অবশেষে শাহাবাগের জনসমুদ্রের জোয়ার এসে লাগলো নিউ ইয়র্কে। আজ শনিবার, নিউ ইয়র্ক সময় সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত প্রায় শতাধিক নিউ ইয়ার্কার পথে নেমেছিলো রাজাকার কাদের মোল্লা সহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের মতো এখানেও ছিলো তরুনদের লক্ষণীয় সমাগম। শরীর খুব একটা ভালো না থাকা সত্ত্বেও, খানিকা মনের জোরেই আমাকে যেতে হলো। বাসায় এসে বুঝতে পারলাম কাশিটা আবার বেড়েছে। কিন্তু কি করা, এমন আহবানে সাঁড়া না দিয়ে থাকতে পারিনি।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যে সাঁড়ে ছ'টা থেকেই লোকজনের ভীড় বাড়তে থাকে। মোটামুটিভাবে সাতটার দিকেই প্রায় শতাধিক তরুণ-তরুণী প্রচন্ড ঠান্ডা আর আগেরদিন রাতে হয়ে যাওয়া তুষার ঝড়ের পর প্রতিকূল পরিস্থিতি স্বত্বেও জড়ো হয় বাঙালী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস্ এলাকার কাবাব কিং রেস্টুরেন্টের সামনে। আবহওয়ার অবস্থা এতটাই খারাপ যে, প্রায় প্রতিটি স্কুল এবং কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয় আগেরদিন রাতেই। তারপরেও এই জনসমাগম ছিলো দেখার মতো। জন-জীবন এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি, অনেক ট্রেইন এখনো চলছেনা।
সবকিছু উপক্ষো করে তরুণদের এই সমাগম একটু বিরলই বলতে হবে, কারণ আমার গত ৬/৭ বছরের অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি তাতে সাধারণত বড় কোন ধরনের অনুষ্ঠান না হলে সেখানে সাধারণত তরুণরা আসেনা। কিন্তু স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে আসার ঘটনা খুব বেশী একটা ঘটেনা।
যাইহোক, ঘোষণাপত্র পড়া এবং জাতীয় সংগীত সমস্বরে গাওয়ার মাধ্যমেই শুরু হয় রাজাকারদের ফাঁসির দাবী। তারপর একে একে চলে "ক-তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার" সহ নানা ধরনের শ্লোগান। অনেক ভিনদেশী লোকজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অবাক হয়েই শুনছিলেন নতুনদের এই আয়োজন। একজন আমাকে জিজ্ঞেস করতেই সংক্ষেপে বুঝিয়ে বললাম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী জানাচ্ছে তারা। তিনি তরুণদের এই ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসাও করলেন।
যাইহোক আর কথা নয় এবার কিছু ছবি দেখুন।
ছবি আসলে আরো বেশী তোলা হয়েছে। সবগুলো ছবি হাই রেজুলুশনে দেখতে এখানে ক্লিক করুন । আর হ্যাঁ ছবিগুলো আমারই তোলা
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৩