আমি বাঙ্গালী,আমি বাংলাদেশি,আর একজন বাংলাভাষী হিসেবে একুশ আমার অহংকার। কিন্তু আজ আমরা লম্বা লম্বা কথা বলার আগে ভাষার প্রতি দায়িত্ব কতটুকু পালন করছি। ভাষার স্বাধীনতাকে ক্ষাচায় ভরে রেখেছি জনগণেরই মত। নিচে মাত্র দুইটা উদাহরন দিলাম যদিও এইগুলির সাব উদাহরন আরও দুইশ দেয়া যাবে।
১. আজ যারা, সরকাররা, নেতারা, আমলারা, সুধীজন লেখক রাষ্টপতি প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেত্রী এত সমারহ করে শহীদমিনারে ভাষা ভাষা করে শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছে তারা পৃথিবীর অষ্টম ভাষা বাংলার কনটেন্টের পরিমান ইন্টারনেটে আজও ০.০০০৫% এ রাখতে জাতিকে বাধ্য রাখতে স্বস্বঅবস্থানে সুপরিকল্পিত ভাবে সেই ইন্টারনেটের যুগের শুরু ১৯৯৪ সাল থেকেই অবদান রেখে আসছে। বর্তমান সময়ে তীব্র।
২. এরা,লেখক পাবলিসার্স, বাংলা ভাষায় এক একটা বই ছাপিয়ে ৫০০ টাকা করে বেচে যে মাত্র একজনে একটা বই পড়তে পারে অথচ সারা দুনিয়া আজ ডিজিটাল বই পাবলিশ করে ৫০০ টাকার এক বই এক কোটি লোককে পড়ে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের পুড়ানো বই সহ ২০% থেকে ২৫% বই ডিজিটাল করা হয়ে গেছে (লাইব্রেরী অফ কংগ্রেস ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ মিলিয়ন বই ডিজিটালাই করছে) অথচ বাংলা বইয়ের ০.০০০০০১% ও আজও ডিজিটাল ফরমেট করা হয়নি। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই শত বছরের পুড়ানো হাজার হাজর বই উলিয়ে খাচ্ছে এমন খবরও মিডিয়ায় এসেছে। এই হচ্ছে ভবিষ্যৎ দুনিয়ার বাংলার অবস্থা এদের আন্তরীক প্রচেষ্টায়, আজও।
সামান্য কে কার আগে শ্রদ্ধা জানাবে, আপনি একটু সিরিয়ালটা এদিক সেদিক করেও দেখুন খুনাখুনি করে ফেলবে। এরা হলো "ও মাই টুয়েন্টিফাস্ট ফেব্রুয়ারী, সালাম টু ইউ" দলের লোক। এরা মতলবে সব করে। আজ শহীদমিনারেও মতলবে আসছে। এদের কি শহীদ মিনারে যাওয়ার অধিকার থাকা উচিত ? এরা টাউট।