ট - তে টেন্ডারবাজ, তুই রাজাকার তুই রাজাকার
দ- তে দখলবাজ - তুই রাজাকার তুই রাজাকার
দ -তে দালাল - তুই রাজাকার তুই রাজাকার
চ - তে চাপাবাজ - তুই রাজাকার তুই রাজাকার
চ -তে চাঁদাবাজ - তুই রাজাকার তুই রাজাকার
একাত্তরের রাজাকার - এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়
বর্তমানের রাজাকার - এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়
সবদলের রাজাকার - এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়
ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই - রাজাকারের ফাঁসি চাই
মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান - জয় বাংলা
একাত্তরের শ্লোগান - জয় বাংলা
তোমার-আমার শ্লোগান - জয় বাংলা
নির্দলীয় শ্লোগান - জয় বাংলা
গণমঞ্চের শ্লোগান - - জয় বাংলা
এই মঞ্চের নেতা কে? জনতা জনতা
জনতার সংগ্রাম - চলছে চলবে
মুক্তিযোদ্ধার বাংলায় - রাজাকারের ঠাঁই নাই
তোমার-আমার বাংলায় - রাজাকারের ঠাঁই নাই
ফাঁসি কেনো দিলি না? কাদের কি তোর শ্বসুর লাগে?
ফাঁসি কেনো দিলি না? কাদের কি তোর ভাসুর লাগে?
আমি গিয়েছি দুপুরে, পেঠ ঠেসে গিলে। ওখানে গিয়ে দেখি শুকনো মুখে গলায় আগুন ঢেলে ছেলেমেয়েগুলো শ্লোগান দিয়ে চলছে - একটানা।
এরপর প্রস্তুতি বেলা চারটের নিরবতার, তিনমিনিটের নিরব প্রতিবাদের, দেশজুড়ে। নিরবতার পরে আবার শ্লোগানের শুরু।
তারপর সমাবেত জাতীয় সংগীত, অগ্নিশপথ।
খবর এলো খুলনা ইউনিভার্সিটির ভিসি এসেছেন, সাথে কিছু বিদেশী মেহমান, জর্মান আর ইটালিয়ান - একাত্মতা ঘোষনা করতে এই আন্দোলনের সাথে। একটু পরে মঞ্চে একটুকরো কাগজ পৌঁছলো - ইটালিয়ান মেহমানদের পক্ষ থেকে, ইংরেজিতে। সেটার বঙ্গানুবাদ শোনানো হলো - সারাংশ হলো, তারা আমাদের এই প্রানের দাবীর সাথে একাত্ম কারন তাদের নিজের দেশেও বিশ্বযুদ্ধের পর এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন।
খবর পেলাম, কবীর সুমন বাংলাদেশের নাগরিত্ব চেয়ে আবেদন করেছেন, আমাদের সাথে বাংলাদেশের একজন হয়ে পাশে দাঁড়াতে।
গান, শ্লোগান, কবিতা, শ্রুতি নাটক "ক্যানেস্তেরা - পর্ব ৪", চরমপত্র ২০১৩ এর পর্ব ১ এবং পর্ব ২ ।
মোবাইলের ছোটো স্ক্রীনে ক্ষুদে অক্ষরে খবর পাই ফেসবুকে, বিপিএলেও তিন মিনিটের নীরবতা, মতিঝিলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা অতর্কিতে হামলা করলে গাড়িচালক, বিভিন্ন অফিসের নিরাপত্তাকর্মী, দোকানদার, ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা এক হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, শুনি চিটাগং এ বাস থামিয়ে ফেলে ড্রাইভার উঠে দাঁড়িয়ে একাত্ম হয়েছিলো আমাদের সাথে, শুনি জনতার এই প্রতিবাদকে নোংরা মন্তব্য করার বাসথেকে নামিয়ে যাত্রীকে নামিয়ে দিয়েছে এক চালক - গর্বে চোখে পানি এসে পড়ে।
অনন্ত জলিলকে কম পঁচায়নি ফেসবুক ইউজার আর ব্লগারেরা - অনন্ত জলিল আর বর্ষাকে হাজির পাই শাহবাগের দলে!
সন্ধেবেলাতে শুনি, আমাদের প্রতিষ্ঠানের মালিক, যিনি কারো সাতে-পাঁচে থাকেন না, রাজনীতই থেকে দূরে থাকেন হাজার গজ, উনি নিজে তিনটে ডিপার্টমেন্টের সবাইকে নিয়ে অফিসের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন চারটে থেকে চারটে তিন।
একটা বোতল থেকে লাইন ধরে একঢোক করে পানি খাই আমরা, একটা করে বিস্কিট জোটে লাইনের প্রত্যেকের হাতে। নিজেরা আর দানবক্সের চাঁদা তুলে।
দেশের রানীরা আর তাদের মন্ত্রী-অমাত্য-ঠেঙাড়ে যুব গুন্ডা ফৌজ বড়লোকী দেখায় মানাভিমান করে।
আমরা ছোটোলোকের বাচ্চারা (বুদ্ধিজীবি কেউ কেউ ইদানিং শুয়োরেরবাচ্চাও বলছেন শুনছি) মাটি কামড়ে পড়ে থাকি পালা করে - নতুন সূর্য্যের অপেক্ষায়।
শাহবাগ থেকে সারা দেশের প্রজন্ম চত্তরগুলোকে বলছি, এই লড়ায়ে দল একটাই - বাঙালী, এই লড়াই একটা দেশের জন্যেই - বাংলাদেশ, এই লড়াই একটা দাবীর জন্যেই - সত্যিকার স্বাধীনতা, যেখানে জন্মশত্রুর দল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
এই লড়াইয়ের ফল খুব সাধারন - হয় জিতবো নইলে হারবো - হয় এই মাটি বাংলাদেশ থাকবে নইলে বাংলাস্তান হয়ে যাবে - হয় মারবো নইলে মরবো!
আনাড়ি হাতে কিছু ছবি তোলা আছে, দিলাম এখানে।
ফেসবুক এলবাম
* এই নিকটি কমেন্ট ব্যান থাকায় অস্থায়ী নিক "পীরসাহেব " থেকে আপডেট দেওয়া হচ্ছে। আজকের পোষ্টখানি একটি টেষ্ট পোষ্ট এই নিকে, দেখি প্রথম পাতায় দেখা যায় কি না।