somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিনমজুরের পোস্ট ধরে সন্ধ্যাপ্রদীপের পোস্ট ,সেখানেই আমার উপলব্ধি,উপলক্ষ সমাজতন্ত্রে মুক্তির উপায়।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুঁজিবাদের শোষন আর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য সামনে রেখে যে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার উদ্ভব এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কিন্তু সফল কতুটুকু ।
সোস্যলিজম নিয়ে কার্ল মার্ক্স কি অনেক বেশী লিখেছিলেন তা কিন্তু না।
কিন্তু এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মূল আর্কিটেক্ট ছিলেন-বিপ্লবী লেনিন।
১৯১৭ সালের বিপ্লবের পর চার বছরের মাথায় ১৯২১ সালের মধ্যে ১৪% গ্রোস উতপাদন হৃাস পায় ,যদি মেমোরী সঠিক হয়ে থাকে। মনে হয় , এই পরিসংখ্যানই লেনিনকে নতুন পরিকল্পনার দিকে এগিয়ে নেয়। আর তা হলো-NEP New Economic Policy যা ছিলো অনেকটা পুঁজিবাদ আর সমাজবাদের মিশেল। ঠিক তখন লেনিন এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের প্রাক্কালে বলেছিলেন-গনিতের মূল চারটি নিয়ম জানা মাত্র মানুষের কাছেই সমাজতান্ত্রিক এ অর্থব্যবস্থা সুফল বয়ে আনবে।এবং তাদের নিকট বোধগম্য হবে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে তা হয়নি এবং পারেনি রাশিয়ার অর্থনীতিতে গতি সন্চালন করতে। সম্ভবত ১৯২৭ সালের শেষের দিকে নতুন শাসক স্ট্যালিন এ ব্যবস্থারও পরিবর্তন করেন।
তারপরও শোষনবাদ আর অর্থনৈতিক নৈরাশ্যের মুক্তির আশায় টিকে ছিলো ৭০ বছর।
মূল অর্থ আইনের একেবারে চারিত্রিগত পরিবর্তন,উতপাদন ব্যবস্থার মন্দাভাব,মূল্য ব্যবস্থা সঠিক ভাবে আরোপিত না হওয়া,মুনাফার আশা মুখ্য না হওয়ায় প্রতিযোগিতা কমে যাওয়া, বেসিক উপযোগের চাহিদা হারানো -যেমন,সরকারী হসপিটালের প্রতি অবহেলা অন্যদিকে সামরিক ক্ষেত্রে সর্বোপরি সুযোগ দেয়া। এর বাইরে আরো কিছু কারন এসে যায়।
ভোক্তা আর উতপাদনকারীর মাঝে সামন্জস্য না থাকা, ঠিক তেমনি ভাবে কায়িক শ্রম আর মানসিক শ্রমকে একেবারে একি মানদন্ডে বিচার করা।শহুর ভাবধারায় গ্রামকে নগরায়নের চেস্টা। সমসাময়িক বিশ্বব্যবস্থায় পুঁজিবাদী রাস্ট্রের সাথে পাল্লা দেয়া, অথবা পারস্পরিক অসহযোগিতা।
আসলে বইয়ের লিখিত তথ্যে আর ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পূর্ন ভিন্ন জিনিস।
There was always a vast and widening gap between theory and practice.
এ প্রসংগে
আমার ছোট একটি কৌতুক মনে পড়ে গেলো-
পড়ালিখা শেষে ছেলে গ্রামে গেছে । বাপের সাথে গেলো এক গ্রামে দাওয়াত খেতে। কিন্তু ওরা মনে করেছিলো শুধু বাপই যাবে দাওয়াত খেতে। তাই খাবার টেবিলে ছিলো শুধু মাত্র ১ টা ডিম। এখন বাপ পড়েছেন চিন্তায়। কী করা যায়।
কিন্তু বাপ ছেলেকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে বাবা- "মনে করো" বাটিতে ২টি ডিম আছে।
বাপ বলে -আমি দেখি ১ টা ডিম তুই ২ টা বলিস কেন?
ছেলে বলে- বাবা , "মনে করো"-এখানে ২টি ডিম, যাতে হিসাব মিলাতে সহজ হয়।
তখন বাপ রেগে গিয়ে বল্লেন- তুর "মনে করো" টা তুই খা। আর ডিম টা আমি খাই।
সমাজতন্ত্র যদি সফল হতো আশাকরি সবার ভাগ্যে ডিম জুটতো।আমরাও খুশী হতাম। গানিতের বইয়ের অংকও সহজে মিলে যেতো।
কিন্তু ৭০ বছর পর বুঝা গেলো -বইয়ের সে ডিম -আসলে বেশী মানুষের পাতে যায়নি।
৪৫টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×