ছোটবেলায় অর্থ্যাৎ স্কুল জীবনে যখন বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতাম দেখতাম বিয়ে শেষে কন্যা বিদায় বেলায় সে কি কান্না, কন্যা কাকে বাদ দিয়ে কাকে ধরে কানবে তাইত সামলানো মুসকিল ছিল। বেচারা জামাই বাবাজী সে দৃশ্য দেখার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই রাখতেন।
যাই হোক প্রসঙ্গ সেটা না। গেল সপ্তাহে দু-দুটো বিয়েতে গেলাম । একটি কলিগের আর একটি আত্বীয়ের যাই হোক, অপেক্ষার প্রহর গুনছি কখন শুরু হবে কন্যার কান্না, হাউমাউ করে ভাসিয়ে দেবে চারিদিক, কন্যার কান্নার শব্দে চারিদিক হবে নীরব, নিস্তব্দ।
কিন্তু যা ভাবা ঠিক তার উল্টোটা হল কিসের কান্না কন্যা দিব্বি হাসতে হাসতে বাবা মা'এর কাছ থেকে বিদায় নিল, মাঝ দিয়ে কোন মুরুব্বীর কন্ঠে ভেসে এল "মেয়েটার চোখে একটু পিঁয়াজের রস দে তো, কি মেয়েরে বাবা চোখে এক ফোঁটা জল নেই"
কঠ্ঠিন ডায়লগ ! ভাবলাম ডায়লগটা মন্দ না, আসলেই তো আজকাল বিয়েতে কন্যাকে তেমন কাঁদতে দেখিনা। ভালই ইমপ্রুভ হয়েছে তাহলে।
আর কাদবেই বা কেন তারা কি আর আগের মতন আছে? যে স্বামীর ঘরে যাওয়া মানে নিজেকে বন্দী মনে করা, নিজের স্বাধীনতা হরণ হওয়া, স্বামীকে ধ্যান জ্ঞান করাই প্রকৃত এবং উৎকৃষ্ট কর্ম মনে করা।
যুগের সাথে আমরা এগিয়েছি না ! আমাদের মেয়েরাও তো এগিয়েছে।
তবে, যুগের সাথে সাথে কন্যার বিদয়ী কান্নাও হারিয়ে যাচ্ছে দিন কে দিনেক ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



