somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

প্রদীপ হালদার
আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

ভূত এবং জাতিস্মর ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূতের অস্তিত্ব আছে । ভূতের অস্তিত্ব না থাকলে জাতিস্মরের অস্তিত্ব থাকে না । যেহেতু জাতিস্মরের অস্তিত্ব আছে , সেহেতু ভূতের অস্তিত্ব আছে ।

কিন্তু বিজ্ঞান এখন পর্যন্ত জাতিস্মর এবং ভূতের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারে নি ।
আর সেজন্য মানুষ এই দুটোকে নিয়ে নানান রকমের মন্তব্য করছে কিংবা করে চলেছে ।
দীর্ঘদিনের প্রচলিত বিশ্বাসকে মানুষ দূরে ফেলে দিতে পারে না ।
জাতিস্মর কাকে বলে ? এর উত্তরে আমি বলতে পারি- যে মানুষ তার পূর্ব জীবনের কথা বলতে পারে , তাকে নাকি জাতিস্মর বলে । এখন পর্যন্ত এই ব্যাখ্যাটাই প্রচলিত আছে । এখন পর্যন্ত সব জাতিস্মরই পূর্বের একটি জীবনের কথা বলতে পেরেছে , মৃত্যুর পর কি ঘটেছিল , সেটা তারা বলতে পারে নি । যার ফলে জাতিস্মরের ব্যাখ্যাটা ঐ রকমই আছে ।

এবার আপনারা সকলে ভাবুন- আমরা সবাই পূর্বজীবনের কথা ভাববার চেষ্টা করছি , কিন্তু সেই রকম কিছু স্মরণে আনতে পারছি না । তাহলে আমরা জাতিস্মর নই ।
আমরা আমাদের ছোট্টবেলার কথা কয়জনে মনে রাখতে পারি ? চেষ্টা করুন , দেখবেন সাউন্ড বা শব্দের ধারণা আনতে পারবেন না , কেবল কিছু ছবির ধারণা অর্থাৎ বাড়ি ,স্কুলের ছবি মনে আনতে পারবেন । তারপর বয়স বাড়লে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে । আমাদের মাথার যখন এইরকম স্মৃতিশক্তি ,তখন একটি ছেলে বা মেয়ে কিভাবে বলছে তার পূর্বজীবনের কথা ?
এর ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারে নি ।
কিন্তু দেখা গেছে , যা বলছে , স্পটে গিয়ে তার সন্ধান পাওয়া গেছে । মানুষ তখন অবিশ্বাস করতে পারছে না । আবার যারা বেশী বুদ্ধিমান , তারা বলছে , আগে থেকে বাচ্চাটাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল , কিংবা সম্পত্তির লোভে বাচ্চাটাকে ওইসব কথা বলতে শেখানো হয়েছে । আবার কেউ বলছে -আত্মা আবার জন্ম নেয় । আর নানান মানুষের নানান কথা ।
বিজ্ঞান এর কথায় বলি - একটা গান যেভাবে রেকর্ডিং করা হয় এবং যে ভাষায় রেকর্ডিং করা হয় , গানটি বাজালে সেই ভাষায় এবং পর পর সেইভাবে বাজতে থাকে।
মানুষের ক্ষেত্রে বলি - আমরা যেভাবে শুনি , বলার সময় পর পর সেইভাবে বলতে পারি না । একটা গান শোনার সাথে সাথে গাইতে পারি না ।
একজন মানুষের মাথায় স্মৃতিতে যে সব ধারণা থাকে , সেই সব ধারণা তার মৃত্যুর পর ইলেকট্রোম্যাগ্নেটিক ওয়েভ এনার্জির মাধ্যমে অর্ডার ফর্মে বের হয়ে যাবে । এই ধারণা বাতাসের মধ্যে জায়গা করে নিয়ে আগের আকার নিয়ে নেবে । একে আমরা ভূত বলি ।
এই ধারণা বা ভূত এবার কোন গর্ভবতী মহিলার শরীরের বাচ্চার মধ্যে ঢুকে গেলে , আর বের হতে পারবে না । তখন বাচ্চাটা বড় হয়ে ঐ ধারণার কথা বলতে পারবে এবং এই বলাটা রেকর্ডিং এর মতো বলা । বাচ্চাটার মনে হবে এটা বুঝি তার আগের জীবনের কথা - আসলে তার জীবন নয় , অন্যের জীবন ।

আমরা অনেক সময় শুনি ওকে ভূতে ধরেছে । তারপর ওঝা ডাকি । ঝাঁকফুঁক করি। মারধোর করি। আমি বলি - কোনটাই করা উচিৎ নয় । ভূতে ধরা সত্য । নিজেকে চেষ্টা করতে হবে , তাহলে সে চলে যাবে । আমাদের শরীর হলো হিট ইঞ্জিন । অতিরিক্ত এনার্জি শরীরে ঢুকলে শরীর কাজ করতে পারে না । তাই গরমে আমরা হাসফাস করি । ভূত শরীরে ঢোকার অর্থ হল অতিরিক্ত এনার্জি শরীরে ঢুকেছে , তখন শরীর কাজ করতে পারবে না । ভুত শরীরে ঢুকে , বের হয়ে যেতে পারে ।
আর জাতিস্মর যাদের বলছি , তাদের ক্ষেত্রে ভূত, শিশুটি ভুমিষ্ঠ হবার আগেই মায়ের শরীরের মধ্য দিয়ে গর্ভে থাকা শিশুটির মধ্যে ঢুকে যায় এবং শত চেষ্টা করেও ভূতটি আর শিশুটির শরীর থেকে বের হতে পারে না । এই ভূতটি তখন শিশুটির শরীরে থেকে শিশুর মাধ্যমে তার কথা বলে । শিশুটি বুঝতে পারে না , তার মধ্যে ভূত ঢুকে আছে ।এটাই বলি জাতিস্মর ।

সেজন্য কোন গর্ভবতী মহিলাকে একাকী ভর দুপুরবেলায় ,সন্ধ্যাবেলায় গাছতলায় বা পুকুরঘাটে যেতে নেই ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:০০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×