১৯৬৪ সালের এই দিনে বাংলাদেশ টেলিভিশন যাত্রা শুরু করে আজ ৪৭ বছরে পদার্পন করছে। আজ ২০১০ সালেও এই বিটিভিই দেশের একমাত্র গণমাধ্যম কেননা দেশের ১৫ কোটি জনগণের সংবাদ মাধ্যম ও গণমাধ্যম হিসাবে ১০ কোটি জনগনের জন্য এখনও বিটিভিই একমাত্র মাধ্যম। যেমন রাজধানী ও জেলা শহরগুলো বাদ দিলে যেকোন উপজেলার সদরের দুই তিন হাজার ডিসটিভি কানেকশনে বিশত্রিশ হাজার জনগণ স্যাটালাইট টিভি দেখলেও বাকি উপজেলার বাকি ৯০% জনগণকে বহুকষ্টে কেনা এক একটা টেলিভিশনে, ঘরের দোকানের চালের উপর সিলভারের এন্টিনা লাগিয়ে বাধ্য হয়ে শুধু বিটিভিই দেখতে হয়।
উল্লেখ্য গত ২০০০ সালে আর একটি টিভি মানে একুশে টিভিকে টেরেস্টারিয়াল সম্প্রচারের অনুমতি দেয়া হলে আমাদের গ্রামের জনগণ আরএকটা চ্যানেল দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। পরে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। গত কেয়ারটেকার সরকার অন্যান্য চ্যানেলকে টেরেস্টারিয়াল সম্প্রচারের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনলে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম দশ দিনেই তথ্য মন্ত্রনালয়ের যে আইনটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা হলোঃ টেরেষ্টারিয়াল টেলিকাস্ট শুধু মাত্র বিটিভির জন্য সংরক্ষিত রাখা হলো।
এবার চলুন বিটিভির আরও কিছু তথ্য জানি।
সরকার বিটিভি কে গত বছর ১৩ কোটি টাকা বাজেট দিয়ে ছিল। এবছর ১৫ কোটি টাকা দিয়েছে। এদিকে নানা অনিয়মের পরও, গত বছর বিটিভি আয় করেছে ১০০ কোটি টাকা যদিও এর ক্ষমতা অনেক অনেকগুন বেশি। বিটিভি এখনও যে সবযন্ত্র পাতি দিয়ে চলে তা পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশও অন্তত ২০ বছর আগে ফেলে দিয়েছে। টিভি স্টেশনের মূল বিষয় হলো রেকর্ড, বিটিভি এখনও তার অনুষ্ঠান বেটাক্যাম স্যালুলয়েড ফিতায় ধারন করে। এবং এক একটি ক্যাসেট ২০০ বার রিইউজ করা হয়। বিটিভি ট্যারেষ্টারিয়াল চ্যানেল হওয়ায় এর মাধ্যমে দেশের শত ভাগ মানুষের কাছে তথ্য নিয়ে পৌছানো যায় যেখানে স্যাটালাইট টেলিভিশন সর্বোচ্চ ২০% মানুষের কাছে পৌছায়। বিটিভির মোট জনবল ১২০০। বিটিভির হাতে আরও একটি ভিএইচএফ (ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি) ফুল সেটআপ দেয়া অবস্থায় আছে।
মন্তব্যঃ বিটিভির ৫০% শেয়ার মার্কেটে ছেড়ে দিয়ে মার্কেট থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা নিয়ে বিটিভিকে আধুনিকায়ন ও একে জনগণের টেলিভিশন করা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৩