শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( শেকৃবি ) নিয়োগ দেয়ার হচ্ছে বিএনপি-জামাত পরিবারের সন্তানদের । বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষের ছত্রছায়ায় এ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে । ছাত্রলীগ নামধারি এসব প্রার্থীরা বিএনপি পন্থি শিক্ষক- কর্মকর্তার যোগ সাজজে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাচ্ছে ।
অনুসন্ধানে জানা যায় , গত বিএনপি-জামাত সরকারের সময় যারা ক্ষমতাসিন দলেরছাত্র রাজনিতি করেছে । তারাই এখন ছাত্রলীগের নাম ধারন করে । আর এখন তারা শিক্ষক বা কর্মকর্তা হতে জোর তদবির চালাচ্ছে । বতৃমান বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ বিএনপি-জামাত পন্থি হওয়ায় তা সহজ হচ্ছে । বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ তরিঘরি করে এদের নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য শুন্য পদে নিয়োগের বিঞ্জপ্তি দেয় । যাতে তাদের পছন্দ মত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে পারে । নাম প্রকেিশ অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের এক বর্তমান কমিটির নেতা জানান, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিএনপি-জামাত পন্থি । তানা হলে আগে যারা ছাত্রদল করত তাদের নিয়োগ দেয়ার পাইতারা করত না । কিন্তু ছাত্রলীগের র্নিযাতিত নেতাদের খোজ খবরও নেয় না । তিনি আরো বলেন , এ নিয়োগে কৃষি সম্পসারন বিভাগে দুই জনের পদের কথা বলা হয়েছে । এর মধ্যে জাভেদ আজাদ মিশাদ ছত্রদলের এক সময়কার বড় মাপের নেতা ছিল । সে সাবেক বিশ্ববিদ্যাল শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মারার তালিকা ভুক্ত আসামি । যা এখনো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে । আর মিশাদের পিতা চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার বিএনপির একজন সম্পাদক পদধারী নেতা । আর এই বিএনপি পরিবারের সন্তানকে নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ। এর অন্য একজন বায়োকেমিষ্ট্রিতে এম. এস করলেও এখানে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে । মারজিয়া ইসলাম সপ্না নামে একজন বিভিন্ন বিভাগে প্রার্থী হয়েছেন । সপ্নার পিতা ময়মনসিহের একজন স্থানীয় ইউনিয়নের জামাতের সক্রিয কর্মী এবং ইউনিট সভাপতি । কিন্তু সপ্না উপরের সকলকে ম্যানেজ করেছে বরে সকলের মুখে মুখে । জামাত ঘরের সন্তান জেনেও অনেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে তাকে নিয়োগ দিতে মরিয়া । বিশেষ করে এ নিয়োগের বেশির ভাগ প্রার্থী বিএনপি-জামাত পন্থি ।তারা অনেকে বলে নিয়োগ পেলে আমরা আবার বিএনপি-জামাত হয়ে যাবো । এমনকি গত বিএনপি-জামাত সরকারের সময় যে ৪৮ জন শিক্ষক -কর্মকর্তার অবৈধ নিয়োগ ও পদন্নতি দেয়া হয় । তার সুরাহা এখনো হয়নি । এখন তা ফাইল বন্দিই আছে । এ বিষয়ে বতর্মান কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির জানান, আমরা ছত্রলীগের পক্ষথেকে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষকে জানানোর পরও কোন কাজ হচ্ছে না । তারা তরিঘরি করে এদের নিয়োগ দিতে প্রস্তুত । র্বতমান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহবায়োগ মিলন জানান , এই বিএনপি-জামাত পন্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় তথা ছাত্রলীগের দূনাম করছে । আর এরাতো চিহ্নিত বিএনপি-জামাত পন্থী । যেখানে গোটা জাতি রাজাকারদের বিচার দিতে আগ্রহি তখন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ এদের পূর্নবাসন করতে চাচ্ছে । আর এরাই বানিজ্য মেলায় চাদাবাজী করে ছাত্রলীগের স¤œানহানি করেছে । এমন কি এরা ৫ টি দোকানে আগুন পর্যন্ত দিয়েছে । আর এসবের নেতৃত্ব দিয়েছে সাবেগ ছাত্রদলের নেতা মিশাদ, সরোয়ার , দেবাশিষ , আওলাদ , আনারুল , আলামিন , মির্জা সহ আরো অনেকে । আর নিযোগের ব্যাপারে আমি বলেছি প্রয়োজনে আবার বলব । অবৈধ নিয়োগের ৪৮ জনের ব্রাপারে কথা বলব ।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায অধ্যাপক সাহাদাত উল্লার সাথে যোগাযোহের চেষ্টা করা হলে তিনি প্রথমে মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি এবং পরবর্তীতে তা বন্ধ পাওয়া যায় ।
http://www.abnews24.com/article.php?details= 47#.UUM
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



