কথা বলছিলাম একটা আপুর সাথে। আপুটা ভিকারুন্নিসার একজন ছাত্রী ( ছিলেন অথবা আছেন, সেটা আপনারাই ভেবে নিন)।কথায় কথায় আজকে অনেক কথাই আপু বলল। এইচ এস সি রেজাল্টের আগের রাতে নাকি অধ্যক্ষ হোসনেআরা বেগম সব আপাদেরকে ফোন করেছিলেন। ফোন করে বলেন ভিকারুন নিসা তো ৪র্থ হয়েছে। এটা তো আমারই অবদান আগে তো আপনাদের রেজাল্ট এতো ভালো ছিলও না।(লক্ষ করুন রেজাল্ট ভালো হয়েছে উনার জন্য কিন্তু আগে ‘তোমাদের’ রেজাল্ট ভালো ছিলও না।)
তিনি এখনও আপাদেরকে বলছেন যে তিনি জানেন ‘আপাদের ও ছাত্রীদের মধ্যে উনি এখনও জনপ্রিয়’। কোন একজন আপা যখন উনাকে পত্র পত্রিকায় ছাপা হওয়া পোস্টারগুলোর কথা মনে করিয়ে দেন তখন উনি বলেন এসব আর কতজন পড়ে!
আজকে আর টিভি তে দেখলাম উনি সাক্ষাতকার দিচ্ছেন। সাক্ষাতকার ই বা বলি কেন, সোজা বাংলায় নির্জলা মিথ্যা বলে গেছেন তিনি। (দুঃখিত একজন শিক্ষক সম্পর্কে এমন মন্তব্য করার জন্য)। ২৭ তারিখ যখন তার আদালতে হাজির হবার কথা ছিলো তখন তিনি দেখা দেন নি। পুলিশের খাতায় তিনি পলাতক আসামি। অথচ তিনি ক্যামেরার সামনে বসে বিবৃতির পর বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। এখনও স্কুলে ফোন করেন তিনি।
ম্যাডাম( জী আপনি ই মেয়েদেরকে আপার বদলে ম্যাডাম ডাকতে বলছিলেন।মেয়েরা এই সম্বধন শুধু আপনার জন্যই রেখেছে। তাদের ‘আপাদের’ জন্য নয়) আপনার কি একটুও খারাপ লাগে না? ছোট ছোট বাচ্চা মেয়েগুলো আপনাকে চায় না। তবুও আপনি এমন করে কেন জেকে বসতে চাইছেন?অনেক তো হোল। এবার একটু থামুন, মান সম্মান যা আছে সেটা নিয়ে অন্তত নিজে থেকেই পদত্যাগ করুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৬