somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফানপোস্ট: ভার্সিটিতে পড়ার সময়কার ইফতারি করতে যেয়ে কয়েকটা মজার ঘটনা;) =p~ =p~ =p~ :D

১৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০০৩ এ ক্লাশ শুরু হয়েছিল ভার্সিটিতে। শেষ হল এবছর। মাঝে রমজান গেছে মোট ৭টা, কাজেই ইফতারি রিলেটেড কিছু মজার ঘটনা থাকতেই পারে আমার;)

ফানপোস্টগুলোতে সবসময় হয় আমার বাটপারি অথবা আমার ছেকা খাওয়ার ঘটনাগুলো লিখি (যেকোন একটা থাকে)। আজকে দুটাই একসাথে দিচ্ছি;)







*******
২০০৫এর ঘটনা। সেকেন্ড ইয়ারের ফাইনাল শুরু হবে, পিএল চলছে। বাসা থেকে সকালের বাসে ভার্সিটি চলে যাই, সারাদিন লাইব্রেরিতে বসে পড়ি(যেটা বুঝা যায়) আর গিলি(যেটা বুঝার কোন উপায় নেই মুখস্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালাই)! এর মাঝে একদিন স্কুললাইফের এক ফ্রেন্ড রফিক ফোন করল, কোথায় আছি কি অবস্হা, ইত্যাদি ইত্যাদি! তো ফোনেই ঠিক করলাম প্রায় ৫বছর হয় দেখা নেই, একদিন দেখা করব! যেহেতু আমার সামনে পরীক্ষা, ঠিক হল ও ভার্সিটিতেই আসবে, টিএসসির সামনে দেখা করব; এবং বিকালে, কারণ সকালের দিকে দেখা করলে আমার সারাদিনই মাটি হবে, পড়ার টাইম একদম পাবনা! সেকেন্ড ইয়ারের সিলেবাস ছিল সবচেয়ে বড় এবং টাফ! অলরাইট!


তো যেদিন দেখা করার কথা, সেদিন চারটার দিকে টিএসসির সামনে বসে আছি। একটা নিলে আরেকটা ফ্রি, রফিক আসল সাথে আরেক পুরান স্কুলফ্রেন্ডকে নিয়ে, ধরলাম ওটার নাম কামাল। প্রায় ৫টা পর্যন্ত গেঁজালাম ফুটপাতে বসে বসে। ওহ, স্টার্টিং-এও এক কঠিন কাহিনী, দুইটা গোলাপ কিনে রেখেছিলাম, দুইজন আসায় আমারটাও দিয়ে দিলাম। টাসকি খেয়ে গিয়েছিল দুইজনেই :D :D :D [ভদ্রমহোদয়গণ, হাইসেন না! এইটা আমার পুরান বেরাম, হঠাৎ হঠাৎ মানুষরে গোলাপ দিয়ে বিপদে ফেলে দেই (কখনো মেয়েদের দেই না, টিচার হলেও না)। একবার খেলার মাঠে এক সিনিয়র রাশভারি টিচারকে গোলাপ দিয়েছিলাম, স্যার লাল হয়ে থ্যাংকস বলে নিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু খেলার বাকি পুরা টাইম বাকি টিচারদের টিজ খেতে হয়েছে, এক পোলা আরেক বেডারে গোলাপ দেয় কি বুইজা;)]

৫টার দিকে তিনজনেই আবিস্কার করলাম, ইফতার বেশিক্ষণ বাকি নেই। রফিক প্রোপোজ করল, "এদিকে তো আসা হয়না, আজকে চকবাজারের ইফতারি করলে কেমন হয়? তুই (আমি) চিনিস ভাল ইফতারির আইটেমগুলো?" আমি আসলে একটাও চিনতাম না, তবু সাহস করে বললাম, চিনি না, তাতে কি হয়েছে, পেপারে তো রোজই অনেক আইটেমের কথা দেখই, অনটেস্টে একদিন খেয়ে দেখি কি অবস্হা! বেশ, তো তিনজনে একটা রিকশা ঠিক করে রওয়ানা হলাম মহান চকবাজারের উদ্দেশ্যে :D

গল্প করতে করতে যাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পরে আবিস্কার করলাম খাচ্চরদুটার একজনও রোজা রাখেনি, সেজন্যই আজকে ৫টা সময় আসতে পেরেছে! দুজনেই সম্ভবত ইস্টার্নে পড়ত, সেমিস্টার মাত্র শেষ হয়েছিল ওদের; রোজার পরে নতুন টার্ম শুরু হবে। তো পৌছালাম চকবাজার, জেলখানা পেড়িয়ে আরো সামনে!!! পরলাম গজবে!

দিনে বৃষ্টি হয়েছিল, প্যাচপ্যাচে কাদা সারা রাস্তায়! রাস্তা প্রায় বন্ধ করে ইফতারির সারি সারি স্টল! এবং দামও দেখলাম বেশ খানিকটা চড়া। যাই হোক, বেগুনি, জালি কাবাব, জিলাপি, পিয়াজু, ঘুঘনি, বুট এসব কমন আইটেমগুলো কিনলাম। ঠিক করলাম দোকান থেকে একবোতল পানি কিনে কোন রেস্টুরেন্টে বসব, আর হালিম ওখান থেকেই কিনব। পথে পেলাম আরেক ক্লাসিক জিনিষ- সুতি কাবাব, কেউ কেউ মনে হয় সুতলি কাবাবও বলে (কোনটা ঠিক কে জানে:|) প্রায় ৪০০ টাকার ইফতারি কিনে বসলাম হালিমের অর্ডার দিয়ে; ঐ রেস্টুরেন্টে!

আজান দিল। দুই খবিসের একটা এক লিটার পানির অর্ধেকটা সাবার করে ফেলল, আমি দেখি আমার জন্য পানি খুবই কম আছে। যাই হোক, রোজা খুললাম। কিন্তু, আইটেমগুলো একেকটা মুখে দেই আর টাসকি খাই, এই জিনিষের এত সুনাম:(:( জোড়ে বলেও ফেললাম একজন আরেকজনকে, এইগুলা কি বেগুনি/পিয়াজু বানাইছে!! জালি কাবাবের অবস্হা তো আরো খারাপ:( পাশের টেবিলের একজন বুঝল আমরা আগে কখনো আসিনি, তো ঐ লোক বলল, আপনারা এখানে এসেছেন কেন, আসল ইফতারি তো আরো সামনে বেঁচে! বুঝলাম কাহিনী! হালিম খেয়ে বেরিয়ে এলাম, কার্জনের পুকুর পাড়ে ফিরে এলাম রিকশা নিয়ে। ব্যাগ রফিক আর কামালের কাছে রেখে আমি গেলাম নামাজ পড়তে! ওদের খেতে বলে গেলাম।


নামাজ পড়ে এসে দেখি কঠিন কাহিনী, দুজনেই হাসছে হা হা করে! ঘটনা কি, দুজনের কেউই আগে সুতলি কাবাব খায়নি, খেতে যেয়ে দেখে ভেতরে আসলেই সুতলি, সুতলি বেস করেই কাবাবটা বানান। আমি নিজেও জীবনে খাইনি, দেখে আমিও খানিকটা টাসকি খেলাম। কিন্তু খেতে হয় কিভাবে এই জিনিষ জানতামনা, খেতে গিয়ে দেখি মুটামুটি বিস্বাদ টাইপের জিনিষ:( প্রায় আধ কেজির মত কিনেছিলাম, রফিকের পায়ের কাছে একটা বিড়াল ঘুরঘুর করছিল, ওটার দিকে খানিকটা ছুড়ে মারল রফিক! হে হে, বিড়ালটা শুকে দূরে সরে গেল। খানিকটা বেগুনি দিলাম, ওটা আবার খেল। কিন্তু একটু খেয়ে দেখি ওটাও আর খায় না:|

তো কার্জন থেকে রওয়ানা হওয়ার আগে আমরা ডিসিশনে পৌছলাম,
চকবাজারের ইফতারি বিলাইয়েও খায় না!



পরেরটা খানিকটা ১৮+, এবং কিঞ্চিত অরুচিকরও লাগতে পারে কারো কারো কাছে!

***********

ভার্সিটিতে পয়লা রমজান মাস থেকেই আমাদের ক্লাসের ছেলেরা একসাথে একটা ইফতারির আয়োজন করত, শুধু আমাদের ক্লাশমেটদের নিয়ে! এমনিতে ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে প্রতিবছর বড় একটা ইফতারির আয়োজন হয়, একেক বছর একেক হলে এবং এটা নিয়ে খানিকটা প্রতিযোগিতাও চলে কার হলেরটা ভাল বেশি! আমি নিজ দায়িত্বে হলে আয়োজিত ইফতারিগুলোর একটাতেও কখনো যাইনি :P :P , যদিও এমনিতে হলে গিয়ে ক্লাসমেটদের রুমে অনেকদিনই ইফতারি করেছি!!

যাকগে, আমাদের ফার্স্ট ইয়ার অনেক ঘটনাবহুল, দুইটা রমজান মাস পেয়েছিলাম! ফার্স্ট ইয়ার ফাইনালে ক্যালকুলাস আর লিনিয়ার এলজেব্রা পরীক্ষার ডেট মোট ৬বার পড়েছিল, ৬ষ্ঠবার পরীক্ষা হয়েছিল! তো লিনিয়ার এলজেব্রা পরীক্ষার একদিন পরে আমাদের ক্লাশমেটদের একসাথে ইফতারির আয়োজন করা হল! ভেন্যু: টিএসসি!

গেলাম ইফতারির দিন। ওটাতে আসলেই অনেক মজা হত, কমবেশি সবাই যেত, মেয়েরা অবশ্য তখন যেত না! ইফতারির খানিক আগে একজন দোয়া পরিচালনা করত, কত বিদঘুটে দোয়া যে করত সবাই একসাথে বলার মত না। সাপোজ, মেইন পাবলিক যে সে পড়ছে, "আল্লাহ, আমাদের সবার মনের ইচ্ছাগুলো পূরণ করে দাও" আরেকটা পাশ থেকে লাগাত, ইয়া আল্লাহ, এতবড় পরীক্ষার হলে এতগুলো মানুষ পরীক্ষা দিলাম, ৫টা ডিপার্টমেন্টের একটা মেয়েও আমার দিকে ফিরেও তাকাল না, হে আল্লাহ সামনের রমজানে যেন কাউকে পাশে নিয়ে ইফতারিতে বসতে পারি!;) অথবা, ইয়া আল্লাহ, আমার যেন ক্যালকুলাসে ইমপ্রুভ আসে আর ক্র্যাশ করলে বাসায় বাপে যেন পানের দোকানে যেন বসিয়ে না দেয়! অথবা, আল্লাহগো, নুরবানুর মনে আমার নামটা ঢুকিয়ে দাও গো আল্লাহ!........ইত্যাদি, ইত্যাদি!! B-)) B-)) B-))

যাই হোক, যে বছরের ইফতারির কথা বলছি, সে বছর এরকম দোয়াটোয়া সব শেষ, ইফতারিও প্রায় শেষের দিকে, যারা নামাজ পড়ার পড়ে ফিরেও এসেছি ইফতারির বাকি অংশ শেষ করতে। হঠাৎ, আমার খেয়াল হল লেবু/শসা কাটার জন্য যে চাকু তিনটা আছে ওগুলো নিয়ে খানিকটা শয়তানি করলে কেমন হয়! পাশের আরো তিনজনকে বললাম, ওরাও সায় দিল! নিজে একটা চাকু নিলাম, একটা চাকু দিলাম আরেকজনকে আর বাকি দুইজন খানিকটা লবণ আর আস্ত একটা শসা নিল! তারপর আমাদের যে বৌদ্ধ ক্লাশমেটটি (ঐটা আরেক ক্লাশ ওয়ান পোংটা ছিল;)) এসেছিল ইফতারিতে ওর পাশে যেয়ে নিচুস্বরে বললাম,

"দোস্ত এই জীবনে বহুৎ পাপ করেছি, ভার্সিটিতে প্রতিদিন আমাদের সবাইকে সেটার জন্য খেসারত দিতে হয়! আজকে ইফতারির পর ঠিক করেছি একটা ভাল কাজ করব, তোকে মুসলিম বানাব! আমরা জানি তুই অমত করবিনা, তাই তোকে খতনা করানোর জন্য আমরা রেডি হয়েই এসেছি।"

ব্যাটা লাফিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে দে দৌড়! পেছনে আমরা চারজন ধাওয়া করতে লাগলাম, দুজনের হাতে ছুরি, একজনের হাতে শসা, যাতে চিৎকারের আওয়াজে কেউ বিরক্ত না হয় আর আরেকজনের হাতে খানিকটা লবণ, ওর টেস্ট করে দেখার ইচ্ছা ছিল দীর্ঘদিনের কাটা ঘায়ে নুন দিলে কি হয় দেখা!

সে এক দেখার মত সিন, দুই হাত ছড়িয়ে চিৎকার করে দৌড়াচ্ছে বাঁচাও, বাঁচাও, আর আমরা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছি আবার চিৎকারও করছি 'ধর, ধর!' B-)) B-)) B-))


নাহ, টিএসসি গরম করে ফেলেছিলাম ৫/৭ মিনিটের জন্য;)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১২ সকাল ৭:৪৯
১২০টি মন্তব্য ১২০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

ছবি এআই জেনারেটেড।

ভিনদেশী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সত্যের বজ্রনিনাদে সোচ্চার হওয়ার কারণেই খুন হতে হয়েছে দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদকে। সেদিন আবরারের রক্তে লাল হয়েছিল বুয়েটের পবিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকারের বিয়াইন

লিখেছেন প্রামানিক, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৪


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

রাজাকারের বিয়াইন তিনি
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
ওদের সাথে দুস্তি করায়
যায় না রে সম্মান?

কিন্তু যদি মুক্তিযোদ্ধাও
বিপক্ষতে যায়
রাজাকারের ধুয়া তুলে
আচ্ছা পেটন খায়।

রাজাকাররা বিয়াই হলে
নয়তো তখন দুষি
মেয়ের শ্বশুর হওয়ার ফলে
মুক্তিযোদ্ধাও খুশি।

রচনা কালঃ ১৮-০৪-২০১৪ইং... ...বাকিটুকু পড়ুন

দাসত্বের শিকল ভাঙার স্বপ্ন দেখা এক ক্রান্তদর্শী ধূমকেতু ওসমান হাদী।

লিখেছেন মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল), ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে যে ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তাহলো বিদেশী প্রভুরদের দাসত্ব বরণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের উপর প্রভুত্ব করা , আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×