somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উদ্ভ্রান্ত চশমার আড়ালের রোজনামচা...

২২ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকালটা রোজকার মতই সদামাটা, দেরিতে ঘুম থেকে উঠে কোনমতে গোসলটা সেরে জোরকদমে মার্চপাষ্ট, প্রায় দৌঁড়েই রাস্তার মোড়ে। তার পরে টুক করে হোটেলে ঢুকে পড়া, রোজকার পরিচিত বেয়ারার সালাম নেওয়া গম্ভীর মুখে, যেনো আমি কোনো বিশিষ্ট হোমরা চোমরা আরকি।

না বলতেই এসে দাঁড়ায় এক কাপ কম চিনি দেওয়া চা হাতে, দিনের প্রথম সিগারেট, চায়ের সাথে, এক চুমুক আগুন গরম চা আর এক বুক ধোঁয়া। আহ!

চা শেষ হতে না হতেই সামনে পেয়ে যাই একটা প্যাকেট, তিনটে পরোটা আর ডালের পার্শেল। বিল মেটাই, বকশিশ ছাড়ি মোটা, নামি রাস্তায়।

"আ্যাই খালি" পিলে চমকানো গলায় ডাকি, রিক্শা নিয়ে সোজা অফিসে, কোনমতে পৌঁছোই হাজিরার নির্দিষ্ট সময় পার হবার আগেই। তার পরে আয়েশ করে নাস্তা। পেটভরে যাবার পরে ছাড়ি মিউজিক, গান ছাড়া কাজ করতেই পারি না একদম।

দুপুরে নিরস মুখে গিলি খানিকটা ন্যুডুলস - ডাক্তারের বারন, ওজন নাকি অনেক বেশি আমার, অসহ্য ব্যাক পেইনের সেটাই কারন। তবে, মানছি, হাভাতের মত গেলা কমিয়ে পেইন কমেছে খানিকটা।

সন্ধেবেলায় নামি নীচে, আবার রিকশা খুঁজে ফেরা, তবে বাসা নামের খুপরিটাতে নয়, রোজ কোনো নতুন মোড়ে। ঘরফেরতা মানুষের ভীড়ে ঠেলে ধাক্কিয়ে এলোমেলো চলা খানিকটা। মানুষগুলোর সারাদিনের কাজের ক্লান্তি ভরা শ্রান্ত মুখ, মোড়ের চায়ের দোকানে অফিসের ওপরওলার ওপরে নিস্ফল ঝাড়া ক্রোধ, ক্লান্ত অথচ সুখি চেহারার ছেলেটার নিচু গলার ফোনালাপ - প্রেমিকা অথবা ঘরণীর সাথে, বহুদিন আগে রিটায়ার্ড চাকুরে বুড়োটার এই গোল্লায় যাওয়া দুনিয়ার প্রতি বাক্যবান - এসবের মাঝে যেনো বেঁচে থাকবার প্রেরনা পাই রোজ।

তারপরে একসময় কাঁধের ব্যাগটা ভারি মনে হতে থাকলে ফিরে যাই নিজের খুপরিটাতে। ল্যাপটপটা অপেক্ষায় থাকে অনলাইন হবার।

স্ট্যাটাস অফলাইন করে, দিনদুনিয়া দাবড়ে ফিরি সারা রাত, ভোর নাগাদ ক্লান্ত শরীর ঘুমোতে চায়, অথচ চোখে ঘুম নামেনা একদমই।

জোরকরে নিজেকে বিছানায় ফেলি, মুখের ভেতরকার সবসময়কার তেঁতো স্বাদটা আরো প্রকট হতে থাকে।

পরদিন আরেকটা অভিশপ্ত দিনের অপেক্ষায় একসময় ঘুমোই কয়েক ঘন্টা।
অথবা মরে যাই প্রমিথউসের মত..

লেখাটির প্রকাশ ক্রমানুসার :

১. সচলায়তন
২. ফেসবুক নোটস
৩. রাতমজুর.কম
৪. বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×