করা শুরু করেছিল বিশ্বব্যাঙ্ক, গেল সত্তরের দশকে। সবদেশকে নিজেই এই আইন করতে বাধ্য করা বিশ্বব্যাঙ্কের সাধারণ মৌলিক নীতির অংশ। আমরা জিয়াউর রহমানের আমলে ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাঙ্কের সাথে শর্তযুক্ত দলিলে স্বাক্ষর করে, নিজের Foreign Investment Promotion and Protection Act ১৯৮০ জারি করি। এটা যে কোন দেশের প্রাইভেট বা সরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের প্রচারপত্রে দেখা যাবে ফলাও করে বলা থাকে আমরা ঐ আইন বানানো দেশ। এর মূল কারণ ছিল কোন "জাতীয় সরকার" কোন বিবাদের কারণে বিদেশী বিনিয়োগ যাতে বায়োজাপ্ত বা "জাতীয়করণ" না করতে পারে তার জন্য রক্ষাকবচ। এরচেয়ে বেশি এখন এখানে বলতে চাচ্ছি না। পোষ্টের আকার বড় হয়ে যাবে।
এখন তাহলে দুটো প্রশ্ন। ঐ আইনের আওতা ও সুবিধা যেহেতু সবদেশের বিনিয়োগের জন্য প্রযোজ্য - তাহলে ভারতের সাথে আবার আলাদা করে আমাদের সরকার BIPA চুক্তি করলো কেন? এর দরকারটা কী? আবার এই চুক্তি করে বাড়তি কোন একটা সুবিধা নিশ্চয় ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের দেয়ার দরকার হয়েছে। সেটা কী?

১৯৮০ সালের Foreign Investment Promotion and Protection Act - জারি করা মানে এটা বিদেশী বিনিয়োগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র আপনাআপনি গ্রারান্টার (Guaranter) হয়ে যাবে এমন কোন ক্লজ নাই। গ্রারান্টার (Guaranter) এর কোন ধারণা Foreign Investment Promotion and Protection Act ধারণা করে না। ফলে আলাদা করে চুক্তি করার এই বাজে উদাহরণ সৃষ্টি করা হলো। এতে একদিকে কেবল ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা ও মুনাফা কামাতে আরাম করে দেওয়া হলো। আরও তাদের ব্যবসা ও মুনাফা কামাতে যা কিছু রিস্ক সব আমাদের রাষ্ট্রের কাঁধে দেওয়া হলো। মানে আমরা সবাই তা বহন করব। বাংলাদেশের স্বার্থের দিক থেকে পাঠক বুঝতেই পারছেন, আমরা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছি।
ব্যবসা ও মুনাফা যদি ব্যক্তিগত মালিকানায় হয় তবে এর যা কিছু রিস্ক তা জনগণ নেবে কেন? এখানে আমরা কিন্তু, ব্যবসা ও মুনাফা ব্যক্তিগত মালিকানায় হোক তাতে আমরা আপত্তি করছি না। তবে আরও গুরুত্ত্বপূর্ণ হলো, এটা আবার একটা বিদেশী বিনিয়োগের ব্যবসা ও মুনাফা। আমরা আমাদের দেশীয় বিনিয়োগকারীদেরকেও তো রাষ্ট্র থেকে এই সুবিধা দেই না। অন্য কোন বিদেশী বিনিয়োগকারীকেও দেই না। এর কারণটা সোজা। ব্যক্তিগত মালিকানার কোন ব্যবসা ও মুনাফার লজিকের সাথে রাষ্ট্রের এই দায় নেবার কোন সম্পর্ক নাই। তাহলে ভারতীয় বিনিয়োগকে কেন? এতে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের প্রতিযোগিতার দিক থেকে তুলনায় সবার চেয়ে উপরে রাখছি, পক্ষপাতিত্ত্ব করছি। কেন? কার স্বার্থে? এটাই এই চুক্তির সবচেয়ে মারাত্মক দিক।

BIPA চুক্তিটা আইনত একটা উভয় দেশের জন্য খাটে, সুবিধা পায় এমন একটা চুক্তি হলেও কার্যত, প্রয়োগের দিক থেকে এটা কেবল ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের চুক্তি। উপরের আলোচনা তাই এর কার্যত মানে কেবল ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের একটা চুক্তি ধরে নিয়ে কথা বলেছি।
ফলে চুক্তিতে BIPA which, seeks to promote and protect investments from either country in the territory of the other -, এখানে লেখা থাকলেও তা একটা বড় ধরণের কথার ফুলঝুড়ি ও চালাকি। এখানে কাল্পনিক বাংলাদেশী বিনিয়োগকারি ধরে নিয়ে কথা বলে খামোখা চুক্তির আকার বড় করা হয়েছে; ফলে বলা যায় either country লিখে সরকারের জনস্বার্থ রক্ষার ব্যর্থতা, মুখরক্ষার একটা অক্ষম প্রচেষ্টা নিয়েছেন। এটাকে অনেকে টেবিল টকে বা রাজনৈতিক ময়দানে "আমরা কোন অসম চুক্তি করি নাই। বাংলাদেশের জন্যও সমান সুবিধা আমরা আদায় করে এনেছি বলে - বাজিমাত করতে বা নিজের আহাম্মকি ঢাকার চেষ্টা করতে পারে। এটা অনেকটা এভাবে বলা, আমারে জুতা মারতে মারতে জুতা ছিড়ে ফেলাইছে, কিন্তু আমি জুতার দাম দেই নাই। পাঠক, কেউ কী বিশ্বাস করেন আমরা বিদেশে বিনিয়োগের জাতি হয়ে গেছি, আমাদের দেশী বিনিয়োগকারীদের বিদেশে বিনিয়োগ করার মারাত্মক সমস্যা আছে, একেবারে জাতীয় সমস্যা? তাহলে যা আমাদের জন্য ইস্যুই না তা কথার ফুলঝুড়িতে ও চালাকি শব্দে চুক্তিতে লেখার জন্য যে কালিকলম সময়টা ব্যয় হয়েছে ওটাই তো অপচয়।

অপচয়ে ও অর্থহীন করে হলেও লিখে রাখার এসব কথা বলতে চায়, এই চুক্তি বলে বিনিয়োগের বিশেষ সুবিধা আমরা পাব। কোথায়? - না, ভারতে। কোন ভারতে? যে ভারতের মাত্র এক কোণে পূর্বভারতে আগরতলা থেকে আসাম পর্যন্ত - আমাদের সাবান, সিমেন্ট, ব্যাটারীর মত সুবিধাজনক ছোটখাট পণ্য রপ্তানী আটকে দিয়েছে অ-শুল্কজাত চার্জ আরোপ ও তাদের পণ্যমানের বাজে দোহাই দিয়ে - তারা? আবার এরাই আমাদের বুকের উপর দিয়ে ট্রানজিটের গাড়ি চালিয়ে গিয়ে ঐ বাজারের দখল চাচ্ছে - এরা আমাদের কী বিনিয়োগের বিশেষ সুবিধা দিতে পারে অনুমেয়? ভারতের সাথে যে কোন চুক্তি মানে ওটা ওয়ানওয়ে - আমাদের অভিজ্ঞতা তাই বলে। আর আমাদের বিনিয়োগ সামর্থ থাকলেও তা বহু দেশই আকর্ষণীয় হতে পারে, ভারতের তুলনায়। ভারত নিজেই এখন বিনিয়োগে মাতাল ওখানে ভারতের সুন্দর সদিচ্ছা (যা কখনও কোন কিছুতে নাই) থাকলেও আমাদের জায়গা হবার কারণ নাই। আমাদের নিজ বিদেশী বিনিয়োগ এর মানে হলো গ্রামীন প্রবাদের মত; হবে ছাওয়াল ডাকবে বাপ তবে জুড়াব মনের তাপ। সেই আকাশ কুসুমের কথা ভারতও জানে। ফলে BIPA বিনিয়োগ চুক্তিতে এসব বাহাদুরি কথা থাকলেই বা কী না থাকলেই বা কী - এতে ভারতের হারাবার কিছু নাই, লিখে কোন ক্ষতি নাই। লাভ হলো এটাকে একটা either country কে সুবিধা দিয়ে করা চুক্তি বলে, বাংলাদেশের হাতে মোয়া ধরিয়ে দেয়া গেল।

আজব ব্যাপার হলো, এই চুক্তিটা করা হয়েছে ভারতের সাথে আমাদের বছরে এক বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতির দোহাই দিয়ে। এনিয়ে অনেক কথা বলার ছিল। বন্ধু মোহম্মদ আরজুসহ অনেকের কথা শুনে পোষ্ট বড় করব না। আর, দুই লাইনে কথা শেষ করব। ভারতীয় বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে পণ্য বানিয়ে তা আবার ভারতে রপ্তানি করলে তবেই অন্তত কাগজপত্রে ওটা বাংলাদেশের রপ্তানি বলে খাতায় উঠবে। ফলে অন্তত খাতাপত্রে আমরাই কিছু রপ্তানী করেছি বলে দেখানো যাবে। কিন্তু ভারতীয় বিনিয়োগকারী যে ভারতেই রপ্তানি করবে এর নিশ্চয়তা কেউ কী দিয়েছে? কোথায় দিয়েছে? হওয়ার কোন কারণও নাই। ভারতের আমদানি নীতি দেখুন। যা ভারত তৈরি করতে সক্ষম সেটা আমদানির বিপক্ষে যত ধরণের শুল্ক, অ-শুল্ক, পণ্যের মান সার্টফিকেট দিয়ে বাধা দেওয়া যায় সব সেখানে আরোপ হবে। ফলে ভারতীয় বিনিয়োগকারীর বাংলাদেশে পণ্য ভারতে রপ্তানি করা যাচ্ছে না অজুহাত তুলে তৃতীয় দেশে যেখানে পাবে সেখানে রপ্তানি করবে। এখন বলেন, এর সাথে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতির কথার সাথে এর আর কোন সম্পর্ক থাকলো? তাহলে আমাদের বিশেষ বিনিয়োগ সুবিধার মানে কোথায় এসে ঠেকল?
ফলে সুবিধা দিয়ে একটা ভারতীয় বিনিয়োগের বাজার হবে ঠিকই তবে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এর কাজ বা লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য অন্য কোন খানে। বাণিজ্য ঘাটতি যে কমবে না এটা প্রণব মুখার্জিও জানেন। তাই না কমার জন্য গতকাল আমাদের "সহনশীলতার" নতুন কথা শিখিয়ে গেছেন।
আচ্ছা আসলে বাণিজ্যে ঘাটতি থাকলে সমস্যা কী? এটা কার জন্য "সহনশীলতার" প্রশ্ন? এসবের উত্তর আমাদের পেতে হবে। সেটা আর একদিন।
২৮টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×