তরুনী আজন্ম ধর্ষিতা, অন্ততঃ যতদুর তার মনে পড়ে। প্রথম বেশকিছু বছর সে হাতবদল হয়েছে, তবে সে সময় সে পালা করে কোন না কোন স্বৈরাচার এক মালিকের আর তার স্যাঙাৎতদের উপুর্যপুরি ধর্ষকামীতার কাছে বন্দীনি থেকেছে সে।
এরপরে ধর্ষকের দল নতুন উপায় বের করে বিকৃতির আর ব্যাবসার, তাকে প্রকাশ্য ধর্ষন আর নিলামের বিধি জারী করা হয় গনতান্ত্রিক নিয়মে।
উন্মুক্ত বাজারে নিলামে ওঠে তার শরীরটা প্রতিক্ষন। হিংস্র জানোয়ার গুলো দল বেঁধে একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার ওপরে, নিজেদের সমস্ত লালসা, পারস্পারিক জিঘাংসা সবাই মেটায় তরুনীর শরীরের ওপর। নিজেরা ক্লান্ত হলে একটু থামে, তবু এক দন্ড রেহাই পায়না তরুনী, কারন দেশী হায়েনা তখন তাকে বর্গা দেয় বিদেশী প্রভুদের শিশ্নের কাছে।
মুমূর্ষ রক্তাক্ত ধর্ষিতা দূর্বলতার শেষ সীমাতে এসেও শেষ শক্তিটুকু সঞ্চয় করে একদলা ঘৃনা আর বীর্য্য ভরা থুতু ফেলে, বিদ্রোহ করতে যায় যখন সেই একাত্তরের হায়েনাও কাঁধে পতাকা ঝুলিয়ে এসে হাসতে হাসতে আবার থাবা বাড়ায় তার নগ্ন বুকে। তবু পারে না, তখন তাকে বেঁধে সেই শুয়োরের সামনে পেশ করে তারই সন্তানেরা শুয়োর সংগমে, শুয়োরের হাতে তাকে ধর্ষিতা হতে দেখে নোংরা বিকৃত আনন্দ উপভোগ করে ওরা।
অথচ ওদের কর্তব্য ছিলো তরুনীকে মাতৃজ্ঞানে সেবা করা!
তরুনী ঘোলা মৃতমানুষের মতন চোখ আর ক্ষতবিক্ষত মৃতপ্রায় শরীরটা নিয়ে কোনমতে শ্বাস টেনে যায়, অপেক্ষা করে তার পাঁচ বছরের যৌন দাসত্বের সময়টা কাটাতে, কোনমতে প্রানটা টিকিয়ে রাখতে।
প্রতিবার সে আশা করে, এবারে এমন কেউ হয়তো তাকে বুকে টেনে নেবে যে তার সন্তান হিসাবে গর্বীত! যে তার সব ক্ষত সন্তানের ভালোবাসা আর সেবা দিয়ে ভুলিয়ে দিতে চাইবে, ঘুরে দাঁড়াতে এই অশক্ত মাকে নিয়ে সমস্ত অন্যায় আর নিংরামীর বিরুদ্ধে! অমানুষের রাজত্বে আবার জন্ম নেবে মানুষ!
কিন্তু প্রতিবারই পাঁচসালা মালিকের চেহারা পালা করে বদলায় দুটো ধর্ষক শুয়োরের হাতেই।
প্রতিবারই উপুর্যপুরি ধর্ষনের পাঁছটা বছর শেষে, যখন তরুনীর শেষ নিঃশ্বাস পড়বার উপক্রম হয়, তখনই সেই দুই ধর্ষক শুয়োরের কোন তাঁবেদার নিরপেক্ষ সেজে এসে তার ভার নেয়।
ওষুধ পথ্য দিয়ে তার ক্ষতগুলো একটু ঢাকে, যাতে তিনটে মাস পরে আবার তাকে তরুনিকে বেঁধে হাজির করা যায় মুক্তবাজার গনতান্ত্রিক ধর্ষন মঞ্চে, যেখানে দুই শুয়োর তার দলবল সহ তাকে একযোগে স্বাধীনভাবে ইচ্ছেমত দিনরাত ধর্ষন করতে পারবে, পারবে নিজেরা ক্লান্ত হলে তরুনীকে দিয়ে বিদেশী প্রভূদের শিশ্নের ক্ষুধা মেটাতে।
মরতে মরতেও বেঁচে থাকে তরুনী, প্রতিটা মুহূর্ত ধর্ষিত-রক্তাক্ত হতে হতেও সে স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন দেখে কোন এক সন্তানের, যে মানুষ হবে, রাজনীতিবিদ নয়।
কোন এক গাঢ় কালো রাতে যে আসবে হাতে লাল-সবুজের আলো নিয়ে।
আজন্ম ধর্ষিতা মা এখনো লাল সবুজের আলোর পথ চেয়ে থাকে...
মূল : আমার সাইট
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৬