somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পবিত্র হজ্ব নিয়ে সৌদী রাজার ষড়যন্ত্র! (পর্ব-১)

১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কঠিন মর্মবেদনা নিয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করা হচ্ছে। যে মুসলমানেরা এক সময় খোদায়ী (আধ্যাতিক) জ্ঞানে বলিয়ান হয়ে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত ইসলামের ঝান্ডা উড়িয়ে দিয়েছিল, সেই মুসলমান আজ আধ্যাতিক জ্ঞানে শুধু অজ্ঞই নয়, তাদের দুনিয়াবী জ্ঞানও তলানিতে এসে পৌছেছে। আক্বিদাগত বিভ্রান্তির বেড়াজালে পরে তারা আজ নিকৃষ্টতম জাতিতে পরিণত হয়েছে। তাই আজ লিখতে বসা, “ পবিত্র হজ্ব নিয়ে সৌদী রাজার ষড়যন্ত্র!”

জ্ঞান আহরণের প্রতি অনিহা মূর্খতার চেয়েও অনেক ভয়ংকর রোগ। সেই রোগেই বর্তমান যামানার মুসলমানরা আক্রান্ত। হারাম হালাল ভুলে গিয়ে আরাম, আয়েশ আর পাষবিক বাসনা চরিতার্থেই তারা আজ মশগুল। এহেন পরিবেশে সাধারণ একজন মুসলমানের উপলব্ধি হচ্ছে বয়স হয়েছে, হজ্ব ইসলামের পাচটি স্তম্ভের একটি স্তম্ভ, আদায় করাটা জরুরী। তাই সামর্থবান সকলেই হজ্ব করে। এতে সাভাবিক দৃষ্টিতে অন্যায়ের কিছু নেই। কিন্তু তাদের কারোই জানা নেই যে, সৌদী ওয়াহাবী ইহুদী রাজা ইচ্ছা করে হজ্বের দিনে হজ্ব না করিয়ে লক্ষ কোটি মুসলমানের হজ্ব পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করছে।


পরিতাপের বিষয়টা এখানেই, বর্তমান যামানার মুসলমানেরা হজ্বের সময়-সূচীর বিষয়ে সম্পূর্ণ বেখেয়াল। পবিত্র কুরআন শরীফে উল্লেখ্য আছে,
“হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে নতুন (বাঁকা) চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে, আপনি বলুন এটি মানুষের (আরবী মাস এবং ইবাদতের) সময় এবং হজ্জের সময় নির্ধারণ করার মাধ্যম।” (সূরা বাক্বরা: ১৮৯)


এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক কৃর্তক নির্ধারিত দিনে হজ্ব না করে, সৌদী ইহুদী রাজার নির্ধারিত দিনে হজ্ব করা যায়িজ না নাযায়িজ? সৌদী রাজার নির্ধারিত দিনে হজ্ব করা শুধু নাযায়িজই নয় বরং কুফরী, ঈমান নষ্ট হওয়ার কারণ। বুঝতে চাইলে বিষয়টি সহজ। ইসলাম ধর্মের প্রতিটি অনুষ্ঠান সময় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায সুনির্দিষ্ট সময়েই আদায় করতে হয়, বাৎসরিক দিন সমুহের জন্যও ঐ একই নির্দেশনা। শবে ক্বদর, শবে বরাত, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা সবই সময় দ্বারা নির্ধারিত। দিন নির্ধারিত হয় চাঁদের অবস্থানের মাধ্যমে আর সময় নির্ধারিত হয় সূর্যের অবস্থানের সহযোগীতায়। এ বিষয়ে বর্তমান যামানার মুসলমানেরা একেবারেই গন্ডমূর্খ, তাই তারা হজ্ব করে সৌদী রাজার নির্ধারিত দিনে।

মূর্খ মুসলমান প্রশ্ন উন্থাপন করে থাকে, আমার ফরয হজ্ব আমি করছি, সৌদী রাজা দিন পরিবর্তন করলে সে দায়ী আমি নই। আমার জন্য তো হজ্ব ফরয? আল্লাহ পাক চাইলে আমাদের হজ্ব তারপরেও কবুল করতে পারেন। সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য একটি যুক্তি। সাড়ে তেইশ ঘন্টা মাগরিব নামায আদায় করে, নির্ধারিত সময় (ওয়াক্ত অনুযায়ী) আদায় না করলে তা মহান আল্লাহ পাকের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। মহান আল্লাহ পাক চাইলে কবুল করতে পারেন, তবে তিনি তা করবেন না। কারণ সেই নামায উনার নির্ধারিত সময়ে আদায় করা হয়নি। ঠিক তেমনিভাবে হজ্ব নির্ধারিত দিনে করা হচ্ছে না বলে তা কবুল যোগ্য নয় বরং মহা অন্যায়, এই কারণে যে সৌদী ইহুদী রাজার নাযায়িজ হজ্বে যোগদান করে তার অন্যায় কাজে আমরা সমর্থন দিচ্ছি। হাদীস শরীফ অনুযায়ী সর্বনি¤œস্তরের ঈমান হচ্ছে, কোন বেশরীওতি কাজ হাত দিয়ে বন্ধ করতে না পারলে মুখ দিয়ে কিংবা লিখিত প্রতিবাদ করা। আর তাও সম্ভব না হলে, ঐ কাজকে ঘৃণা করে স্থান ত্যাগ করা। অথচ আমরা সৌদী ইহুদী রাজার হজ্বের দিন পরিবর্তনের মতন চরম অন্যায় কাজে অজ্ঞতার কারণে নিজেদেরকে জড়াচ্ছি, ফলশ্রুতিতে ঈমান হারা হচ্ছি।

বিষয়টি অত্যান্ত সূক্ষ্ম এবং চেতনার, হালকা করে দেখার কোনই সুযোগ নেই। আজ যদি দুনিয়ার মুসলমান ধর্মীয় জ্ঞানে সচেতন হত, সৌদী ইহুদী রাজা কস্মিনকালেও হজ্বের দিন পরিবর্তন করার সাহস করতো না। সৌদী ইহুদী রাজা যে মুসলমানদের হজ্ব নষ্ট করছে শুধু তাই না, পৃথিবী জুড়ে মগজধোলাইয়ের মাধ্যমে প্রথমে ওয়াহাবী, সালাফী এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন নামে সন্ত্রাসী দল সৃষ্টি করছে। এভাবেই সে একের পর এক মুসলমান দেশ ধ্বংস করার ক্ষেত্র তৈরী করছে। হজ্ব নষ্ট করার এ ভয়ংকর অন্যায় কাজটি যে মুসলমানেরা বুঝতে ব্যর্থ তাদের মধ্য থেকে ধর্মের নামে সন্ত্রাসী তৈরী করা, ‘ঘুম থেকে উঠে দাত মাজার মতই সহজ কাজ’।

যদি কোন মুসলমান ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করতে চায়, তার জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, সৌদী রাজাকে ইসলামের শক্র হিসেবে চিহ্নিত করা এবং তার সকল অন্যায় কাজে প্রতিবাদ করা। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সঠিক আক্বিদা জানা ও বুঝার তৌফিক দান করুন। সকল মুসলমানকে হজ্বে মাবরুর (কবুল হজ্ব) করার তৌফিক এনায়েত করুন। আমীন।।

বর্তমান পৃথিবীতে কোন শক্তি ইসলামের নামে সন্ত্রাসী তৈরী করছে জানতে হলে ক্লিক করুন...[সূত্র: http://goo.gl/J1JpO6 ]
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×