পৃথিবীর আর কোথাও যা হয়না তার অনেক কিছুই বাংলাদেশে হয়। তার একটি হলো টেলিভিশন চ্যানেলের জন্মদিন এত নির্লজ্জ্ব ভাবে পালন। গত বছর চ্যানেল আই দশ বছরপূর্তী একই ভাবে পালনের পর এবার বার বছরে পা দেয়া গত এক সপ্তাহ যাবৎ পালন করছে।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সমাজের নানা দুর্নীতিবাজ ব্যাবসায়ীদের বিশাল বিশাল কেক পাঠানো, লাইভ তাদের নাম প্রচার করা ও সমাজের উপরের স্তরের মানুষের তেল চর্চার এক মিলন মেলা।
একটা জাতির আঁতেল/সুধী/রাজনৈতিক/আমলা সমাজ কতবড় নির্লজ্জ্ব তেলবাজ হতে পারে তার নমুনা চ্যানেল আই এর ১২ বছর এর অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে। কত কথা কত তেল। কৃষক, মানুষ, বস্তুনিষ্ঠ, দেশের মানুষ পেরিয়ে চ্যানেল আই এখন সাতটি মহাদেশে অথচ একটা এসমস্ত তথাকথিত ভন্ড নীচ একজনের মুখেও শোনা গেল না এদেশের ৮০ ভাগ মানুষকে শুধু বিটিভিই দেখতে হয়, টেরেষ্টারিয়াল আইনের নামে, চ্যানেল আই কেন দেশের কোন স্যাটালাইট চ্যানেলের তাদের কাছে যাওয়ার অনুমতি নেই। ট্যারেষ্টারিয়াল টেলিকাষ্ট আইন করে শুধু বিটিভির জন্য সংরক্ষন করে রাখা হয়েছে।
নিচের তথ্য থেকে দেখে নিন এদেশের কত শতাংশ মানুষ চ্যানেল আই দেখতে পায় যদিও তারা দেশ ছেরে মহাদেশে চলে গেছে, যদিও নির্লজ্জ্বের মত এই আসল কথাটি এরা কেউ বলছে না, যদিও সবাই খুব ভালো করেই জানে।
কানাইঘাট উপজেলা (সিলেট) জনসংখ্যা 1,78,654, ডিস টিভি সংযোগ 1500 অর্থাৎ সর্বোচ্চ দশ হাজার মানুষ চ্যানেল আই/স্যাটালাইট টিভি দেখে। দেখে।
আমতলি (বরগুনা), জনসংখ্যা 2,44,438 ডিস টিভি সংযোগ 2000 অর্থাৎ সর্বোচ্চ বিশ হাজার জনগন চ্যানেল আই/স্যাটালাইট টিভি দেখে।
ঢাকার আশে পাশের কয়েকটি উপজেলা বাদ দিলে সারাদেশেই একই চিত্র পাওয়া যাবে। অর্থাৎ উপজেলাগুলোর ৯০% বা দেশের ৮০% জনগন এখনও ঘরের উপর সিলভারের এ্যান্টেনা লাগিয়ে শুধু বিটিভিই বাধ্য হয়ে দেখছে অথচ আমাদের এই জ্ঞানীগুনী মানুষগুলোর কেও সেই কথাটাও বলছে না। কত বড় নির্লজ্জ্বের মত আবার কেক কেটে জন্মদিন পালন করছে আর বিশ্রীভাবে মাইক হাতে নিয়ে একটি টিভিকে তেল দিয়ে যাচ্ছে।
আমার মনে হয় জাতি হিসাবে আমরা নিজ স্বার্থে ও প্রচারের স্বার্থে একটা কুকুরকেও সাজিয়ে গুজিয়ে সমনে বসিয়ে দিলেও আমরা অকাতরে তেল দিয়ে কুকুরের পদ চুম্বন করতে পারবো।
এবার চলুন গ্রামের মানুষের টিভি দেখা দেখিঃ
ঐ এ্যান্টেনায় চ্যানেল আই আসেন তাই শুধু বিটিভি অথবা ভিসিডি ছেরে ডিপজলের ছবি দেখে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



