somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চ্যাটিং উইথ রুপন্থী (প্রথম পর্ব)

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





Unable to locate ‘Kohe-Kalf’. Don’t try to go forward. It’s not safe for you !

গত ছ’ঘন্টা যাবৎ একই তথ্য দিচ্ছে । ডেস্কটপের কোথা ও বিন্দুপরিমাণ ফাঁকা নেই । আই.পি.এস ব্যাকাপ প্রায় শেষের পথে । ক্ষুধায় রোহানের পাকস্থলির আশে-পাশে ঘুমিয়ে থাকা কৃমিরা এইবার জেগে উঠেছে ; তারা যুদ্ধ করতে চায় X( . হঠাৎ -

Well done, bravo ! It’s the ghost world ‘Kohe-Kalf’. Now you are in the darkest place outside the human world.

মেসেজটা পড়তেই আনন্দের আতিশয্যে কন্ঠ রোধ হবার উপক্রম হয় রোহানের । চোখে ফুঁটে ওঠে আনন্দাশ্রু , মুখে ফুঁটে ওঠে বিজয়ের হাসি । ক্ষুধার কথা তখন তার খেয়াল নেই , চেতনায় শুধু মৃত্যুক্ষুধার অনাবিল আকর্ষন । ইয়াহু মেসেঞ্জারে গিয়ে রোহানের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ! অ্যাড্রেসবুক আর কনট্যাক্ট লিষ্টে মনুষ্য পৃথিবীর সমস্ত অ্যাড্রেস যেন কোন্ অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে উধাও হয়ে গেছে । অ্যাড্রেস শুধু একটাই – ‘কোহেকাফ’ , যা কিনা একমাত্র অতৃপ্ত আত্মা ও প্রেতাত্ত্বাদের অন্ধকার রাজ্য । রোহান চট করে ঢুকে পড়ে সে রাজ্যের কোনো এক অজ্ঞাত কক্ষে । কানে লাগায় হেডফোন , বা হাত কি-বোর্ডে আর ডান হাত মাউসে । অজানা শিহরনে হাত কাঁপতে কাঁপতে মাউস অন্য দিকে সরে যায় । তবু ও ছোট্ট বুকে নিজের সমগ্র সাহসটুকুন সঞ্চয় করে মাইক্রোফোনে মুখ লাগিয়ে সে বিড়বিড় করে বলে -

Hi, I’m Rohan – from earth. It’s the third nearest planet from the sun.

তৎক্ষণাৎ ওপাশ থেকে বেশ কিছুটা গম্ভীর স্বরে ভাইব্রেশন সহকারে জবাব আসে –

Hey Roan, tanks a lot ! You are the only man who as entered to tis death heaven. I’m congratulating you coz of your bravery. This is ‘Kohe-Kalf’ – the most far place from the eart . It’s the place of darkness, dust and dismay . No doubt It’s the most haunted place you can ever found ! On top of tat ………………..

রোহান থামিয়ে দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে – Who are you ?

ওপাশ থেকে এবারে বেশ শান্তশিষ্ট গলায় জবাব আসে – My name’s ‘Ruponthy’. I’m the youngest fairy in my ground.

রোহান – Now tell me – what’s your age ?
রুপন্থী – Only 420.
রোহান – 420 !!!??? Is it possible ?
রুপন্থী – Yea. Why are you so surprised ?
রোহান - Because, my age is only 20.
রুপন্থী - Is it true ?
রোহান - Hundred Percent.
রুপন্থী - What do you mean by “Hundred Percent”?
রোহান - That means “Entire”.
রুপন্থী - Tanks. Now tell me about your planet and you.
রোহান - I will tell you later. I have to go now. I’m hungry. Bye.
রুপন্থী - Are you joking ?
রোহান - Not really.
রুপন্থী - Really hungry ?
রোহান - Yep.
রুপন্থী - Alright. Good bye.


ব্যাপারটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব – তা এ মুহুর্তে বুঝতে পারছে না রোহান । চিমটি কেটে পরীক্ষা করা যায় , তা ও করতে ইচ্ছা হচ্ছে না । কারণ যদি ব্যাপারটা সত্যিই স্বপ্ন হয় তবে সে প্রচন্ড শক্ পাবে – যা তার পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব । এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকে । ধীরে ধীরে ঘোর কেটে যাচ্ছে । মিনিট পাঁচ-ছয় পরে সে হাল্কা ধরনের একটা ঝাকুনি খেয়ে বাস্তবে ফিরে আসে ।

হুম্ ! তাহলে ব্যাপারটা সত্যিই ঘটেছিল । কোহেকাফের এক পরীর সঙ্গে কথা হয়েছিল তার ।

কি যেন নাম পরীটার ? মনে করতে চেষ্টা করে রোহান । কী আশ্চর্য ! এই মাত্র কিছু আগে যার সঙ্গে কথা হলো তার নামটা মনে পড়ছে না ! বহু চেষ্টা কিন্তু ফলাফল শূন্য । ইয়েস্ , মেডিটেশন । একমাত্র মেডিটেশন ই তাকে এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে । দু’হাটুতে ভর দিয়ে সোজা টানটান হয়ে বসে হাত দু’টো সামনের দিকে রেখে সে বসে । চোখ বন্ধ রেখে নিঃশ্বাস নিতে এবং প্রশ্বাস ছাড়তে থাকে অতি সন্তর্পণে । হ্যা , এতে কাজ হয় । ধীরে ধীরে সব কিছু মনে পড়ে যায় তার । মেয়েটার নাম – রুপন্থী । শুনতে একটু অদ্ভূত তবে তাতে কী বা এসে যায় ! বরং এ ধরনের অদ্ভূত নামধারী একজন প্রেয়সীকেই তো রোহান ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে খুঁজে বেড়িয়েছে । স্বপ্নে পায়নি , এবারে সে পেয়ে গেছে বাস্তবে ।

বয়সটা কিঞ্চিৎ বেশি – ৪২০ বৎসর । অবশ্য ভালই হয়েছে । ৪২০ বৎসর বয়সী বিরল অভিজ্ঞতাসম্পন্না একজন হুরপরীকে জীবন-সঙ্গীনী হিসেবে পাওয়ার সৌভাগ্য ক’জনার ই বা হতে পারে ? এ সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারানো চলবে না – ভাবতে থাকে রোহান । যদি ও এখন সে তার চ্যাটিং সঙ্গীনী তবু ও দু’দিন পরে ডেটিং , সিটিং কিংবা হিটিং সঙ্গীনী হতে তো কোনো আপত্তি নেই ।

আচ্ছা, একটা ব্যাপার তো জিজ্ঞাসা করা হয়নি । পরীরা কত বৎসর বাঁচে কে জানে ! রোহানের বর্তমান বয়স ২০ । একজন মানুষের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল ১০০ বৎসরের কাছাকাছি । সে হিসাবে অন্তত আরো কম করে হলে ও ৭০-৮০ বৎসর বেঁচে থাকার সম্ভবনা আছে তার । পরীদের গড় আয়ুষ্কাল যদি ৪৫০ বৎসর হয় তবে রুপন্থীর আর মাত্র ৩০ বৎসর বাঁচার সম্ভবনা থাকে । তাছাড়া পৃথিবীর ১ বৎসর হয় ৩৬৫ দিনে , ১ দিন ২৪ ঘন্টায় , ১ ঘন্টা ৬০ মিনিটে , ১ মিনিট ৬০ সেকেন্ডে । কোহেকাফের টাইম-টেবিল কী একই রকম ? নিশ্চয়ই নয় ।

রুপন্থী বিবাহিত না অবিবাহিত ? ৪২০ বৎসর একটা বিশাল সময় । এই সময় পর্যন্ত একজন যুবতী পরী নিশ্চয়ই আনমেরিড থাকবে না ! ধ্যাৎ, যুবতী বলাটা বোধ হয় ঠিক হয়নি । রোহান তো আর তাকে দেখতে পায়নি , শুধু কথাই বলেছে । তাহলে সে কি করে বুঝলো রুপন্থী যুবতী ? এমন ও তো হতে পারে – কোহেকাফে যৌবনে পদার্পণের বয়স ১০০০ বৎসর । সেক্ষেত্রে রুপন্থী একজন কিশোরী । কিন্তু যদি এর উল্টোটা ঘটে অর্থাৎ যদি কিনা ২০০ বৎসর হয় যৌবনের মৌসুম আর ৪০০ বৎসর হয় রস-কষহীন প্রৌড়ত্বের সময় তবে তো রুপন্থী প্রৌড়া নারী । আবারো সমস্যা । ওদের দেশে নিশ্চয়ই ব্যাকরণ বই পড়ানো হয় না । আর পড়ানো হলে ও হয়তো বা ওদের দেশীয় ব্যাকরণ । সেখানে পুং-লিঙ্গ, স্ত্রী-লিঙ্গ নামে আদৌ কোনো চ্যাপ্টার আছে কিনা সে ব্যাপারটা ও অনিশ্চিৎ । তাই রুপন্থীকে ‘পৌঢ়’ বলা ঠিক নাকি ‘প্রৌঢ়া’ ? রোহান তাকে ধরে নিয়েছে একজন ‘পৌঢ়া নারী’ হিসেবে । পরীরা কী নারী ? – সেটা ও একটা জিজ্ঞাস্য ....................



[ আজ এ পর্যন্তই । বাকীটা পরের পর্বে ]
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×