হুমায়ূনের একটা লেখা আছে। লেখকের ভাষ্যেই বলি-
‘নিউমার্কেটে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে দেখা। তিনি হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন, কি লিখছেন?
আমি বললাম, অয়োময় লিখছি।
তিনি বিস্মিত হয়ে বললেন, সাহিত্য কিছু লিখছেন না?’....
বাকিটুকুর জন্য এলেবেলে ২ পড়ে নিতে পারেন। মোটকথা হলো, উনি টিভির জন্য নাটক লিখছেন, বিশুদ্ধতাপন্থীদের মতে এটা সাহিত্য না।
যাই হোক, আমি সেই ডে ওয়ান থেকেই এই ব্লগে চেষ্টা করেছি যাই লিখব, সেটা যেন কিছু অর্থবোধক হয়। দৃষ্টি আকর্ষণী পোস্ট, রাজনৈতিক বা ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল পোস্ট, ১৮+ জোক বা আলপটকা হালকা পোস্ট, যেগুলোতে সাধারণত ব্লগপাঠকরা বেশি ঢুঁ মারে, সে রকম পোস্ট দেইনি বললেই চলে। সে অর্থে আমি সৈয়দ শামসুল হকের দলেই থাকতে চেয়েছি, যদিও আমার সৈয়দ হক বা হুমায়ূন, কোনটাই হওয়া হয়নি। যোগ্যতাই নেই। তবুও এই অযোগ্যতা নিয়েই সামহোয়্যারইন ব্লগে কাটিয়ে দিলাম একযুগ। অথচ হুমায়ূন বা শামসুল হক বা আরো বেশি কিছু হতে পারতো এ রকম অসংখ্য ব্লগারকে এই ব্লগেই আমি দেখেছি; যাঁরা এখন আর নেই। বেশিরভাগই ছিলো ব্লগের প্রথম দিকে।
এই ব্লগের প্রথম দিককার দিনগুলো মনে হলেই আমার চোখে একটা ছবি ভাসে- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ুয়া একদল ছেলে মেয়ে বেলা এগারোটার ঝঁকঝঁকে রোদের মধ্যে রোকেয়া হল আর টিএসসির মাঝের রাস্তাটা পার হয়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির দিকে হেটে যাচ্ছে। ওরা হাসছে, কেউ গলা ছেড়ে গান গাইছে, কেউবা পাশের জনের সাথে খুনসুটি করছে, কেউ হয়তো সাঁত্র বা ফঁয়েরবাখ নিয়ে কঠিন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে...
এই রকম আনন্দময় উত্তাল একটা ছবি আর কি।
ক’দিন থেকে আমার মনে হচ্ছে, ওই দিনগুলো এবং তার সেই চরিত্রগুলোর সাথে পরিচিত হওয়ার একটা অধিকার এ সময়ের ব্লগারদের আছে নিশ্চয়। সেই ভাবনা থেকেই মনে হলো এই ব্লগেরই একটা দশকাহন করি, যেটা আমি সচারচর করি না। এত পরিশ্রম আমার সয় না।
সামহ্যোয়ার ইনের দশকাহনে আমি এই ব্লগের কিছু ঐতিহাসিক এবং বিখ্যাত পোস্ট রাখতে চাই, যেগুলো সামহ্যোয়ার ইনের ভিত্তিকে শক্ত করেছিলো, প্রয়োজনীয় মুহূর্তে বাঁকবদলে নির্দেশনা দিয়েছিলো।
০১:
প্রথমেই আসবে ব্লগার দেবরার “ইমরান ব্লগ স্রষ্টা” শিরোনামের পোস্টটি। ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বরে পাবলিশ হওয়া এই পোস্টটি এই ব্লগেরই প্রথম পোস্ট। এই পোস্টে ৯৭৩টি মন্তব্য করা হয়েছে এখন পর্যন্ত, যেখানে ১৬৮ জনের প্রিয় তালিকায়ও রয়েছে এই পোস্টটি।
০২:
এরপর অমি রহমান পিয়ালের “প্রাপ্তির জন্য একরাশ ভালোবাসা কিংবা একটি ফুলকে বাঁচাতে যুদ্ধ করি” শিরোনামের পোস্টটি আসবে। প্রাপ্তি নামের এক অসুস্থ শিশুকে বাঁচানোর আকুতি নিয়ে লেখা এই পোস্টটা খুব বেশি পঠিত বা মন্তব্যপ্রাপ্ত না হলেও এই পোস্টটার বিশাল একটা প্রভাব রয়েছে সামহোয়্যার ইন ব্লগের উপরে। ২০০৬ সালের ১০ মে পাবলিশ হওয়া এই পোস্টটি এই ব্লগের ব্লগারদেরকে ভার্চুয়াল জগত থেকে বাস্তবের আলোয় এনেছিলো। প্রাপ্তিকে বাঁচাতে ব্লগ এবং ব্লগের বাইরে একটা ঝড় উঠে গেছিলো এবং এই ভার্চুয়াল জগত যে বাস্তবের কোনো সমস্যাকে মোকাবেলা করতে পারে, সেই বিশ্বাসটা তৈরী করেছিলো। এই পোস্টটার পর প্রাপ্তিকে নিয়ে মিনিমাম শ’ খানেক পোস্ট হয়েছিলো। এই পোস্টটা আমার কাছে তাই দুই নম্বরে থাকবে।
০৩:
তিন নম্বরে আসবে ব্লগার আরিফ জেবতিকের “সাড়ে সাত হাজারের ভেলরি, আড়াই লাখের শফি সামি, আর দুই পয়সার আমরা...” শিরোনামের পোস্টটি। সাভারের সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা এক বিদেশিনী ভেলরি টেইলর, যিনি মুক্তিযুদ্ধের অব্যাবহিত পরেই এ দেশে এসেছিলেন যুদ্ধাহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে। সে লক্ষে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় গড়ে তোলেন সাভারের সিআরপি। সেই সিআরপি থেকে ভেলরিকে উৎখাত করে প্রায় দখল করে নিয়েছিলেন সাবেক এক আমলা শফি সামি।
এরই প্রতিবাদে ২০০৭ এর ২৫ মে প্রকাশিত এই পোস্টটির ফলে ব্লগের গণ্ডি পেরিয়ে বাস্তবেও একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিলো। বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে এই পোস্টটি উপসম্পাদকীয় হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এন্ড অব দ্য ডে, শফি সামি ওখান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিলেন। এই পোস্টটার অনন্য বৈশিষ্ট্য এটাই ছিলো যে, সেই ফেসবুকবিহীন যুগেও মানুষ নিজ গরজে লেখাটি কপি করে বন্ধুদেরকে মেইল করেছে, প্রিন্ট করে পড়িয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে এবং ইংলিশে ট্রান্সলেট করে দেশের বাইরের সাহায্য সংস্থা বা এই ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়েছে।
০৪:
এই ব্লগের যেকোনো সময়ে, যেকোনো ধরণের তালিকা করতে গেলেই নাফিস ইফতেখার চলে আসতে বাধ্য। এখানেও এসেছে। ২০০৮ এর ১২ ডিসেম্বর নাফিস ইফতেখারের “বাঙালী নেটে কি করে (১৮+ পোস্ট)” শিরোনামের পোস্টটি তাই আমার তালিকায় চতুর্থ নম্বরে এসে গেছে। একটি স্বতন্ত্র পোস্ট কত বেশি হিট পেতে পারে, তার চ্যাম্পিয়ন উদাহরণ এই পোস্টটি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজারবার দেখা হয়েছে এই পোস্টটি।
০৫:
ফিলিস্তিনিদের স্বাধীকার আন্দোলন দমাতে বর্বর ইজরাইলিদের হামলার প্রতিবাদে ব্লগার সৌম্য ২০০৯ এর ৪ জানুয়ারি পোস্ট করেছিলেন “অগুণতি মেহেরের গল্প”। সামহ্যোয়ারইনে এ যাবতকালের প্রকাশিত পোস্টগুলোর মধ্যে অন্যতম মানবিক পোস্ট সৌম্যর এই মেহেরদের গল্প। দলমত-ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল ব্লগারকে ছুঁয়ে গিয়েছিলো এই পোস্ট। ফলশ্রুতিতে এখন পর্যন্ত ২৩২ জনের প্রিয় তালিয়ায় ঢুকে পড়া এই পোস্টটি সম্ভবত প্রিয় তালিকায় থাকা পোস্টগুলোর শীর্ষে অবস্থান করছে। আমি এই পোস্টকে রাখবো পঞ্চম নম্বর হিসেবে।
০৬:
আমার কাছে ছয় নম্বর অবস্থানে থাকবে একটা সিনেমা সমালোচনা পোস্ট। একটা সমালোচনাকে যে কত চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা যায়, একটা নেতিবাচকতাকেও যে কত বেশি সেন্স অব হিউমার দিয়ে মোড়ানো যায়, তার এক পরম পারাকাষ্ঠা দেখিয়েছে ২০১২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত ব্লগার দূর্যোধনের“আমার চলচ্চিত্র দর্শন-লালটিপ” পোস্টটি। আমার মনে হয়, সামহ্যোয়ারইনে প্রকাশিত সেরা সিনেমা সমালোচনার উদাহরণ এই পোস্টটি। একই সাথে সেন্স অব হিউমারেরও চুড়ান্ত উদাহরণ। না পড়লে একদম মিস। প্রায় ৩৫ হাজার হিট নিয়ে এককভাবে হিট হওয়া পোস্টের তালিকার উপর দিকেই আছে পোস্টটি।
০৭:
২০০৮ এর ১১ মার্চ আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট নামের এক ব্লগার একটা ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে নিয়ে একটা পোস্ট দেন “জাফর ইকবাল বাঙালি জাতিকে কি দিয়াছেন” শিরোনামে। বাংলাদেশের টেকপিপলের উপর ড. জাফর ইকবালের প্রভাব কত বেশি, তা প্রমাণ করে এই পোস্টে মাইনাসের বন্যা, উল্লেখ্য, সে সময় পোস্ট ভালো না লাগলে মাইনাস দেওয়ার একটা বাটন ছিলো। সর্বশেষ ব্লগ ইতিহাসের সর্বোচ্চ পরিমান মাইনাস ডিগ্রি হাসিল করার পর এই পোস্টটা সামহ্যোয়ার থেকে ডিলিট করা হয়। এখন এই লিংকে পাবেন। এই ব্লগারও এখন আর এক্সিস্ট করেন না। আমার কাছে এই পোস্টটার অবস্থান সপ্তম।
এই পোস্টে বাংলার টেক পিপল জাফর ইকবালের প্রতি যে মমতা দেখিয়েছিলো, সাম্প্রতিক সময়গুলোতে জাফর ইকবালের কিছু ভূমিকা সে মমতাকে কমিয়ে দিয়েছে বলে মনে হয়। ইদানিং জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে বেশ লেখা আসলেও তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখি না।
০৮:
অষ্টম অবস্থানে থাকবে ব্লগার অপি আক্তারের “সবাইকে শুভেচ্ছা” পোস্টটি। এই পোস্ট নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। গিয়ে দেখতে হবে। অপি নিজের ব্লগজীবনে ২০০৯ সালের ২১ জুন এই একটি পোস্টই দিয়েছেন এবং বাজিমাত বলতে যা বোঝায়, ঠিক তাই করেছেন। একটি মাত্র পোস্টের গুণেই উনার ব্লগে হিটের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার এবং এই একটি পোস্টে তাঁর প্রাপ্ত মন্তব্য সংখ্যা দেড় সহস্রাধিক!!! আজকের ব্লগারদের কল্পনারও বাইরে।
০৯:
ব্লগের প্রথমদিকের আরেক দিকপাল অমি রহমান পিয়ালের একটা পোস্ট আসে ২০০৮ সালের ১৭ ডিসেম্বরে “অপূর্ব এক পরিবর্তন” নামে। একটা পর্ণসাইটের মাধ্যমে ‘যুদ্ধাপরাধিদের বিচার চাই’ আন্দোলনকে প্রমোট করা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এই পোস্টটা দেওয়া হয়েছিলো। যেহেতু প্রথম দিকে স্বাধীনতা পূর্ব ও উত্তরপন্থীদের মধ্যে ব্যাপক একটা যুদ্ধ চলতো এই ব্লগে, এবং স্বাধীনতা উত্তরপন্থীদের নেতৃত্বের আসনে ছিলেন পিয়াল, তাই একটা পর্ণসাইটের মাধ্যমে এ ধরণের একটা আন্দোলনকে প্রমোট করার যৌক্তিকতা, নৈতিকতা এবং সাফল্য ও ব্যর্থতার সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছিলো সে সময় ব্লগে। এর পরের বছর, মানে দু’ হাজার আটের একুশের গ্রন্থমেলায় এই লক্ষ্যে যৌবনযাত্রা’র একটা স্টলও নেওয়া হয়েছিলো এবং যদ্দুর মনে পড়ছে, সমালোচনার মুখে ওই স্টল পরে উইথড্র করা হয়েছিলো অথবা কেউ এসে ভেঙে দিয়েছিলো। এই আলোচিত সমালোচিত পোস্টটি থাকবে নয় নম্বরে।
১০:
ব্লগের একেবারে প্রথম দিকে ২০০৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুপুর একটায় ব্লগার শাহানা (সম্ভবত ইনিই এই ব্লগের প্রথম রেজিস্টার্ড ব্লগার) একটা পোস্ট দেন ‘কি করি’ শিরোনামে। বিশেষ কোনো পোস্ট এটা না। শাহানা এই পোস্টটা দিয়েছিলেন ২০০৫ এর ১৯ ডিসেম্বর, কিন্তু কোনো এক অদ্ভুত উপায়ে তিনি টাইম মেশিনে করে পেছনে গিয়ে এই পোস্টটিই সর্বশেষবার এডিট করেছেন ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৯, সন্ধ্যা ৭টায়। নিশ্চিতভাবেই এটা টেকনিক্যাল কোন ত্রুটির ফলেই হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় এই যে তা এই ব্লগের এক যুগ পার হয়ে যাওয়ার পরও বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। এই পোস্টটা থাকবে আমার তালিকায় ১০ নম্বরে।
একটা বিষয় পরিষ্কার করে দেওয়া দরকার। আমি এই ব্লগের হোমড়া চোমড়া গোছের কেউ নই। তাই এই তালিকা বা ব্যাখ্যা কোনোভাবেই অফিশিয়াল নয়। বিভিন্ন সময়ে ব্লগ পড়তে গিয়ে যে সব পোস্ট আলাদা করে মনে গেঁথে গিয়েছে, স্মৃতি হাতড়ে সেগুলোই এখানে এনেছি। তাঁর মানে এই নয় যে এর চেয়ে আলোচিত-সমালোচিত-প্রভাব সৃষ্টিকারি-ঐতিহাসিক পোস্ট হয়নি। অবশ্যই হয়েছে। হয়তো আমার চোখে পড়েনি অথবা এই মুহূর্তে মনে আসেনি। এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ।
আমার শততম পোস্টও এটা। প্রায় একযুগ কাটিয়েও পোস্টের সংখ্যা একশ পার করতে না পারার ব্যর্থতা থেকেই ভেবেছিলাম যে শততম পোস্ট এমন লেখা দিবো, যেটা নতুন এবং পুরোনোদের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। জানিনা কদ্দুর কি হলো। ধৈর্য্যে কুলালে এবং ভালো লাগলে দশকাহনের আরো একটা কিস্তি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সবাই ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
সংযোজন: গুণী ব্লগার আমি তুমি আমরা'র 'আসুন আরেকবার জানি সামু ব্লগ সম্পর্কে' শিরোনামে একটা সিরিজ আছে। অতীতে যদি চোখে পড়েও থাকে, তবুও এখন মনে ছিলো না। উনার একটা পোস্ট এবং তার নিচে দেওয়া লিংক ধরে নতুন করে পড়তে গিয়ে দেখি আমার পোস্টে আমি যে সব তথ্য দিয়েছি, তাতে পরিসংখ্যানগত বেশ ভূল আছে। আমার এই পোস্টে ব্লগার আমি তুমি আমরাও মন্তব্য করেছেন। কিন্তু তিনি অতি মাত্রায় ভদ্রলোক হওয়াতে আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে ক্রেডিট নিতে চাননি অথবা আমাকে অপদস্থ করতে চাননি। আমি এই জন্য কৃতজ্ঞ।
আমি আমার পোস্টটা লিখেছিলাম নিতান্তই স্মৃতি হাতরিয়ে। কিন্তু আমি তুমি আমরা সম্ভবত টেকমাস্টার অথবা ব্লগ কর্তৃপক্ষীয় কেউ হবেন। এ কারণে উনার তথ্য এবং তা সংগ্রহ করার ধরণ খুবই অথেনটিক দেখা যাচ্ছে। আগ্রহী পাঠকদের জন্য উপরে উনার লিংক দিয়ে দিয়েছি। আর ব্লগার আমি তুমি আমরাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, উনি এই অসম্ভব পরিশ্রম কিভাবে করেছেন কে জানে!।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫