somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশে কোনো রাজাকার নেই । পুতুলের দাদাশ্বশুর রাজাকার হলেও যুদ্ধাপরাধী না!!--হাসিনা

২২ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কড়া ভাষায় বলেছেন, দেশে রাজাকার বলে কোনো শব্দ নেই। দেশে কোনো রাজাকার নেই। তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের দাদাশ্বশুর ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রয়াত খন্দকার নূরুল হোসেন নূরু মিয়া ফরিদপুরে রাজাকারদের তালিকার ১৪ নম্বর রাজাকার হলেও তিনি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না বলে শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ফরিদপুরের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেছেন, তার ভাই শেখ সেলিম ফরিদপুরের রাজাকার মুসা বিন শমসের ওরফে নূইলা মুসার সঙ্গে ছেলে বিয়ে দিয়ে আত্মীয়তা করেছেন—এটা কেন তারা কখনও বলেন না; অথচ শেখ হাসিনার মেয়ের দাদাশ্বশুর নূরু মিয়ার নামে সবাই অভিযোগ করেন যে, তিনি রাজাকার ছিলেন। নূরু মিয়া পিস কমিটির সদস্য থাকলেও যুদ্ধের সময় তিনি কোনো অপরাধমূলক কাজকর্ম করেননি বলে শেখ হাসিনা গর্বের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের মনে করিয়ে দেন।
গত নির্বাচনে শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফরিদপুর সদর আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর মন্ত্রিত্ব পান। এই শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার ছোট ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ জানানোর জন্য সোমবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্যাতিত নেতাদের যে বৈঠকের আয়োজন করা হয়, সেখানে আওয়ামী লীগ প্রধান এসব কথা বলেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফরিদপুর আওয়ামী লীগ নেতাদের ওই বৈঠক রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত চলে। তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার বেয়াই মোশাররফ হোসেন ও বেয়াইর ছোট ভাই বাবরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে জেলা নেতাদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জায়নুল আবেদিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্য বাবু বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যন অ্যাডভোকেট সামছুল হক ভোলা মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও যুদ্ধকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার সাব-সেক্টর কমান্ডার নূর মোঃ বাবুল, ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বোস, মাহবুবুর রহমান খান, মনিরুল হাসান মিঠু, আবদুর রহমান প্রমুখ। উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল হক ভোলা মাস্টার প্রধানমন্ত্রীকে শ্রমমন্ত্রী ও তার ভাই বাবরের নির্যাতনের কাহিনী এবং তাদের বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, শ্রমমন্ত্রীর বাবা নূরু মিয়া একজন রাজাকার ছিলেন। ফরিদপুরের রাজাকারদের তালিকায় তার অবস্থান ১৪ নম্বরে। ছেলে মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে রাজাকার বাবা নূরু মিয়ার নামে ফরিদপুরের বিভিন্ন রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে। রাজাকারের নামকরণ করা রাস্তা ভেঙে ফেলার জন্য ভোলা মাস্টার দাবি জানান। বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোঃ বাবুল বলেন, আমি আপনার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি হয়েছি। সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। অথচ আজ ৭৭ বছর বয়সে আমাকে কুপিয়ে আহত করা হলো। আমার শরীর থেকে রক্ত ঝরানো হলো। এই সন্ত্রাসী হামলার জন্য তিনি শ্রমমন্ত্রী ও তার ভাই বাবরকে দায়ী করেন। শ্রমমন্ত্রীর গ্রুপের সন্ত্রাসীদের হাতে আহত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আহ্বায়ক শওকত আলী জাহিদের ভাই আবদুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য তাদের পরিবার সারা জীবন যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তার প্রতিদান হিসেবে আজ তার ভাইকে একটি পা হারাতে হলো। প্রধানমন্ত্রী সবার বক্তব্য ধৈর্যসহকারে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে ফরিদপুর জেলা নেতাদের বলেন, আত্মীয়তার চেয়ে আমার কাছে দল অনেক বড়। তাই দলের ক্ষতি করে আমি কাউকে কিছু করতে দেব না। কারও বাসাবাড়িতে নয়, রাজনীতি হবে আওয়ামী লীগের অফিসে বসে। শওকত আলী জাহিদ এবং নূর মোঃ বাবুলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার আসামিদের ধরা হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক উপস্থিত ছিলেন।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:২৪
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×