১/১১ এর পরে ব্লগে কম গালি খায়নি আর্মি।
বিডিআর ঘটনার সময় প্রথম দিনে মিডিয়ার সাথে সাথেই আর্মিকেও ধুয়ে ছেড়েছে ব্লগারেরা। অবশ্য পরদিনই হাওয়া বদলে যেতেই ব্লগাররাও পাল্টি দিতে কম যায়নি।
সেদিন, তুরাগে বাসডুবিতেও উদ্ধারে দেরী হওয়াতে বেশ কপচানো হয়েছে ব্যার্থতা।
চট্টগ্রাম বন্দরের আর্মি কন্ট্রোল আজকে বাহবা দিচ্ছেন অথচ সেই সময়ই আর্মির ধোলাই খাওয়া সিভিলিয়ানদের ছবিও পোষ্ট হয়েছে ব্লগে, দাবী এসেছে আর্মিকে সামলাতে, এমন দাবীও এসেছে আর্মীর প্রয়োজন নেই!
আর্মির সরকারী প্রজেক্ট নয়, তবু আর্মিকে ব্যাবহার করা হয়েছে এমন ঘটনাতে আর্মীর সমালোচনা করাতে আজকে সবাই জান লড়িয়ে দিচছেন, কেউ সোজা বলেই বসছেন আর্মির বিরুদ্ধে কিছু শুনতেই চান না!
অথচ আর্মির কলজের ভেতরে থাকি এমন কয়েকজন সেই পোষ্টে ভদ্রতার সাথেই আলোচনা করছি আর্মিকে বানিজ্যিক ভাবে ব্যাবহার রোধ করতে।
উদ্দেশ্যটা কি এই বিশেষ শ্রেনীর ব্লগারদের?
আর্মিকে মিডিয়াতে পঁচানো হচ্ছে বড়সড় কয়েকজন ডেভলপারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নক্সায়। সেটা থামাতে গিয়ে আমাদের কখনোই আর্মির অপব্যাবহার সমর্থন করা যাবে না।
কারন? প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে সিভিলিয়ানের প্রান বাঁচানো সবকাজে যাদের ওপরেই ভরসা করে থাকতে হয়, তাদের নিরপেক্ষ রাখাটা অতি জরুরী।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭