বাংলাদেশের মোট ৪৬ টি আইএসপি গত ছয় মাসে কে কতটুকু ব্যান্ডউইথ কিনেছে ? সাবমেরিন ক্যাবলে কতটুকু অব্যবহৃত থেকেছে ? জানতে চান ?
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
এই হচ্ছে বাংলাদেশের টোটাল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার। এখানে লিনিয়ার লিস্টে আছে ৩৩ টি আইএসপি, এর বাইরে আরও আছে ৬ টি মোবাইল অপারেটর, ৮ টি পিএসটিএন ও বিটিসিএল। এরা সবাই সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানী থেকে মোট ১০ (দশ) গিগাবিট ব্যান্ডউইথ কিনে সারাদেশে বিক্রি করছে। এই পর্যন্ত তথ্য আপনি জানতে পারেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় এর ওয়েব সাইট ব্রাউজ করলেই।
কিন্তু এদের কে কতটুকু ব্যান্ডউইথ গত ছয় মাসে কিনেছে ? গত ছয় মাসে প্রতি মাসে কতটুকু ব্যান্ডউইথ সরকার বিক্রি করেছে ? প্রতিমাসে কতটুকু ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত থেকেছে সে তথ্য কি আপনি বলতে পারবেন ? ওয়েব সাইট খুজে পাবেন ? না ! স্বচ্ছতার প্রশ্নে সংশ্লষ্ট কর্তিপক্ষের উচিত থাকলেও তথ্যটি ওরা কখনও ওয়েবে দেবে না, কেননা এরকম তথ্য প্রকাশ করা দূর্নিতির ও অপ-নীতির পথকে সংকুচিত করে দেবে।
কিন্তু প্রচার মাধ্যমগুলো যেহেতু নিজেদের গণতন্ত্রে সহায়ক শক্তি হিসাবে দাবী করে সুতরাং এরকম তথ্য প্রকাশ করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। ব্যাবসায়িকও বটে, কেননা তথ্য বিক্রিই তাদের কাজ আর উপরে আলোচিত তথ্যের মত গুরুত্বপূর্ন তথ্যের ভ্যালু তাদের গতবাঁধা তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি ভাবে পাবে এই তথ্য ? সেটাও খুব সহজ ! প্রচার মাধ্যম লাগবে না বাংলাদেশের যেকোন আমজনতাও যদি সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানী, অথবা বিটিসিএল অথবা টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়েও এই তথ্য চায় তবে সরকারের ঐ দপ্তর সর্বোচ্চ ত্রিরিশ দিনের মধ্যে চাহিত তথ্য দিতে বাধ্য। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ৯ ধারায় তথ্য প্রদান পদ্ধতি বর্ননা করা হয়েছে।
৯। তথ্য প্রদান পদ্ধতি।⎯(১) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন অনুরোধ প্রাপ্তির তারিখ হইতে অনধিক ২০ (বিশ) কার্য দিবসের মধ্যে অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অনুরোধকৃত তথ্যের সহিত একাধিক তথ্য প্রদান ইউনিট বা কর্তৃপÿÿর সংশিস্নষ্টতা থাকিলে অনধিক ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে উক্ত অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন কারণে তথ্য প্রদানে অপারগ হইলে অপারগতার কারণ উলেস্নখ করিয়া আবেদন প্রাপ্তির ১০ (দশ) কার্য দিবসের মধ্যে তিনি উহা অনুরোধকারীকে অবহিত করিবেন।
(৪) উপ-ধারা (১) এবং (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন অনুরোধকৃত তথ্য কোন ব্যক্তির জীবন-মৃত্যু, গ্রেফতার এবং কারাগার হইতে মুক্তি সম্পর্কিত হইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুরোধ প্রাপ্তির অনধিক ২৪ (চবিবশ) ঘন্টার মধ্যে উক্ত বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য সরবরাহ করিবেন।
(৫) উপ-ধারা (১), (২) বা (৪) এ উলিস্নখিত সময়সীমার মধ্যে তথ্য সরবরাহ করিতে কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যর্থ হইলে সংশিস্নষ্ট তথ্য প্রাপ্তির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(৬) কোন অনুরোধকৃত তথ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট সরবরাহের জন্য মজুদ থাকিলে তিনি উক্ত তথ্যের যুক্তিসংগত মূল্য নির্ধারণ করিবেন এবং উক্ত মূল্য অনধিক ৫ (পাঁচ) কার্য দিবসের মধ্যে পরিশোধ করিবার জন্য অনুরোধকারীকে অবহিত করিবেন।
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন মূল্য নির্ধারণের ÿÿত্রে তথ্য প্রদানের প্রকৃত ব্যয় যেমন⎯তথ্যেও মুদ্রিত মূল্য ইলেক্ট্রনিক ফরমেট এর মূল্য কিংবা ফটোকপি বা প্রিন্ট আউট সংμামও যে ব্যয় হইবে উহা হইতে অধিক মূল্য নির্ধারণ করা যাইবে না।
(৮) ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন অনুরোধকৃত তথ্য প্রদান করা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট যথাযথ বিবেচিত হইলে এবং যেÿÿত্রে উক্ত তথ্য তৃতীয় পÿ কর্তৃক সরবরাহ করা হইয়াছে কিংবা উক্ত তথ্যে তৃতীয় পÿÿর স্বার্থ জড়িত রহিয়াছে এবং তৃতীয় পÿ উহা গোপনীয় তথ্য হিসাবে গণ্য করিয়াছে সেইÿÿত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্তরূপ অনুরোধ প্রাপ্তির ৫ (পাঁচ) কার্য দিবসের মধ্যে তৃতীয় পÿকে উহার লিখিত বা মৌখিক মতামত চাহিয়া নোটিশ প্রদান করিবেন এবং তৃতীয় পÿ এইরূপ নোটিশের প্রেÿÿতে কোন মতামত প্রদান করিলে উহা বিবেচনায় লইয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুরোধকারীকে তথ্য প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধামত্ম গ্রহণ করিবেন।
(৯) ধারা ৭ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তথ্য প্রকাশের জন্য বাধ্যতামূলক নয়, এইরূপ তথ্যের সহিত সম্পর্কযুক্ত হইবার কারণে কোন অনুরোধ সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করা যাইবে না এবং অনুরোধের যতটুকু অংশ প্রকাশের জন্য বাধ্যতামূলক নয় এবং যতটুকু অংশ যৌক্তিকভাবে পৃথক করা সম্ভব, ততটুকু অংশ অনুরোধকারীকে সরবরাহ করিতে হইবে।
(১০) কোন ইন্দ্রীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কোন রেকর্ড বা উহার অংশবিশেষ জানাইবার প্রয়োজন হইলে সংশিস্নষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে তথ্য লাভে সহায়তা প্রদান করিবেন এবং পরিদর্শনের জন্য যে ধরণের সহযোগিতা প্রয়োজন তাহা প্রদান করাও এই সহায়তার অমত্মর্ভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবে। সমগ্র আইনটি দেখুন এখানেঃ Click This Link
তথ্য চাওয়া শুরু করেন। সো ওপেন ইট, পাবলিশ ইট, সেল ইট ডু হয়াট এভার, জাস্ট ফ্রী ইট এন্ড ম্যানি। চাবি এখন জনগনের হাতে, সমাজের হাতে
১৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।
আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার
মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের
আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন
ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান
উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!
এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন