“পাখিপুরুষরা পুরুষপাখির মতোই কালে কালে পাড়ি দেয় সমুদ্রের আকাশ
পুরুষপাখিরা ডানা ভেঙে উড়াল থেকে ভূমিস্মাৎ হয়েছে শোনা যায় না
পাখিপুরুষরাও মাঝে মাঝে শৌর্য্যবীর্যে নারীদের ছাড়িয়ে যায়; তথাপি
ডালপালাহাড়গোড় ভেঙে পানিগর্ভে মজ্জিত হওয়াই তাদের নিয়তি...”
শেলীর সেই বিখ্যাত কথা দিয়ে শুরু করছি...
“Our sweetest songs are those that tell of saddest thought.”
দু’দিন আগে সোনাবীজের লেখা ‘পুরুষ ও পাখি’ কবিতাটি পড়েই ভাবনা শুরু হয়েছে। কষ্টের যে কোনো কবিতা, গান, নাটক অথবা সিনেমা না শোনা বা দেখার একটাই কারণ কষ্টে কষ্ট বাড়ায়...
চার লাইনের লেখাটির শেষ লাইন “ডালপালাহাড়গোড় ভেঙে পানিগর্ভে মজ্জিত হওয়াই তাদের নিয়তি...”
ভাবনাটা তাড়িয়ে বেড়ায়।
আমার অনেক লেখায় উল্লেখ করেছি ‘পুরুষ’ শব্দটির প্রতি আমার অন্ধ দুর্বলতার কথা। যার কারণ আমার বাবার জন্য আমার পাগলপনা।
বাবাকে নিয়ে আমি আজও ভাবতে পারি না। ভাবনা এলে পালিয়ে বেড়াই।
সকালে মনে হলো আমি যখন বাড়ী থেকে দূরে যেতাম পিছনে পিছনে আসার চিরাচরিত স্বভাব ছেড়ে তখন তিনি আস্তে ঘরের ভিতরে যেতেন।
পথে যেতে যেতে পিছনে তাকিয়ে আপনজনের ভিড়ে বাবাকে কোনো দিন খুঁজে পাইনি।
শক্ত বলিষ্ঠ বাবা আমার। তাঁর অন্তরালেও হয়তো লুকিয়ে ছিলো ডালপালাহাড়গোড় ভেঙে পানিগর্ভে মজ্জিত হওয়া একজন পাখিপুরুষ।
আজ আমার মনে হচ্ছে তিনি লুকিয়ে লুকিয়ে আমার জন্য কাঁদতেন।
পরবাস জীবনের সুদীর্ঘ সময়ে ফোনে আমার সাথে কথা না বলার একটাই কারণ খুঁজে পাই সেই পাগলপাখির।
বাবাকে প্রায়ই দেখতাম কি যেন ভাবেন।
শরীরে কষ্ট হচ্ছে নাকি জিজ্ঞাসা করলে বাবা শান্ত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন
“কষ্ট হয় তোদের সবাইকে ছেড়ে যেতে হবে”...
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৬:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



