গত ২০০৮ সালে সরকার উন্নত বিশ্বের ১৯৪৮ সালের (৬৪ বছর পর) কমিউনিটি রেডিও পলিসি বাংলাদেশে গ্রহন করে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় একই বছরে খুবই সীমিত আকারে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সারাদেশ থেকে সিআর স্থাপনের দরখাস্ত আহ্বান করে। এবং মাত্র ২০০ দরখাস্ত তথ্য মন্ত্রনালয়ে জমা পরে।
বর্তমান সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে সিআর এর উল্লেখ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ভিশন ২০২১ লক্ষ্যে পৌছানোর সুযোগ্য টুল হিসাবে অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ন আইনের মত কেয়ারটেকার সরকারের করা সিআর পলিসিটিও সংসদে পাশ করে।
অতপরঃ তথ্য মন্ত্রনালয় প্রাপ্ত ২০০ দরখাস্তের জন্য নেশনাল রেগুলেটরি কমিটি গঠন করে যাচাই বাছাইয়ের জন্য গত ২০০৯ সালে পাঠায় উক্ত কমিটিতে পাঠায়। এই কমিটি যাচাই বাছাই করে ১১৬টি দরখাস্ত প্রাথমিক ভাবে গ্রহন করে মন্ত্রনালয়ে পাঠায়। এরপর মন্ত্রনালয় ১১৬টি দরখাস্ত নিরাপত্তা ছারপত্রের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ১১৬ টি দরখাস্ত চারটি সংস্থা যথাঃ ১. ডিজিএফআই, ২. এনএসআই, ৩. বিশেষ পুলিশ (এসবি) ও ৪. লোকাল পুলিশ স্টেশনে পাঠায় রিপোর্ট প্রদানের জন্য। প্রাপ্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ৩০ টি দরখাস্তের প্রতি নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদান করে তথ্য মন্ত্রনালয়ে পাঠায়। গত এপ্রিল মাসে তথ্য মন্ত্রনালয় এই ৩০টির মধ্যে থেকে ১৪ টি আবেদনের বিপরীতে তাদের স্ব স্ব এলাকায় ১৭ কিলোমিটার রেডিয়াসে কমিউনিটি রেডিও ট্রান্সমিশনের লাইসেন্স প্রদান করে।
মন্তব্যঃ হা হা হা, সত্যি হাসি পায়! আমাদের কারবার দেখে হাসি ছাড়া আর কি পেতে পারে ? তাইতো বলি এত বছরেও দেশের এই অবস্থা কেন ? ইন ফ্যাক্ট আল্লাহর বিশেষ কুদরত থাকায় দেশটা বর্তমান অবস্থায় আছে। এরতো এখনও পুরা "কালাপানি" থাকার কথা এই সমস্ত সিস্টেমের মধ্যে।
মন্তব্যঃ কমিউনিটি রেডিও লাইসেন্স দেয়ার ক্ষমতা কেন তথ্য মন্ত্রনালয়ের থাকবে ? এটা স্থানীয় সরকারের কাজ, স্থানীয় সরকার/প্রশাসন দেবে সিআর লাইসেন্স। কি আজব নীতির দেশে !
অন্য প্রসংগ উল্লেখ্যঃ ১৯৯৪ সালে এই ডিজিএফআই আর এনএসআই নেগেটিভ রিপোর্টের জন্যই তখন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়নি।