সাল ২০৬৭।
ফেসবুক বন্ধ!
সব স্থগিত হয়ে আছে, থমকে আছে পৃথিবী, সময় সংকোচনের মত ভয়াবহ অবস্থা। সব শুরু হয়ে যেন শেষ হয়ে গেল।
আরুচি ফেসবুকে বসে স্টাটাস দিলো, " এটাই আমার শেষ স্ট্যাটাস, ভালো থেকো বন্ধুরা, আর দেখা হবেনা"।
কয়েকদিন ধরে ফেসবুকের স্বাস্থ্য ভাল যাচ্ছে না, সে বিদায় নেবে পৃথিবী থেকে। কিছু করার নেই কারন সমাজের কিছু দুষ্কৃতকারীরর জন্য তার আয়ু নষ্ট হয়ে গেছে। আরুচি নয় বছরের একটি মেয়ে। বাবা মা মারা যান তার জন্মের সময়, তার দেখাশোনার দায়িত্ব এসে পরে ফেসবুকের ওপর, যা একটি একাদশ মাত্রার ওয়েবসাইট, যার কোন মাত্রা নেই তবে বিপদের সময় তা মানবাকৃতির রূপ ধারন করতে পারে। ফেসবুকের মত ওয়েবসাইট কে কিভাবে মানব কল্যাণে কাজে লাগানো যায় তাই একজন বিজ্ঞানী মোডিফাইড ফেসবুক আবিষ্কার করেন আর তিনি হলেন আরুচির দাদু আলিজ যখন ফেসবুকের বয়স চার বছর তখন সে আরুচির দাদু কে বাঁচিয়েছিল হ্যান্ডবুক নামের একটি ওয়েবসাইটের হাত থেকে সালটা ছিল ২০০৮। এভাবে নোটবুকের হাত থেকেও আরুচির বাবা আফিরকে বাঁচিয়েছিল ২০৩৫ সালে কিন্তু আরুচির জন্মের সময় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক হার্ডবুক ও ডেডবুক দুই সহোদর যারা নোটবুকের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক র্যাডিয়েশনের মাধ্যমে জন্মগ্রহন করেছে, তারা আরুচির বাবা-মা এবং বৃদ্ধ দাদুকে মেরে ফেলেন এবং ফেসবুকের প্রাইভেসী কার্ড দুটির মাঝে একটি নষ্ট করে ফেলে। তারা আজ খুজছে আরুচি ও ফেসবুককে কারন এই পৃথিবীতে কোন মানবসভ্যতা থাকতে পারবেনা।
বিস্তারিত আসছে........