একটা সময় ছিলো, ঢাকাতে একা একা একটা অন্ধ কুঠুরিতে থাকতে হতো। নতুন চাকরীর চাপে একটা সস্তা কিন্তু উষ্ঞ আরামদায়ক মাথা গোঁজার যায়গা খুঁজে নেওয়া হয়নি তখনো। আশে পাশে টু-লেট আর সাব-লেট নোটিস কম ছিলো না। তবে সাধ থাকলেও সাধ্য ছিলো না।
আজ হঠাৎ সেই দিন গুলো মনে পড়লো। প্রায় দুটো বছর কাটিয়েছি নীচতলার একটা ছোট্ট গুমোট ঘরে। কেরোসিনের স্টোভে পানি গরম করতাম হপ্তায় একদিন, খাবার পানি। দুবেলা হোটেলে খেতাম, সকালে কটা শুকনো চামড়ার মত পরোটা, রাতে হোটেলের দুপুরে রান্না ভিজে ওঠা ভাত - কেন জানি ঠিক খাওয়া হতোনা, হতো গেলা। আর মনে মনে খুব চাইতাম, দারুন খেটে আরেকটু ওপরে উঠতে, পে-স্কেল বাড়লে একটা ছোট্ট ফ্ল্যাট নেবো।
রোজ অন্তত: একবেলা নিজের হাতে রাঁধবো গরম ধোয়া ওঠা ভাত। আহ! গরম ঘ্রানটাও যে জোটেনা কতদিন!
এখন রোজ ভাত জোটে দুবেলাই, সকালে রাজসিক নাশ্তা।
আজ হঠাৎ কেন যেনো ভাতের থালা হাতে মনে পড়ে গেল সেই হাভাতের স্বপ্নটা!
তবে! আজ কেন যেন মনে হলো, নিতান্তই পাগলামি আর ছেলেমানুষি চাওয়া ছিলো সেটা।
কেনো? কে জানে
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৫