ইসলামী ছাত্রশিবির আজ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ পরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক নিজামুল হক নাঈমের নেতৃত্বে সকাল ১০টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলের শেষ দিকে পুলিশ অতর্কিত হামলা করে হ্যান্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়। এসময় পুলিশ পাঁচ শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। মিছিলে অংশ নেয় কেন্দ্রীয় এইচ আরডি সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, ঢাকা মাহনগরী দক্ষিণের সভাপতি শাহিন আহমদ খান ও জবি সভাপতি শামিম আহমদ প্রমুখ।
এদিকে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচ থেকে সকাল ১০টায় শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহইয়ার নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে টাঙ্গাইল বাসষ্টান্ডের সামনে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। পুলিশ প্রথমে বাঁধা না দিয়ে সরে গেলেও মিছিলের শেষ দিকে অতর্কিত হামলা করে। এসময় তারা মিছিলকারীদের উদ্দেশ্যে সাউন্ড গ্রেনেড, হ্যান্ড গ্রেনেড গ্যাস, টিয়ারশেল ও গুলি ছুঁড়ে। এতে পাঁচ নেতাকমী আহত হয়। পুলিশ দুই শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
মিছিলে আরও অংশ নেয় ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি আহমদ সালমান, পশ্চিমের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফ হোসেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি রবিউল ইসলাম রুবেল ও উত্তরের সেক্রেটারী মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ প্রমুখ।
সমাবেশে ছাত্রশিবির নেতারা বলেন, গণমানুষের সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শুন্য করতেই একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গতকাল রাতে ডা. তাহেরের মত সৎ ও যোগ্য নেতাকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। সরকারের ধারাবাহিক গ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, নির্যাতন প্রমাণ করে তারা স্বৈরাচারী ও বাকশালী কায়দায় দেশ চালাতে চায়। আমরা হুশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, গ্রেপ্তার-নির্যাতন করে তারা ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। বিক্ষুব্ধ জনতা যেভাবে রাজপথে নেমে এসেছে, তাতে এই সরকার পালানোর কোন পথ পাবে না। জনগণের কাছে সকল অপকর্মের হিসাব একদিন দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ মনে করেছে তারা জামায়াত-শিবিরের ওপর স্টীম রোলার চালিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারবে। কিন্তু তারা আদৌ বুঝতে পারছে না, দেশের মানুষ তাদের ওপর কতটা ক্ষিপ্ত। তারা অন্যায়ভাবে নেতাদেরকে একের পর এক গ্রেপ্তারের মাধ্যমে জনগণকে আরো ক্ষিপ্ত করে তুলেছে। দেশজুড়ে যে নৈরাজ্য তারা তৈরি করে চলছে তার পরিণতি কোন ক্রমেই ভালো হবে না। ছাত্রসমাজ শিবিরের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমেছে। আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। নেতারা অবিলম্বে ডা. তাহেরসহ জামায়াত-শিবিরের গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




