somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জেল থেকে ফিরে (ছবি ব্লগ) Dhaka Jail, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকা জেলখানা

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ছবি-০১


কারাগারের প্রধান ফটক। ঢাকার পরিত্যাক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ১লা নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।
ছবি-০২


আত্মীয় স্বজন দেখা করতে এলে এই লোহার সেলের ভিতরে কয়েদীদের ঢুকিয়ে দেখা করতে এবং কথা বলতে দেয়া হয়।
ছবি-০৩


কয়েদীদের আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করার রুমের দরজা।
ছবি-০৪


ছবির জাতীয় নেতাকে এই রুমে হত্যা করা হয়েছে। সেই সময়ে ব্যবহৃত চৌকি এবং টেবিল চেয়ার।
ছবি-০৫


এই বিল্ডিংয়েই চার নেতাকে রুমের মধ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
ছবি-০৬


যে বিল্ডংয়ে হত্যা করা হয়েছিল তার পাশেই চার নেতার স্মরণে তৈরী মূতি।
ছবি-০৭


হত্যার পর লাশ হস্তান্তরের আগে সবুজ রং করা এখানে রাখা হয়েছিল।
ছবি-০৮


বঙ্গবন্ধু জেলে থাকা কালীন নিজের হাতে লাগানো কামিনী গাছ।
ছবি-০৯


বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে লাগানো কামিনী গাছের পুরো ছবি।
ছবি-১০


জেলে থাকা কালীন বঙ্গবন্ধু এই গোসল খানায় গোসল করতেন।
ছবি-১১


দেখতে বাড়ির মত মনে হলেও এগুলোও কায়েদীদের থাকার ঘর।
ছবি-১২


জেলখানা দেখতে উপচে পড়া ভির।
ছবি-১৩


দুই পাশে কারাগার মাঝে রাস্তা।
ছবি-১৪


টিন শেডের কয়েদ খানা।
ছবি-১৫


কয়েদীদের বাহিরে গোসল করার জন্য পানির চৌবাচ্চা।
ছবি-১৬


এই সেই ফাঁসির মঞ্চ যেখানে অনেকেরই ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
ছবি-১৭


এটি আমদানি রুম। আসামীদের প্রথমে এই রুমে গাদাগাদি করে রাখা হয়, পরে এখান থেকে অন্য রুমে পাঠানো হয়।
ছবি-১৮


সেই আমলে তৈরী এই রুমে কয়েদী রাখা হয় যার দেয়াল ৩৬ ইঞ্চি পুরু।
ছবি-১৯


রুমের ভিতরেই পায়খানা, তবে দরজা উপরের দিকে অধেক ফাঁকা রাখা হয়।
ছবি-২০


মোটা মোটা লোহার দরজা দেয়ার পরও তালা দেয়ার সিস্টেমটি আরো মজবুত। দেয়ালের ভিতর দিয়ে রড ঢুকিয়ে দরজা থেকে একটু ফাঁকে দেয়ালের ভিতরে তালা লাগানো হয়। কয়েদীরা ভিতর থেকে কোন ভাবেই এই তালা নাগাল পায় না।
ছবি-২১


সেই আমলের তৈরী বিশাল তিন তালা ভবন। প্রত্যেকটা বিল্ডিং লোহার রড দিয়ে একটি বিল্ডিং থেকে আরেকটি বিল্ডিংয়ের মাঝে পাটিশন দেয়া। ইচ্ছা করলেই এক বিল্ডিং থেকে আরেক বিল্ডিংয়ে যাওয়া যায় না।
ছবি-২২


কয়েদীদের জন্য ক্যান্টিন।
ছবি-২৩


কিছু উচ্ছল তরুণ তরুণী স্বেচ্ছায় লোহার গারদের ভিতর ঢুকে কয়েদ খানার স্বাদ অনুভব করছিল।
ছবি-২৪


এ ছেলেটিও লোহার গারদে ঢুকে কয়েদী সেজে আসল কয়েদীর মতই বিরস বদনে চেয়ে আছে।
ছবি-২৫


জেল খানার সেলুনে নোটিশ।
ছবি-২৬


এই ঘরে কয়েদীদের চুল কাটা হতো।
ছবি-২৭


কারাগারের ভিতরে কয়েদীদের জন্য বেকারী।
ছবি-২৮


নারী কয়েদীদের জন্য সেল।
ছবি-২৯


জেলে থাকা মা ও শিশুদের জন্য।
ছবি-৩০


কয়েদখানার চালের নিচে এই গর্তটির কি প্রয়োজন তা কেউ বলতে পারলো না।
ছবি-৩১


কয়েদীদের জন্য রান্নাঘর ও রান্নার চুলা। বর্তমানে রান্নাঘরটি পরিত্যাক্ত হলেও ঘরের কোনায় বিশাল একটি রুটি ভাজার তাওয়া পড়ে আছে।
ছবি-৩২


প্রত্যেকটা বিল্ডিং লোহার রড দিয়ে একটি বিল্ডিং থেকে আরেকটি বিল্ডিংয়ের মাঝে পাটিশন দেয়া। ইচ্ছা করলেই এক বিল্ডিং থেকে আরেক বিল্ডিংয়ে যাওয়া যায় না।
ছবি-৩৩


জেলের ভিতরে ফুলের বাগান।
ছবি-৩৪


বিদেশী বন্দীদের জন্য।
ছবি-৩৫


বিদেশী বন্দীদের জন্য।
ছবি-৩৬


কয়েদী না হলে কারো কারাগার দেখার সৌভাগ্য হয় না। সরকারী নির্দেশে কয়েদী না হয়েও কয়েদখানা ঘুরে দেখার সৌভাগ্য অনেকেই আজ অর্জন করেছেন। দুপুরের দিকে ২২৮ বছরের পুরানো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কারাগার দেখতে গিয়ে মোবাইলে তুলে আনা কিছু ছবি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:১৪
২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×